Nadim Mahmud Nadim Mahmud
  • Home
  • Blog
    • Higher Study
    • IELTS
    • Research
    • Scholarship
    • CV
    • China
    • Turkey
    • Tips & Tricks
    • All Blog
  • Portfolio
    • Image
    • Video
  • Books
    • IELTS
    • All Books
  • Achievements
  • Contact
Subscribe
Nadim Mahmud

Hello! My name is Nadim Mahmud. I'm a dreamer I'm a believer and I'm a doer. I am well known for my presentation skill.

  • Home
  • Blog
    • Higher Study
    • IELTS
    • Research
    • Scholarship
    • CV
    • China
    • Turkey
    • Tips & Tricks
    • All Blog
  • Portfolio
    • Image
    • Video
  • Books
    • IELTS
    • All Books
  • Achievements
  • Contact
find with me

Blog Grid Light

  • Home
  • Blog Grid Light
লো সিজিপিএ ধারীরা আমেরিকায় কীভাবে আসবেন
Higher Study | USA
1 min read

লো সিজিপিএ ধারীরা আমেরিকায় কীভাবে আসবেন

লো সিজিপিএ ধারীরা আমেরিকায় কীভাবে আসবেন
March 14, 2024

লো সিজিপিএ ধারীরা আমেরিকায় কীভাবে আসবেন

——–

গ্রুপে অনেক প্রশ্ন আসে এরকম যে, তাদের সিজিপিএ অনেক খারাপ৷ কিভাবে নিজেকে সমৃদ্ধ করা যায় এবং আমেরিকার কোনো ভার্সিটিতে কিভাবে এডমিশন নেয়া যায় ইত্যাদি। এ ধরনের প্রশ্নের কোনো সোজা-সরল উত্তর নেই। যেমনটির কোনো উত্তর নেই হাই সিজিপিএ ধারীদের ক্ষেত্রেও। যাদের ভালো সিজিপিএ তারা যেমন নাকে তেল দিয়ে ঘুমিয়ে আমেরিকান ইকোনোমিতে ঢুকতে পারবে না, তেমনি লো সিজিপিএ ধারীরা এমন চিন্তা কখনো করবে না যে কখনো তারা আমেরিকায় আসতে পারবে না। তাহলে পুরো বিষয়টা কী?

প্রথমেই বুঝতে হবে যে আমেরিকান বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সবার জন্যই লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করেই রাখে। বাংলাদেশের মতন না যে, সিজিপিএ খারাপ মানে সে অচ্ছ্যুত। সিজিপিএ শর্টলিস্ট করার ক্ষেত্রে কাজে লাগে। এইটুকুই৷ তারপরও সব ভার্সিটির জন্য না৷ টপ কিছু ভার্সিটি এরকম ডিমান্ড করে। তবে, আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা এবং আশেপাশের অনেকের অভিজ্ঞতার আলোকে বলতে পারি, এসব খুব ফ্লেক্সিবল। আপনি যদি নিজেকে ঐ মার্কেটে একজন এসেট হিসেবে প্রকাশ করতে পারেন, তাহলে এসব সিজিপিএ কোনো ব্যাপার না। বিশ্ববিদ্যালয় বাছাই করা এবং পটেনশিয়াল প্রফেসরের সাথে কানেক্ট করতে পারাটা একটা অসীম ধৈর্যের কাজ। এখানে যদি নিজেকে আপনি ফিট করাতে পারেন, তাহলে আমি এডমিশন না হওয়ার কোনো কারণ দেখি না।

—

এবার দুটা উদাহরণ দিই। আমার নিজের ক্ষেত্রে আমি দুইটা ভিন্ন ভার্সিটির দুইজন প্রফেসরকে ম্যানেজ করেছিলাম আমার সিভি দিয়ে, যেখানে আমার সিজিপিএ উল্লেখই ছিলো না। এখনো আমার সিভিতে সিজিপিএ উল্লেখ নেই। ঐ দুইটা উচ্চ র‍্যাংকের গবেষণা বিশ্ববিদ্যালয়ে আমি ফান্ডিং কনফার্ম করে ফেলেছিলাম সিজিপিএ না দেখিয়েই। হ্যাঁ, আমাকে তো পরে ট্রান্সক্রিপ্ট পাঠাতে হয়েছিলো এডমিশন এর জন্য। কিন্তু এডমিশনের আগেই আমি ফান্ডিং কনফার্ম করে রেখেছিলাম। কেন দিই নি সিজিপিএ? এর উত্তর আমার কাছে সরল। দেখানোর মত সিজিপিএ আমার ছিলো না। এখন দেখি অনেকের সিজিপিএ ৪ বা ৩.৯ বা ৩.৮। আর আমার ক্ষেত্রে এটা ছিলো ৩.৫ এর আশেপাশে। এটা উল্লেখ করার মত কিছু ছিলো না। তাই করি নি। বরং আমার কাছে মনে হয়েছিলো এটা দেখে আমার প্রোফাইল সম্পর্কে আবার কেউ জাজমেন্টাল হয়ে যায় কি না, তাই।

দ্বিতীয় উদাহরণ হলো আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে আমার রুমমেটের সাফল্য। তার সিজিপিএ খুব সম্ভবত ২.৯ বা এর আশেপাশে ছিলো। এখন সে জন্স হপকিনস বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন বিরাট গবেষক। আমি দেখেছি, সে কি রকম অমানুষিক পরিশ্রম করেছে সেই সময়। সফলতা এমনি এমনি আপনার হাতে চলে আসে না। জীবনে শর্টকাট বলতে কিছু নেই।

—

এবার আসি মূল আলোচনায়। আপনার সিজিপিএ লো, এটা কিন্তু কোনোভাবেই আপনি সরলীকরণ করে নিজের পক্ষে সাফাই গেয়ে ভুল সংশোধন করতে পারবেন না। এটা মেনে নিতেই হবে যে আপনার খামখেয়ালি ছিলো। পড়াশুনা করেন নাই। যেটা আমিও মেনে নিয়েছিলাম। জিপিএ ফার্স্ট ব্যাচ/ অসুস্থ ছিলাম/ মেনটাল ব্রেকডাউন হয়েছিলো- ইত্যাদি কোনো ভাবেই আপনি কারণ দর্শাতে পারবেন না। নিজের খামখেয়ালীপনা এবং উদাসীনতা মেনে নিলে নিজের জন্যই ভালো৷ এখন, ঐ যে বলালাম, শর্টকাট কোনো রাস্তা নেই। তাই যা ভুল করেছেন, তা থেকে শিক্ষা নিয়ে আপনার পরিশ্রমের মাত্রা কয়েক গুণ বাড়িয়ে দিন। সোজা কথা হচ্ছে, “যে পরিশ্রম টা আপনাকে করতে হতো, ঐ কোটা আপনাকে কোনো না কোনো ভাবে পূরণ করতেই হবে”। হয়তো রিসার্চ প্রোফাইল এনরিচ করবেন বা জিআরই/ টোয়েফেল স্কোরের দিক থেকে এনরিচড থাকবেন- যেভাবেই হোক, আপনার গ্যাপ ফিলাপ করতে হবে।

—

গ্যাপ ফিলাপ কিভাবে করবেন? শুরুতে নিজে নিজেকে প্রশ্ন করুন, আমেরিকায় কেন আসতে চান? দেশে চাকুরি নাই/ দেশের পরিস্থিতি ভালো না/ ভবিষ্যৎ নাই/ আমেরিকান সিটিজেন হবেন/ ভালো গবেষক হতে চান- কারণ যাই হোক না কেন, আপনি আসতে চান। বলার অপেক্ষা রাখে না, এখানে আপনার আয় রোজগার এবং জীবন ব্যবস্থা অনেক অনেক উন্নত, যদিও হাজারটা সমস্যা রয়েছে। কিন্তু এই উন্নত জীবন ব্যবস্থা অনেকে গ্রহণ করতে পারে না। দেশে থাকতেই আপনাকে অনেক ওপেন মানসিকতার হতে হবে। নিজের প্রতি সৎ থাকতে হবে। নিজের প্রতি নিজের কমিটমেন্ট ঠিক রাখতে হবে। এগুলা বেসিক জিনিস। এগুলো ঠিক না করলে পরের স্টেপগুলো নিতে পারবেন না। কারন এসবই একই সুঁতায় গাঁথা।

যেহেতু সিজিপিএ আপনার খারাপ, আপনি নিজেকে একটু সময় নিয়ে গোছান। এখানে কিছু কাজের লিস্ট দিলাম, যেভাবে নিজেকে ডেভেলপ করতে পারবেন।

(১) কমিউনিটি প্রোগ্রাম এবং ভলান্টিয়ার কার্যক্রম

আপনি চাকুরি করেন বা ছাত্র, যাই করেন না কেন, সপ্তাহে একটা ভলান্টিয়ার কাজ করুন। এটা আপনাকে বহুমাত্রিক একটা আইডিওলজিক্যাল শেইপ দিবে। এবং এই কাজটাকে প্রকাশ করতেও জানতে হবে। যেমন, আমি আমার পাড়ার একটা স্কুলের বাচ্চাদের কে দুই বছরের মতন গুগলে কিভাবে সার্চ করবে, কিভাবে বিভিন্ন প্রোডাক্ট অনলাইনে অর্ডার করবে ইত্যাদি নিয়ে সপ্তাহে একদিন এক ঘন্টা করে ক্লাস নিতাম। এই কাজটা একেবারে নিজের পকেটের পয়সা খরচ করে করতাম। এবং এটা আমি আমার সিভিতেও উল্লখ করেছিলাম এবং এখনো করি। এক ইন্টারভিও তে এক প্রফেসর এই বিষয়ে আমাকে অনেক আগ্রহ নিয়ে জিজ্ঞেস করেছিলো। এবং ঐটাতে আমি সফলও হই। আমার কাছে মনে হয়, এই কাজটা আমার সিভি এবং এসওপি কে কিছুটা হলেও সমৃদ্ধ করেছে।

(২) পেপার পাবলিকেশন

যেহেতু আপনার সিজিপিএ খারাপ, তাই এই ব্যাপারটা নিয়ে কাজ করতে পারেন। কোনো না কোনো বড় ভাই/ বন্ধু/ ছোট ভাই আপনার আছে, যারা ভালো পাবলিকেশনের কাজ করে বা গবেষণা করে। তাদের সাথে যোগাযোগ করুন। নিজের ইগো-কে এক পাশে রেখে তাদের সাথে কাজ করতে শিখুন। যেহেতু সারাজীবন পড়াশুনা করেন নাই, তাই এটা আশা করা বোকামী হবে যে আপনি নিজে নিজে একটা পেপার পাবলিশ করে ফেলবেন। গাইডেড/ সুপারভাইজড রিসার্চ আপনাকে সমৃদ্ধ করবে। দরকার হলে তাদের এভাবে বলুন, “আমাকে তোর সাথে রাখ। কাজ/ এনালাইসিস এগুলা আমি করবো৷ কাজটা আমি শিখবো”। এভাবে আপনি একটা পেপার লেখায় কোলাবোরেট করতে পারবেন। একটা কো-অথরড পেপার আপনার হয়ে যাবে।

(৩) পটেনশিয়াল নেটওয়ার্ক

আপনি যে সাবজেক্টের, সেই সাবজেক্টের অন্তত একজন ভালো গবেষকের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করুন। দুই একটা পেপারের কাজ করতে গেলেই টের পাবেন কারা এই ফিল্ডে ভালো। এ যুগে কাউকে খুঁজে পাওয়াটা খুব কঠিন কিছু না। খুঁজে পেলেও খালি হাতে তাদের কাছে গিয়ে লাভ নেই। মেসেঞ্জারের আননোন ম্যাসেজ আসে এরকম, “হ্যালো, আসসালামু আলাইকুম”। এর পর আর কোনো লাইন নেই৷ এখানে সবাই আননোন কারো সালামের উত্তর দিতে বাধ্য না। সেরকম ভাবেই কাউকে রিচ করতে গেলে তাকে পুরো ম্যাসেজটা ভালোভাবে বলতে হবে। সে যাতে আগ্রহী হয়, সেরকম ভাবেই তাকে এপ্রোচ করতে হবে। এটা ইমেইলে করলেই ভালো। এ ধরনের কারো সাথে কোনো একটা পেপার/ গবেষণায় যুক্ত হবার চেষ্টা করুন। এটা আপনার ভবিষ্যৎ রেকমেন্ডেশনে কাজে লাগবে।

(৪) একটা ভালো এসওপি

এসওপি লিখুন। জীবনের সব ভালো-মন্দ ঘটনা মনে করে একটা ড্রাফট লিখুন শুরুতে। পেইজ লিমিট ভাবা লাগবে না। একটা ড্রাফট দাঁড় হয়ে গেলে এরপর ঘষামাজা করবেন বছরের পর বছর। আমার প্রথম এসওপি ছিলো ১২ পৃষ্ঠার। সব লিখেছিলাম। তারপর কাটতে কাটতে ২/৩ পেইজে নিয়ে আসি। অনেককে দিয়ে রিভিও করিয়েছিলাম। এখনো প্রতিনিয়ত আপডেট করছি।

(৫) জিআরই এবং টোয়েফেল

যেহেতু রেজাল্ট খারাপ, আর আপনার ভার্সিটি যেটা রিকোয়ার করবে, সেই স্কোর অর্জন করার জন্য জীবন বাজি রেখে এফোর্ট দিন। এগুলা মিনিমাম। করতেই হবে। আগের গ্যাপ ফিলার আর কী!

(৬) একটা ভালো সিভি

সিভি বানান। সিভি আপডেট করুন। বিভিন্ন সিভি ঘাটুন। সিভি এবং এসওপি এর মধ্যে সামঞ্জস্য রাখুন। এসওপিতে উল্লেখ করতে পারেন নি, এমন কিছু সিভিতে প্রেজেন্ট করুন এবং ভাইস-ভার্সা। বিভিন্ন প্রফেসরের সিভি অনলাইনে পাওয়া যায়, দেখুন একটা পূর্ণ একাডেমিক/ রিসার্চ সিভিতে কী কী থাকে।

(৭) লিখিত ভাষা দক্ষতা বৃদ্ধি

রাইটিং স্কিল অবহেলিত রাখবেন, জীবনে পদে পদে ধরা খাবেন। হাবিজাবি যা মাথায় আসে, লিখুন। হয় বাঙলায় বা ইংরেজিতে। লেখা হচ্ছে যোগাযোগের উতকৃষ্টতম মাধ্যম। এ ব্যাপারে নজর দিন। যেহেতু আমেরিকায় আসতে চান, ইংরেজিতে লেখার অভ্যাস করুন।

(৮) একটা ভালো এক্সেল শিট/ স্প্রেডশিট

এইটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। একটা মাস্টার এক্সেল ফাইল বানান। এক এক শিটে এক এক কন্টেন্ট থাকবে৷ যেমন, প্রথম শিটে আপনার টার্গেটেড বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর একটা তালিকা, তারপর প্রফেসরদের তালিকা, এডমিশন রিকোয়ারমেন্ট, আর্টিকেলের তালিকা ইত্যাদি। এটা যখন শুরু করবেন তখন হয়তো কিছু থাকবে না, কিন্তু এক বছর পরে আপনি হয়ে যাবেন “দ্য মোস্ট রিসোর্স্ফুল লো সিজিপিএ পার্সন”

(৯) অন্যকে সাহায্য করার মানসিকতা

অন্যকে হেল্প করুন। এটা আপনার মোরাল কম্পাসকে শক্তিশালী করবে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যেটা করবে, সেটা হচ্ছে আপনি নিজে নিজেকে হেল্প করছেন। এই যেমন, এই বড় পোস্টটা লিখছি, আসলে নিজের জন্যই লিখছি। নিজে অনেক কিছু জানতে পারবো বলে আশা রাখি। আমার চিন্তা করতে হচ্ছে, ব্রেইনটাকেও এক্টিভ রাখছি ইত্যাদি।

(১০) প্রচুর পড়া

এই পয়েন্টটা সবার শেষে লিখলেও এটাই হয়তো সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট হতে পারে। প্রচুর পড়বেন। ভালো কন্টেন্ট পড়লে নিজেরা সমৃদ্ধশালী হবেন। ঐ যে নেটওয়ার্ক এর কথা বললাম, সেটা অনেক বেগবান করতে পারবেন।

—

শেষ কথা হলো সেই শুরুর কথাটাই৷ আমেরিকা আপনার সাথে ফেয়ার প্লে করবে। কিন্তু নিজেকে আপনার ডেভেলপ করতে হবে। সিজিপিএ খারাপ হয়েছে, এটাকে রিকোভার করতে হলে বেশ অনেকভাবে আপনাকে এনরিচড হতে হবে। প্রচুর পরিশ্রম করতে হবে যাদের হাই জিপিএ তাদের তুলনায়। লাইফ ইজ নট এ বেড অফ রোজেস।

শুভকামনা।

লিখতে লিখতে আরো অনেক কথা মাথায় আসছিলো, কিন্তু এই পোস্ট অলরেডি অনেক বড় হয়ে গেছে। স্পেসিফিক টপিক নিয়ে পরবর্তীতে আরো আলাপ করা যাবে।

—

মোহাম্মদ আরফার রাজী

ফুলব্রাইট ফেলো

কমিউনিটি এন্ড রিজিওনাল প্ল্যানিং

ইউনিভার্সিটি অফ টেক্সাস এট অস্টিন।

Google থেকে শর্টকাট ওয়েতে তথ্য বের করার উপায়

NURHSA.ORG

ইউরোপে-IELTS-ছাড়াই-ব্যাচেলর-মাস্টার্স-ও-পিএইচডি
Higher Study
1 min read

ইউরোপে IELTS ছাড়াই ব্যাচেলর, মাস্টার্স ও পিএইচডি

ইউরোপে-IELTS-ছাড়াই-ব্যাচেলর-মাস্টার্স-ও-পিএইচডি
December 15, 2023

ইউরোপে IELTS ছাড়াই ব্যাচেলর, মাস্টার্স ও পিএইচডি

পৃথিবীর সবচেয়ে ধনী দেশগুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে সেন্ট্রাল ইউরোপের দেশ অস্ট্রিয়া।দেশটির অধিবাসীদের জীবনযাত্রার মান এবং যোগাযোগ ব্যবস্থার মানের দিক থেকেও অনেক উন্নত। অস্ট্রিয়ার শিক্ষাব্যবস্থাও খুবই মানসম্পন্ন। অস্ট্রিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সর্বদা বিশ্ব র‍্যাংকিং শীর্ষ সারিতে থাকে। বর্তমানে অস্ট্রিয়ায় পড়তে যাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।

এর প্রধান কারণ হচ্ছে, অস্ট্রিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে রয়েছে বিনা বেতনে বা স্বল্প বেতনে উচ্চশিক্ষা অর্জনের সুযোগ। সবচেয়ে আকর্ষণীয় বিষয় হলো, অস্ট্রিয়ার বেশ কিছু ভালো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য আইইএলটিএস দরকার হয় না। এর পাশাপাশি থাকে সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন স্কলারশিপ পাওয়ারও সুযোগ।

চলুন জেনে নেওয়া যাক আইইএলটিএস ছাড়াই অস্ট্রিয়ার যে আট বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ রয়েছে। 

১। ভিয়েনা বিশ্ববিদ্যালয় (Vienna University):- এখানে ইংরেজি, ব্যবসা, অর্থনীতি, পরিসংখ্যান নিয়ে পড়তে গেলে ইংরেজিতে দক্ষতার সার্টিফিকেট দরকার হয়। তবে এখানে ভর্তির সময় আইইএলটিএস দরকার হয় না।

বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন 

২। সালজবার্গ বিশ্ববিদ্যালয় (University of Salzburg):-

এই বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদনের ক্ষেত্রে  ইংরেজি বা জার্মান ভাষায় দক্ষতা থাকতে হয়। আইইএলটিএস থাকতেই হবে এমন কোনো বাধ্যবাধকতা নেই।  শিক্ষার্থী ইংরেজিতে

খুব দক্ষ, এমন একটি রিকমেন্ডেশন লেটার থাকলেই হয়।

বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন 

৩। ইউনিভার্সিটি অব অ্যাপ্লায়েড সায়েন্সেস টেকনিকুম উইন (University of Applied Sciences Technikum Wien):-

এখানে পড়তে ইংরেজি অথবা জার্মান ভাষায় দক্ষতা লাগে। তবে যদি আপনি আগের প্রতিষ্ঠানে ইংরেজি মাধ্যমে পড়াশোনা করে থাকেন, তাহলে কোনো ভাষাগত দক্ষতার সনদ দরকার হবে না। 

বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন 

৪। জোহানেস কেপলার বিশ্ববিদ্যালয় (Johannes Kepler University):-

এই বিশ্ববিদ্যালয়ে কিছু বিষয়ে পড়াশোনার ক্ষেত্রে আইইএলটিএস লাগে, সব বিষয়ের ক্ষেত্রে লাগে না। 

বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন 

৫। মডুল বিশ্ববিদ্যালয় (Modul University):-

এটি অস্ট্রিয়ার অন্যতম প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়। এখানে বাংলাদেশিরা এইচএসসির পরই ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। তবে শুরুতে এক সেমিস্টারের একটি ফাউন্ডেশন কোর্স করতে হবে। তাহলে আর আইইএলটিএস লাগবে না, কোর্সের শেষে থাকবে পরীক্ষা। মূল ডিগ্রি কোর্সে ভর্তির সময় আইইএলটিএস ৫.৫ স্কোর লাগবে। 

বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন  

৬। ইনসব্রুক বিশ্ববিদ্যালয় (University of Innsbruck):- 

পূর্বের পড়াশোনা বাংলা মাধ্যমে হলেও ইংরেজি বিষয়ের পরীক্ষায় খুব ভালো রেজাল্ট থাকতে হবে অথবা পড়াশোনার মাধ্যম ইংরেজি হতে হবে, তাহলে আইইএলটিএস লাগবে না। তবে যদি আইইএলটিএস স্কোর ৫.৫ থাকে, তাহলে ভালো। 

বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন 

৭। ভিয়েনা ইউনিভার্সিটি অব ইকোনমিকস অ্যান্ড বিজনেস (Vienna University of Economics and Business):- 

বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের এখানে ব্যাচেলরে ভর্তি হতে হলে আইইএলটিএস লাগবে, তবে যদি অস্ট্রিয়ার যেকোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষা শিক্ষা সেন্টারের সার্টিফিকেট থাকে, যেখানে শিক্ষার্থীর B2 লেভেলের যোগ্যতা উল্লেখ থাকে, তাহলে আইইএলটিএস লাগবে না। আর মাস্টার্সে ভর্তির জন্য শিক্ষার্থীর ব্যাচেলর ডিগ্রি ইংরেজিতে করা হয়েছে, এমন প্রমাণ দিতে পারলে আর আইইএলটিএস লাগবে না। 

বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন

৮। গ্রাজ কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয় (Technical University Graz):-

এখানে পড়তে ইংরেজিতে দক্ষতার সার্টিফিকেট দেখাতে হবে। শিক্ষার্থী যদি পূর্ববর্তী পড়াশোনা ইংরেজি মাধ্যমে করার প্রমাণ দেখাতে পারেন, তাহলে আইইএলটিএস লাগবে না। 

বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন

© সংগৃহীত

এইচএসসি পাশ করার পরে বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য করণীয় কি?

আমেরিকাতে উচ্চশিক্ষার জন্য শুরুতেই যা জানা দরকার
Higher Study | USA
1 min read

আমেরিকাতে উচ্চশিক্ষার জন্য শুরুতেই যা জানা দরকার

আমেরিকাতে উচ্চশিক্ষার জন্য শুরুতেই যা জানা দরকার
December 6, 2023

আমেরিকাতে উচ্চশিক্ষার জন্য শুরুতেই যা জানা দরকার

যারা এইমাত্র মনস্থির করলেন যে আমেরিকাতে হায়ার স্টাডি করতে চান, তাদের জন্য কিছু একেবারে বেসিক কিছু জিনিস নিয়ে এখানে আলোচনা করা হয়েছে। আশা করি, you’ll feel more knowledgeable after reading this for the first time.

Undergraduate program – অনার্স প্রোগ্রাম। অনার্সের চার বছরকে ওরা যথাক্রমে Freshman year, Sophomore year, Junior year, Senior year বলে।

Graduate Program – মাস্টার্স বা পিএইচডি প্রোগ্রাম

F1 Visa – আমেরিকাতে পড়াশোনা করতে আসা বিদেশী স্টুডেন্টদের ভিসা। ভার্সিটিতে আমাদের ভর্তি কনফার্ম হয়ে গেলে আমরা এই ভিসার জন্যেই এপ্লাই করবো।

Assistantship – আমেরিকার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জন্য এটা স্কলারশিপের synonym. একদম সহজ করে বললে, এসিস্ট্যান্টশিপ পাওয়ার অর্থ হচ্ছে স্কলারশিপ পাওয়া। এটার অন্য নাম হচ্ছে Funding. USA এসিস্ট্যান্টশিপের মাধ্যমে যতজন ছাত্র-ছাত্রীকে উচ্চশিক্ষার সুযোগ করে দেয়, ইউরোপের অনেক দেশ একত্রে এতো স্কলারশিপ দেয়না। এসিস্ট্যান্টশিপ মূলত দুই রকম-

1) Research Assistantship – আমরা অনেকে বিজ্ঞানী আর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক- দুটোকে একেবারে ভিন্ন সত্তা হিসেবে দেখি; বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে বিচার করি বলেই হয়তো। কিন্তু বিশ্বের অধিকাংশ দেশে এই দুটো টার্ম একেবারে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। ওখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরাই গবেষণা করেন মূলত, ইউনিভার্সিটির বড় বড় ল্যাবে তাদের রিসার্চ চলে। এইসব রিসার্চের জন্য তাদের এসিস্ট্যান্টের প্রয়োজন হয়। তাই তারা Research Assistantship অফার করে।

এটা এমন একটা চাকরি, যেখানে আপনার কাজ হচ্ছে আপনার থিসিস নিয়ে কাজ করা। সেটা তো মাস্টার্স-পিএইচডি করতে গেলে আপনাকে এমনিতেই করতে হতো। আপনার থিসিসের কাজ করার জন্যে ওরা আপনাকে সরঞ্জামও দেবে, আপনার কোর্সওয়ার্কের টিউশন ফি-ও মাফ করে দেবে, আবার মাসে মাসে কিছু টাকাও আপনার পকেটে গুঁজে দেবে। টাকার অংকটা ভালোই, খেয়ে পরে প্রত্যেক মাসে ৫০,০০০ টাকা (ক্ষেত্রবিশেষে আরো বেশি) থেকে যায়

2) Teaching Assistantship – শিক্ষকদের মধ্যে অনেকেই নামজাদা বিজ্ঞানী, অনেকে নোবেল-বিজয়ী, অনেকে যে কোনদিন পেয়ে যাবে- এমন রিসার্চ করছে। ফলাফল, তারা অত্যাধিক ব্যস্ত। এমন অবস্থায় সে কি আর পরীক্ষার হলে পরিদর্শকের কাজ করে ৩ ঘণ্টা নষ্ট করবে? অথবা প্রত্যেকের ২০টা করে ৩০ জন ছাত্রের MCQ paper evaluate করবে? তার চেয়ে বরং এ সময়টা পেলে সে একটা নতুন research method দাঁড় করাতে পারবে। তাই এই কাজগুলোর জন্য সে একজন এসিস্ট্যান্ট রাখে, তাকে বলে Teaching Assistant. সুযোগ-সুবিধা অনেকটা research assistant-দের মতই।

Fall Session – শরৎকালে অর্থাৎ অগাস্ট-সেপ্টেম্বরে যে সেশনটা শুরু হয়, সেটা। এই সেশনেই এসিস্ট্যান্টশিপ পাওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি থাকে।

Spring Session – জানুয়ারি মাসে যে সেশন শুরু হয়, সেটা। এই সেশনে ফান্ডিং Fall এর চেয়ে কম থাকে। আর বেশির ভাগ ক্ষেত্রে কোর্সওয়ার্কও এমনভাবে সাজানো থাকে, যাতে Fall এ শুরু করলে সুবিধা। তবে এটা ঠিক যে, এই সেশনেও ফান্ডিং থাকে এবং ফান্ডিং পেলে আমাদের কাছে Fall হচ্ছে লাউ, আর Spring কদু !!

Standardized Test –  ইউনিভার্সিটিগুলোতে এপ্লাই করতে হলে আগে কিছু টেস্ট দেয়া প্রয়োজন। যেমন – GRE, GMAT, TOEFL, IELTS, etc. এগুলোর ওপর ক্লিক করে প্রত্যেকটার ব্যাপারে ডিটেইলসে জেনে নিতে পারবেন। TOEFL অথবা IELTS এর মধ্যে যে কোন একটা দেয়া লাগবে ইংরেজি ভাষায় দক্ষতা যাচাই করার জন্য। MBA করতে চাইলে লাগবে GMAT, আর বাকী সবার জন্য GRE. 

Ivy League – আটটা নামী-দামী বিশ্ববিদ্যালয়, যেগুলোতে চান্স পাওয়া খুবই শক্ত বা চান্স পেতে হলে খুব ভালো কোয়ালিফিকেশন থাকা লাগে, সেগুলোকে একত্রে Ivy League বলে। সেই আটটা ভার্সিটির নাম হচ্ছে Brown University, Columbia University, Cornell University, Dartmouth College, Harvard University, Princeton University, the University of Pennsylvania, and Yale University. এরকম কোয়ালিটির ভার্সিটি অনেক আছে, তবে এরা নিজেদেরকে একটু হনু ভাবে… MIT এর নাম এখানে নেই, তাহলেই বুঝুন!

Some Myths and Truths – USA higher study নিয়ে কিছু ভুল ধারণা অনেকের মধ্যেই বিদ্যমান। আশা করি, আপনি সেই ভুল ধারণায় বিভ্রান্ত হবেন না…

নোটের এই জায়গায় এসে আপনি বলতে পারেন, আপনার প্রিপারেশন শুরু হয়ে গেছে। এবার নেমে পড়ুন এপ্লাই করার রাস্তায়। কি কি লাগবে, সেগুলোর বিস্তারিত দেখে নিন এই লিংকে – The Ultimate Check-list for HIGHER STUDY IN USA……… Best of luck!

জার্মানিতে স্টুডেন্ট অবস্থায় সেভিংস কেমন হয় ?

nurhsa.org

জার্মানিতে স্টুডেন্ট অবস্থায় সেভিংস কেমন হয় ??
Germany | Higher Study
1 min read

জার্মানিতে স্টুডেন্ট অবস্থায় সেভিংস কেমন হয় ?

জার্মানিতে স্টুডেন্ট অবস্থায় সেভিংস কেমন হয় ??
November 22, 2023

জার্মানিতে স্টুডেন্ট অবস্থায় সেভিংস কেমন হয় ?

জার্মানিতে স্টুডেন্ট অবস্থায় সেভিংস কেমন হয় এই বিষয়ে অনেকেই জানতে চান। আজকে আপনাদের একটা ওভারঅল ধারনা দিতে চাই সাথে আমার টুকটাক কিছু পর্যবেক্ষণ।

জার্মানিতে আপনি টোটাল ১২০ দিন ফুলটাইম কিংবা ২৪০ দিন পার্ট টাইম কাজ করতে পারবেন। ফুলটাইম মানে ৮ ঘন্টা আর পার্ট টাইম মানে ৪ ঘন্টা। কিন্তু আপনি যদি ৩ ঘন্টার শিফট করেন সেটাও পার্ট টাইম হিসাবে কাউন্ট হবে। আবার ৫ ঘন্টার শিফট করলে ফুলটাইম হিসাবে কাউন্ট হবে। এই সিস্টেমটা আমার ভালো লাগে নাই। কিন্তু কি করার। রুলস তো মানা লাগবে।

মাসের কিছু খরচ ধরেন শিওর থাকবে। এগুলো যাই করেন না কেন আপনার খরচ হবেই।

বাসা ভাড়া

হেলথ ইন্সুরেন্স

রেডিও বিল

মোবাইল বিল

এখন আপনার সিটি ভেদে বাসা ভাড়া কম বেশি হবে৷ আমি এভারেজ ৩৫০ ধরে নিলাম।

তাইলে আপনার মাসে ফিক্সড খরচ

বাসা ভাড়া- ৩৫০

হেলথ ইন্সুরেন্স- ১২৫

রেডিও বিল- ১৮

মোবাইল বিল- ৭ (ধরে নিলাম)

টোটাল আপনার ফিক্সড খরচ যেগুলো শিওর যাবেই তা হলো ৫০০ ইউরো। এবার এর সাথে আরেকটা ইস্যু যোগ করেন। প্রতি ৬ মাসে তো এনরোলমেন্ট ফি দেন৷ সেটারে ধরে নিলাম প্রতি সেমিস্টারে ২৪০ দেন। তো মাসে পরতেছে ৪০ ইউরো করে। এটারেও মাসের হিসাবে যোগ দিলে হলো ৫৪০ ইউরো। অর্থাৎ যাই করেন না কেন এই ৫৪০ ইউরো আপনাকে দিতেই হবে। তা না খেয়ে থাকলেও।

এবার বাকি খরচ ডিপেন্ড করে আপনার উপর। ইউরোপের বর্তমান বাজারের যে অবস্থা তাতে এভারেজে মানুষ ১৫০ ইউরো খরচ করেই বাজারের পেছনে। আমার ২৫০ যায়। তো এটা ডিপেন্ড করে কে কতো পারসোনাল খরচ করবেন৷

তো যদি ১৫০ ধরি তাহলে এখন মাসের মোট খরচ দাড়ালো ৫৪০+১৫০ = ৬৯০। এখন কিছু এক্সট্রা খরচ ধরে নিন আদারস হিসাবে ধরেন ২০ ইউরো। তাইলে মাসের টোটাল খরচ ৭১০ ইউরো৷ দেখেন ভাই খাবার আপনি ৫০ ইউরোতে কম্পলিট করতে পারলে এই খরচ ৬১০ হবে। তাই আমি একটা এভারেজ খরচের হিসাব দিলাম। ৭১০ স্ট্যান্ডার্ড এভারেজ ধরে নিলাম।

এবার কথা হলো আপনি ইনকাম করবেন কতো। ধরে নিলাম আপনি মাসে ৮০ ঘন্টা ন্যুনতম ১২ ইউরো স্যালারিতে কাজ করেন। এতে আপনার নেট স্যালারি ৯৬০ হবে৷ এর থেকে ট্যাক্স বাবদ ৯৬ টাকা কেটে নিলো। থাকবে ৮৬৪ ইউরো। আর খরচ বললাম ৭১০ ইউরো। তাহলে আপনার সেভিংস ১৫৪ ইউরো। আজকের ইউরো রেটের হিসাবে ২০ হাজার টাকা প্রায়।

এর চেয়ে বেশি কি সেভিংস সম্ভব? হ্যাঁ সম্ভব। আপনি পার্ট টাইমের পাশাপাশি একটা মিনি জব করতে পারেন। তাতে যে টাকা পাবেন তা পুরোটাই সেভিংস হিসাবে থাকবে৷ মিনি করে ৫২০ ইউরো পর্যন্ত কামানো যায়। তবে একটা পার্ট টাইম + মিনি করে অনেক কষ্ট হয়ে যায়৷ কেননা পড়ালেখা বাসার কাজ কাম সব লাঠে ওঠে।

আবার ধরেন ডেলিভারি বা রেস্টুরেন্টে জবে টিপসের মতো বিষয় থাকে। সেখান থেকে এক্সট্রা সেভিংস আনতে পারেন। আবার ধরেন জবভ্যালি কিংবা সেনজব থেকে দিন ঘন্টা হিসাবে কাজ করেও সেভিংস আনতে পারেন। তো মোদ্দা হিসাব হলো জার্মানিতে ন্যুনতম স্যালারিতে ৮০ ঘন্টা কাজ করে এভারেজ খরচ করলে মাসে ১৫০-২০০ ইউরো সেভ করা সম্ভব। এর সাথে অন্য কোন মিনি জব করলে সেটা আরো বাড়ানো সম্ভব। খরচের উপর সেভিংস ডিপেন্ড করে। এক্সট্রা অনেক রেগুলার খরচ থাকতে পারে। যেমন যেকোন কিছু ইএমআইতে কিনলে সেটার মান্থলি খরচ দিতে হয়। সত্যি বলতে আমি দেখেছি বাংলাদেশীরা অনেক খরুচে হয়। জার্মানির একেক অঞ্চলে একেক সুপারশপ ফেমাস, অঞ্চল ভেদে একেকটা আলাদাভাবে এক্সপেন্সিভ৷ যেমন ধরেন আমার সিটিতে এডেকা বেস্ট কোয়ালিটির ফুড প্রোভাইড করে আবার দামও বেশি৷ কিন্তু এডেকাতে আমি যতো বাঙালী দেখি তার ধারে কাছেও কোন ভারতীয় বা পাকিস্থানীকে দেখি না। অথচ এখানে ভারতীয় পাকিস্থানী অনেক। ওরা খরচ কমাতে রেভের সাবব্র‍্যান্ড পেনি কিংবা এডেকার সাবব্র‍্যান্ড নেটোতে যায়। ওসবে খরচ অনেক কম পরে। তার উপর বাঙালী পোলাপান তো বাঙলা দোকানে গেলে লোভে পরে মাছ তরকারী কিনেই ফেলে। সব মিলে আমাদের খরচের লিমিট দেখলে ইন্ডিয়ান পাকিস্থানীরা কিছুটা হয়তো অবাকও হয়।

আমি জার্মানিতে এমনো মানুষ দেখি যারা ৫০ ইউরোতে মাসের বাজার করে, আবার এমনো দেখি ২৫০ তেও করে (আমি নিজেই)। তাই সেভিংসের বিষয়টা এসবের উপর অনেকাংশে নির্ভর করে৷ কিন্তু ওভারঅল একটা ধারনা দিলাম আপনাদের। আশা করি এ থেকে উপকৃত হবেন। জার্মানিতে থাকা ভাই বোনদের থেকেও জানতে চাই আপনারা কিরকম সেভ করতে পারেন। আর নতুনদের প্রতি অনুরোধ বেশি কামাই করতে গিয়ে পড়ালেখা লাঠে উঠাবেন না। আল্লাহ সবার মঙ্গল করুন। আমীন।

©️ Hasibul Islam Polok

IELTS-এর matching headings এবং true/false/not given নিয়ে দুটো কথা

Research Help Bangladesh

IELTS-এর matching headings এবং true/false/not given নিয়ে দুটো কথা
IELTS | Tips & Tricks
3 min read

IELTS-এর matching headings এবং true/false/not given নিয়ে দুটো কথা

IELTS-এর matching headings এবং true/false/not given নিয়ে দুটো কথা
October 25, 2023

IELTS-এর matching headings এবং true/false/not given নিয়ে দুটো কথা

IELTS এবং GRE – দুটো পরীক্ষাতেই আপনি যত কৌশল খাটিয়ে উত্তর বের করতে পারবেন, তত ভালো স্কোর তুলতে পারবেন। কৌশল মানে অবশ্যই দ্রুত উত্তর বের করার কৌশল। তবে যদি মনে করেন, অল্প খেটে বেশি লাভ করবেন, তাহলে ভুল

ভাবছেন। কৌশলগুলো খাটিয়ে দ্রুত উত্তর বের করার জন্য আপনাকে প্রথমে এসব ট্যাক্টিকের সাথে অভ্যস্ত হতে হবে, যেটা অনেক পরিশ্রমের ব্যাপার। কিন্তু আপনি জানেন ‘পরিশ্রম সৌভাগ্যের প্রসূতি’, আর আপনার সৌভাগ্য আপনাকেই তৈরি করতে হবে। এটা হঠাৎ করে ঘটে যাবে না।

আরেকটা ব্যাপার মনে রাখতে হবে। প্র্যাকটিস করতে করতে মানুষের ভেতরে Intuition তৈরি হয়, যার ফলে কোন প্রশ্নের উত্তর কোনটা হতে পারে, সে বিষয়ে সঠিকভাবে অনুমান করার ক্ষমতা চলে আসে। এটা হয় প্রশ্নের সাথে নিজের অভ্যস্ততার জন্য। কোন ধরনের প্রশ্নের উত্তর কেমন হতে পারে, সেই ধারণাটা হয়তো প্র্যাকটিস করতে করতে মানুষের মনের ভেতর অবচেতনভাবেই গাঁথা হয়ে যায়। ফলে যত বেশি অনুশীলন করবেন, তত বেশি Intuition তৈরি হবে।

কৌশলগুলোর ব্যাপারে একটু পরে আসছি, আগে বলে নিই কোন কোন ম্যাটেরিয়াল আমার জন্য উপকারী ছিল।

আমি প্রথমে ক্যাম্ব্রিজ IELTS গাইড ৬-১২ সমাধান করতে বসেছিলাম। কিন্তু হাজব্যান্ড বললেন, ব্রিটিশ কাউন্সিল প্রকাশিত IELTS Practice Tests Plus 1, 2, 3 থেকে প্র্যাকটিস করতে, কারণ এই বইগুলির প্রত্যেকটা সেকশনের এক্সারসাইজই ক্যাম্ব্রিজ IELTS গাইড থেকে কঠিন। আমি তাই প্রথমে ক্যাম্ব্রিজ IELTS গাইডের ১১, ১২ সমাধান করে পরীক্ষার খুঁটিনাটি দিকের সাথে অভ্যস্ত হলাম, এরপর IELTS Practice Tests Plus-এর 1, 2, 3 – এই তিনটা বই থেকে মক টেস্ট সমাধান করলাম। এখন কথা হল, আপনার ইংরেজির দখল কেমন, এবং আপনাকে কীভাবে প্রস্তুতি শুরু করতে হবে সেটা আপনিই সবচেয়ে ভালো বুঝবেন।

* যদি ইংরেজিতে বেশি দুর্বল হয়ে থাকেন, তাহলে ক্যাম্ব্রিজ IELTS গাইড ১-১২ পর্যায়ক্রমে সমাধান করতে থাকুন। এতে সহজ থেকে কঠিনের দিকে যাবেন বলে ধীরে ধীরে পরীক্ষার বিভিন্ন খুঁটিনাটি দিকের সাথে (কী ধরনের প্রশ্ন আসে, কয়টা প্রশ্ন আসে বিভিন্ন পার্ট থেকে, একটা টেস্টে মোট কয় প্রকারের প্রশ্ন আসতে পারে, কতো সময়ের মধ্যে আপনাকে একেকটা সেকশন শেষ করতে হবে ইত্যাদি) অভ্যস্ত হতে পারবেন।

** যদি ইংরেজিতে মোটামুটি সবল হয়ে থাকেন, তাহলে ক্যাম্ব্রিজ IELTS গাইড ৬-১২ করে এরপর IELTS Practice Tests Plus 1, 2, 3 করতে পারেন।

*** যদি ইংরেজিতে খুব ভালো হয়ে থাকেন, তবে চোখ বন্ধ করে শুধু IELTS Practice Tests Plus 1, 2, 3 বই তিনটি সমাধান করে পরীক্ষার হলে চলে যেতে পারেন।

আমি আর্টিকেল পড়ায় অভ্যস্ত বলে IELTS-এর রিডিং নিয়ে খুব একটা ভয় ছিল না। আমার ক্ষেত্রে যে কৌশল কাজে লেগেছে, সেগুলো হলঃ

আমি প্রথমে প্রশ্নগুলো মনোযোগ দিয়ে পড়তাম। তবে কাজটা করতাম খুবই দ্রুত, যেন প্যাসেজ পড়ার জন্য প্রয়োজনীয় সময় হাতে থাকে। এটা করার কারণ হল, প্যাসেজ পড়তে গিয়ে কোনো একটা নির্দিষ্ট লাইন পড়লে মনে পড়তো, এই বিষয়ে আমি প্রশ্ন দেখেছি। কিন্তু সবার জন্য এই কৌশল উপকারী নাও হতে পারে। অনেককেই বলতে শুনেছি, এ কৌশল অনুসরণ করতে গেলে তাদের সময় নষ্ট হয়। প্রথমবার প্রশ্ন পড়তে গিয়ে সময় নষ্ট, আবার প্যাসেজের কোনো লাইন পড়ে প্রশ্নের কথা চিন্তায় এলে সেটা মিলিয়ে দেখার জন্য প্রশ্নে আবার ঢুঁ মারার ফলে দ্বিতীয় দফায় সময় নষ্ট। তাই আপনিই বুঝে নিন, আপনি কীভাবে এগোবেন।

আরেকটা কৌশল হল, পুরো প্যাসেজ প্রথমে স্কিমিং করে তারপর প্রশ্নে ঢুঁ মারা। মনোযোগ দিয়ে স্কিমিং করা রপ্ত করতে পারলে এই কৌশল অনেক উপকারী হবে। এতে সময়ও বাঁচবে। আপনি যদি মাথায় গেঁথে ফেলতে পারেন কোন প্যারায় কোন বিষয়ে কথা বলা হয়েছে, তাহলে প্রশ্ন সমাধান করতে গিয়ে ঠিক ঠিক ঐ প্যারায় ফিরে আসতে পারবেন। তবে এটা একদিনে হবে না। প্রচুর প্র্যাকটিস করে তারপর এই দক্ষতা অর্জন করতে হবে। আপনার যদি ইংরেজি আর্টিকেল পড়ার অভ্যাস থাকে, তাহলে উপকার পাবেন।

স্কিমিং কী?

স্কিমিং হল দ্রুত চোখ বুলানো। কিন্তু দ্রুত চোখ বুলালে কি মনোযোগ দিয়ে আর্টিকেল পড়া যায়? হ্যাঁ, এখানেই আসবে আপনার প্র্যাকটিসের কেরামতি। দ্রুত, কিন্তু ইফেক্টিভ উপায়ে স্কিমিং করার দক্ষতা আপনাকে নিজ গুণে আয়ত্ব করে নিতে হবে। আমি কৌশল বলতে পারবো, কিন্তু সে কৌশলে নিজেকে অভ্যস্ত করার ব্যাপারটা আপনাকেই করতে হবে।

প্রথম প্যাসেজের জন্য আমি নিজেকে ১৫ মিনিটের মধ্যে বেঁধে ফেলার চেষ্টা করেছি। কারণ প্রথম প্যাসেজটা করার সময় মাথা তুলনামূলকভাবে ঠাণ্ডা থাকে। এরপর দ্বিতীয়টা করার সময় নার্ভাসনেস বাড়তে থাকে, কারণ আপনি তখন বারবার সময়ের হিসেব কষছেন। তৃতীয় প্যাসেজে গিয়ে মানুষ সবচেয়ে বেশি নার্ভাস ফিল করে। ফলে মনোযোগ দিয়ে প্যাসেজও পড়া হয় না, উত্তরও খুঁজে বের করা যায় না। এজন্য নিজেকে accustomed করে ফেলুন যতটা সম্ভব কম সময়ের মধ্যে (ভালো হয় ১৫ মিনিটের মধ্যে করলে) রিডিং প্যাসেজ ১ শেষ করার জন্য। এর ফলে আপনি বাড়তি ৫ মিনিট পাচ্ছেন, যেটা পরের দুটো প্যাসেজে ভাগ করে নিতে পারবেন। এখন হয়তো আড়াই মিনিটকে কিছুই মনে হচ্ছে না, কিন্তু পরীক্ষার সময় দেখবেন, আড়াই সেকেন্ডের জন্য উত্তর লেখা মিস হয়ে যায়… হাহা!

এবার আমি রিডিং সেকশনের দুই ধরনের প্রশ্ন নিয়ে কিছু কথা বলবো। এই সেকশনে বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন আসতে পারে, যেমন –

diagram label completion,
matching features
matching headings
matching information
multiple choice questions
table completion
true/false/not given

এর মধ্যে matching headings এবং true/false/not given নিয়ে মানুষকে সবচেয়ে বেশি হাবুডুবু খেতে দেখি। চলুন দেখি কীভাবে সাঁতরে পার হওয়া যায় এদের বৈতরণী!

১) matching headings:

যখন আমরা বুঝতে পারি না, কোন প্যারায় কী বলা হয়েছে, তখনই হেডিং মেলাতে সমস্যা হয়। আপনি যদি প্যাসেজ বুঝতে পারেন, প্রতিটা প্যারা বুঝতে পারেন, তাহলে হেডিং মিলানোতে কষ্ট হওয়ার কথা না। মূলত হেডিং বানানো হয় একটা প্যারার main idea-র উপর ভিত্তি করে। main idea কী? একটা প্যারায় সাধারণত নির্দিষ্ট একটা বিষয়ের উপর বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। সেই বিষয়ের আলোচনা করতে গিয়ে অনেক ধরনের তথ্য আসতে পারে ঠিকই, কিন্তু প্রধান আলোচ্য বিষয় থাকে একটা। সেটাই মেইন আইডিয়া।

অনেক সময় দেখা যায়, পুরো প্যারায় একটা জিনিস নিয়ে আলোচনা করে লাস্টের লাইনে অন্য কিছু নিয়ে কথা বলে সমাপ্তি টানা হয়েছে। হেডিংয়ের অপশনে হয়তো মেইন আইডিয়া এবং লাস্ট লাইনের সাথে মিল রেখে দুটো হেডিং দেওয়া আছে। আপনি চিন্তা করে দেখুন, অনেকক্ষণ সময় নিয়ে যা বলা হল, সেটার উপর ভিত্তি করে দেওয়া হেডিং সঠিক হবে, নাকি লাস্টের এক লাইনে যেটা বলা হল, সেটার উপর ভিত্তি করে হেডিং সঠিক হবে? তাই আপনাকে খুঁজে দেখতে হবে, মেইন আইডিয়াটা কী। প্র্যাকটিস করার শুরুতে সময় নিয়ে প্যাসেজ পড়ুন, লাইন বাই লাইন পড়ুন, মেইন আইডিয়া খুঁজে বের করতে শিখুন, এরপর হেডিং মিলান। এরপর নির্দিষ্ট টাইমিংয়ের ভেতর করতে চেষ্টা করুন।

একটা প্যারা দিচ্ছি। নিচের তিনটা অপশন থেকে কোনটা সঠিক হেডিং, বলুন তো?

In the ten hours prior to the Titanic’s fatal collision with an iceberg at 11.40pm, six warnings of icebergs in her path were received by the Titanic’s wireless operators. Only one of these messages was formally posted on the bridge; the others were in various locations across the ship. If the combined information in these messages of iceberg positions had been plotted, the ice field which lay across the Titanic’s path would have been apparent. Instead, the lack of formal procedures for dealing with information from a relatively new piece of technology, the wireless, meant that the danger was not known until too late. This was not the fault of the Titanic crew. Procedures for dealing with warnings received through the wireless had not been formalized across the shipping industry at the time. The fact that the wireless operators were not even Titanic crew, but rather contracted workers from a wireless company, made their role in the ship’s operation quite unclear.

I Faulty design
ii Iceberg locations not plotted
iii Inadequate training

সঠিক উত্তর হবে ii, কারণ পুরো প্যাসেজের মূলভাব ছিল আইসবার্গের অস্তিত্ব সম্পর্কে ওয়ার্নিং পাওয়া সত্ত্বেও সেই মেসেজ ঠিকমতো ডেলিভার করা হয়নি। ফলে এই সংঘাত হয়েছিলো। ডেলিভার করলে আইসবার্গের অবস্থান “plot (চিহ্নিত)” করা যেত। আর কেন সঠিকভাবে ডেলিভার করা হয়নি, সে বিষয়েও অনেক কথা বলা হয়েছে। কিন্তু সেটার উপর ভিত্তি করে কোনো হেডিং দেওয়া হয়নি। আপনি যদি মূলভাব না ধরতে পারে, তাহলে “Inadequate training/ Faulty design”-কে সঠিক এন্সার মনে করতে পারেন। কিন্তু দেখুন, প্যারার কোথাও কিন্তু ট্রেনিং বা জাহাজের ডিজাইন সম্পর্কে কিছু বলেনি।

২) true/false/not given:

মানুষ সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়ে false/not given নিয়ে। কোনটা যে false, আর কোনটা যে not given, সেটাই অনেক সময় প্যাঁচ লেগে যায়। মনে রাখবেন, প্যাসেজে যা একদমই বলা হয়নি, সেটা not given হবে। অর্থাৎ not given ইনফরমেশনগুলি আলটপকা বাইরে থেকে এনে প্রশ্নে ঢুকানো হয়। কিন্তু প্রশ্নে অনেক সময় এমনভাবে কিছু মিথ্যা পয়েন্ট উল্লেখ করা হয়, যেটা পড়লে আপনার মনে হবে, প্যাসেজেও এই বিষয়ে লেখা আছে। এগুলোই false। ব্যাপারটা বুঝার জন্য আমি একটা প্যাসেজ দিচ্ছি। পড়ে নিচের পয়েন্টগুলোর মধ্যে কোনটা true/false/not given, বের করুন।

When it opened in 1843 the Thames Tunnel was described as the English Wonder of the World. People came from far and wide to see the first tunnel under a river. On the first day, fifty thousand people descended the staircase and paid a penny to walk through the tunnel. By the end of the first three months there were a million people, or half the population of London. This was the most successful visitor attraction in the world. In the age of sail and horse-drawn coaches, people came long distances and bought souvenirs and listened to the entertainment in the cross-tunnel arches. The idea, of course, was not entertainment but to move cargo and turn a profit.

1. People were drawn from all over to see the Thames Tunnel.
2. People were able to travel by sea or land in those days.
3. Statues of the tunnel could be purchased as souvenirs.
4. The aim of building the tunnel was make money as a tourist attraction.

এখানে দেখুন, প্রথম প্রশ্নে যা জানতে চাচ্ছে, সেটা প্যাসেজের দ্বিতীয় লাইনে বলে দেওয়া আছে। সুতরাং এটা true । দ্বিতীয় প্রশ্নে যা জানতে চাচ্ছে, সেটা আছে প্যাসেজের ৬ নাম্বার লাইনে। এটাও true । তৃতীয় প্রশ্নে যা জানতে চাচ্ছে, সেটা প্যাসেজের কোথাও উল্লেখ নেই। প্যাসেজে শুধুমাত্র সুভেনিরের কথা বলা আছে। কিন্তু কোথাও বলা নেই, টানেলের মূর্তিগুলোকে সুভেনির হিসেবে কেনা যেত কিনা। টানেলের মূর্তির কথা একেবারে আলটপকা এনে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে, Right? তাই এটা not given । এরপর দেখেন চতুর্থ প্রশ্ন। এখানে যা জানতে চাচ্ছে, সেটার সাথে মিল আছে প্যাসেজের শেষ লাইনের। কিন্তু শেষ লাইনে কী বলা আছে? বলা আছে, টানেলটা তৈরি করা হয়েছিলো মালামাল বহনের মাধ্যমে টাকা পয়সা লাভ করার জন্য। কিন্তু প্রশ্নে কথাটাকে ঘুরিয়ে বলা হল, টানেল তৈরির লক্ষ্য ছিল পর্যটক আকর্ষণ করা। তো, কী বুঝলেন? প্রশ্নটা false ।

পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

আগামী পর্বে আসছে লিসেনিং পার্টের উপর লেখা। ততদিন ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন, ধুমসে IELTS-এর প্রস্তুতি নিন।

নির্ঝর রুথ

প্রফেসরকে ইমেইল করবেন কিভাবে!

Research Help Bangladesh

IELTS-এর Listening Section নিয়ে দুটো কথা
IELTS | Tips & Tricks
1 min read

IELTS-এর Listening Section নিয়ে দুটো কথা

IELTS-এর Listening Section নিয়ে দুটো কথা
October 25, 2023

IELTS-এর Listening Section নিয়ে দুটো কথা

লিসেনিং সেকশনে চারটা পার্ট থাকে। চার পার্টে চার ধরনের প্রশ্ন আসতে পারে। যেমন, ফর্ম ফিলাপ, MCQ, select correct answers, diagram matching, map fill up ইত্যাদি। আপনি যদি সবগুলো পার্ট সম্পর্কে বিস্তারিত জ্ঞান রাখেন, তাহলে প্রস্তুতি নেওয়া অনেক সহজ হয়ে যায়। এখানে আবারও একটা রিমাইন্ডার দিতে চাই। প্রতিটা পার্টের রেকর্ডিং শোনার আগে অল্প যেটুকু সময় হাতে থাকে, সেটুকু সময়ের মধ্যে উক্ত পার্টের প্রশ্নগুলো যতটা সম্ভব মাথায় গেঁথে নিবেন। এতে করে কনভারসেশন শোনার সময় দিমাগ কি বাত্তি জ্বলে উঠবে।

প্রতিটা সেকশনে কয়েকটা করে গ্রুপ থাকে। যেমন, সেকশন ওয়ানের ১ এবং ২ নাম্বার প্রশ্ন নিয়ে একটা গ্রুপ থাকতে পারে, এবং ৩-১০ নাম্বার প্রশ্ন নিয়ে থাকতে পারে আরেকটা গ্রুপ। গ্রুপ আলাদা হয় কারণ প্রতিটা গ্রুপের প্রশ্নের ধরন আলাদা হয়। ধরা যাক, ১-২ প্রশ্নের যে গ্রুপ আছে, সেটার প্রশ্নের ধরন Multiple choice questions; আর ৩-১০ প্রশ্নের যে গ্রুপ আছে, সেটার প্রশ্নের ধরন Short-answer Question । আপনার অন্যতম কাজ হল, সব ধরনের প্রশ্ন সম্পর্কে সম্যক ধারণা লাভ করা। এর একমাত্র উপায় বই থেকে মক টেস্ট সল্ভ করা। ক্যাম্ব্রিজের ১-১২ গাইডে মোটামুটি সব ধরনের প্রশ্নই অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

প্রতিটা আলাদা গ্রুপের জন্য আলাদা কথোপকথন শোনানো হয়। তবে কথোপকথন প্রতিটা আলাদা গ্রুপের জন্য আলাদা কথোপকথন শোনানো হয়। তবে কথোপকথন শুরুর আগে টেপে ইন্সট্রাকশন দেওয়া হয়। বলা হয়, কতো নাম্বার থেকে কতো নাম্বার পর্যন্ত প্রশ্নের উত্তর এখন আপনাকে দিতে হবে, এবং কীভাবে উত্তর দিতে হবে। শূন্যস্থান পূরণ করবেন, নাকি তথ্য ম্যাচ করবেন ইত্যাদি। সেকশন ওয়ান শেষ হলে আপনাকে আধা মিনিট সময় দেওয়া হবে প্রশ্নের উত্তর চেক করার জন্য। এভাবে প্রতিটা সেকশন শেষে সময় দেওয়া হয়।

মনে রাখবেন, রেকর্ডিং শুনতে শুনতে আপনাকে সব উত্তর প্রশ্নপত্রে টুকে রাখতে হবে। যখন রেকর্ড শুনবেন, তখন কিছু বিষয়ের দিকে খেয়াল রাখবেন। এসব বিষয়ের সাথে সম্পর্কিত তথ্যগুলো সম্ভাব্য উত্তর হতে পারে। যেমনঃ

• কোনো শব্দের উপর জোর (accent) দেওয়া হচ্ছে কিনা।
• কোনো শব্দ দুইবার বলা হল কিনা।
• কোনো শব্দ বানান করে বলা হল কিনা।
• টেলিফোন নাম্বার, বাসার ঠিকানা, অফিসের ঠিকানাসহ যেকোনো ঠিকানা
• যেকোনো প্রতিষ্ঠান বন্ধ এবং খোলার সময়
• সপ্তাহের কোন কোন দিন খোলা থাকে, কবে বন্ধ থাকে ইত্যাদি তথ্য

সবগুলো পার্টের জন্য সবচেয়ে উপকারী কৌশল হল, সময়/তারিখ/ঠিকানা/সংখ্যা/ফোন নাম্বার শোনার সাথে সাথে প্রশ্নপত্রে টুকে নেওয়া। আপনি যখন রেকর্ড শুনছেন, তখন পুরো মনোযোগ শোনার দিকে থাকতে হবে। ফলে প্রশ্ন যদি আগে পড়েও থাকেন, তবুও শোনায় ব্যস্ত থাকার কারণে প্রশ্নগুলো মনে পড়ার ক্ষেত্রে সমস্যা হতে পারে। তাই এসব তথ্য লিখে ফেলাই ভালো। পরে প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে যেগুলো লাগবে, সেগুলো টুকে নেওয়া তথ্য দেখে লিখে ফেলতে পারবেন। দুয়েকটা তথ্য বেশি লিখলে কোন ক্ষতি নেই। কিন্তু না লেখার ফলে যদি দুয়েকটা প্রশ্নের উত্তর মিস করে যান, সেটা ভুগাবে আগামী দুই বছর।

IELTS-এ একটা কথা আছে, “Last word counts”। অর্থাৎ আগে কে কী বলল, সেটা গোনার দরকার নেই। শেষে যে যা বলল, সেটাই সঠিক উত্তর। আরেকটু ভেঙ্গে বলি। অনেক সময় দেখবেন, একজন একটা বিষয়ে কোনো তথ্য দিলো, একটু পর সেই তথ্যটি “সঠিক নয়” ঘোষণা দিয়ে “সঠিক” তথ্যটি বলল। সুতরাং আপনার সঠিক উত্তর হবে লাস্টেরটা। এভাবে অনেক কারেকশনই দেওয়া হয় “আলাপচারিতা”-র মাঝে। তারমানে এই না, আপনি কারেকশনের জন্য বসে থাকবেন। আপনি যখন যেটা শুনছেন, সেটা লিখে ফেলবেন। কিন্তু আপনাকে কারেকশনের জন্যেও অস্ত্র হাতে তৈয়ার থাকতে হবে। কারেকশন দিলেই যেন আগের শব্দটা কেটে সঠিক শব্দটা বসিয়ে নিতে পারেন।

চার পার্ট শোনার পর যখন ১০ মিনিট সময় দেওয়া হবে উত্তরপত্রে উত্তর উঠানোর জন্য, তখন ভালোমতো চোখ রগড়ে দেখে নিবেন কী নির্দেশনা দেওয়া আছে।

> যদি প্রশ্নে উল্লেখ করা থাকে, Write NO MORE THAN THREE WORDS AND/OR A NUMBER for each answer, আপনাকে অবশ্যই তিনটি শব্দের মধ্যে অথবা একটি সংখ্যার মধ্যে উত্তর আটকে ফেলতে হবে। তিন শব্দের বেশি লিখলে বা একাধিক সংখ্যা লিখলে আপনার স্কোর হবে শুন্য! তবে এক বা দুই শব্দে উত্তর দিলে কোনো সমস্যা নেই। শুধু তিন শব্দের বেশি যাওয়া যাবে না।

* উত্তর CAPITAL LETTER দিয়ে লিখেন, আর Small letter দিয়ে লিখেন, সমস্যা নেই। শুধু খেয়াল রাখবেন, যখন উত্তর হিসেবে NOUN লিখবেন, তখন অবশ্যই CAPITAL LETTER দিয়ে নামটা শুরু করবেন। এক্ষেত্রে Small letter দিয়ে লিখলে উত্তর ভুল হিসেবে গণ্য হবে।

উত্তর Common Noun হলে সেটা Plural দিলেও চলে, Singular দিলেও চলে। যেমন, উত্তর যদি coast/fish/bird হয়, তবে coasts/fishes/birds লিখলেও সমস্যা নেই। কিন্তু Proper noun হলে যা বলেছে, সেটাই লিখতে হবে। যেমন, East coast বললে আপনি লিখতে পারবেন না East coasts ।

* উত্তর হিসেবে অনেক সময় প্রতিশব্দও গ্রহণ করা হয়। যেমন, আলাপে বা বক্তৃতায় যদি garbage উচ্চারণ করা হয়, আর আপনি যদি উত্তরে waste বা rubbish লিখেন, তাহলেও সেটা সঠিক উত্তর হবে। অনেক সময় আমাদের মাথায় থাকে না, একজ্যাক্টলি কোন শব্দটা বলা হয়েছিলো। তখন synonym ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে সেইফ সাইডে থাকার জন্য আলাপে যা বলেছে, সেটা দেওয়াই সবচেয়ে ভালো।

পার্ট ১-এ সাধারণত দুজন ব্যক্তির মধ্যে কথোপকথন থাকে।

এই আলাপচারিতা হতে পারে কোনো ক্লাবের রিসিপশনিস্টের সাথে সম্ভাব্য মেম্বারের, জাদুঘরের কিউরেটরের সাথে সম্ভাব্য দর্শনার্থীর, বাস/ট্রেন/প্লেনের কোনো অফিসারের সাথে সম্ভাব্য যাত্রীর, বা এই ধরনের কিছু। এখানে সময়, তারিখ, ঠিকানা, যিনি ফোন করেছেন তার ব্যক্তিগত তথ্য, যে জিনিস সম্পর্কে জানার জন্য ফোন করা হয়েছে সে সম্পর্কে তথ্য নিয়ে প্রশ্ন থাকে। প্রশ্নের ধরন বেশীরভাগই হয় ফর্ম ফিলাপ লেয়াউটের।

লিসেনিং সেকশনের প্রথম পার্টটা হয় সবচেয়ে সোজা, ক্রমান্বয়ে পার্টগুলো কঠিন হতে থাকে। প্রশ্নের সংখ্যা সাধারণত সবগুলো পার্টেই ১০ টা করে মোট ৪০ টা থাকে।

পার্ট ২ এবং ৩-তে ম্যাপ/ডায়াগ্রাম ম্যাচিং/কয়েকজন ব্যক্তির মধ্যে কথোপকথন থাকতে পারে।

ম্যাপ বেশ সোজা। ম্যাপের ক্ষেত্রে কণ্ঠ যা বলছে, আপনি সে অনুযায়ী ম্যাপের মধ্যে পেন্সিল দিয়ে দাগাতে থাকবেন। না দাগালে হঠাৎ করে বুঝা যায় না, ঠিক কোন পয়েন্ট নিয়ে বক্তা কথা বলছেন। পেন্সিল ব্যবহার করে যখন প্রশ্নের উত্তরে এসে পড়বেন, তখন সেটা বুঝা সহজ হয়। তবে সবার জন্য এই কৌশল নাও খাটতে পারে।

ডায়াগ্রাম ম্যাচিং

এক্ষেত্রে যদি কোনো প্রসেসের ডায়াগ্রাম আসে, তাহলে একই কৌশল অবলম্বন করা যায়। কারণ IELTS-এর একটা সুবিধা হল, এরা সিরিয়াল অনুযায়ী প্রশ্ন করে। হুট করে মাঝে বা শেষে ঢুকে পড়বে না। প্রসেসের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত বলতে বলতে আসবে। ফলে পেন্সিল দিয়ে সিরিয়াল অনুযায়ী ডায়াগ্রামে দাগাতে দাগাতেই উত্তর পেয়ে যাওয়ার কথা।

কিন্তু শুধু প্রসেসই তো আসে না, আসে হরেক রকমের ডায়াগ্রাম। তাই চেষ্টা করবেন প্র্যাকটিস বুক থেকে সব ধরনের ডায়াগ্রাম সমাধান করে, সবগুলোর উপর দক্ষ হয়ে তারপর হলে যেতে।

কনভারসেশন

দুইয়ের অধিক ব্যক্তির মধ্যে (সাধারণত দেখা যায়, দুজন স্টুডেন্ট তাদের এডভাইজরের সাথে রিসার্চ টপিক নিয়ে আলোচনা করছে বা পড়াশোনার উন্নতি/অবনতি নিয়ে আলাপ করছে) কথা হলে উত্তর বের করা একটু কঠিন। তবে প্র্যাকটিসের মাধ্যমে যেকোনো ব্যাপারেই দক্ষ হওয়া যায়, ভয় নেই। এক্ষেত্রে আমি বলবো, কনভারসেশন শোনার আগে যতটুকু সম্ভব প্রশ্নগুলো মাথায় ঢুকিয়ে ফেলতে। এতে করে উত্তর ট্র্যাক করা একটু সহজ হবে।

পার্ট ৪-এ সাধারণত একজন বক্তার বক্তৃতা থাকে।

এই বক্তৃতা বেশিরভাগ সময়েই হয়ে থাকে সায়েন্টিফিক কোনো টপিকের উপর, অনেক সময় থাকে আর্টস বা অন্যান্য বিষয়। এই সেকশনটাই সবচেয়ে জটিল। বক্তা এত বেশি তথ্য দেবেন যে, কোনটা রেখে কোনটা টুকবেন, দিশা পাবেন না। তবে হ্যালো! বলেছি না প্র্যাকটিস করতে করতে intuition জন্মায়? এখানে আপনার intuition অনেক কাজে দেবে। আর প্রশ্ন যেহেতু সিরিয়াল অনুযায়ী হয়, তাই আমি বক্তৃতার সিরিয়াল অনুযায়ী প্রশ্নে

সিরিয়াল মিলিয়ে উত্তর বের করায় দক্ষ হয়ে গিয়েছিলাম। আমি পারলে আপনি কেন পারবেন না, বলুন?

আরেকটা বিষয়।

MCQ প্রশ্নের ক্ষেত্রে দেখা যায়, তিনটা অপশনের তিনটাই সঠিক এন্সার বলে মনে হয়। কারণ তিনটা সম্পর্কেই আপনি বলতে শুনেছেন। এক্ষেত্রে আপনারা নিজেদের সুবিধার জন্য ম্যাপ/ফ্লোচার্ট তৈরি করে নিতে পারেন। যে আলাপ বা বক্তৃতাটা শুনছেন, সেটা শুনতে শুনতে পেপারে একটা ম্যাপ/ফ্লোচার্ট এঁকে ফেলতে পারেন। বক্তা হয়তো একটা বিষয়ে কথা শুরু করে আরও অনেক ডালপালা গজিয়ে ফেললো। আপনি সবকিছুই শর্টকাটে লিখে ফেলবেন। এতে করে প্রশ্নের এন্সার খোঁজা সহজ হবে।

মনে রাখবেন, কোনো উত্তর মিস করলে মিস। ব্যস! ওটা নিয়ে আর ভাববেন না, প্লিজ। ওটা নিয়ে ভাবলে বাকিগুলোও আর দেখতে হবে না। যদি রেকর্ডিং শেষ হবার পর হাতে সময় থাকে, উত্তরটা নিয়ে ভাবতে বসুন। কিন্তু রেকর্ডিংয়ের মাঝে এই কাজ করবেন না। আবার ভাবতে গিয়ে প্রশ্নপত্রে উত্তর লেখার সময় যাতে ফুরিয়ে না যায়, প্রিয় পাঠক! সবদিক সামলে।

বিঃদ্রঃ আমি “সাধারণত” শব্দটা ব্যবহার করেছি কারণ এই ধরনগুলো ধ্রুব সত্য নয়। এগুলো পরিবর্তিত হতে পারে।

ধন্যবাদ!

নির্ঝর রুথ

বিনামূল্যে গবেষণা শেখার উপায় (আপডেটেড)

Research Help Bangladesh

IELTS-এর Writing বিষয়ক প্রস্তুতি
IELTS
2 min read

IELTS-এর Writing বিষয়ক প্রস্তুতি

IELTS-এর Writing বিষয়ক প্রস্তুতি
October 25, 2023

IELTS-এর Writing বিষয়ক প্রস্তুতি

অনেকেই জানতে চেয়েছেন Writing-এর ব্যাপারে কীভাবে প্রস্তুতি নেবেন। আসলে একেকজনের জন্য একেক কৌশল কাজ করে। তাই এখানে আমার জন্য যে কৌশলগুলো কাজ করেছে, সেগুলো উল্লেখ করবো।

অনেকে বলেন IELTS, TOEFL আর GRE (AWA)-এর রাইটিং পার্টটা নাকি বাঙালিদের জন্য সবচেয়ে সোজা পার্ট! কারণ আমরা ছোটবেলা থেকে মনের মাধুরী মিশিয়ে রচনা লিখে এসেছি। আর তাই এই অংশে ইচ্ছেমত লিখে ফেলতে পারি। আদৌ কি ব্যাপারটা এরকম সোজা?

না!

আমি রাইটিং পার্টে সবসময় ঝামেলার মুখোমুখি হয়েছি, কারণ এক্ষেত্রে পাতার পর পাতা লিখলেই শুধু হয় না। ভালো স্কোর পাওয়ার জন্য এসব স্ট্যান্ডার্ডাইজিং পরীক্ষার রাইটিং পার্টে অনেক পয়েন্টের দিকে লক্ষ্য রাখতে হয়। আজকের পোস্ট যেহেতু IELTS নিয়ে, তাই আমি IELTS-এ ৭ বা তার বেশি পাওয়ার জন্য কী কী পয়েন্ট অনুসরণ করতে হয়, সেগুলোই লিখবো।

লেখাটা খুব শর্টকাটে লিখেছি। এখানে টাস্ক ১ আর টাস্ক ২ লেখার ব্যাপারে মূল পয়েন্টগুলোই শুধু উল্লেখ করেছি।

এছাড়া টাস্ক ১ কিংবা টাস্ক ২ লেখার জন্যে আলাদা আলাদা অনেক কৌশল আছে। সেগুলো মাথায় রেখে তারপর প্র্যাকটিস করতে হবে। কারণ দুটো টাস্ক পুরোপুরি আলাদা ধরনের। আলাদা স্টাইলে লিখতে হয়। যা হোক,

০) প্রথম পয়েন্ট হল, অন্যদের চেয়ে নিজেকে আলাদাভাবে প্রকাশ করতে হবে।

১০০ জন পরীক্ষার্থী যদি পরীক্ষা দেয়, দেখা যাবে অধিকাংশ টেস্ট টেকার লিখবে মোটামুটি একই স্টাইলে। অল্প সংখ্যাক চেষ্টা করবে ভিন্নভাবে লিখতে। আপনাকে শেষোক্তদের একজন হতে হবে।

১) আর্টিকেলের প্রতিটা লাইন গুরুত্বপূর্ণ হতে হবে।

অর্থাৎ লেখা বড় করার জন্য মনের মাধুরী মিশিয়ে যা ইচ্ছা তাই লেখা যাবে না। “সে এক লম্বা কাহিনী। ঘরে ছিল না কেরোসিন…” শুরু করলে চলবে না।

২) প্রতিটা লাইন যৌক্তিক হতে হবে।

অর্থাৎ প্রতিটা লাইনের মাধ্যমে টপিকের উপর ফোকাস করতে হবে। টপিকে যা নিয়ে লিখতে বলেছে, সে বিষয়ে আপনার যুক্তি দেখাতে হবে। ধরুন, টাস্ক ১-এর একটা গ্রাফে দেখানো হয়েছে “ঢাকা শহরের মোট জনসংখ্যার (১০০০ জন) মধ্যে ৩০ জন ডাক্তার, ৪০ জন প্রকৌশলী এবং ১০ জন নার্স আছেন। গত ১০ বছরের মধ্যে সবার বেতন কাঠামোর উঠানামা দেখানো হয়েছে। দেখা যাচ্ছে, ১০ বছর পর ডাক্তারদের বেতন সবচেয়ে বেশি বেড়েছে।” আপনাকে বলা হল, গ্রাফ থেকে কী বুঝতে পারছেন, সেটা লিখতে। আপনি লেখা শুরু করলেন, “১০ বছর আগে আমি যখন ছোট ছিলাম, তখন দেখতাম প্রকৌশলীরা সবচেয়ে বেশি বেতন পায়। এখন দেখা যাচ্ছে ডাক্তারদের দাম বেশি বেড়েছে…।” এসব কথা অযৌক্তিক, কারণ গ্রাফ থেকে আপনি এগুলো অনুমান করে নিতে পারেন না। এগুলো লিখলে অবধারিতভাবেই নাম্বার কমে যাবে। কিন্তু গ্রাফে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী যদি লিখেন, “১০ বছর আগে প্রকৌশলীদের বেতন ছিল ক টাকা আর ডাক্তারদের বেতন ছিল খ টাকা। নার্সদের বেতন ছিল সবচেয়ে কম, গ টাকা। কিন্তু ৫ বছর পর দেখা যাচ্ছে, ডাক্তারদের বেতন ঘ% বেড়ে প্রকৌশলীদের বেতনের কাছাকাছি চলে এসেছে, যেখানে প্রকৌশলীদের বেতন মোটামুটি একই রয়েছে। নার্সদের বেতন কিছুটা বাড়লেও তারা তিন পেশার মধ্যে সবচেয়ে কম বেতনভোগী হিসেবেই রয়ে গেছে…”, তাহলে কী দেখা যাচ্ছে? প্রতিটা লাইনই যুক্তিযুক্ত। Right?

৩) বিকল্প ভোকাবুলারি ব্যবহার করতে হবে।

সবাই যে শব্দটা লিখবে, আপনি সেটার বদলে বিকল্প শব্দ ব্যবহার করলে অবশ্যই পরীক্ষকের মনে দাগ কাটতে পারবেন। যেমন: সবাই খাওয়ার ইংরেজি eat লিখল, আর আপনি লিখলেন consume; সবাই গাড়িকে car লিখল, আর আপনি লিখলেন motor vehicle, automobile । এছাড়া প্রশ্নে যে ভোকাবুলারি ব্যবহার করা হয়েছে, সেগুলোও লেখা উচিত নয়। এতে নাম্বার কমে যায়। সেগুলোর বদলে সমার্থক শব্দ (Synonym) ব্যবহার করুন।

৪) জটিল বাক্য, খণ্ড বাক্য ইত্যাদি ব্যবহার করতে হবে।

বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মনের ভাব প্রকাশ করার জন্য আমরা সরল বাক্য ব্যবহার করে থাকি। কিন্তু ভালো স্কোরের জন্য কষ্ট করতে হয়। যেমন, “Everyday I go to school by school bus. After coming back to home, I take my lunch. In the evening time, I go to play” না লিখে যদি একটু ঘুরিয়ে লিখেন “My school bus picks me up on a daily basis. After returning home, I usually have my lunch around 2 pm and go for playing with friends on the evening”, তাহলেই অন্যদের চেয়ে আলাদা হয়ে গেলেন।

৫) টাস্ক ১-এ শতকরা ব্যবহার করতে হবে।

টাস্ক ১-এর রাইটিংয়ে ভালো স্কোর তোলার আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট হল, প্রশ্নে যা লেখা থাকে, সেটাকে শতকরা বা percentage-এ প্রকাশ করা। যেমন,

Total 3% of the population is medical doctors in Dhaka city and they enjoy the highest salary if compared with other professions.” প্রশ্ন আসতে পারে, কেন শতকরায় প্রকাশ করতেই হবে? করতে হবে কারণ প্রশ্নে যেভাবে তথ্য উল্লখে করা থাকে, তাকে সরাসরি উঠিয়ে দিলে মার্কস ভালো আসবে না। ঐ তথ্যকে নতুনভাবে প্রকাশ করতে হবে। একইভাবে, প্রশ্নে কোনো তথ্য শতকরায় উল্লেখ করা থাকলে আপনি সেটাকে পূর্ণ সংখ্যায় প্রকাশ করে লিখুন।

৬) Phrase ব্যবহার করতে হবে।

বিভিন্ন ডাইরেকশন বুঝাতে অবশ্যই Phrase ব্যবহার করবেন। যেমন: রাইটিং টাস্ক ১-এর গ্রাফে যদি দেখা যায় কোনোকিছু দ্রুতগতিতে বৃদ্ধি পেয়েছে, তাহলে increase, rise up-এর বদলে লিখতে পারেন uplifted, rocketed, upsurged; খুবই দ্রুতগতিতে বৃদ্ধি পেলে ভার্বের আগে sharply, dramatically ইত্যাদি adjective বসান; ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পেলে gradually, slowly ইত্যাদি adjective বসান; যদি সাম্যাবস্থায় চলে আসে তাহলে stabilized, leveled off ইত্যাদি; কমলে/হ্রাস পেলে decrease/fell down-এর পরিবর্তে dropped, plummeted ইত্যাদি লিখতে পারেন। এরকম আরও অনেক প্রতিশব্দ (synonyms) আছে, যেগুলো আপনাকে মনে রাখতে হবে। এগুলো টাস্ক ১ আর টাস্ক ২ – দুটোর জন্যেই জরুরি। আর প্র্যাকটিস হল মনে রাখার সবচেয়ে সহজ উপায়। আমি এসব শব্দ ঝাড়া মুখস্ত করিনি। বরং বিভিন্ন বিষয়ের উপর যখন আর্টিকেল লেখা প্র্যাকটিস করতাম, তখন একেক আর্টিকেলে একেক ধরনের শব্দ ব্যবহার করতাম। এভাবে অনেক শব্দ মাথায় গেঁথে গিয়েছিলো। আর পরীক্ষায় যেহেতু মাত্র দুটো আর্টিকেল লিখতে হয়, তাই আমার মাথায় জমা হওয়া অনেকগুলো Phrase থেকে সুযোগ বুঝে বেস্ট Phrase-টা ব্যবহার করতে পেরেছিলাম।

৭) রাইটিং টাস্ক ২-তে প্রাসঙ্গিক উদাহরণ টানতে হবে।

ধরুন, আপনাকে টপিক দেওয়া হল “Now a days internet is helpful to store huge amount of information”। এই স্টেটমেন্টের ব্যাপারে আপনার মতামত জানতে চাওয়া হল। আপনি এর পক্ষে, বিপক্ষে কিংবা নিরপেক্ষ অবস্থানে থেকে আপনার মতামত দিতে পারেন। তো, আপনি পক্ষে লিখতে চাচ্ছেন। এজন্য একটা উদাহরণ টানলেন এভাবে, “Even before the 90’s, when internet was not so available to the populous, paper was the only way for the multitude to store information. But as the technology develops/prospers, many divergent devices are seen to be used as a storage of information, such as compact disc, floppy disc, pen drive, hard disc etc. However, these gadgets have their limits. Some have only 64 gigabyte memory, some up-to 2 terabyte. But internet, literally, knows no boundary. We can stock limitless data here.” এই উদাহরণ দিয়ে কি আপনার পক্ষকে আরও শক্তিশালী করলেন না? এভাবে দৈনন্দিন জীবন থেকে প্রাসঙ্গিক উদাহরণ দিতে হবে। তিনটা, চারটা উদাহরণ দিলে ভালো। উদাহরণটির মাধ্যমে আমি বেশ কিছু পয়েন্ট তুলে ধরেছি। যেমন, প্রথম লাইনে দেখুন কমার মাঝখানে একটা খণ্ড বাক্য জুড়ে দিয়ে পুরো বাক্যকে জটিল বানিয়েছি। People-এর পরিবর্তে populous আর multitude বসিয়েছি। Different-এর বদলে divergent, store-এর বদলে stock, information-এর বদলে data বসিয়েছি। এছাড়া However আর knows no boundary বসিয়ে বাক্যকে সুন্দর করেছি। এভাবে সুযোগ বুঝে বিভিন্ন phrase; nevertheless, nonetheless, although ইত্যাদি শব্দ ব্যবহার করবেন।

৮) গ্রামার ১০০% ঠিক রেখে লিখতে হবে।

একটা বাক্য লিখতে গিয়ে যদি verb-এ গণ্ডগোল করেন, বা gerund/tense ইত্যাদিতে ভুল করেন, স্বাভাবিকভাবেই স্কোর কমে যাবে। তাই যখন বাসায় প্র্যাকটিস করবেন, চেষ্টা করবেন ইংরেজি গ্রামারে দক্ষ কাউকে দিয়ে লেখাগুলো চেক করিয়ে নিতে।

৯) বানান ঠিক রাখতে হবে।

এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। একটা ভালো লেখা মুহূর্তে নষ্ট হয়ে যেতে পারে বানান ভুলের কারণে।

১০) শব্দ সংখ্যা সঠিক রাখতে হবে।

IELTS-এর টাস্ক ১-এর জন্য মিনিমাম রেঞ্জ দেওয়া থাকে ১৫০ শব্দ, আর টাস্ক ২-এর জন্য ২৫০ শব্দ। অবশ্যই এর চেয়ে বেশি লিখুন, সমস্যা হবে না কোনো। কিন্তু কম লেখা যাবে না, নাম্বার কাটা যাবে।

১১) ক্ষেত্রবিশেষে Passive voice ব্যবহার করতে হবে।

সবসময় “I did this job, He introduces his mother to me” ধরনের Active voice না লিখে “That job was done by me, His mother was introduced by him” ধরনের Passive voice লেখা দরকার। এতে লেখায় বৈচিত্র্য আসে, আর বৈচিত্র্য মানেই বেশি নাম্বার পাওয়ার সুযোগ!

১২) প্রবাদ/উক্তি ব্যবহার করতে হবে।

এই পয়েন্টটা অপশনাল। চাইলে প্রয়োগ ঘটাতে পারেন, না চাইলে নাই। সবসময় প্রবাদ, প্রবচন, উক্তি লেখার মত পরিস্থিতি তৈরি হয় না। সুযোগ আসলে যদি একটা দুটো লিখতে পারেন, বেস্ট! যেমনঃ Necessity is the mother of invention, আইনস্টাইনের উক্তি ‘Imagination is more important than knowledge’ ইত্যাদি হরেক রকমের বাক্য আপনি অলংকার হিসেবে রচনায় ঢুকাতে পারেন। আজ এ পর্যন্তই, পরবর্তী পোস্ট আসবে রিডিং সেকশন নিয়ে।

সবাইকে ধন্যবাদ!

 নির্ঝর রুথ

NexTop USA

আমেরিকায় উচ্চশিক্ষা – মাস্টার্স লেভেলে কীভাবে ফান্ডিং পাওয়া যায়

Research Help Bangladesh

আমেরিকায় উচ্চশিক্ষা - মাস্টার্স লেভেলে কীভাবে ফান্ডিং পাওয়া যায়
Higher Study | USA
1 min read

আমেরিকায় উচ্চশিক্ষা – মাস্টার্স লেভেলে কীভাবে ফান্ডিং পাওয়া যায়

আমেরিকায় উচ্চশিক্ষা - মাস্টার্স লেভেলে কীভাবে ফান্ডিং পাওয়া যায়
October 5, 2023

আমেরিকায় উচ্চশিক্ষা – মাস্টার্স লেভেলে কীভাবে ফান্ডিং পাওয়া যায়

আমেরিকায় গ্রাজুয়েট লেভেলে শিক্ষার ক্ষেত্রে পিএইচডি আর মাস্টার্স দুইটি অপশন থাকে। এর মধ্যে পিএইচডি ডিগ্রিটি যে আসলে সবার দরকার নাই, সেটা নিয়ে কয়েকদিন আগে লিখেছি। যারা পিএইচডি করতে চান এবং সেটা করার মত ক্ষমতা এবং ভবিষ্যত ক্যারিয়ার প্ল্যান আছে, তারা অবশ্যই পিএইচডিতেই অ্যাপ্লাই করবেন। কিন্তু অনেকের ক্যারিয়ার প্ল্যানের সাথে মাস্টার্স ডিগ্রিটি সামঞ্জস্যপূর্ণ, কারণ-

(১) মাস্টার্সে মাত্র দেড়-দুই বছর লাগে

(২) রিসার্চ একেবারেই লাগে না বা অল্প লাগে (থিসিস বেইজড হলে)

(৩) মূলত কোর্সওয়ার্ক বেইজড এবং

(৪) অনেক* সাবজেক্টের জব মার্কেটে একাডেমিক জব ও রিসার্চ জব বাদে বাকি অনেক ইন্ডাস্ট্রি জবে মাস্টার্সই যথেষ্ট।

সমস্যাটা হলো, পিএইচডি প্রোগ্রামে ভর্তির সাথে সাথে ফান্ডিং নানা ভাবে সহজে মিললেও মাস্টার্সে ফান্ডিং পাওয়া বেশ কঠিন। কারণ নানা ইউনিভার্সিটি পিএইচডি শিক্ষার্থীদেরকেই অগ্রাধিকার দেয় ফান্ডিং এর ক্ষেত্রে।

তাহলে মাস্টার্স পর্যায়ে ফান্ডিং এর উপায় কী? নানা জনে এটা নিয়ে লিখতে অনুরোধ করায় কিছু উপায় এখানে বলছি।

(১) খেয়াল করে অ্যাপ্লাই করা – অনেক ইউনিভার্সিটিতে মাস্টার্স প্রোগ্রাম আছে কিন্তু পিএইচডি প্রোগ্রাম নাই। এসব ইউনিভার্সিটিতে টিচিং অ্যাসিস্ট্যান্ট বা ক্ষেত্রবিশেষে রিসার্চ অ্যাসিস্ট্যান্ট পজিশনগুলো তাই মাস্টার্স শিক্ষার্থীরাই পেয়ে থাকে। একেবারে টপ রাংক ইউনিভার্সিটিতে পড়ার বাধ্যবাধকতা না থাকলে এসব ইউনিভার্সিটিতে অ্যাপ্লাই করতে পারেন।

(২) বড় ডিপার্টমেন্টে অ্যাপ্লাই করা – উপরের পয়েন্টের বিপরীতও আছে। টপ রাংকড অনেক জায়গায় ডিপার্টমেন্ট অনেক বড় হয়। প্রতি বছর হয়তো হাজার হাজার শিক্ষার্থী আসছে। সেক্ষেত্রে পিএইচডি স্টুডেন্ট ছাড়াও মাস্টার্সের স্টুডেন্টেরা নানা অ্যাসিস্ট্যান্টশিপ পেতে পারে।

(৩) প্রফেসরের কাছ থেকে ফান্ডিং পাওয়া -প্রফেসরদের ম্যানেজ করতে পারলে পিএইচডির মতোই মাস্টার্সে ফান্ড পাওয়া যায়। আপনার কাজে বা প্রোফাইলে প্রফেসর যদি বেশি সন্তুষ্ট থাকেন, তাহলে ফান্ড পেতে পারেন। আবার কোনো প্রজেক্টের কাজে জরুরি দরকার হলে অনেক সময়ে মাস্টার্সের শিক্ষার্থীদেরও ফান্ড দেয়া হয়। আমার নানা প্রজেক্টে মাস্টার্স লেভেলের শিক্ষার্থীদের ফুল ফান্ড নানা সময়ে দিয়েছি। কাজেই প্রফেসরেরা কেবল পিএইচডিতেই ফান্ড দেন, তা সব সময়ে ঠিক না। মাস্টার্সেও পেতে পারেন। নিজের দক্ষতা বাড়ান এবং প্রফেসরদের সাথে আগে থেকে যোগাযোগ করুন।

(৪) ফুল ফান্ড না পেলেও অন্যান্য ফান্ড – ধরা যাক আপনার অ্যাপ্লাই করা ইউনিভার্সিটিতে মাস্টার্সে ফুল ফান্ড মিলছে না। সেক্ষেত্রে গ্রাজুয়েট কোঅর্ডিনেটরের সাথে ইমেইলে যোগাযোগ করে অন্যান্য সুবিধা নিতে পারেন। যেমন ইনস্টেইট টিউশন রেইট (যা অনেকখানি কম হয়), ৫০% টিউশন ওয়েইভার, এরকম। অথবা কোনো রকমের স্কলারশিপ।

(৫) গ্রাজুয়েট অ্যাসিস্ট্যান্টশিপ – একবার ক্যাম্পাসে এসে গেলে নানা রকমের কাজের সুযোগ পাওয়া সহজ হয়। মাস্টার্সের শিক্ষার্থীরা অনেক সময়ে ঘণ্টা হিসাবে টিচিং অ্যাসিস্ট্যান্ট, টিউটর, ল্যাব অ্যাসিস্ট্যান্ট, লাইব্রেরি/রিক্রিয়েশন সেন্টার এসব জায়গায় কাজ পেতে পারে। একটা উদাহরণ দেই — আমার ডিপার্টমেন্টে পিএইচডি স্টুডেন্টদেরকেই আমরা ফুল ফান্ডিং দেই। কিন্তু মাস্টার্সের শিক্ষার্থীদের থেকে প্রচুর পরিমানে Hourly TA নিয়োগ করি। এই সেমিস্টারে আমি ৪৫ জন মাস্টার্সের শিক্ষার্থীকে টিচিং অ্যাসিস্টেন্ট হিসাবে নিয়োগ করেছি। এরা মাসে ১০০০-১২০০ এর মতো বেতন পাবে। টিউশনের কিয়দংশ হলেও উঠে আসবে। এছাড়াও ক্যাম্পাসের নানা ল্যাবে নানা কাজের জন্য লোক লাগে। আমার পরিচিত অনেক মাস্টার্স শিক্ষার্থী আমাদের মেডিকাল স্কুলের নানা ল্যাবের অ্যাপ বা ওয়েবসাইট বানাবার অথবা ক্যাম্পাস আইটি-তে কাজ করছে।

(৬) ইন্টার্নশিপ বা অফ ক্যাম্পাস জব – পেইড ইন্টার্নশিপে গিয়ে সেই সময়ে অনেক শিক্ষার্থী ভালো অংকের বেতন জোগাড় করে তা দিয়ে মাস্টার্সের পড়ার খরচ যোগায় সেটা দেখেছি। এছাড়া অনুমতি নিয়ে অফ ক্যাম্পাস সর্বোচ্চ ২০ ঘণ্টা/সপ্তাহ কাজ করা যায়। আমার এক ইরানী ছাত্র আর এক চীনা ছাত্রী এভাবে তাদের মাস্টার্সের খরচ যোগাড় করেছে কিছুটা হলেও।

(৭) সেলফ ফান্ডিং – মাস্টার্সের শিক্ষার্থীদের প্রায় অধিকাংশই নিজের খরচে পড়তে আসে। অন্তত প্রথম সেমিস্টারের খরচ নিয়ে চলে আসে। (একদা বাংলাদেশী শিক্ষার্থীরাও তাই করতো।)। এটাকে ইনভেস্টমেন্ট হিসাবে চিন্তা করলে ব্যাপারটা পরিষ্কার হয় — মাত্র দেড় বছর পরে ফুল টাইম চাকুরিতে গেলে ইনভেস্ট করা অর্থ অচিরেই উঠে আসবে।

সমস্যা যেটা বুঝলাম তা হলো অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশের ব্যাংকে স্টুডেন্ট লোনের সিস্টেম মনে হয় নাই। অথবা থাকলেও কাগজে কলমে। তাই ভারতীয় নেপালী পাকিস্তানী ছাত্ররা গাদায় গাদায় আসতে পারলেও বাংলাদেশের কেউ এভাবে আসতে পারে না। এজন্য বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদেরকে বাংলাদেশী ব্যাংকগুলোর উপরে চাপ দেয়ার কথা বলবো। কত সামান্য ইস্যুতে দেশে আন্দোলন হয়, আর এই কমন সেন্স ব্যাপারটা নিয়ে যদি কেউ না বলে তাহলে ব্যাংক লোন দিবে কেন?

সেদিন একজন বাংলাদেশী ছাত্রের সাথে কথা বললাম। সে এখানে এসেছে নিজের খরচে পড়তে। তার পরিবার বিশাল ধনী নয় মোটেও। কিন্তু এখানে আসার আগে কয়েক বছর চাকুরি করে কিছু সঞ্চয় করেছিলো। প্রথম সেমিস্টারের খরচ সেভাবে দিয়েছে। আর এখানে এসে দুই মাসের মধ্যে ক্যাম্পাস আইটি-তে চাকুরি পেয়ে গেছে, যা দিয়ে থাকা খাওয়ার খরচ এবং কিছুটা টিউশন সাপোর্ট হয়ে গেছে। মাত্র এক বছর ৩ মাসে সে ডিগ্রিও শেষ করে ফেলছে। কাজেই সেলফ ফান্ডে আসা একেবারেই অসম্ভব নয়, ধনী পরিবারও লাগে না, আর সাহস করে যারা আসে তারা একেবারে মারা পড়ে না।

এছাড়া আরেকটা অপশন হলো এখানে আসার পরে mPower বা প্রডিজি থেকে স্টাডি লোন নেয়া। এসম্পর্কে আমার একেবারেই ধারণা নেই তবে কেউ কেউ এভাবে লোন জোগাড় করেছে বলে জানিয়েছে। (*তবে এটা পুরোপুরি নিজ দায়িত্বের ব্যাপার। এইটা নিয়ে কথা বলা বিপদজনক, কারণ লোকজন রেগে যায় এবং কিছু কিছু লোক গালি দিতে আসে। যদিও বিশ্বের অন্য সব দেশের শিক্ষার্থীরা এইটা ভালো করেই বুঝে। আমার ডিপার্টমেন্টে ৭০০ মাস্টার্স স্টুডেন্টযা আছে, তার ৬৫০ জনই সেলফ ফান্ডেড ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্ট। তবে তাদের মধ্যে সর্বসাকুল্যে ৩ জন বাংলাদেশী। এমন না যে অ্যাপ্লাই করে নাই বা অ্যাডমিশন পায় নাই। কিন্তু সেলফ ফান্ডে কেউ পড়বেনা এমন পণ করে রেখেছে মনে হয়।

যাই হোক, কে কীভাবে পড়তে আসবে সেটা দিনের শেষে তার বিচার বুদ্ধির ব্যাপার। যাহোক, মাস্টার্সে পড়ার অর্থায়নের উপায় নিয়ে লিখবো প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম, তাই এই লেখাটা লিখলাম। কিছু লোকজন এতেও গালি দিবে, তাদের জন্য বলে রাখি, উপরের পুরো পোস্ট আমার মতামত বা Opinion মাত্র। এটাকে ধ্রূব সত্য হিসাবে প্রচার করছি না। যা দিনকাল পড়েছে, ফেইসবুকে নিজের ব্যক্তিগত পোস্টও যে মতামত দেয়ার জায়গা, তা লিখে দিতে হচ্ছে!!

লিখেছেন Ragib Hasan স্যার।

Research Help Bangladesh

টিউশনি করার অভিজ্ঞতা কিভাবে উচ্চশিক্ষায় কাজে লাগাবেন?

টিউশনি করার অভিজ্ঞতা কিভাবে উচ্চশিক্ষায় কাজে লাগাবেন?
Higher Study
1 min read

টিউশনি করার অভিজ্ঞতা কিভাবে উচ্চশিক্ষায় কাজে লাগাবেন?

টিউশনি করার অভিজ্ঞতা কিভাবে উচ্চশিক্ষায় কাজে লাগাবেন?
October 4, 2023

টিউশনি করার অভিজ্ঞতা কিভাবে উচ্চশিক্ষায় কাজে লাগাবেন?

টিউশনি করার অভিজ্ঞতা কিভাবে উচ্চশিক্ষায় কাজে লাগাবেন?

লিখেছেন: আব্দুল হালিম স্যার

বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া অনেক ছেলেমেয়ে দেশে টিউটর হিসাবে টিচিং অভিজ্ঞতা অর্জন করে কিন্তু সেই অভিজ্ঞতাকে SOP এবং গ্রাজুয়েট আ্যাডমিশনের ইন্টারভিউতে তুলে ধরতে পারে না শুধু কমিউনিকেশন স্কিলে দূর্বল থাাকার কারনে ।

অনেকে কোচিং সেন্টারে বা বাসায় ইন্ডারমিডিয়েটের ছাত্রদের পড়ায় কিন্তু তা SOP এবং গ্রাজুয়েট আ্যাডমিশনের ইন্টারভিউতে বলতে পারে না।

প্রথমত ‘টিউশনি করি’ এটি একটি ভূল বাংলা বা ইংরেজি শব্দ যা আমরা নিয়মিত ব্যবহার করি । সঠিক বিষয় হলো আপনি ‘টিউটর হিসাবে’ কাজ করেছেন বা করেছেন ।

কিছুদিন আগে এক বাংলাদেশী ছাত্রকে ইন্টারভিউ বোর্ডে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল যে ‘Do you have any teaching experience?’ ছাত্রটি বললো “I did tuitiony (টিউশনি) in a coaching centre’ । আমার আমেরিকান কলিগ কিছুই বুঝতে পারলেন না । এবং বুঝতে না পারাটাই স্বাভাবিক । আমেরিকায় ‘Tuition’ হলো ‘ফি’ যা ছাত্ররা প্রতি সেমিষ্টটারে খরচ করে । আমেরিকায় ‘coaching centre’ বলে কিছু নেই যা আছে তাহলো ‘Tutoring বা Test Centre’ । সেই ছাত্রটি আরও বললো ‘I also have marking experience for student’s exams’ । আমেরিকায় ‘marking’ কে বলে ‘grading’ এবং ‘exam’ খুবই পরিচিত শব্দ হলে ‘Test’ শব্দটি বেশী ব্যাবহার করা হয় ।

যাহোক দেশে যদি কারো ছাত্র পড়ানোর অভিজ্ঞতা থাকে তাহলে নীচে একটি সিম্পল রাইটিং দেওয়া হলো যা SOP-এ বা গ্রাজুয়েট আ্যাডমিশনের ইন্টারভিউতে বলতে পারেন ।

During my undergraduate study, I obtained my teaching experience as a chemistry tutor (supplementary instructor or teaching assistant) in a tutoring centre where I taught general chemistry topics including atomic structure and theories, quantum number and electronic configuration, periodic properties, chemical bonding and molecular shape, thermochemistry, chemical and acid-base equilibria, chemical kinetics, electrochemistry, group and organic chemistry for college and high school students. I have experiences on conducting classes for small group of students, grading their tests, posting their grade, providing them feedback, preparing them for lab experiments, and monitoring their progress.

Research Help Bangladesh

কম CGPA নিয়ে আমেরিকায় উচ্চশিক্ষা

বিনামূল্যে গবেষণা শেখার উপায়
Research | Tips & Tricks
1 min read

বিনামূল্যে গবেষণা শেখার উপায় (আপডেটেড)

বিনামূল্যে গবেষণা শেখার উপায়
October 4, 2023

বিনামূল্যে গবেষণা শেখার উপায় (আপডেটেড)

প্রাথমিকভাবে যে জিনিস গুলো লাগবে-

ল্যাপটপ বা কম্পিউটার। বাসায় ইন্টারনেট কানেকশন । শেখার আগ্রহ এবং পর্যাপ্ত সময় ।

আপনি বিনামূল্যে এবং টাকা পয়সা খরচ করে ,দুইভাবেই শিখতে পারেন।

বিনামূল্যে শেখার উপায়-

১। বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে

আপনারা অনেকেই জানেন যে ,প্রতিবছর জাতীয় বাজেটের একটা বড় অংশ গবেষণা খাতে বরাদ্দ হয় । এই টাকার মধ্যে থেকে একটা সামান্য অংশ মন্ত্রণালয়গুলোকে দেওয়া হয় , গবেষণা বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদানের জন্য ।

পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় এবং গবেষক কে অর্থ বরাদ্দ দিয়ে থাকে এরূপ প্রশিক্ষণ প্রদান করার জন্য । সুতরাং তারা যখন পত্রিকা সার্কুলার দিবে , তখন আপনি সেখানে আবেদন করে বিনামূল্যে শিখতে পারেন।

অনেকেই প্রশ্ন করতে পারেন যে ,আসলেই কতটুকু শেখা হয় । ব্যাপারটা নির্ভর করছে কারা প্রশিক্ষণ দিচ্ছে তার ওপর । প্রশিক্ষক যদি আন্তরিক হোন , তাহলে নিশ্চয়ই শেখার অনেক সুযোগ রয়েছে । পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের অধীনে ১টি গবেষণা কোর্স করার সৌভাগ্য হয়েছে আমার।

এছাড়াও মুক্তপাঠ নামে একটি সরকারি ওয়েবসাইট আছে। সেখানেও গবেষণা শেখার কোর্স আছে । আমি একটা কোর্সে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিলাম । তবে সেই কোর্স একেবারেই বিগেনারদের জন্য । অর্থাৎ প্রিলিমিনারি বিষয়গুলোর সেখানে শেখানো হয়।গবেষণা ছাড়াও অন্যান্য বিষয়ে ২৪২ টি কোর্স সেখানে আপলোড করা আছে।

২। Udemy

আমি সারাজীবন তাদের কাছে কৃতজ্ঞ । শুধু গবেষণা নয় , যেকোনো বিষয়ে সেখানে কোর্স এর অভাব নেই । আপনি ওয়েবসাইটে ঢুকে সার্চ অপশনে গিয়ে research লিখে সার্চ করবেন।এরপর দেখবেন কোন কোর্সগুলো বিনামূল্যে আছে । উল্লেখ্য যে তাদের প্রিমিয়াম গবেষণার কোর্সগুলো মাঝে মাঝে ফ্রীতে দেওয়া হয় ,তখন আপনি enroll করে রাখতে পারেন । যেহেতু ইংরেজি ভার্সনে শেখানো হবে,তাই যারা ইংরেজীতে মোটামুটি দক্ষ আছেন ; তাদের জন্য ইউডেমি একাই যথেষ্ট । তবে গবেষণায় যারা একদম বিগেনার, বুঝতে কিছুটা কষ্ট হতে পারে । এখানে আমি কয়েকটি কোর্স করছি রানিং।

৩। JUHSC YouTube Channel

GRE,STATA,PYTHON,LATEX, ইত্যাদি বিষয়ে তাদের ইউটিউব চ্যানেলে ভিডিও আপলোড করা আছে । আমি নিজেই তাদের ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে ল্যাটেক্স এর প্রাথমিক জ্ঞান লাভ করেছি । বিদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া জ্ঞানী-গুণী ভাইয়েরা খুব সুন্দর করে সেই ক্লাসগুলো নিয়েছে ।

৪। Jalal’s Dream YouTube Channel

Jalal’s Dream YouTube Channel ইউটিউব চ্যানেলে গেলে আপনারা এসপিএসএস , পাইথন, আইএলটিএস, এক্সেল,লিনাক্স,মাতলাব,জিআইএস এরকম নানান বিষয়ে উনাদের কর্মশালার ভিডিও পাবেন । জালাল ভাইকে আমি ব্যক্তিগতভাবে চিনি না । তবে উনি আসলেই একজন স্বপ্নবাজ মানুষ এবং পরিশ্রমী । আপনারা ভিডিওগুলো দেখলেই বুঝতে পারবেন । উনাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইবার সংখ্যা একেবারেই কম ,অথচ ওনাদের Content অনেক ভালো ।

৫। গবেষক হতে চাই :: Be Researcher BD (BRBD)

পাইথন এবং গবেষণার বেসিক কোর্স সেখানে পাওয়া যাবে। এছাড়াও বিভিন্ন মোটিভেশনাল সেমিনার আয়োজন করেন ।** **Professor Dr. Saidur Rahman (Sunway University, Malaysia) উনার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ভিডিও সেখানে রয়েছে । ভিডিও গুলো ইংরেজিতে না বাংলায় হলে আরো অনেকেই উপকৃত হতো । উল্লেখ্য যে , উনি বাংলাদেশের একজন খ্যাতনামা গবেষক। Mr. Md. Sabir Hossain (Asst. Professor, Dept. of CSE, CUET) শত ব্যস্ততার মাঝেও শিক্ষার্থীদের কে গবেষণার বিষয় আগ্রহী করছেন। ২৪২ টি ভিডিও ইতিমধ্যে উনারা আপলোড করেছেন। বিশেষ করে, ইঞ্জিনিয়ারিং ব্যাকগ্রাউন্ডে শিক্ষার্থীরা বেশি উপকৃত হবেন বলে মনে হয়েছে।

৬। Azharul Islam Youtube Channel

উনার কাছ থেকেই আমি এসপিএসএস শিখেছি । আমার ধারণা বাংলাদেশের সবচেয়ে ভালো এসপিএসএস কোর্স উনার ইউটিউব চ্যানেলে । আফসোস লাগে, এরকম একটা দারুণ চ্যানেলের সাবস্ক্রাইবার সংখ্যা একেবারেই কম ।

৭। Linkwith Research and Training Center fb page

𝐒𝐜𝐡𝐨𝐥𝐚𝐫 𝐓𝐚𝐥𝐤 নামে অনেকগুলো ওয়েবিনার আয়োজন করেছেন । দেশের এবং বিদেশের বিখ্যাত গবেষকগণ তাদের গবেষণা অভিজ্ঞতা এই ওয়েবিনার গুলোতে শেয়ার করে থাকেন। প্রাথমিকভাবে সেমিনার গুলো বাংলায় থাকাতে অনেকেই বেশি উপকৃত হয়েছে । প্যানডেমিক চলাকালীন সময়ে রেগুলার তাদের ভিডিও দেখতাম তবে এখন কিছুটা ইন্যাক্টিভ।

আমার কিছু কথা-

যে কোন কিছু শেখার জন্য সবার প্রথম দরকার ‘বিষয়টির প্রতি প্রতি ভালবাসা’। আসলে ফিলোসফি শব্দটি বলতেও জ্ঞানের প্রতি অনুরাগ বোঝায়। একাডেমিক লাইনে গবেষণার সর্বোচ্চ স্তর পিএইচডি অর্থাৎ ডক্টর অফ ফিলোসফি বলতেও বুঝায় ,আপনার জ্ঞানের প্রতি অনুরাগ সম্পন্ন হয়েছে । এই কথাগুলো এই জন্যই বললাম যে ,আপনার যদি সত্যিই ভালোলাগা তৈরি হয় তাহলে এই সেক্টরে প্রয়োজনীয় ইনভেস্টমেন্ট করার জন্য মনস্থির করতে পারেন । অনেকেই দেখি কাজ করতে চান বলে বিভিন্ন জায়গায় পোস্ট করেন । আপনি যদি কাজ না শিখেন , তাহলে কোথাও আপনাকে মূল্যায়ন করা হবে না ।

এরকম একটা তালিকা করা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ । **হয়তো আরো ভালো অনেকেই আছেন কিন্তু আমার অজ্ঞতাবশত লিস্টে নেই । **আমি শুধুমাত্র আমার জানাশোনার মধ্যে এবং আমি যাদের কাছ থেকে উপকার পেয়েছি তাদেরকে উল্লেখ করেছি। এখানকার কারো সাথেই আমার ব্যক্তিগত সখ্যতা নেই।

**আমাদের এই প্ল্যাটফর্ম থেকেও এখন পর্যন্ত দুটি সফট্ওয়ারের এবং গবেষণার নানান বিষয়ে ফ্রি ক্লাস নেওয়া হয়েছে। **

আপনাদের নিজস্ব সার্কেলে এই পোস্ট শেয়ার করে রাখতে পারেন।

Morshed Alam

Founder,

**Research Help Bangladesh **

এইচএসসি পাশ করার পরে বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য করণীয় কি?

কম CGPA নিয়ে আমেরিকায় উচ্চশিক্ষা
Higher Study | USA
2 min read

কম CGPA নিয়ে আমেরিকায় উচ্চশিক্ষা

কম CGPA নিয়ে আমেরিকায় উচ্চশিক্ষা
October 2, 2023

কম CGPA নিয়ে আমেরিকায় উচ্চশিক্ষা

আমেরিকার প্রায় ৯০ ভাগ বিশ্ববিদ্যালয়  ন্যূনতম ৩.০০ সিজিপিএ গ্রহণ করে। এখানে লো সিজিপিএ বলতে প্রধানত তিনের নিচের সিজিপিএ-কে বোঝানো হয়েছে।

★কিভাবে কম্পেন্সেট করবেন আপনার লো সিজিপিএ:

ভার্সিটির প্রথম দিনেই টিচার সতর্ক করেছিলেন অনার্সে ৩.৫০ না-থাকলে জীবন বৃথা? টিচারের কথা শোনেননি? স্ট্যাচু অফ লিবার্টি, গোল্ডেন গেট ব্রিজ দেখার ইচ্ছা ছিল স্বচক্ষে? রেজাল্ট খারাপ করে এখন দেবদাসের মতো ঘুরে বেড়াচ্ছেন? নিচের অংশটুকু পড়ার আগে টিচারের বলা ৩.৫০ মিথ মাথা থেকে দূর করে দিন। না-করলে কেউ আপনাকে সাহায্য করতে পারবে না।

প্রথমেই ভাবুন…

• আপনার কি ভার্সিটির প্রথম বছরগুলোতে নতুন পরিবেশে মানিয়ে নিতে কষ্ট হয়েছিল? কিন্তু মানিয়ে নেওয়ার পর গ্র্যাজুয়ালি আপনি উন্নতি করেছেন? শেষ দু-বছরের সিজিপিএ অনেক ভালো?

• চার বছরের মধ্যে এমন কিছু ঘটনা ঘটেছিল যা আপনার কন্ট্রোলের মধ্যে ছিল না?

• আপনি কি ভর্তির সময় ভুল সাবজেক্ট সিলেক্ট করেছিলেন? যার কারণে আপনি পড়াশোনায় আগ্রহ হারিয়ে রেজাল্ট খারাপ করেছিলেন?

• আন্ডারগ্র্যাডে আপনি কি এমন কোনও এক্সট্রা কারিকুলার কাজের সাথে জড়িত ছিলেন? সেজন্য আপনার রেজাল্ট খারাপ?

• আপনার কি প্রথম বছরগুলোতে সিজিপিএ খুব ভালো? কিন্তু শেষ দিকে খেই হারিয়ে ফেলেছিলেন যার জন্য রেজাল্ট খারাপ?

লো সিজিপিএ আপনার অ্যাপ্লিকেশনকে এফেক্ট করবে যদি না আপনি অ্যাডমিশন কমিটিকে পজিটিভ কিছু না দেখাতে পারেন। লো সিজিপিএ থাকার পরেও

অ্যাডমিশন পাওয়ার সম্ভবনা নির্ভর করবে আপনি ভবিষ্যতে গ্র্যাজুয়েট স্কুলে সফল হওয়ার ব্যাপারে অ্যাডমিশন কমিটিকে কতটা কমিটমেন্ট দেখাতে পারছেন। তাদেরকে বোঝাতে হবে আপনি আদতে ফেলটুস মার্কা স্টুডেন্ট নন। তো এই কমিটমেন্ট দেখানোর সবচেয়ে ভালো জায়গা কোনটা? এসওপি! জিআরই এবং এসওপি এ দুটোই আপনার হাতের টেক্কা। এক্সট্রা অর্ডিনারি কিছু করার চেষ্টা করুন এই দুটো প্যারামিটারে। হাই সিজিপিএ মানেই যেমন সবজান্তা নয়, লো সিজিপিএ মানেই মূর্খ নয়। এমন অনেক স্টুডেন্ট আছেন যারা রিসার্চ এবং নিজের সাবজেক্ট সম্পর্কে ভালো ধারণা রাখেন, নিজের সাবজেক্টের টপিকগুলো খুবই ভালো বোঝেন এবং বোঝাতে পারেন কিন্তু পরীক্ষার খাতায় সেটার প্রকাশ ঘটাতে পারেন না। তাই বলে তিনি নিশ্চয়ই ফেলনা নন। একটু সাপোর্ট পেলে তিনিও ভালো করবেন।

★অ্যাপ্লিকেশন প্রসেস:

ভার্সিটিগুলো অ্যাপ্লিকেশন প্রসেস করে হোলিস্টিকভাবে। একটা অ্যাপ্লিকেশন প্যাকেজে কী কী থাকে?

GPA + GRE + TOEFL + SOP + LOR + Resume

আমরা প্যাকেজটাকে দুইভাগে ভাগ করি।

নেগেটিভ সাইড: সিজিপিএ

প্রসপ্যাক্টিভ পজিটিভ সাইড: জিআরই, টোয়েফল, এলওআর, রেজ্যুম,এসওপি

সো, ছয়টা প্যারামিটারের মধ্যে একটাতে আপনি ইতোমধ্যে খারাপ করে ফেলেছেন। কিন্তু বাকি আছে পাঁচটা। কংগ্র্যচুলেশন্স। এখনও অনেক কিছু করার আছে আপনার। আপনার লো সিজিপিএ আছে ভালো কথা। এর মধ্যেও আপনার সিজিপিএ কার্ভ যদি ইউ শেপের হয়, তাহলে তো সোনায় সোহাগা। ইউ শেপের কার্ভ প্রমাণ করবে আপনি প্রথম দিকে কোনও একটা কারণে রেজাল্ট খারাপ করেছেন কিন্তু পরে ভুল বুঝতে

পেরে নিজেকে সামলে নিয়েছেন। সারভাইভাল তাই না? গ্র্যাজুয়েট স্কুল সারভাইভ করার জায়গা। আজ মুখ থুবড়ে পরবেন, কাল উঠে দাঁড়াবেন। সো, এটাকেই তো আপনি প্রমাণ করে দিচ্ছেন তাই নয় কি? ও হ্যাঁ, ভার্সিটিগুলো শেষ দুবছরের সিজিপিএ নিয়ে মাথা ঘামায় কেন? কারণ মোটামুটি সব সাবজেক্টেই শেষ দুবছরে সেই সাবজেক্টের কোর বা মেইন কোর্সগুলো শেখানো হয়।

এলিমেনটারি স্ট্যাটিস্টিকসে আপনি কী করছেন তার চেয়ে বড় কথা থার্ড বা ফোর্থ ইয়ারে ইকনোমেট্রিক্সে কী করেছেন।

তাহলে কীভাবে লো সিজিপিএ-কে সামলাবেন?

• জিআরই/ টোয়েফলে গুরুত্ব দিন।

• অনার্সে খারাপ থাকলে মাস্টার্সে নিজের সবটুকু উজাড় করে রেজাল্ট ভালো করতে চেষ্টা করুন।

• একাডেমিক পড়াশোনার বাইরে অন্য কোনো স্কিল অর্জন করুন। (যেমন: প্রোগ্রামিং)

• এক্সট্রা কারিকুলার থাকলে সেটা উল্লেখ করুন।

• নিজের প্রোফাইলের সাথে মানানসই ভার্সিটি সিলেক্ট করুন।

• পাবলিকেশন করতে চেষ্টা করুন। যদিও এটা কম্পালসরি না, তবুও পাবলিকেশন মানেই বিশেষ কিছু। আবার পাবলিকেশনের নামে জাঙ্ক উৎপাদন করাও ঠিক নয়।

• কোনো ভার্সিটিতেই মেইল করতে ছাড়বেন না। যেসব ভার্সিটির রিকুয়ারমেন্ট ৩.০০ কিন্তু আপনার সিজিপিএ তিনের কম সেখানেও মেইল করুন। মেইল করতে ইন্টারনেট বিল ছাড়া আর খরচ নেই । আগামীকাল কী নিয়ে আপনার জীবনে আসবে তা কেউ জানে না। এমনও হতে পারে সেখানকার কোনো প্রফেসর আপনার প্রোফাইল পছন্দ করে ফেলবেন!

• টিচারের পিছনে ঘুরে ‘আপনি নিষ্পাপ’- এরকম লেখা কয়েকটা এলওআর বাগিয়ে নিন। এলওআর-এ টিচার আপনাকে যত মাই ডিয়ারভাবে বলবেন ততই লাভ।

আপনি তাকে চিনি এবং আমি তাকে খুবই ভালোভাবে চিনি- এ দুইয়ের মধ্যে অনেক তফাৎ।

• জীবনে ঘটা যেসব ঘটনা আপনার রেজাল্টকে প্রভাবিত করেছিল তা খুবই সংক্ষিপ্তভাবে এসওপিতে উল্লেখ করতে পারেন। আপনি কীভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছেন সেটাও উল্লেখ করুন। মশার কামড়ে ডেঙ্গু হয়ে আপনার রেজাল্ট যদি খারাপ হয় তার মানে আপনি নিশ্চয়ই খারাপ স্টুডেন্ট নন। এ ধরনের ঘটনা যে কারো জীবনে ঘটতে পারে সেটা অ্যাডমিশন কমিটি জানেন।

* যদি অনার্সে ভুল সাবজেক্ট নেওয়ার জন্য রেজাল্ট খারাপ করেন কিন্তু এখন পছন্দের সাবজেক্টে যেতে চান, তাহলে সেই সাবজেক্টের সাথে রিলেভেন্ট  কিছু করার চেষ্টা করুন। পড়েছেন ইতিহাস কিন্তু পড়তে চান জিওগ্রাফি? একটা জিআইএস কোর্স করে ফেলুন।

• নিজের প্রতি কমিটেড থাকুন। ভার্সিটির ফার্স্ট ইয়ারে হায়ার স্টাডির স্বপ্ন দেখে এটাকে টেনে শেষ পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া খুব কঠিন। আর সিজিপিএ যদি কম হয় তাহলে কনফিডেন্স হারিয়ে ফেলাটাই স্বাভাবিক।

★দ্বিতীয় পর্ব: কীভাবে কম্পেন্সেট করবেন আপনার লো সিজিপিএ!

মূল কথাগুলো আগেই বলা হয়েছে। এই পোস্টে আরও কিছু উপায়ের সাথে ইউএসএর ভার্সিটিতে একসেপ্টেড হয়েছেন এমন কয়েকজনের প্রোফাইল, লো সিজিপিএ একসেপ্ট করে এমন কয়েকটা ভার্সিটির নাম আলোচনা করা হবে।

লো সিজিপিএ থাকলে প্রথমেই যেটা করার থাকে তা হল জিআরইতে ভালো করা। এর কোনো বিকল্প নেই। অনেকে বেশি বুঝতে গিয়ে যেসব রিসোর্স পপুলার না সেগুলো নিয়ে বেশি ব্যস্ত থাকে। ফলাফলটাও হাতেনাতে পায়। জিআরইতে ভালো করতে ইটিএস, ম্যাগুশ, ম্যানহ্যাটন, নোভা, কাপলান, প্রিন্সটন, ব্যারন্স এগুলো

ছাড়া আর তেমন কিছু লাগে না। আমার একজন টিচার শুধু ম্যানহ্যাটন ১-৬, ৭-৮, ৫ এলবি পড়েই স্কোর তুলেছেন ৩২৯! এডব্লিউএতে পেয়েছেন ৪। দুঃখ করে বলছিলেন তার টাইপিং স্পিড ভালো না তাই এই সেকশনে এত খারাপ হয়েছে! এছাড়া অনেকে আছে ইটিএস এর রিসোর্সগুলো পড়তে প্রচণ্ড অনীহা। যারা আপনার টেস্ট নেবে তাদের রিসোর্সগুলো ফলো না করা মানেই নিজের পায়ে কুড়াল মারা। বাজারের কোনও বইয়ের স্ট্যান্ডার্ড ইটিএস এর এত কাছাকাছি না। ইন্টারনেটে যত মক টেস্ট আছে সবগুলো দিয়ে দেওয়া উচিৎ। অবশ্যই সবচেয়ে স্ট্যান্ডার্ড মক টেস্ট পাওয়ার প্রেপ ২। আর অর্থ সংকটে না থাকলে একটা ম্যাগুশ সাবস্ক্রিপশন কিনে নিতে পারেন।

সম্ভব হলে কিছুদিন কষ্ট করে একটা পাবলিকেশন করুন। লো সিজিপিএ দেখলেই মনে হবে সেই সাবজেক্টে আপনার ভালো দখল নেই। কিন্তু একটা পাবলিকেশন করতে সেই সাবজেক্টের উপর প্রচুর পড়াশোনা এবং স্কিল থাকতে হয়। তাই একটা পাবলিকেশন লো সিজিপিএকে অনেকখানি মেকআপ করবে। যদিও পাবলিকেশন কোনো ম্যান্ডেটরি রিকুয়ারমেনট না।

যদি সাবজেক্ট রিলেটেড শর্ট কোর্স বা ইন্টার্নশিপ করার সুযোগ থাকে তাহলে সেটা হাতছাড়া করবেন না।

ভার্সিটি সিলেক্ট করার ব্যাপারে রিয়েলিস্টিক হওয়া উচিৎ। লোয়ার র‍্যাঙ্কের ভার্সিটিতে অ্যাপ্লাই করতে লজ্জার কিছু নেই। আর র‍্যাঙ্কের ব্যাপারটা রিলেটিভ। দিন শেষে আপনার স্কিলই অন্যদের থেকে আপনাকে আলাদা করবে। যাদের সিজিপিএ ৪.০০ তাদেরও অনেকে নিজের পছন্দের ভার্সিটিতে অ্যাডমিশন পান না। তাই বলে এমন ভার্সিটিতে অ্যাপ্লাই করা উচিৎ না যার বিন্দুমাত্র রেপুটেশন নেই। এসব ভার্সিটির ডিগ্রি ক্যারিয়ারকে পিছিয়ে দেবে। ভার্সিটির অ্যাক্রিডিটেশন সম্পর্কেও নিশ্চিত হওয়া উচিৎ।

প্রথমে লো র‍্যাঙ্কের স্কুলে পড়ে পরে সহজেই হায়ার র‍্যাঙ্কের স্কুলে অ্যাডমিশন নিতে পারেন। আমার পরিচিত

একজন তার ডিপার্টমেন্টে ফার্স্ট হয়েও ২.৭৫ একসেপ্ট করে এমন ভার্সিটিতে মাস্টার্স করেছিলেন। পরে আবারও জিআরই দিয়েছেন। পিএইচডি করছেন বোস্টনে যার সর্বশেষ র‍্যাঙ্ক দেখেছিলাম ২৪।

আমেরিকার অধিকাংশ ভার্সিটিই অ্যাপ্লিকেশন প্রসেস করার সময় সেগুলো সামগ্রিক বা হোলিস্টিকভাবে বিচার করে। তবুও অ্যাপ্লাই করার আগে নিশ্চিত হয়ে নিন যে তারা আসলেই অ্যাপ্লিকেশন এভাবে এভালুয়েট করবে কি না। প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটরকে জিজ্ঞাসা করুন তারা সিজিপিএর ভিত্তিতে আগেই অ্যাপ্লিকেশন বাদ দিয়ে দেয় কি না।

অনেক ভার্সিটি আছে যারা রিকুয়ারমেনট ফুলফিল না-হলে কন্ডিশনাল অ্যাডমিশন দেয়। সেখানে চেষ্টা করতে পারেন। তারা হয়তো এমন কন্ডিশন দিয়ে দেবে যে একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত আপনাকে নির্দিষ্ট গ্রেড মেইনটেইন করতে হবে।

অ্যাপ্লাই করার আগে কোঅর্ডিনেটরকে মেইল করে বিগত বছরগুলোর জিআরই এর কাটঅফ স্কোর জিজ্ঞাসা করে নিন। এতে কিছুটা আইডিয়া পাওয়া যাবে আপনার সম্ভবনা কেমন।

প্রথমবারে রিজেক্টেড হলেও দমে না-গিয়ে পরেরবারে আবারও অ্যাপ্লাই করুন। গ্র্যাজুয়েট স্কুল খুবই কম্পিটিটিভ। হাজারো ভালো ভালো প্রোফাইলের ভিড়ে আপনারটা রিজেক্টেড হতেই পারে। স্প্রিং সেশনে ফান্ড কম থাকলেও মেইল করা উচিৎ। কে জানে, ওই কম ফান্ডের কিছু অংশ আপনার কপালে আছে কি না!

আমেরিকায় ভার্সিটির কমতি নেই। প্রায় সাড়ে তিন হাজারের বেশি ভার্সিটি আছে। তাই মেইল করা, ভার্সিটি সার্চের ক্ষেত্রে কৃপণটা করবেন না।

যে সাবজেক্টে আগে পড়েছেন সেটাতেই হায়ার স্টাডিজে যেতে হবে এমন কোনো মানে নেই। একটা সাবজেক্টের সাথে কানেক্টেড আরও অনেক সাবজেক্ট থাকে। ইকোনমিকসের বিকল্প হতে পারে ডেভেলপমেন্ট

আপনি তাকে চিনি এবং আমি তাকে খুবই ভালোভাবে চিনি- এ দুইয়ের মধ্যে অনেক তফাৎ।

• জীবনে ঘটা যেসব ঘটনা আপনার রেজাল্টকে প্রভাবিত করেছিল তা খুবই সংক্ষিপ্তভাবে এসওপিতে উল্লেখ করতে পারেন। আপনি কীভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছেন সেটাও উল্লেখ করুন। মশার কামড়ে ডেঙ্গু হয়ে আপনার রেজাল্ট যদি খারাপ হয় তার মানে আপনি নিশ্চয়ই খারাপ স্টুডেন্ট নন। এ ধরনের ঘটনা যে কারো জীবনে ঘটতে পারে সেটা অ্যাডমিশন কমিটি জানেন।

* যদি অনার্সে ভুল সাবজেক্ট নেওয়ার জন্য রেজাল্ট খারাপ করেন কিন্তু এখন পছন্দের সাবজেক্টে যেতে চান, তাহলে সেই সাবজেক্টের সাথে রিলেভেন্ট  কিছু করার চেষ্টা করুন। পড়েছেন ইতিহাস কিন্তু পড়তে চান জিওগ্রাফি? একটা জিআইএস কোর্স করে ফেলুন।

• নিজের প্রতি কমিটেড থাকুন। ভার্সিটির ফার্স্ট ইয়ারে হায়ার স্টাডির স্বপ্ন দেখে এটাকে টেনে শেষ পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া খুব কঠিন। আর সিজিপিএ যদি কম হয় তাহলে কনফিডেন্স হারিয়ে ফেলাটাই স্বাভাবিক।

★দ্বিতীয় পর্ব: কীভাবে কম্পেন্সেট করবেন আপনার লো সিজিপিএ!

মূল কথাগুলো আগেই বলা হয়েছে। এই পোস্টে আরও কিছু উপায়ের সাথে ইউএসএর ভার্সিটিতে একসেপ্টেড হয়েছেন এমন কয়েকজনের প্রোফাইল, লো সিজিপিএ একসেপ্ট করে এমন কয়েকটা ভার্সিটির নাম আলোচনা করা হবে।

লো সিজিপিএ থাকলে প্রথমেই যেটা করার থাকে তা হল জিআরইতে ভালো করা। এর কোনো বিকল্প নেই। অনেকে বেশি বুঝতে গিয়ে যেসব রিসোর্স পপুলার না সেগুলো নিয়ে বেশি ব্যস্ত থাকে। ফলাফলটাও হাতেনাতে পায়। জিআরইতে ভালো করতে ইটিএস, ম্যাগুশ, ম্যানহ্যাটন, নোভা, কাপলান, প্রিন্সটন, ব্যারন্স এগুলো

ছাড়া আর তেমন কিছু লাগে না। আমার একজন টিচার শুধু ম্যানহ্যাটন ১-৬, ৭-৮, ৫ এলবি পড়েই স্কোর তুলেছেন ৩২৯! এডব্লিউএতে পেয়েছেন ৪। দুঃখ করে বলছিলেন তার টাইপিং স্পিড ভালো না তাই এই সেকশনে এত খারাপ হয়েছে! এছাড়া অনেকে আছে ইটিএস এর রিসোর্সগুলো পড়তে প্রচণ্ড অনীহা। যারা আপনার টেস্ট নেবে তাদের রিসোর্সগুলো ফলো না করা মানেই নিজের পায়ে কুড়াল মারা। বাজারের কোনও বইয়ের স্ট্যান্ডার্ড ইটিএস এর এত কাছাকাছি না। ইন্টারনেটে যত মক টেস্ট আছে সবগুলো দিয়ে দেওয়া উচিৎ। অবশ্যই সবচেয়ে স্ট্যান্ডার্ড মক টেস্ট পাওয়ার প্রেপ ২। আর অর্থ সংকটে না থাকলে একটা ম্যাগুশ সাবস্ক্রিপশন কিনে নিতে পারেন।

সম্ভব হলে কিছুদিন কষ্ট করে একটা পাবলিকেশন করুন। লো সিজিপিএ দেখলেই মনে হবে সেই সাবজেক্টে আপনার ভালো দখল নেই। কিন্তু একটা পাবলিকেশন করতে সেই সাবজেক্টের উপর প্রচুর পড়াশোনা এবং স্কিল থাকতে হয়। তাই একটা পাবলিকেশন লো সিজিপিএকে অনেকখানি মেকআপ করবে। যদিও পাবলিকেশন কোনো ম্যান্ডেটরি রিকুয়ারমেনট না।

যদি সাবজেক্ট রিলেটেড শর্ট কোর্স বা ইন্টার্নশিপ করার সুযোগ থাকে তাহলে সেটা হাতছাড়া করবেন না।

ভার্সিটি সিলেক্ট করার ব্যাপারে রিয়েলিস্টিক হওয়া উচিৎ। লোয়ার র‍্যাঙ্কের ভার্সিটিতে অ্যাপ্লাই করতে লজ্জার কিছু নেই। আর র‍্যাঙ্কের ব্যাপারটা রিলেটিভ। দিন শেষে আপনার স্কিলই অন্যদের থেকে আপনাকে আলাদা করবে। যাদের সিজিপিএ ৪.০০ তাদেরও অনেকে নিজের পছন্দের ভার্সিটিতে অ্যাডমিশন পান না। তাই বলে এমন ভার্সিটিতে অ্যাপ্লাই করা উচিৎ না যার বিন্দুমাত্র রেপুটেশন নেই। এসব ভার্সিটির ডিগ্রি ক্যারিয়ারকে পিছিয়ে দেবে। ভার্সিটির অ্যাক্রিডিটেশন সম্পর্কেও নিশ্চিত হওয়া উচিৎ।

প্রথমে লো র‍্যাঙ্কের স্কুলে পড়ে পরে সহজেই হায়ার র‍্যাঙ্কের স্কুলে অ্যাডমিশন নিতে পারেন। আমার পরিচিত

একজন তার ডিপার্টমেন্টে ফার্স্ট হয়েও ২.৭৫ একসেপ্ট করে এমন ভার্সিটিতে মাস্টার্স করেছিলেন। পরে আবারও জিআরই দিয়েছেন। পিএইচডি করছেন বোস্টনে যার সর্বশেষ র‍্যাঙ্ক দেখেছিলাম ২৪।

আমেরিকার অধিকাংশ ভার্সিটিই অ্যাপ্লিকেশন প্রসেস করার সময় সেগুলো সামগ্রিক বা হোলিস্টিকভাবে বিচার করে। তবুও অ্যাপ্লাই করার আগে নিশ্চিত হয়ে নিন যে তারা আসলেই অ্যাপ্লিকেশন এভাবে এভালুয়েট করবে কি না। প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটরকে জিজ্ঞাসা করুন তারা সিজিপিএর ভিত্তিতে আগেই অ্যাপ্লিকেশন বাদ দিয়ে দেয় কি না।

অনেক ভার্সিটি আছে যারা রিকুয়ারমেনট ফুলফিল না-হলে কন্ডিশনাল অ্যাডমিশন দেয়। সেখানে চেষ্টা করতে পারেন। তারা হয়তো এমন কন্ডিশন দিয়ে দেবে যে একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত আপনাকে নির্দিষ্ট গ্রেড মেইনটেইন করতে হবে।

অ্যাপ্লাই করার আগে কোঅর্ডিনেটরকে মেইল করে বিগত বছরগুলোর জিআরই এর কাটঅফ স্কোর জিজ্ঞাসা করে নিন। এতে কিছুটা আইডিয়া পাওয়া যাবে আপনার সম্ভবনা কেমন।

প্রথমবারে রিজেক্টেড হলেও দমে না-গিয়ে পরেরবারে আবারও অ্যাপ্লাই করুন। গ্র্যাজুয়েট স্কুল খুবই কম্পিটিটিভ। হাজারো ভালো ভালো প্রোফাইলের ভিড়ে আপনারটা রিজেক্টেড হতেই পারে। স্প্রিং সেশনে ফান্ড কম থাকলেও মেইল করা উচিৎ। কে জানে, ওই কম ফান্ডের কিছু অংশ আপনার কপালে আছে কি না!

আমেরিকায় ভার্সিটির কমতি নেই। প্রায় সাড়ে তিন হাজারের বেশি ভার্সিটি আছে। তাই মেইল করা, ভার্সিটি সার্চের ক্ষেত্রে কৃপণটা করবেন না।

যে সাবজেক্টে আগে পড়েছেন সেটাতেই হায়ার স্টাডিজে যেতে হবে এমন কোনো মানে নেই। একটা সাবজেক্টের সাথে কানেক্টেড আরও অনেক সাবজেক্ট থাকে। ইকোনমিকসের বিকল্প হতে পারে ডেভেলপমেন্ট

স্টাডিজ। ইংরেজির বিকল্প হতে পারে লিঙ্গুইসটিকস। অ্যানথ্রোপোলজি, হিস্ট্রির সাথে বোধহয় আর্কিওলজির সম্পর্ক রয়েছে। উল্লেখ্য, আর্কিওলজির একটা স্টেম সাবজেক্ট।

★বিগত বছরগুলোতে অ্যাডমিশন পেয়েছে এমন কয়েকটা লো প্রোফাইল:

Prairie View A&M University

CGPA: 2.83

GRE: : 311

IELTS: 7.5

Florida International University

CGPA: 2nd class 1st

GRE: 301 (Quant – 158, V – 143, AW – 2.5)

IELTS: 6.5

Philadelphia University

CGPA: 2.39

GRE: 323 (V-163, Q-160)

IELTS: 8

Rowan Graduate School of Biomedical Science

CGPA: 2.93

GRE: 305 (148.157)

Saint Louis University

BSc 2nd class

IELTS: 7.5

GRE: 302 (V 147, Q 155, AWA 3)

University of Tennesse- Knoxville

CGPA: 2.98

7.0 (W-6.5, R-7.5, S-7.0, L-7.5)

GRE: 303 (V-143, Q-160)

Alabama A&M University

CGPA: 2.71 With 7 F’s

GRE: 305

IELTS: 6.5

CGPA: 2.98/4.00

Texas Tech University

CGPA: 2.98 with four ‘F’ grades

GRE: 318 (Quant: 163, Verbal: 155, AWA: 4)

TOEFL: 114 (R: 29, W: 30, S

★৩.০০ এর নিচে সিজিপিএ একসেপ্ট করে এমন কিছু ভার্সিটি: (সংগৃহীত)

Arkansas State University 2.75

Arkansas Tech University 2.5

Bradley University 2.75

Cal Poly Pomona 2.5

California State University East Bay 2.5

California State University Fresno 2.75

California State University Fullerton 2.5

California State University Long Beach 2.7

California State University North Ridge 2.5

DePaul University 2.5

Eastern Michigan University 2.7

Gannon University 2.5

Humboldt State University 2.5

Jackson state university 2.5

Lamar University 2.5

Louisiana Tech University 2.5

McNeese State University 2.5

New Jersey Institute of Technology 2.8

Pennsylvania State University 2.75

Pittsburg State University 2.5

Texas A&M University Kingsville 2.7

Texas State University San Marcos 2.75

University of Arkansas 2.5

University of Arkansas at Little Rock 2.7

University of Central Missouri 2.8

University Of Colorado Colorado Springs 2.7

University of Illinois Springfield 2.7

University of Louisiana at Lafayette 2.75

University of Memphis 2.5

University of South Alabama 2.5

University of South Dakota 2.7

University of Tennessee at Chattanooga 2.7

University of the District of Columbia 2.5

University of Wisconsin – Milwaukee 2.75

Valparaiso University 2.00

Western lllinois University 2.75

Wright State University 2.7

© Shamim Sharif bhai

প্রফেসরকে ইমেইল করবেন কিভাবে!

প্রফেসরকে ইমেইল করবেন কিভাবে!
Higher Study | Tips & Tricks
3 min read

প্রফেসরকে ইমেইল করবেন কিভাবে!

প্রফেসরকে ইমেইল করবেন কিভাবে!
October 1, 2023

প্রফেসরকে ইমেইল করবেন কিভাবে!

স্নাতকোত্তর পর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্ট্রাল ফান্ডিং ছাড়াও কোরিয়াতে উচ্চশিক্ষায় ফান্ডিং পাওয়ার অন্যতম বড় একটা উৎস হচ্ছে “প্রফেসর’স ফান্ডিং”। এই ফান্ডিং পেতে নিচের তিনটি বিষয় খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

১। প্রথমত, আপনার ব্যাকগ্রাউন্ড (লেখাপড়া + গ্রেড পয়েন্ট + পূর্ববর্তী গবেষণা + ইংরেজি ভাষায় দক্ষতা)।

২। দ্বিতীয়ত, প্রফেসর খুঁজে বের করা।

৩। তৃতীয়ত হচ্ছে আপনার ভাগ্য।

প্রফেসরদের ইমেইল করার সাথে সম্পৃক্ত কিছু ভুল ধারণা নিয়ে প্রথমেই একটু কথা বলে রাখি।

ভুল ধারণা – ১। প্রথমে কিছু টপ-র‍্যাংকের বিশ্ববিদ্যালয় খুঁজতে হবে এবং শুধু ঐসব বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসরদেরকেই ইমেইল করতে হবে।

আপনি যদি সেল্ফ-ফান্ডিং নিয়ে কোরিয়াতে আসতে না চান, তাহলে ইউরোপ-আমেরিকার মত প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয় খোঁজা এবং সেই অনুযায়ী পরবর্তীতে প্রফেসরদের ইমেইল করার মত কাজটা না করায় ভালো হবে। কোরিয়াতে গবেষণার কাজটা খুবই উচ্চমানের এবং এটা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রোফাইলের চেয়ে প্রফেসরদের পার্সোনাল প্রোফাইলের উপর বেশি নির্ভর করে।সুতরাং, উচ্চশিক্ষায় আগে বিশ্ববিদ্যালয় সিলেক্ট না করে প্রফেসর খুঁজে বের করায় শ্রেয়। কিভাবে প্রফেসর খুঁজবেন সেটা যদি খুব সংক্ষেপে বলি, প্রথমে যেকোন বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট থেকে আপনার গবেষণার টপিকটি খুঁজে বের করুন। তারপর সেখান থেকে আপনার গবেষণার সাথে মিলে যায় এমন কয়েকজন প্রফেসর কে খুঁজে বের করুন। বিকল্প হিসাবে, কোন রিসার্চ পেপার বা রিসার্চগেট বা গুগল স্কলার প্রোফাইল থেকে আপনি আপনার পছন্দের কোরিয়ান প্রফেসর খুঁজে বের করতে পারবেন। মনে রাখবেন, এসোসিয়েট প্রফেসরদের ফান্ড বেশি থাকে।

ভুল ধারণা – ২। আমি তো এখনো অনার্সের ফাইনাল পরীক্ষা দেয়নি, আমার রেজাল্ট তো এখনো পাবলিশ হয়নি, আমার তো আইইএলটিএস বা টোফেল দেয়া নেই আমার কি প্রফেসরদের ইমেইল করা ঠিক হবে? আমাকে কি প্রফেসর রিপ্লাই দিবে বা নিতে চাইবে?

আমি বলব এইসব নিয়ে চিন্তা করার কোন কারণই নেই।আপনাকে প্রফেসর রিপ্লাই দিবে কিনা সেটা আপনি একটা ভাষায় কতটুকু দক্ষ শুধুমাত্র সেটার উপরে নির্ভর করে না। একজন কোরিয়ান প্রফেসর আপনার আগের বিশ্ববিদ্যালয়, গ্রেড পয়েন্ট এবং বিশেষত আপনার রিসার্চ এক্সপেরিয়েন্স সহ সবকিছুই দেখবে। আপনার রেজাল্ট পাব্লিশ না হলে বা আইইএলটিএস না দেওয়া থাকলে প্রফেসরকে সম্ভাব্য তারিখ জানিয়ে দিন। মনে রাখবেন প্রফেসর খোঁজা শুরু অনার্স চতুর্থ বর্ষের প্রথম থেকেই করা উচিত।এক্ষেত্রে, প্রফেসরদের আপনার সম্ভাব্য আবেদনের সেশন উল্লেখ করতে ভুলবেন না। সর্বোপরি, আপনাকে নেওয়া বা না নেওয়া এটা প্রফেসরের নিজের মর্জির উপর নির্ভর করে।

ভুল ধারণা – ৩। আমি বাংলাদেশের প্রথম শ্রেণীর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করেছি, আমি তো আমার ব্যাচের টপার ছিলাম, বা আমার সিজিপিএ অনেক ভালো; আমাকে তো প্রফেসর রিপ্লাই দিবেই।

এটি অন্যতম একটি বড় ভুল ধারণা, যেটা যতসম্ভব পরিহার করে ভালো।আপনি প্রফেসরকে এবং তার কাজ সম্পর্কে কতটুকু জানেন,এবং তাকে ইমেইল করার আগে তার প্রোফাইল সম্পর্কে কতটুকু জেনে ইমেইল করেছেন সেটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। একজন কোরিয়ান প্রফেসর আসলে পর্যায়ক্রমে সবদিকই কন্সিডার করবেন।এমন হতে পারে যে আপনার সিজিপিএ অনেক ভালো বা আপনি কোন নামকরা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করে এসেছেন কিন্তু প্রফেসরের আপনাকে পছন্দ হয়নি। আবার এটাও হতে পারে যে আপনি গড়পড়তার একটা প্রোফাইল নিয়ে ইমেইল করে খুব পজেটিভ রিপ্লাই পেয়েছেন। কোরিয়ান অধ্যাপকরা সবসময় অনির্দেশ্য থাকে। সুতরাং, আপনি রিপ্লাই পাবেনই এবং সবাই আপনাকে রিপ্লাই দিবে, এই চিন্তাচেতনা থেকে ফিরে আসতে হবে।

ভুল ধারণা – ৪। আমার প্রোফাইল তো তুলনামূলক বেশ ভালো।আর ইমেল ও তো কম করলাম না, কেউ তো রিল্লাই দেয় না। আসলে আমাকে দিয়ে হবে না।

আপনি আবার ভুল করলেন। রিপ্লাই পাওয়া বা না পাওয়া নিয়ে তিনটি বিষয় খুবই কমন।এক, বেশিরভাগ কোরিয়ান প্রফেসর আপনাকে কোন রিপ্লাই-ই দিবে না। কারন হতে পারে উনার ভ্যাকেন্সি নাই বা উনার আপনার প্রোফাইল পছন্দ হয়নি।আপনাকে তারা আমেরিকার প্রফেসরদের মতো গড়পড়তায় রিপ্লাই দিয়ে আবেদন করতে বলে মূলা ঝুলাবে না। দুই, কিছুকিছু প্রফেসর আপনাকে রিপ্লাইয়ে না করে দেবে এবং কারনটা জানিয়ে দেবে।এক্ষেত্রে যেটা হওয়ার সম্ভাবনা খুব বেশি থাকে সেটা হচ্ছে উনার ল্যাবে ভ্যাকেন্সি নাই। তখন আপনি উনাকে ধন্যবাদ দিয়ে একটা ফিরতি ইমেইলে লিখতে পারেন যে ভবিষতে উনার ল্যাবে স্টুডেন্ট লাগলে আপনাকে যেন দয়া করে জানায়। তিন, কিছু প্রফেসর আপনাকে তখনই রিপ্লাই দিবে যখন সে ভাবছে যে আপনাকে তার ল্যাবের একজন পটেনশিয়াল স্টুডেন্ট হিসাবে কন্সিডার করা যায়। আর কোরিয়ান প্রফেসররা যদি আপনাকে আবেদন করতে বলে, তার মানে হচ্ছে আপনাকে উনি নিতে ইচ্ছুক।

ভুল ধারণা – ৫। একটা ডিপার্টমেন্টের প্রায় সব প্রফেসরকেই ইমেইল করতে হবে। কেউ না কেউ তো রিপ্লাই দিবেই।

দয়া করে এই কাজটি কেউ করবেন না। একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটা ডিপার্টমেন্টের একাধিক প্রফেসরকে একসাথে ইমেইল করা উচিত নয়। আপনি যদি সবাইকে একই কথা লিখেন যে আপনি তাদের কাছে আসতে চান এবং তাদের ল্যাবে কাজ করতে চান তাহলে বিষয়টা অনেকটা এরকম যে আপনি একই সংগে অনেকজন কে বিয়ে করার প্রস্তাব দিলেন কারন সবাই খুব ভালো। সুতরাং এটা করা যাবে না। একই ডিপার্টমেন্টের প্রফেসররা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করেন যে, কে উনাকে ইমেইল করলো বা কে আসতে চাই উনার ল্যাবে। আপনি যদি একই সংগে একই ইমেইল সবাইকে পাঠান, তাহলে নিশ্চয় বুঝতে পারছেন অবস্থা কি দাঁড়াবে। যেটা করতে পারেন, সেটা হচ্ছে একই বিশ্ববিদ্যালয়ের একই ডিপার্টমেন্টের কয়েকজন পটেনশিয়াল প্রফেসরদের নিয়ে একটা শর্ট-লিস্ট করতে পারেন। তারপর সেখান থেকে সিরিয়াল অনুযায়ী প্রথমজনকে ইমেইল করলেন।উনি যদি রিপ্লাই না দেন, তাহলে একসপ্তাহ পর একটা ফলো-আপ ইমেইল করলেন।তারপরও যদি পরবর্তী সাত কার্য দিবসে রিপ্লাই না পান, সেক্ষেত্রে আপনার লিস্টের ২য় প্রফেসরকে ইমেইল করতে পারেন।সেক্ষেত্রে ইমেইল এর ভাষাটা একটু পরিবর্তন হওয়া বাঞ্ছনীয়।

ইমেইলের আদ্যপান্ত

ইমেইল শিষ্টাচার সব শিক্ষার্থীদের কাছে একটা সংগ্রামের মত। ইমেইলে কি কি লিখবেন সেটা যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তদ্রুপ ইমেইলটা কিভাবে লিখবেন সেটাও গুরুত্ববহ।কারন, একজন শিক্ষার্থীর চোখে আপনার ইমেইলটা আপনি যেভাবে দেখেন অন্যপ্রান্তে বসে পেশাদার প্রফেসররা সেভাবে নাও দেখতে পারে।সব কোরিয়ান প্রফেসর ইমেইল সম্পৃক্ত শিষ্টাচার নিয়ে খুবই দৃঢ় মনোভাব পোষণ করেন। নিচে একটা ইমেইল এর প্রথম থেকে শেষ অবধি পর্যায়ক্রমে আলোচনা করা হয়েছে।

১। ইংরেজি ভাষায় দক্ষতা অর্জন

আপনি যখন ইমেইলটি লিখবেন তখন আপনাকে কিছুকিছু বিষয়ে খুবই সচেতন থাকতে হবে। যেমন ধরুন, প্রতিটা শব্দের যথাযথভাবে সঠিক বানান এবং প্রতিটা লাইন ব্যাকরণগতভাবে সঠিক থাকা অত্যাবশ্যকীয়। পাশাপাশি, আপনার শব্দ সিলেকশন অবশ্যই একাডেমীক হতে হবে এবং শব্দের টোন হতে হবে মার্জনীয়। এক্ষেত্রে আপনার ইংরেজি ভাষায় মোটামুটি ভালো দখল থাকা সবথেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আপনার যদি মনেহয় যে আপনি ইংরেজি ভাষায় ব্যাকরণগত ভাবে দুর্বল বা আপনার ব্যাকরণ ত্রুটিপূর্ণ, তাহলে একজন প্রফেসরের সাথে আপনার পেশাদার যোগাযোগ রাখা কঠিন হবে।আপনি কিভাবে লিখছেন সেটার উপরেও নির্ভর করে প্রফেসর আপনাকে রিপ্লাই দেবেন কি না। আপনার যদি এজাতীয় কোন দুর্বলতা থাকে এবং লেখা ত্রুটিমুক্ত কিনা সেটা নিশ্চিত হতে, ইমেইল পাঠানোর আগে লেখাটা প্রুফরিড করে নিতে পারেন।

তবে, ইমেল লেখার বিষয়টা কখনোই বানান আর ব্যাকারণে সীমাবদ্ধ না।আপনার ইমেইল কন্টেন্টের স্পষ্টতাও আর একটা গুরুত্বপূর্ণ প্যারামিটার। আপনার ইমেইলে যদি স্পষ্টভাবের অভাব থাকে তাহলে একজন কোরিয়ান প্রফেসর সেটা কখনই গুরুত্বসহকারে নিবেন না। আরেকটা বিষয় উল্লেখ্য যে, অনেক সময় প্রফেসরদের কাছে পুরোপুরি ছোট হাতের অক্ষরে এবং কোন বিরামচিহ্ন ছাড়াই প্রচুর ইমেইল আসে, সম্ভবত এই ইমেইলটি একটি স্মার্ট ফোনে লেখা হয়েছিল। যাইহোক, স্মার্টফোন দিয়ে প্রফেসরদের ইমেইল করার সময় যথেষ্ট সতর্ক থাকা প্রয়োজন।কারণ এক্ষেত্রেই ইংরেজি লেখাজনিত ভুল বেশি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আমার পরামর্শ হচ্ছে, আপনার যদি স্মার্টফোন ছাড়া অন্যকোন বিকল্প থাকে, তাহলে এটাকে পরিহার করুন। অন্যথা, ইমেলটি পাঠানোর পূর্বে কয়েকবার সতর্কতার সাথে পড়ুন।

২। আপনার ইমেইল এড্রেস কেমন হবে?

স্ব-সচেতনতাই মূলত এখানে গুরুত্বপূর্ণ।ইমেইল পাঠানোর ক্ষেত্রে আপনি অবশ্যই আপনার স্টুডেন্ট ইমেইল ব্যবহার করবেন (যদি থাকে)।উদাহরণ স্বরুপ, আপনি যদি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হয়ে থাকেন, তাহলে পেশাদার যোগাযোগের ক্ষেত্রে আপনি আপনার স্টুডেন্ট ইমেইল আইডি (someone@du.ac.bd) ব্যবহার করবেন। যদি না থাকে, তাহলে নিজের নাম এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে মিল করে একটা ব্যক্তিগত ইমেইল আইডি খুলে নিতে পারেন। যেমন ধরুন,

someone@example.com

lastname.firstname@example.com

someone.birthdate/year@example.com

মনে রাখবেন কখনই শিষ্টাচার বহির্ভূত কোন ইমেইল আইডি প্রফেসরদের ইমেইল করার ক্ষেত্রে ব্যবহার করবেন নাহ। কেউ কেউ coolboy@example.com বা, angelX@example.com এর মত ইমেইল আইডি ব্যবহার করেন। আবার অনেকে ফেসবুকের জন্য যে ইমেইল আইডি ব্যবহার করেন সেটাই প্রফেসরদের ইমেইল করতে ব্যবহার করেন।এগুলো সম্পূর্ণভাবে বর্জনীয়। এই ধরনের ইমেইল আইডি আপনার প্রফেসরের কাছে আপনার সম্পর্কে কোন পেশাদার বার্তা প্রেরণ করেনা যেটা শিষ্টাচার বহির্ভূত।

ব্যক্তিগত ইমেইল ব্যবহারের আর একটা বড় সমস্যা হচ্ছে “স্পাম ফিল্টার”। আপনার ব্যক্তিগত ইমেইল আইডি থেকে পাঠানো ইমেইলটি আপনার প্রফেসরের স্প্যামে চলে যাওয়ার তীব্র সম্ভাবনা রয়েছে যেটা নির্দেশ করে যে প্রফেসার না চাইলেও আপনার ইমেইলটি অপঠিত অবস্থায় থেকে যাবে এবং পরবর্তীকালে ডিলিট হয়ে যাবে। আপনি হয়ত ভাববেন প্রফেসর আপনার ইমেইল এ্যভয়েড করেছেন, কিন্তু আসল বিষয় হল উনি জানেনই না যে আপনি তাকে ইমেইল করেছেন।সর্বপরি এটা গুরুত্বপূর্ণ যে, আপনি যে ইমেইল আইডি ব্যবহার করছেন সে সম্পর্কে আপনি কতটুকু সচেতন বা কতটুকু সচেতনাতার সাথে বিবেচনা করছেন।

৩। প্রফেসরের কোন ইমেইল আইডি সিলেক্ট করবেন?

একজন প্রফেসর একাধিক ইন্সটিটিউট এর সাথে সংযুক্ত থাকতে পারেন, সেক্ষেত্রে ইন্সটিটিউট অনুযায়ী উনার একাধিক ইমেইল আইডি থাকতে পারে।ধরে নিন, আপনার প্রফেসর “X Biomed, Inc” নামক একটা কোম্পানি বা “Y Research Institute” নামক একটা গবেষণাভিত্তিক ইন্সটিটিউট এর সাথে জড়িত। পাশাপাশি, উনি “Z University” এর প্রফেসর। এখন প্রশ্ন আসতে পারে, আপনি ইমেইল করার সময় প্রফেসরের কোন ইমেইল আইডিকে উল্লেখ করবেন। সহজ ভাবে বললে, আপনি উনার বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেইল আইডিতেই ইমেইল করতে পারেন।কারণ, প্রফেসরদের ল্যাব সাধারণত তার বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্থ।আরও একটা সহজ টিপ হচ্ছে, প্রফেসরের ল্যাব ওয়েবসাইটে যান, তারপর সেখানে তার কন্টাক ডিটেইলস-এ যে ইমেইল আইডি পাবেন সেটাইতেই ইমেইল করুন। অনেকে ইমেইলে একজন প্রফেসরের একাধিক ইমেইল এড্রেস উল্লেখ করেন।আমার মতে এটা না করায় শ্রেয়।মনে রাখবেন, প্রত্যেক কোরিয়ান প্রফেসরের কমপক্ষে দুইটি ইমেইল এড্রেস থাকে; এক, বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেইল এড্রেস এবং দুই, নাভের-এর (দক্ষিণ কোরিয়ায় ব্যবহৃত সর্বাধিক কমন পোর্টাল সার্ভিস) ইমেইল এড্রেস। নাভেরের ইমেইল এড্রেস সাধারণত এরকম হয়: someone@naver.com যেটা তাদের পার্সোনাল ইমেইল এড্রেস হিসাবে ব্যবহার হয়।আপনি প্রফেসরকে ইমেইল করার পর আপনার লেখা ইমেইলটা যেন প্রফেসরের চোখ এড়িয়ে না যায় সে জন্য তার প্রফেশনাল ইমেইল এড্রেসের পাশাপাশি পার্সোনাল ইমেইল এড্রেস ও যোগ করে দিতে পারেন।

৪। ইমেইলের সাবজেক্ট কি হবে?

ইমেইলের সাবজেক্ট হল আপনার পুরো ইমেইলের সারসংক্ষেপ।তাই ঠিকমত ইমেইলের সাবজেক্ট লেখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সাবজেক্ট এমন হতে হবে যেন প্রফেসর সাবজেক্ট পড়েই বুঝতে পারেন আপনি কি জন্য তাকে ইমেইল করেছেন। আবার ইমেইলের সাবজেক্ট পেশাদার হওয়াও গুরুত্বপূর্ণ।ইমেইলের সাবজেক্ট একেকজন একেকভাবে লেখেন।যেমন আপনি যদি পিএইচডি তে আসতে চান, তাহলে লিখতে পারেন Prospective Ph.D. Student । আবার যদি মাস্টার্সে আসতে চান, লিখতে পারেন Prospective Masters Student । এখানে সমস্যা হল প্রফেসরের ল্যাব ওয়েবসাইটে শুধুমাত্র লেখা থাকে তার ল্যাবে ভ্যাকেন্সি আছে কিনা বা উনি পটেনশিয়াল স্টুডেন্ট চাচ্ছেন কি না। মাস্টার্স বা পিএইচডি এর কথা আলাদা ভাবে খুব কম প্রফেসরের ওয়েবসাইটে লেখা থাকে। ধরা যাক, আপনি বাংলাদেশ থেকে অনার্স শেষ করেছেন এবং কোরিয়াতে একজন প্রফেসরের ল্যাবে আপনি মাস্টার্স স্টুডেন্ট হিসাবে আসতে চান। কিন্তু প্রফেসরের ল্যাবে নিদির্ষ্ট প্রজেক্টের অধীনে দীর্ঘ সময়ের জন্য একটা স্টুডেন্ট লাগবে। সেক্ষেত্রে প্রফেসর পিএইচডি স্টুডেন্টই চাইবেন। আপনি যেহেতু লিখেছেন মাস্টার্স স্টুডেন্ট হিসাবে আসতে চান, সেহেতু প্রফেসর আপনার ইমেইল ইগনর করতে পারে। আপনি সেফটি হিসাবে Prospective Graduate Student সাবজেক্টটি লিখতে পারেন। এক্ষেত্রে প্রফেসরের আপনাকে ইগনর করার সম্ভাবনা কম।এই সাবজেক্ট পছন্দের আর একটা উপকারী দিক হচ্ছে প্রফেসরের ল্যাবে মাস্টার্স বা পিএইচডি যে ধরনের স্টুডেন্টই দরকার হোক না কেন আপনার সাথে প্রফেসরের কথোপকথন আগাবে। যেহেতু আপনি মাস্টার্স খুঁজছেন কিন্তু প্রফেসরের দীর্ঘ সময়ের জন্য স্টুডেন্ট প্রয়োজন সেক্ষত্রে আপনি উনাকে মাস্টার্স-লিডিং পিএইচডি এর অপশনটা দিতে পারেন।

এবার আসা যাক কিছু ভূল সাবজেক্ট এর দিকে।অনেকে লেখেন, Want to research with you বা Looking for funding opportunities । আমার ব্যক্তিগত মতমত হচ্ছে কখনই এই ধরনের সাবজেক্ট ব্যবহার করবেন নাহ। কারন, আপনার দরকার ডিগ্রীর পাশাপাশি রিসার্চ এক্সপেরিয়েন্স।পিএইচডি এর পর পোস্ট-ডক যারা করেন তারাই শুধুমাত্র রিসার্চ করেন। আপনার ক্ষেত্রে লেখাপড়া আর রিসার্চ দুইটাই দরকার।অন্যদিকে, প্রথম ইমেইলে টাকা পয়সা নিয়ে কথা বলা শিষ্টাচার বহির্ভূত একটা কাজ। আর আপনি যখন কোন প্রফেসরকে লিখবেন, এটার মানেই হচ্ছে আপনি উনার প্রজেক্টে কাজ করতে চান এবং সেই প্রজেক্ট থেকেই আপনার বৃত্তি দেওয়া হবে। এটা খুবই সাধারণ। সুতরাং আলাদা করে ফান্ডিং এর কথা সাবজেক্টে উল্লেখ করার দরকার নাই।

৫। প্রফেসরকে কিভাবে সম্বোধন করবেন?

আপনি আপনার প্রফেসরকে প্রথম ইমেইলে কিভাবে সম্বোধন করছেন সেটার উপর অনেকাংশে নির্ভর করে আপনি রিপ্লাই পাবেন কিনা।এটা আবার আপনার পেশাদার আচারণেরও পরিচয় দেয়।ইউরোপ-আমেরিকার মত আপনি প্রফেসর কে Hi/Hello দিয়ে শুরু করতে পারবেন নাহ। যেমন কোন আমেরিকান প্রফেসরের নাম যদি হয় স্মিথ, তাহলে আপনি সহজেই তাকে Hi Smith দিয়ে শুরু করতে পারেন। কিন্তু এটাকে একজন কোরিয়ান প্রফেসর বেয়াদবি মনে করেন।তারা স্টুডেন্টদের থেকে একটি আনুষ্ঠানিক অভিবাদন এবং পেশাদার অবস্থানের স্বীকৃতি আশা করেন। যেমন ধরুন,কোন প্রফেসরের নাম যদি হয় Don Yuk Park, তাহলে আপনি তাকে Dear Prof. Park বলে সম্বোধন করতে পারবেন।কোরিয়ান প্রফেসরদের শেষ নামটাই বংশগত নাম যেটা দিয়ে সাধারণত তাদেরকে ডাকা হয়। তবে আপনি যদি তাদের শেষ নাম নিয়ে স্বীদ্ধান্তহীনতায় ভুগেন, তাহলে আমার সাজেশন হচ্ছে আপনি তার পুরো নামটাই ব্যবহার করতে পারেন (যেমন, Dear Prof. Don Yuk Park)। এটা হচ্ছে কোন কোরিয়ান প্রফেসরকে সম্বোধন করার সবচেয়ে সাধারণ উপায়।

অনেকেই আবার লেখেন Dear Dr. Someone; এটা মনেরাখা খুব জরুরী যে কোরিয়াতে পোস্ট-ডক বা রিসার্চ প্রফেসরদের ডক্টর বলে ডাকা হয়। আপনি একজন প্রফেসর কে ডক্টর বলে সম্বোধন করতে পারবেন না।আপনি যাকে লিখছেন উনার পেশাদার পজিশন সহকারী বা সহযোগী অধ্যাপক যাই হোক না কেন, তিনি তাকে প্রফেসর বলে সম্বোধন করাটাকেই পছন্দ করেন।একইভাবে আপনি মিস্টার বা মিসেস/মিস দিয়েও কোন প্রফেসরকে সম্বোধন করতে পারবেন না। কারন মিস বা মিসেস বলে সম্বোধন করলে প্রফেসরের বৈবাহিক অবস্থা পরিবর্তন হওয়ারও সম্ভাবনা থাকে। আর একটা দিক উল্লেখ করা প্রয়োজন।সেটা হচ্ছে, বাংলাদেশে অবস্থান করা শিক্ষার্থীদের প্রফেসরদেরকে স্যার বলে ডাকার একটা অভ্যাস থেকে যায়। এটা যত সম্ভব ইমেইলে পরিহার করা উচিত।

যাইহোক, নিজের প্রশংসা অন্যের মুখ থেকে কে না শুনতে চায়! প্রফেসরদের সম্বোধন করার আর একটা দিক হচ্ছে আপনি লিখতে পারেন, Dear Amazing Scientist Prof. Park (এই ধরনের সম্বোধন তখনই করবেন যখন আপনার প্রফেসরের রিসার্চ ফিল্ড নিয়ে আপনার দক্ষতা অনেক এবং তার কাজ দেখে আপনি খুবই মুগ্ধ।আপনি তার কাজ নিয়ে যখন গুরুগম্ভীর কোন মন্তব্য করতে পারবেন। অন্যথায়, তেল দেওয়া সবাই বুঝে)। তবে আপনি যেভাবেই প্রফেসরকে সম্বোধন করুন না কেন প্রফেসরের নামের বানানের ক্ষেত্রে আপনাকে খুবই সচেতন এবং যত্নবান হতে হবে।

৬। প্রফেসরকে অভিবাদন কিভাবে করবেন?

যেহেতু কোনও ইমেলের অভিবাদন সাধারণত দুটি শব্দ থাকে, তাই এটি উপেক্ষা করা সহজ। তবে, অভিবাদনটি যত্ন সহকারে বিবেচনা করা দরকার, বিশেষত এটি আপনার ইমেলের প্রথম লাইন।প্রথমে নিশ্চিত করুন যে আপনি এটি অন্তর্ভুক্ত করেছেন! আপনার ইমেইলের মূল অংশ পড়ার আগেই এধরনের শুভেচ্ছা আপনার ভদ্রতা ও পেশাদার আচারনের পরিচয় দেয়। আপনি আপনার নিজের মত করে প্রফেসরকে অভিবাদন জানাতে পারেন। আবার,আপনি পরিস্থিতি সাপেক্ষে একটি নৈমিত্তিক অভিবাদন ও জানাতে পারে। ধরা যাক, আপনি করোনার এই পরিস্থিতির মধ্যে কোন একজন প্রফেসরকে ইমেইল করেছেন।আপনি লিখতে পারেন, I hope you are well amide this COVID-19 situations.

৭। ইমেইলের বডি প্যারাগ্রাফ কেমন হবে?

৭. ১। প্রথম প্যারাগ্রাফ

প্রফেসরকে অভিবাদন জানানোর পর আপনার কাজ হবে আপনার নিজের পরিচয়টা দেওয়া। লেখার সময় আপনাকে মনে রাখতে হবে যে একজন প্রফেসর সারাদিনে প্রচুর ইমেইল পান। একই সাবজেক্টের অধীনে এই ইমেইল গুলো সারা পৃথিবীর বিভিন্ন শিক্ষার্থীদের থেকে আসে। আপনি যখন আপনার প্রফেসরকে ইমেইল করবেন এবং নিজেকে সঠিকভাবে সনাক্ত না করেন, তখন একজন প্রফেসরের কাছে আপনাকে মনে রাখা কঠিন হয়ে পড়ে। এমনিতেই অনেক বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের নাম কোরিয়ানরা উচ্চারণ করতে পারেন নাহ যেমন ধরুন মৃত্যুঞ্জয় বা জগন্নাথ।আবার আমাদের অনেকের নামের সাথে যেহেতু মোঃ, হোসেন, ইসলাম ইত্যাদি থাকে, সেহেতু আপনি যদি আপনার পুরো নাম না লেখেন সেক্ষেত্রে সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে। একজন কোরিয়ান প্রফেসর বাংলাদেশ থেকে শতশত শিক্ষার্থীর ইমেইল পান, তাই পাসপোর্ট বা সার্টিফিকেট অনুযায়ী আপনার পুরো নাম লেখাটাই কাম্য।

আপনার নামের পরে আপনার পরিচয়টা ছোট করে দিয়ে দিবেন। যেমন আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা, কোন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করেছেন ইত্যাদি, ইত্যাদি। বাংলাদেশে আপনার বিশ্ববিদ্যালয়ের র‍্যাংকিং, কত কঠিন এ্যাডমিশন টেস্ট দিয়ে চান্স পেয়েছিলেন, আপনার ব্যাচে সিজিপিএ অনুযায়ী আপনি কত নাম্বারে ছিলেন এসব দেওয়ার প্রয়োজন নেই। এর পরে এক লাইনেই লিখবেন যে আপনি তার কাজে খুবই মুগ্ধ এবং তার সাথে কাজ করতে চান। সর্বোচ তিন চার লাইনেই আপনাকে এই প্যারাগ্রাফ শেষ করতে হবে।

৭.২। মূল প্যারাগ্রাফ

এটা হচ্ছে আপনার ইমেইলের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ অংশ। প্রফেসর আর আপনার কাজের উপর ভিত্তি করে এই প্যারাগ্রাফ গুলো সাধারনত তিনটা ভাগে বিভক্ত।

ক। আপনার এবং প্রফেসরের কাজের ধরন একই রকম

খ। আপনার এবং আপনার প্রফেসর কাজের ধরন আলাদা কিন্তু আপনি উনার সাথে কাজ করতে চান

গ। আপনার কোন রিসার্চ এক্সপেরিয়েন্স নেই। আপনি আপনার অনার্সের সাবজেক্টের সাথে ম্যাচ করে এমন কোন প্রফেসর পেলেই তার ল্যাবে চলে যাবেন।

প্রথমেই আসা যাক সেকশন “ক” এবং “খ” নিয়ে। নিয়ে। এই দুইটা সেকশনের প্যারাগ্রাফ প্রায় একই। সেকশন দুটিতে তে আপনি প্রফেসরের কাজ নিয়ে লিখবেন। খুব অল্প কথায় নিজের কাজের অভিজ্ঞতাও শেয়ার করবেন। নিজের পেপারের টাইটেল দিতে যাবেন না। তবে পাবলিকেশন থাকলে সেটা উল্লেখ করতে পারেন। ভালো হয় যদি আপনি প্রফেসরের কোন কাজ নিয়ে তাকে প্রশ্ন ছুড়ে দিতে পারেন। প্রশ্নটা হবে আপনি জানতে চান এরকম। এতে করে প্রফেসর বুঝবে যে আপনি তাকে লেখার আগে তার কাজ নিয়ে বিস্তারিত ঘাটাঘাটি করেছেন। পাশাপাশি, তার ল্যাবে আপনার কাজ করার তীব্র আকাঙ্ক্ষার বিষয়টিও প্রকাশ পাবে। তবে প্রশ্ন করতে গিয়ে এমন কিছু লিখবেন না যাতে প্রফেসরের কাজে ভূল আছে বা আরো কি কি করার দরকার ছিল উনারা করেনি এরকম কিছু ইংগিত দেয়। আপনার পেপার না থাকলে আপনার আন্ডারগ্রেডের থিসিস নিয়েও কথা বলতে পারেন। তবে খেয়াল রাখবেন যে আপনার মূল লক্ষ্য হচ্ছে প্রফেসরের কাজের সাথে আপনার কাজের যোগসূত্র তৈরী করা। আপনার আর আপনার প্রফেসরের কাজের যদি পার্থক্য থাকে, তাহলে আপনি আপনার ইন্টারেস্টের কথা তাকে জানাতে পারেন। আপনার পূর্ববর্তী অভিজ্ঞতা দিয়ে আপনি তার কাজে কিভাবে কন্ট্রিবিউট করতে চান সেটাও জানাতে পারেন।

সেকশন “গ” এর জন্য লেখাটা হবে একটু অন্যরকম। আপনি প্রফেসরের কাজ নিয়ে পড়েছেন (কি কি পড়েছেন সেটা উল্লেখ করা বাধ্যতামূলক) এবং তার সাথে কেন কাজ করতে চান সেটাও লিখতে হবে। আপনার নিজেকে নিয়ে যদি লেখার কিছু না থাকে তাহলে আন্ডারগ্রেডে আপনার মেজর কিছু সাবজেক্টের কথা উল্লেখ করতে পারেন যাতে করে প্রফেসর বুঝে যে তার রিসার্চ ফিল্ড নিয়ে আপনার মৌলিক ধারনা আছে। উদাহরণস্বরূপ, আপনার ব্যাচেলর ছিলো কৃষিবিদ্যা তে এখন আপনার প্রফেসর কাজ করেন ভূট্টার নতুন জাত উদ্ভাবনে।আপনি এক্ষেত্রে আপনার ব্যাচেলরের কিছু গুরুত্বপূর্ণ সাবজেক্ট যেমন প্ল্যান্ট বায়োকেমিস্ট্রি বা প্ল্যান্ট মলিকুলার বায়োলজি এর মত কিছু গুরুত্বপূর্ণ সাবজেক্টের কথা উল্লেখ করতে পারেন।

পরের প্যারাগ্রাফে আপনি কি কি বিষয় নিয়ে কাজ করতে চান, কেন চান, এই প্রফেসর বা তার ল্যাবের সুযোগ সুবিধা কিভাবে আপনার কাজ করতে সাহায্য করবে সেটা ২-৩ লাইনে লিখে দিবেন।

৭.৩। শর্ট প্রফাইল

শর্ট প্রোফাইল হচ্ছে আপনার সিভি বা রিজিউমের বোল্ড পয়েন্ট গুলো পয়েন্ট আকারে দেওয়া। যেমন আপনার সিজিপিএ, পেপারের সংখ্যা, কত বছরের রিসার্চের অভিজ্ঞতা আছে, ইংলিশ স্কোর এইগুলো। অনেক ক্ষেত্রে প্রফেসরদের আপনার সিভি ডাউনলোড করে পড়ার সময় থাকে নাহ।আর আপনার যদি মনেহয় যে আপনার এমন কিছু আছে যার কারনে আপনি উনার ল্যাবের একজন পটেনশিয়াল ক্যান্ডিডেট তাহলে আপনি সিভিতে শর্ট প্রোফাইল ব্যবহার করতে পারেন।

এটি একটি ছোট বা তুচ্ছ নোটের মতো মনে হতে পারে তবে এটি অবশ্যই আপনার প্রোফাইলকে ইতিবাচক এবং অনুকূল করে তুলবে। বিশেষ করে যে ইমেইল গুলোর মধ্যে এগুলো উল্লেখিত হয় না।

৭.৪। শেষ প্যারাগ্রাফ

শেষ প্যারাগ্রাফে আপনি প্রথমেই লিখবেন যে, আপনি উনার রিসার্চ ফিল্ডে একজন পটেনশিয়াল কন্ট্রিবিউটর হতে পারেন যদি আপনি তার সাথে কাজ করার সুযোগ পান। আপনার ইমেইলে সমস্ত লেখার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হচ্ছে প্রফেসরকে স্কাইপি তে নিয়ে আসা। একবার যদি আপনি প্রফেসরকে ইন্টার্ভিউ এর জন্য রাজি করাতে পারেন, তাহলে আপনার চান্স অনেক বেড়ে যাবে। আপনি কথাটা এভাবে লিখতে পারেন যে, যদিও আপনি আপনার সিভি বা রিজিউম সংযুক্ত করে দিয়েছেন কিন্তু আপনি সরাসরি আপনার পিএইচডি এর প্ল্যান নিয়ে উনার সাথে কথা বলতে চান। সবশেষে, আপনি প্রফেসরকে তার সময়ের জন্য ধন্যবাদ দিয়ে আপনার আপনার লেখা শেষ করবেন।

৮। সাইন-অফ

আপনি ইমেইলের সাইন-অফ করার আগে প্রফেসর কে উদ্দ্যেশ্য করে একটি প্রশংসামূলক বিদায় অন্তর্ভুক্ত করা জরুরী। তবে এক্ষেত্রে কোন অযৌক্তিক সাইন অফ ব্যবহার করবেন না। একটি সাধারণ সাইন-অফে নৈমিত্তিক এবং পেশাদার ভারসাম্য রাখতে “Best Regards” বা “Sincerely” এর মতো কিছু শব্দ ব্যবহার করতে পারেন। ভুল করেও “Cheers” এর মতো কোন অপেশাদার শব্দ লিখবেন না। কারণ আপনি যাকে ইমেইল করছেন তার সাথে আপনার বন্ধু সুলভ আলাপচারিতা নেই। এরপর, আপনি আপনার পুরো নাম লিখে শেষ করুন। অনেকে শুধু নিজের নামের প্রথম অংশ লেখেন যেটা যত সম্ভব পরিহার করা উচিত।

৯। স্যাম্পল ইমেইল ফরমেট

পরের পৃষ্ঠায়সাধারণ শিক্ষর্থীদের জন্য একটা ফরমেট দেওয়া হলো। দয়া করে কেউ কপি-পেস্ট করবেন না।

Dear Amazing Scientist Prof. X,

Congratulation on your contribution to biomedical research by publishing more than 200 research works with above 10000+ citations (please check the citations of your professor) and an ever-growing plethora of original patents.

I am (your full name), a recent BSc graduate from (name of your university), Bangladesh, planning to apply as a Master-leading Ph.D. applicant for spring 2021 in the (name of the department you’re intending to apply) at (name of the university you’re intending to apply). I am writing to you because my research interests are exactly similar to yours and I am highly fascinated by your research domains.

Before writing you, I carefully looked at your lab website and studied your recent papers entitled “A novel mechanism is involved in cationic lipid-mediated functional siRNA delivery” published in Nano Letters in 2018. I believe that the twenty-first century’s cancer research has jumped a step further because of your finding on the intracellular function of siRNA. In my case, I found that a novel pathway mediated by direct fusion between siRNA lipoplexes and plasma membrane is responsible for the functional delivery of siRNA into the cell. Even though, endocytosis pathway contributed most to the cellular uptake functions of siRNA lipoplexes. Practically, I intend to find out answers to several open questions that are aligned to immunogenetics, antitumor T cell function, negative checkpoints, and so many which seem exactly similar is being currently conducted by your team.

Currently, I am working as a (your current status, i.e. Research Assistant) in the (name of your employer, i.e. Cancer Biology Lab, DU). I hope I am mature enough to considerably contribute to your research and continue your succession. Please look at my short profile below.

BSc in Biochemistry CGPA xx/4.0

Research Experience: x years

No. of Publication: xx

IELTS: xx

I have also attached my full profile here which provides a review of my training and research experiences and will be happy to furnish you with any further details about me or my competency. Please find the attached. I would be really grateful if you could give me the floor to discuss my research plan with you in a Skype interview.

Thanking you for your time. I am eagerly waiting for your reply.

Sincerely,

Your full name

১০। ব্রাউজার এক্সটেনশন ব্যবহার করবেন কিনা!

ইমেইল ট্র‍্যাকিং সিস্টেম এমন একটি বিষয় যেটা ব্যবহার করে আপনি জানতে পারবেন প্রফেসর আপনার ইমেইলটি খুলে দেখেছেন কি না। এটা খুবই উপকারী একটা জিনিস। তবে এরকম কিছু ব্যবহার করলে অবশ্যই খেয়াল রাখবেন যেন ইমেইলের সাথে এক্সটেনশনের ট্যাগ না যায়।

১১। ইমেইল কখন পাঠাবেন?

প্রফেসরকে ইমেইল করার ক্ষেত্রে অবশ্যই নিশ্চিত হয়ে নিবেন আপনার ইমেইল যেন অফিস টাইমে যায়। অফিস টাইম বলতে সকাল নয়’টা। অর্থাৎ, আপনাকে এমন সময় ইমেইলটা পাঠাতে হবে যেন প্রফেসর তার ইমেইল খুললেই আপনার ইমেইলটা সবার উপরে থাকে। আপনি যদি এসময়ের বাইরে ইমেইল করেন তাহলে দুটি ব্যাপার ঘটবে।এক, খুব দ্রুত ইমেইল এর রিপ্লাই পাওয়ার সম্ভাবনা নেই। দুই, উনি যখন ইমেইল চেক করবেন তখন দরকারী-অদরকারী ইমেইলের ভিড়ে আপনার ইমেইল ধামা-চাপাও পড়ে যেতে পারে।

১০.১। কিভাবে জিইমেইল শিডিউলার ব্যবহার করবেন?

দক্ষিণ কোরিয়ার সময় বাংলাদেশ সময়ের চেয়ে তিন ঘন্টা এগিয়ে। মানে হচ্ছে, বাংলাদেশে যখন সকাল ছয়’টা কোরিয়াতে তখন সকাল নয়’টা। একটা ইমেইল করার জন্য কি তাহলে সারা রাত জেগে থাকতে হবে? উত্তর হচ্ছে না।আপনি এধরণের সময় জটিলতা এড়াতে ইমেইলের টাইম শিডিউল অপশনটির সাহাজ্য নিতে পারেন। উদাহরণস্বরূপ, জিমেইলের টাইম শিডিউল কিভাবে ব্যবহার করবেন তা নিচে চিত্র আকারে দেওয়া হল।

১২ । যদি আপনি ইমেইলের রিপ্লাই না পান তাহলে কি করবেন?

আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা অনুযায়ী, একজন কোরিয়ান প্রফেসরকে ইমেইল করার পরে সবচেয়ে বেশি সম্ভাবনা হচ্ছে মেইলের রিপ্লাই না পাওয়া। আপনি যদি মেইলের রিপ্লাই না পান সেক্ষেত্রে আপনার কি করা উচিত? অপেক্ষা করবেন? কতদিন? এই সব প্রশ্নের উত্তর হচ্ছে আপনি যদি এক সপ্তাহের মধ্যে রিপ্লাই না পান তাহলে প্রফেসর কে একটা ফলো-আপ ইমেইল করতে পারেন। সৰ্বোচ্চ তিন চার্ লাইনের মধ্যে উনাকে একটা রিমাইন্ডার দেওয়া যে আপনি উনাকে ইমেইল করেছিলেন এবং উনার রিপ্লাইয়ের জন্য অপেক্ষা করছেন। ফলো-আপ করতে গিয়ে আবার রচনা লিখতে বসবেন না। একটা আদর্শ ফলো-আপ ইমেইল কেমন হতে পারে তার নমুনা নিচে দেওয়ার আগে একটা কথা বলে রাখি, আপনি ফলো-আপ ইমেইল করার পরেও যদি প্রফেসর আপনাকে রিপ্লাই না দেন তাহলে আপনি ঐ ডিপার্টমেন্টের অন্য প্রফেসরকে ইমেইল করতে পারেন।

Dear Prof. X,

I emailed you back on August 19th, 2020, regarding my chances of joining your lab as a Graduate Research Assistant. Perhaps you were busy. I understand your busy schedule. However, I am still waiting for your reply.

Sincerely,

Your full name

আপনার উচ্চশিক্ষার এই পথচলায়, দক্ষিণ কোরিয়ায় বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের কেন্দ্রীয় সংগঠন বিএসএকে-এর পক্ষ থেকে জানাই অগ্রীম শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।

© শাতিল শাহরিয়ার

রাসায়নিক এবং জৈবিক প্রকৌশল বিভাগ

কোরিয়া ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব ট্রান্সপোর্টেশন

আমেরিকায় উচ্চশিক্ষা ফল ২০২৪

Higher Study | IELTS | USA
1 min read

আমেরিকায় উচ্চশিক্ষা ফল ২০২৪

September 30, 2023

আমেরিকায় উচ্চশিক্ষা ফল ২০২৪

ফল ২০২৪ সালের আবেদন শুরু হবে মোটামুটি নভেম্বর-২০২৩ থেকে। যারা এটা ধরতে চাও তাদের জন্য কিছু পরামর্শ। সঠিক তথ্য ও প্রস্তুতির অভাবে অনেক সময় জীবন থেকে মূল্যবান সময় হারিয়ে যায়।

১। IELTS/TOEFL/GRE এর প্রিপারেশান নেওয়ার সময় এখনই

যারা অনার্স ফাইনাল ইয়ার/ফাইনাল সেমিস্টারেও আছো, তারা এখন থেকেই IELTS এর প্রিপারেশান শুরু করে দাও। মনে রাখবা, এপ্লিকেশন দেওয়ার পরেও স্কোর পাঠানোর সুযোগ থাকে। তাই এখনো সময় বাকি আছে। আমি এমনো দেখেছি যে, জানুরারীতে পরীক্ষা দিয়ে, একদম শেষ সমইয়ে স্কোর পাঠাইছে (কিছু ইউনিভার্সিটির এপ্লিকেশান ডেডলাইন থাকে জানুয়ারী ৩১ পর্যন্ত)। তবে ভালো হয়, যদি অক্টোবর-২০২৩ এর মাঝেই পরীক্ষা দেওয়া যায়। কারণ তাহলে স্কোর অনুযায়ী আবেদন করা যেতে পারে।

২। প্রয়োজনে অনলাইনে পরীক্ষা দেওয়ার মানসিকতা

সামনে নির্বাচন থাকার কারণে কেউ যদি মনে করে যে এখন নতুন শহরে মুভ করা কঠিন, তাহলে মনে রাখা দরকার যে এখন অনেক পরীক্ষা অনলাইনেও দেওয়া যায়। তবে তার জন্য নিজেকে একটু অন্যভাবে প্রস্তুত করতে হবে (যেমন কাগজে-কলমে লেখা প্র্যাকটিস না করে, কি-বোর্ডে টাইপ করতে হবে)। তারপরেও, এই মানসিকতার কারণে অন্যদের চেয়ে তুমি একবছর এগিয়ে থাকতে পার।

৩। টাকা-পয়সার ব্যাবস্থা রাখা

এখন IELTS/TOEFL/GRE পরীক্ষা দিতে প্রায় ২১/২২ হাজার টাকা লাগে। তাই, এটার জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকা। মনে রাখতে হবে, প্রয়োজনে একাধিক পরীক্ষা দেওয়া লাগতে পারে। একবারে ভালো স্কোর নাও আসতে পারে। তুমি যদি মাত্র ২২ হাজার টাকার জন্য আর একবার পরীক্ষা না দিয়ে, যা স্কোর আছে তাই নিয়ে এপ্লাই করো, তাহলে পরে আফসোস করতে হতে পারে। কারণ, একবার আমেরিকায় আসতে পারলে এখানকার একমাসের টাকায় তোমার সকল খরচ উঠে আসতে পারে। তাই লাগলে একাধিকবার চেষ্টা করা দরকার এবং তার জন্য টাকার ব্যবস্থা করতে হবে। মোটামুটি যেকোনো একটা ইউনিভার্সিটিতেও আবেদন করার জন্য ৬.৫/৭ স্কোর লাগে IELTS এ, ৩০০-৩১০ GRE তে।

৪। আবেদন করার জন্য কিছু খরচ হাতে রাখা

অনেক সমর কিছু ইউনিভার্সিটি এপ্লিকেশান ফিস নেয় ৫০-১৫০ ডলার, মানে ৬ হাজার থেকে ১৮ হাজার টাকা পর্যন্ত। তাই মোটামুটি ৫ টি ইউনিভার্সিটিতে আবেদন করার জন্য ৫০ হাজার টাকা হাতে রাখা ভালো। কখনো কখনো ইউনিভার্সিটি আবেদন খরচ না নিলেও, অনেক ডকুমেন্ট পাঠানো লাগে DHL/FedEX এগুলোতে। তাই তার জন্যেও প্রস্তুত থাকা দরকার। সাধারণত একটা ইউনিভার্সিটিতে ডকুমেন্টস পাঠাতে ২.৫ হাজার টাকা লাগে।

৫। আগেভাগে কাঙ্ক্ষিত ইউনিভার্সিটির ব্যাপারে খোঁজ-খরব নেওয়া

US News Ranking নামে একটা ওয়েবসাইট আছে, যেখান থেকে কোন ইউনিভার্সিটিতে কেমন কী লাগে (সিজিপিএ, IELTS/TOEFL/GRE স্কোর) তার ধারণা পাওয়া যায়। তাই নিজের যোগ্যতা অনুযায়ী ইউনিভার্সিটির একটা শর্টলিস্ট তৈরী করে নেওয়া যেতে পারে। লিংক নিচে দেওয়া হলো: https://www.usnews.com/education/best-global-universities/rankings

৬। প্রফেসরদের সাথে যোগাযোগ করা

আগে থেকে প্রফেসরদের সাথে যোগাযোগ করলে, তারা অনেক সময় সিভি দেখে কিছু ধারণা দেয়। যদি পজেটিভ কিছু বলে, তাহলে সে-সমস্ত ইউনিভার্সিটিতে আবেদন করলে ফান্ডিং পাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে। তাই এখন থেকে ইমেইল-এ যোগাযোগ করা দরকার। সাথে সাথে নিজের দেশের, নিজের ইউনিভার্সিটির প্রফেসরদের থেকেও যোগাযোগ করা দরকার। কারণ প্রত্যেকটি আবেদনের সাথে ৩ টি করে রেফারেন্স লেটার দিতে হয়। তাই প্রফেসরদের যদি আগে থেকেই আইডিয়া দেওয়া থাকে, তাহলে উনারা তোমার জন্য আলাদা একটা সময় বরাদ্দ রাখবেন।

৭। আগে-ভাগে আবেদন শেষ করা

প্রস্তুতি শেষ হওয়ার সাথে সাথে যত দ্রুত সম্ভব আবেদন করে ফেলা দরকার, ডেডলাইন এর অপেক্ষায় না-থেকে। কারণ, একটা ইউনিভার্সিটি হয়তো এক বছরে একটি সাবজেক্টে ৩-৫ জন ছাত্র-ছাত্রী নিয়ে থাকে (ফান্ডেড)। তাই তারা যদি অন্য কাউকে কথা দিয়ে ফেলে আর এরপর তুমি আবেদন কর, তাহলে সেটা বৃথা। তবে হ্যাঁ, প্রস্তুতি না শেষ হলে তো আর কিছু করার নেই। সেক্ষেত্রে প্রফেসরদের সাথে ইমেইল করা গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, প্রফেসর কথা দিলে তোমার আবেদন করার অপেক্ষায় থাকবেন। এখানে মিথ্যা ওয়াদা বলে কিছু নাই, প্রফেসর যদি ইয়েস বলেন তো ইয়েস। আরো হয়তো অনেক টিপস দেওয়ার আছে কিন্তু সব মাথায় আসছে না। পরবর্তী সপ্তাহে আরো কিছু লেখার চেষ্টা করবো। আর তোমাদের কিছু প্রশ্ন থাকলে সেগুলোও শেয়ার করতে পারো।

মোঃ আরিফুল ইসলাম পি এইচ ডি গবেষক বিঙ্গহ্যামটন ইউনিভার্সিটি, নিউ-ইয়র্ক, আমেরিকা।

The Best Universities in the World, Ranked

Higher Study | IELTS
1 min read

এইচএসসি পাশ করার পরে বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য করণীয় কি?

September 25, 2023

এইচএসসি পাশ করার পরে বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য করণীয় কি?

তোমরা যারা এই মূহুর্তে HSC 2023 পরীক্ষা শেষ করতে যাচ্ছো/আপনাদের যাদের সন্তানেরা এই ধাপে আছে তাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কিছু পরামর্শ।

১) তুমি যদি পাব্লিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে চাও তবে তা চেষ্টা করবে এমনটিতে চান্স পেতে যেখানে তুমি বাসা থেকে গিয়ে নিয়মিত ক্লাস করতে পারো। তার বাহিরে হলে পাবলিকে পড়ার অলীক মায়া ত্যাগ করো!

২) মোটামুটি মানের একটি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে (পারিবারিক সামর্থ্য অনুযায়ী) ভর্তি হয়ে যাও। এবং সাথে সাথেই পুরোধমে IELTS/TOEFL/SAT/** এর প্রিপারেশন নিতে থাকো। টার্গেট ৬-১২ মাস সর্বোচ্চ। এর মধ্যেই ইউরোপ, আমেরিকা, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, জাপানে স্টুডেন্ট ভিসায় চলে আসো।

৩) যারা অত্যন্ত গরীব, যাদের পাবলিকে পড়ার বিকল্প সামর্থ্য নেই। তার নিশ্চয়ই পড়বে। তবে সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে হলে না থাকার। প্রয়োজনে কারও বাসায় তাদের সন্তানদের পড়ানোর বিনিময়ে প্রাথমিক পর্যায়ে থাকবে। তবু্ও হলে থাকা যাবে না। তারপর একাধিক টিউশন করে হলেও ক্যাম্পাস থেকে দূরে প্রাইভেট বাসায় থাকা শুরু করবে। তবে একান্তই যদি শুরুতে তা না করতে পারো তবে হলে থাকবে সর্বোচ্চ ৬ মাস! এর মধ্যে টিউশন নিয়ে চলে যাবে।

৪) যে সকল অভিভাবক তাদের সন্তানদের বাধ্য হয়ে পাবলিকে পাঠাচ্ছেন তাদের প্রতি অনুরোধ আপনার সন্তানকে যেন বাধ্য হয়েও কোন পলিটিকাল পার্টির সাথে যুক্ত হতে না হয়ে তার জন্য সর্বোচ্চ সহযোগিতা করুন। যদি তা মহান সৃষ্টিকর্তার দলও হয়! তাকে বলবেন একদম মাথা নিচু করে এমন ভাবে পড়াশোনা করতে যেন গোটা দুনিয়ার বড় বড় কোম্পানি/বিশ্ববিদ্যালয় তাকে চাকরি দিতে বা মাস্টার্সে স্কলারশিপ দিয়ে নিয়ে যেতে ডাকতে থাকে! আর পরবর্তীতে যাতে পরিবারের আর কাউকে নিজ দেশে অন্যায়ের সামনে মাথা নিচু কর থাকতে না হয়!

৫) ছাত্র জীবনে যতোটুকু সম্ভব যোক্তিক মানসিকতা, সততা ও দক্ষতা আছে এমন মানুষদের সাথে বন্ধুত্ব করবে। এখানে যদি ভুল নির্বাচন করে ফেলো।দেরি হলে জীবনের মারাত্মক ক্ষতি সাধিত হবে। এই ক্ষতি পুষিয়ে ওঠা প্রায় অসম্ভব!

আমি জানি এটি পড়ে অনেকেই দেশপ্রেম, এই প্রেম ওই প্রেম, আমি এ বলার কে প্রশ্ন তুলবেন! আপনি তুলতেই পারেন। কিন্তু বাস্তবতাকে উপেক্ষা করতে পারবেন না। ভাগ্যকে পরিবর্তন করতে পারবেন না।

আর হে না বলা কোটি অভিজ্ঞতা থেকে একটু বলি! আমি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েছিলাম! সেখান থাকতে যে ছাত্র রাজনীতি দেখেছি, শিক্ষক-কর্মচারী-ব্যবসায়ী-এলাকার রাজনীতি দেখেছি তা কোন সভ্য সমাজে থাকতে পারেনা। এই পরিবেশ থেকে সুস্থভাবে গ্রো হওয়া প্রায় অসম্ভব। আমাকে এখন যখন কেউ বলে আমি চবিতে পড়ি দোয়া করবেন। আমি বলি, “চবি থেকে জীবন নিয়ে যদি ডিগ্রিটা শেষ করে ফিরে আসতে পারও তবে তোমার থেকে সফল আর কেউ হতে পারেনা!

” অনেকেই এই কথার অর্থ না বুঝে হয়তো বলবেন, “তার মানে কি চবিতে হাজার হাজার ছাত্রছাত্রী প্রতিবছর মারা যায়!” আমি উত্তরে বলব পরিসংখ্যানে প্রকাশিত রিপোর্টে নিশ্চয়ই যায় না। কিন্তু যে ভয়ের মধ্য দিয়ে একটি ছাত্রকে প্রতিটি মুহূর্ত কাটাতে হয়। তা মৃত্যুর চেয়ে কম কি!? অনেকেই হয়তো এও ভাবছেন খালি সাধারণ ছাত্ররাই হয়তো এই ভয়ের মধ্যে থাকে। না ভাই, অসাধারণ ছাত্রছাত্রীরাও (রাজনীতি করা) সেইম আতংকের মধ্যে থাকতে দেখেছি সেখানে! যাইহোক আশাকরি অন্য বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর পরিবেশ অনেক ভালো!!! দেশ গঠনে ছাত্র থেকেই রাজনীতির মতো নিষ্ঠুর কাজ করতে হবে এটি মারাত্মক একটি ভুল ধারণা।যেখানে প্রতিদিন দেশের জাতীয় নেতারা বলে বেড়াচ্ছেন, “রাজনীতে শেষ বলে কিছু নেই!” কল্পনা করা যায় এমন একটি নীতিহীন কাজে তারা বাচ্ছা বয়সে আপনাকে ঠেলে দিচ্ছে। যে বয়সে আপনি সবার সাথে প্রেম ভালোবাসা বিনিময় করবেন সেই বয়সে আপনাকে দলে দলে ভাগ করে অস্ত্র হাতে রাস্তায় একের বিরুদ্ধে অন্যকে নামিয়ে দিচ্ছি! ভাবা যায়। একদম শেষে আব্দুল্লাহ আবু সাইদের বইয়ে পড়া দুটো লাইন বলি এমন ছিলো যে, “রাজনীত হচ্ছে পৃথিবীর নিষ্ঠুরতম জিনিস! এটি কোমল ছাত্রদের মধ্যে ঢুকলে সেই কোমলা বিনষ্ট হয়!” আমার কথা আজ হয়তো আবেগের বশবর্তী হয়ে আমাদের অভিভাবক এবং ছাত্রছাত্রী ভাইবোনেরা উড়িয়ে দিতে পারো! কিন্তু আজি হইতে ৫ টি বছর, মাত্র ৫ টি বছর পরেই ইহার মর্মার্থ নিশ্চয়ই বুঝিতে পারিবে!

শুভকামনা!

Billal Mahmud

তুরস্কের-অভিনব-পরীক্ষা-পদ্ধতি-ও-পাঠদান-কৌশল
Higher Study | Turkey
1 min read

তুরস্কের অভিনব পরীক্ষা পদ্ধতি ও পাঠদান কৌশল

তুরস্কের-অভিনব-পরীক্ষা-পদ্ধতি-ও-পাঠদান-কৌশল
September 24, 2023

তুরস্কের অভিনব পরীক্ষা পদ্ধতি ও পাঠদান কৌশল

বলেছিলাম, বিদেশে এসে পড়ালেখা কতদূর কি হলো তা নিয়ে আলাপ করবো। এর মাঝে বেশ কিছুদিন ধরে বিদেশে বিশেষ করে তুরস্কে পড়ালেখা কেমন কি হচ্ছে তা নিয়ে লিখতে বলছেন অনেকে। কিন্তু সময়, সুযোগ, ইচ্ছার সম্মিলন হচ্ছিলো না। যাক, অবশেষে কী-প্যাডে আঙ্গুল চালানোর ফুসরৎ হলো। এত এত গল্প যে কোনটা রেখে কোনটা বলবো তা নিয়েই দ্বিধায় পড়েছি, পরে ভাবলাম সংক্ষেপে ক্লাস এবং পরীক্ষা পদ্ধতির অভিজ্ঞতা নিয়ে কিছু আলাপ করি।

আমার বোকামীপূর্ণ এক পরীক্ষার গল্প দিয়েই শুরু করি, একজন তার্কিশ প্রফেসর সমুদ্র আইন বিষয়ক একটি টপিকের উপর টানা চারদিন দুই ঘন্টা করে ১৭৫টি স্লাইডের লেকচার শেষে দুইদিন সময় দিয়ে ফাইনাল পরীক্ষা নিচ্ছেন। ৬টি প্রশ্ন, সময় ১ ঘন্টা, কিন্তু উত্তর লেখার জন্য পেইজ দিয়েছেন মাত্র ২টি। 

আমার তো প্রশ্ন দেখেই চোখ ছানাবড়া, একে তো ছয়টি প্রশ্নের উত্তর ১ ঘন্টায় লেখা সম্ভব নয়, অন্যদিকে পেইজ দিয়েছে মাত্র ২টি। দেশে হলে এই প্রশ্নগুলোর উত্তর লিখতে আমাকে মিনিমাম ২৪ পৃষ্ঠা কাগজ দিতো। আমি কিছু বুঝে উঠতে না পেরে, কিছু লেখার আগে প্রফেসরকে জিজ্ঞেস করলাম, আমাকে কি আর কোনো এক্সট্রা পেইজ দেয়া হবে? নাকি এই ২ পেইজই?

প্রফেসরসহ ক্লাসের সবাই আমার দিকে হা করে তাকিয়ে আছে, কাহিনী কি? বুঝলাম না। প্রফেসর বলতেছে তুমি পেপারের উপরে দেখো, লেখা আছে এক্সট্রা কোনো পেইজ দেয়া হবে না। ছয়টি বড় প্রশ্নের উত্তর, এই দুই পেইজে কিভাবে লিখবো বুঝতে উঠতে পারছিলাম না। 

তার উপর হচ্ছে ফাইনাল এক্সাম। কারণ দেশে তো এমন ফাইনাল এক্সামে ৪ ঘন্টা একবস্তা লিখে এসেছি। যাক, কোনো রকম মূল কথাগুলো লিখে শেষ করলাম, মনে মনে ভাবছি প্রথম পরীক্ষা, কোনো রকম পাশ করলেই হয়।

আর একটা জিনিস বুঝে গেলাম, এখানে মুখস্থ বিদ্যার খানা নাই। অবশ্যই পড়ালেখা করে নিজের ভিতর থেকে সামান্য হলেও কিছু ডেলিভারি দিতে হবে। ক্রিয়েটিভ হতে হবে। তবে এক্সাম শেষে ভাবতে ছিলাম, রেজাল্ট যেদিন দিবে, সেদিন ক্লাসে আসবোই না, কারণ লজ্জা পেতে চাই না। আসলে তখনো পর্যন্ত জানা ছিলো না এখানে রেজাল্ট সবাইকে ব্যক্তিগতভাবে মেইল করে জানানো হয়, সবার রেজাল্ট একসাথে সবার সামনে দেয়া হয় না। সো, লজ্জা পাওয়ার সুযোগ নাই।

যখন কয়েকদিন পর মেইল করে জানানো হলো আমি এই এক্সামে ৭৮ মার্কস পেয়েছি, আমি তো মহাখুশি। আমাদের দেশে তো ৭৮ অনেক মার্কস। তখনো পর্যন্ত আমি আঙ্কারা ইউনিভার্সিটির গ্রেডিং সিস্টেম জানতাম না, বোকাসোকা হলে যা হয় আর কি! তাই সবাইকে রেজাল্ট ব্যক্তিগতভাবে জানালেও আমি খুশিতে এক ফ্রেন্ডকে নক দিয়ে বললাম আমি তো ৭৮ পেয়েছি, তুমি কত পেয়েছো?

সে আমাকে যে রিপ্লাই দিয়েছে, তা শুনে মুহুর্তেই ফুটা বেলুনের মতো চুপসে গেলাম। সে আমাকে বললো, তুমি এত কম মার্কস পেলে কেন, তোমার Class Performance তো ভালোই ছিলো, বললাম মানে? কম কিভাবে? আমি তো A পেয়েছি, যা 3.75 হয়, তাই নয় কি? সে হেসে আমাকে বলে এখানে তো ৩.৭৫ বলতে কোনো গ্রেডই নাই৷ এবার আমার হুশ হলো। তাড়াতাড়ি ইউনিভার্সিটির গ্রেডিং সিস্টেমে চোখ বুলিয়ে তো মাথায় হাত। 

কারণ আমার মার্কস ৭৮, যা C গ্রেড আর পয়েন্ট হচ্ছে ২.৫। তার্কির (আঙ্কারা ইউনিভার্সিটির) গ্রেডিং সিস্টেম হচ্ছে ৯০ এর উপরে পেলে ৪ পয়েন্ট, ৮৫-৮৯ পর্যন্ত হচ্ছে ৩.৫ পয়েন্ট, মানে এখানে ৩.৭৫ নাই। যাক, প্রথম পরীক্ষায় এমন ধরা খেয়ে পরের এক্সামে ৯২ তুলতে পেরেছিলাম, তাও চরম খাটাখাটুনির ফলশ্রুতিতে। আর এই সেমিস্টারে তো আল্লাহর ইচ্ছা ৪.০০ এ ৪.০০ এসেছে। আলহামদুলিল্লাহ। চামে চামে নিজের ঢোল পিটিয়ে দিলাম। 

যাইহোক, মাস্টার্স কিংবা পিএইচডির শিক্ষার্থীদেরকেও ওরা যে কেমন খাটায়, আরেকটা উদাহরণ দিলে বুঝবেন, একজন আমেরিকান প্রফেসর শিপ রেজিষ্ট্রেশন, শিপিং বিজনেস পলিসি এবং World Trade পড়িয়েছেন। উনি প্রতি ক্লাসের আগেই ৫০-৬০টি স্লাইড সম্বলিত লেকচারের পিডিএফ ফাইল দিয়ে দিতেন এবং ক্লাসে সবাইকে তা পড়ে আসতে বলতেন। আমরা আমাদের মতো করে চেষ্টা করতাম।

তো, একদিন তিনি আমাদেরকে একটা টপিক দিয়ে বললেন, এই টপিকে তোমাদেরকে একটা এসাইনমেন্ট করতে হবে। কিভাবে এসাইনমেন্ট করবা তার নিয়মাবলী মেইল করে জানিয়ে দিবো। আমরা তা এত গায়ে নিলাম না। কারণ এমন এসাইনমেন্ট তো কতই করেছি, অনলাইনে ঘাটাঘাটি করে, কিছু কপি-পেস্ট করে একজনে রেডি করবো, বাকিরা তার থেকে দেখে তৈরি করে ফেলবো। যেটা ফাঁকিবাজ ছাত্র বলে দেশ থাকতে হরহামেশাই করতাম। 

কিন্তু এই প্রফেসরের এসাইনমেন্ট করার নিয়মাবলি দেখে মাথায় যেন বাজ পড়লো। এসাইনমেন্ট হতে হবে সর্বোচ্চ দুই পেইজের, এক পেইজ বাড়ানো যাবে তা কেবল রেফারেন্স দেয়ার জন্য। আর এই দুই পেইজের এসাইনমেন্ট লিখার আগে ঐ টপিক রিলেটেড ৩০টি আর্টিকেল সংগ্রহ করে প্রফেসরকে মেইল করতে হবে, তিনি সবগুলো আর্টিকেল দেখে কনফার্ম করলে আমাকে ৩০টি আর্টিকেল পড়ে তার সারমর্ম বের করে তা দিয়ে দুই পেইজের এসাইনমেন্ট রেডি করতে হবে, এবং তা আবার প্লেজিয়ারিজম চেক করে সাবমিট করতে হবে এবং ক্লাসে প্রেজেন্ট করা লাগবে, প্রফেসরসহ ক্লাসের যে কেউ এই নিয়ে যেকোনো প্রশ্ন করবে। আর এটাই আমার এই সাবজেক্টের ফাইনাল এক্সাম। শুনতে অনেক সহজ মনে হলেও, ব্যাপারটা আসলে ব্যাপক প্যারার ছিলো।

সুতরাং এখানে পড়ালেখা করা ছাড়া ফাঁকিবাজি করে পার হওয়ার রাস্তা এমনভাবে বন্ধ করা যে, আপনাকে খাটতেই হবে। কোনো সুযোগ নাই। তবে আপনার খাটতে এমনিতেই ইচ্ছা করবে, কারণ প্রফেসররা এত বেশি ফ্রেন্ডলি, মনে হবে তিনি আপনার বন্ধু, হঠাৎ ইচ্ছা করলো, ক্লাস শেষে সবাইকে নিয়ে আড্ডা দিতে বের হয়ে যাবে। কিন্তু উনার প্রোফাইল লিখতে গেলে দশ পেইজও কুলায় না।

আচ্ছা এবার আমেরিকান প্রফেসর থেকে জাপানি প্রফেসরের কাছে আসি। জাপানিরা যে কত বেশি সময়ানুবর্তী এবং পরিশ্রমী তার কিছুটা শেখার সুযোগ হয়েছে জাপানি প্রফেসর মাকুতা সেতার কাছ থেকে। তিনি আমাদের দক্ষিণ ও পূর্ব চীন সাগর নিয়ে বিরোধ বিষয়ক কেইস স্টাডি বেইজড লেকচার দিয়েছেন। আমি কোনোদিন উনার আগে ক্লাসে উপস্থিত হতে পারিনি। একেবারে জাস্ট টাইমে ক্লাসে আসতেন, নির্দিষ্ট সময় থেকে এক মিনিটও বেশি নিতেন না। চমৎকার ইংরেজিতে এত সুন্দরভাবে ভিজ্যুয়াল প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে লেকচার দিতেন তিনি, এক কথায় মুগ্ধ। তবে মজার ব্যাপার হলো, উনি যে ক্লাসটি নিয়েছেন, তা কোনো সাবজেক্ট নয়, আসলে তা একটা সাবজেক্টের একটা চ্যাপ্টার মাত্র।

আমাদের ডিপার্টমেন্টে একেক চ্যাপ্টার পড়ানোর জন্য একেক দেশ থেকে একেকজন এক্সপার্ট এসেছিলেন। মাত্র ৫টি বিষয় পড়িয়েছে ১৪ জন প্রফেসর। এর কারণ হচ্ছে, যে সাবজেক্টের যে পার্ট যিনি ভালো পারেন, তাঁকে দিয়ে লেকচার দেয়ানো হয়েছে এবং কারোর লেকচারই এক সপ্তাহের কম ছিলো না। এই জন্য আমরা কোনো কোনো সাবজেক্টের জন্য ৩/৪ জন প্রফেসরও পেয়েছি। এতে করে আমাদের প্রতিটা সাবজেক্ট এত ক্লিয়ার হওয়ার সুযোগ হয়েছে যা বলার অপেক্ষা রাখে না। 

উদাহরণসরূপ বলা যায়, সমুদ্রের নাবিকদের ও ক্রুদের অধিকার এবং কর্তব্য নিয়ে যিনি পড়িয়েছেন তিনি লম্বা সময় ধরে সাগরে ছিলেন, নানা প্রতিকূল অবস্থা মোকাবেলা করেছেন, রিসার্স করেছেন। উনার বাস্তব অভিজ্ঞতায় সামুদ্রিক জীবনের বাস্তব চিত্র তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন। আবার ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত সমুদ্রসীমা ও তাদের প্রণীত বিধিমালা পড়াতে একজন প্রফেসর এসেছিলেন ব্রিটেন থেকে। তিনিও চমৎকার মানুষ, লন্ডনে বাঙালি কমিউনিটির কাছাকাছি থাকায় বাংলাদেশ সম্পর্কে চমৎকার ধারণাও আছে উনার।

আরেকটি সাবজেক্ট মেরিটাইম ও গ্লোবাল সিকিউরিটি নিয়ে পড়াতে এসেছিলেন তার্কির নৌবাহিনীর সেকেন্ড ইন কমান্ড, উনার টাস্কও ছিলো অসাধারণ। ওপেন বুক পরীক্ষা পদ্ধতির সাথেও পরিচয় করিয়ে দেন তিনি।

তারপর সসমুদ্রসীমা নিয়ে বিরোধ সংক্রান্ত একটি সাবজেক্ট পড়িয়েছেন একজন রানিং তার্কিশ এম্বাসেডর। যিনি এমন অনেক বিরোধ মীমাংসার নেগোসিয়েশনে ডিপ্লোমেট হিসেবে ছিলেন। যেহেতু এম্বাসেডরের কথা আসলো, তাহলে উনার পরীক্ষা সিস্টেম নিয়ে বলি। উনি লেকচারের শুরুতে ঘোষণা দিয়েছিলেন, এক্সাম হবে দুইভাবে লিখিত এবং সামিট স্টাইলে, সুতরাং ভালোভাবে লেকচারে মনোযোগ দাও।

আচ্ছা যাক কোর্স শেষ, এবার কি শিখছি তা প্রমাণের পালা। পরীক্ষার হলে এসে দেখি প্রশ্নপত্র দিয়েছেন ১০ পৃষ্ঠার। কিন্তু পরীক্ষার সময় মাত্র ৪০ মিনিট। ১০ পৃষ্ঠার প্রব্লেমেটিক ইংরেজি প্রশ্ন পড়তেই তো ৩০ মিনিট লাগবে। কখন উত্তর করবো! কিন্তু সত্যি বলতে কি, তিনি এত চমৎকার করে প্রশ্নপত্র তৈরি করেছেন, উনার ২৮০টি স্লাইডের ৭টি লেকচারের প্রতিটি থেকে বিভিন্ন প্যাটার্নের প্রশ্ন করেছেন, যা ভালোভাবে লেকচার বুঝলে ইজিলি ৪০ মিনিটে উত্তর করা যায়, কারণ এই এক্সামের জন্য আলাদা কোনো পেপার নেই, প্রশ্নপত্রেই উত্তর দিতে হবে। যাক, ৩০ মিনিটেই শেষ করেছিলাম। পরীক্ষার প্রশ্নের উপরে কি লেখা ছিলো, তা দেখতে ফিচার ইমেজে চোখ বুলান।

উনার লিখিত পরীক্ষা নেয়া তো শেষ, বাকি রইলো সামিট স্টাইলে ওরাল এক্সাম। হাতেকলমে শেখার জন্য এই পদ্ধতি। আমাদের পুরো ক্লাসের শিক্ষার্থীদের দুইটি ভাগে ভাগ করে দুইটি দেশ বানিয়েছেন এবং দুই দেশের মধ্যে সমুদ্রসীমা, দ্বীপ, মাছ ও প্রাকৃতিক সম্পদ নিয়ে দীর্ঘ দিনের বিরোধ। এখন আমাদের ক্লাসে গঠিত এই দুইদেশের মধ্যে নেগোসিয়েশন মিটিং করে এই সমস্যাগুলোর শান্তিপূর্ণ সমাধান করতে হবে। তা অবশ্যই আইনসংগত এবং যুক্তিসঙ্গত হতে হবে। পৃথিবীতে এমন সমস্যা ও নেগোসিয়েশনের উদাহরণ শত শত আছে।

আমরা টানা তিনদিন নেগোসিয়েশন মিটিং করে সমাধানে আসি। তিনদিনই এম্বাসেডর স্যার আরও কিছু গেস্ট নিয়ে উপস্থিত থেকে এক্সামিনারের ভূমিকা পালন করছেন এবং আমরা এই সাবজেক্টে ক্লাস করে কি শিখেছি তা দেখেছেন। একজন রিয়েল ডিপ্লোমেট কিভাবে কাজ করেন, সুন্দর প্রেজেন্টেশন করে কিভাবে অন্যকে কনভিন্স করা যায় এবং নিজের দেশের স্বার্থে ভুমিকা রাখা যায় তার বাস্তব শিক্ষা এই এক্সাম। ও হ্যাঁ, এটাই কিন্তু ফাইনাল এক্সাম।

এমন সুন্দর সিস্টেমের কারণে যে কারোর এমনিতেই পড়তে ইচ্ছা করবে। আর আমেরিকা, ইউরোপ, আফ্রিকা, ল্যাতিন আমেরিকা এবং এশিয়া মিলে ১১টি দেশের মোট ২০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে আমাদের ক্লাস। আসলে পরিবেশই পড়ার জন্য উৎসাহিত করে। ক্লাসগুলো প্রাণবন্ত হতো আরও একটি কারণে, প্রতিটি ক্লাসে হয়তো মাস্টার্সের অন্যান্য ব্যাচের বা অনার্স শেষ বর্ষের কিছু শিক্ষার্থী এসে আমাদের সাথে ক্লাস করতো। যেখানে তারা না আসলেও চলে, তবুও সবার এক্সেস ছিলো বিধায় তারা নতুন কিছু শেখার সুযোগ মিস করতো না। যেটা আমি দেশে থাকতে কখনো করিনি কিংবা কল্পনাতেও আসেনি।

এটা সত্য এখানে কষ্ট করা ছাড়া রেজাল্ট ভালো করা কঠিন, কিন্তু অসম্ভব নয়, কারণ আমাদের বাংলাদেশী একজন ছাত্রই আংকারা ইউনিভার্সিটি থেকে মাস্টার্সে সিজিপিএ- ৪.০০ (স্কেল- ৪.০০) পেয়ে প্রেসিডেন্ট গোল্ড মেডেল পেয়েছেন গতবছর। অন্যান্য ইউনিভার্সিটিতেও বাংলাদেশী শিক্ষার্থীরা ফ্যাকাল্টি ফার্স্ট হচ্ছে। আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহ আমাকেও তাদের কাতারে রেখেছেন।

যাক, অল্প কয়দিনে বিস্তর অভিজ্ঞতা নিয়ে গল্পের ঢালি খুলে বসার কারণ হচ্ছে, অনেককে বলতে শোনা যায়, তার্কিতে আর কি পড়ালেখা হয়! তাই বললাম আর কি অল্পস্বল্প যা হয়, তা নিয়ে। অবশ্যই আমার প্রিয় মাতৃভূমিকে ছোট করার জন্য নয়, আমার দেশের প্রিয় শিক্ষকরাও অনেক পরিশ্রম করেন, অনেক সুন্দরভাবে পড়ান, উনারা ভালো পড়ান বলেই আমাদের এখন একটু বড় পরিসরে পড়ার সুযোগ হচ্ছে, সকল প্রিয় শিক্ষকদের জন্য ভালোবাসা। তবে মূল গলদ আমাদের শিক্ষা পদ্ধতিতে, যাইহোক, সেটা ভিন্ন আলাপ।

আর হ্যাঁ, তার্কির এডুকেশন কারিকুলাম এবং ইউরোপের এডুকেশন কারিকুলাম একই। তাই ইরাসমুস এর মাধ্যমে Exchange Program-এ অনেকে ইউরোপ থেকে এখানে আসে আবার অনেকে এখান থেকে ইউরোপে যায় পড়ার জন্য। তবে দিনশেষে কথা একটাই, পৃথিবীর যেখানেই যান, পড়ালেখা আপনার কাছে। আপনি না পড়লে কেউ জোর করে পড়াতে পারবে না। ফাঁকিবাজি পৃথিবীর সব জায়গায়ই করা যায়, কোথাও কম কোথাও বেশি। প্রকৃতপক্ষে আসল ফাঁকিটা নিজেকেই দেই আমরা।

নোট: উপরে বর্ণিত সকল কিছু আংকারা ইউনিভার্সিটির মেরিটাইম ‘ল ডিপার্টমেন্টকে বেইস করে লিখা। তাই ইউনিভার্সিটি, সাবজেক্ট ও ক্লাসভেদে কিছু বিষয় ভিন্ন হতে পারে।

মু. সাইফুল ইসলাম

তুর্কি দিয়ানাত ফাউন্ডেশনের স্কলারশিপের আদ্যোপান্ত


নিজ খরচে তুরস্কে ব্যাচেলর করার আদ্যোপান্ত

Higher Study | Scholarship | Turkey
1 min read

তুর্কি দিয়ানাত ফাউন্ডেশনের স্কলারশিপের আদ্যোপান্ত

September 24, 2023

তুর্কি দিয়ানাত ফাউন্ডেশনের স্কলারশিপের আদ্যোপান্ত

প্রতি বছর স্কলারশিপ আবেদনের সময়টাতে ছাত্রছাত্রীদের আবেদন প্রক্রিয়া ও স্কলারশিপসহ আনুষাঙ্গিক বিভিন্ন প্রশ্ন থাকে। আজ চেষ্টা করবো এই বিষয়ে আপনাদের কিছু ধারনা দিতে।

এটা কি ধরনের স্কলারশিপ?  

এটি তুরস্কের ধর্ম মন্ত্রনালয়ের অধীনে দিয়ানাত ফাউন্ডেশনের গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রজেক্ট। ইসলামী স্টাডিজ, থিওলজি বা শরীয়াহ সম্পর্কিত বিষয়ে প্রতি বছর পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে শিক্ষার্থী নিয়ে আসে। তারই ধারাবাহিকতায়, বাংলাদেশ থেকেও ছাত্র-ছাত্রীরা এই স্কলারশিপে তুরস্কে আসে।

দিয়ানাত ফাউন্ডেশনের স্কলারশিপ সাধারণত ৪টি লেভেলে প্রদান করা হয়।

ক. স্কুল লেভেল। (৯ম শ্রেণি)

খ. অনার্স লেভেল।

গ. মাস্টার্স লেভেল।

ঘ. পিএইচডি লেভেল।

প্রতি বছর বাংলাদেশ থেকে স্কুল, অনার্স, মাস্টার্স এবং পিএইচডি লেভেলে তারা ছাত্রছাত্রী এই স্কলারশিপ নিয়ে পড়তে আসে।

কি কি সুযোগ-সুবিধা পাবেন?

ক. হোস্টেলে থাকা-খাওয়া সম্পূর্ণ ফ্রি। 

খ. সরকারী হেলথ ইন্সুরেন্স।

গ. স্কুল ও ইউনিভার্সিটি টিউশন ফি।

ঘ. মাসিক বৃত্তি বাবদ স্কুল লেভেলে ৩০০ লিরা, অনার্সে ১০০০ লিরা, মাস্টার্সে ২৫০০ লিরা, পিএইচডিতে ৪০০০ লিরা। প্রতি বছর দুইবার অতিরিক্ত ২৫০ লিরা বই ও আনুষাঙ্গিক খরচ বাবদ প্রদান করা হয়।

ঙ. বিমান টিকেট- প্রথবার আসার টিকেটসহ প্রতি বছর দেশে আসা-যাওয়ার টিকেট তারা প্রদান করা হয়।

চ. প্রথম এক বছর (৯ মাস) ফ্রি তুর্কি ভাষা শিক্ষা কোর্স।

ছ. বছরের বিভিন্ন সময় তুরস্কের বিভিন্ন দর্শনীয়স্থান পরিদর্শনের সুযোগ।

জ. তুরস্কে পৌছানোর পর হতে এডমিশনের সকল কাজ দিয়ানাত করে দিবে।

আবেদনের সময়কাল:

আবেদন প্রতি বছর জানুয়ারি (২০২৩ সালে ১৫ জানুয়ারি থেকে আবেদন শুরু) মাস থেকে শুরু হয়ে প্রায় একমাস চলমান থাকে। এই সময়ের মধ্যে যেকোনো দিন আবেদন করা যাবে। একসাথে পুরো আবেদন শেষ করতে হবে এরকম কোন শর্ত নেই। প্রথম দিন শুরু করে শেষ দিনও কমপ্লিট করতে পারেন। 

যে সাবজেক্টে অনার্স প্রোগ্রামের জন্য আবেদন করা যাবে?

দিয়ানাত ফাউন্ডেশন প্রতি বছর শুধুমাত্র ইসলামিক স্টাডিজ ও থিওলজি বিষয়েই অনার্স, মাস্টার্স ও পিএইচডি করার সুযোগ দেয়। অন্যকোনো ফ্যাকাল্টিতে পড়ার সুযোগ নেই।

আবেদন করতে কি কি লাগবে?

ক. স্কুল লেভেলের জন্য JSC বা JDC পরীক্ষার সার্টিফিকেট ও মার্কশীটসহ জন্মনিবন্ধন। এই দুই পরীক্ষা না থাকলে ক্লাস এইটের রেজাল্ট দিয়েই প্রোভিশনাল সার্টিফিকেট নিয়ে আবেদন করা যায়।

খ. অনার্স, মাস্টার্স ও পিএইচডির জন্য আবেদন করতে আপনার এসএসসি/দাখিল এবং এইচএসসি/আলিম পরীক্ষায় নুন্যতম ৭০% মার্ক থাকতে হবে। মাস্টার্স ও পিএইচডির জন্যেও একই নিয়ম।

মনে রাখবেন নূন্যতম মার্ক থাকলেই আবেদন করা যায়, কিন্তু স্কলারশিপ পাওয়ার জন্য ভালো মার্কসহ আরো কয়েকটি বিষয় থাকা জরুরী। সামনের পয়েন্টগুলোতে আরো বিস্তারিত পাবেন। 

বয়সসীমা:

-স্কুল লেভেলের জন্য আবেদন করতে সর্বোচ্চ বয়স ১৬ বছর বা তার কম হতে হবে।

-অনার্সের জন্য আবেদন করতে সর্বোচ্চ বয়স ২১ বছর বা তার কম হতে হবে। 

-মাস্টার্সে জন্য আবেদন করতে সর্বোচ্চ বয়স ৩০ এবং পিএইচডির জন্য ৩৫ বছর।

কি কি কাগজপত্র লাগবে?

ক. পাসপোর্ট। আর পাসপোর্ট না থাকলে জন্ম সনদ অথবা জাতীয় পরিচয়পত্রের ইংরেজি কপি। 

খ. সকল একাডেমিক পরীক্ষার সার্টিফিকেট।

গ. সকল একাডেমিক পরীক্ষার ট্রান্সক্রিপ্ট।

      -স্কুল লেভেলে জেএসসি বা জেডিসি।

      -অনার্সের জন্য এসএসসি বা দাখিল এবং এইচএসসি বা আলিম। 

ঘ. সদ্যতোলা পাসপোর্ট সাইজ ছবি।

ঙ. রেফারেন্স/রিকমেন্ডেশন লেটার। কমপক্ষে একটা অ্যাকাডেমিক হওয়া লাগবে। অ্যাকাডেমিক ছাড়াও অন্য কারো থেকে নিতে পারেন। রেফারেন্স লেটার একের অধিকও দিতে পারেন।

* এইচএসসি বা আলিম দিয়েছেন রেজাল্ট এখনো হয়নি অথবা এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষে আছেন। এমতাবস্থায়, প্রিন্সিপাল থেকে লিখিত সার্টিফিকেট নিয়ে আবেদন করা যাবে। 

স্কলারশিপ পাওয়ার ক্ষেত্রে সহায়ক-কার্যক্রম:

মনে রাখবেন তুরস্কের বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে IELTS গ্রহন করা হয় না। তুর্কি মাধ্যমে পড়ার জন্য কোন ধরনের ইংরেজি সার্টিফিকেট ছাড়া আবেদন করতে পারবেন। স্কলারশিপ শুধুমাত্র রেজাল্টের উপর ভিত্তি করে দেয়া হয় না। সমপরিমান রেজাল্ট অনেকেরই থাকে। সবার থেকে আপনাকে যেটা আলাদা করবে তা হলো এক্সট্রা কারিকুলার এক্টিভিটিস। মাদরাসা অথবা স্কুল, কলেজ জীবনে যত ধরনের ভলেন্টিয়ারিং কাজে অংশগ্রহন করেছেন সব দিবেন। এর কোন সীমাবদ্ধতা নেই। বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে অর্জিত সার্টিফিকেটও দিতে পারেন।

আবেদন কীভাবে করবেন এবং কার সহায়তা নিয়ে করবেন?

স্কলারশিপ আবেদন পুরোটা অনলাইনে করতে হয়। 

আবেদনের লিংক: https://diyanetburslari.tdv.org

উপরোক্ত লিংককে গিয়ে আপনার ব্যক্তিগত মেইল দিয়ে একটা একাউন্ট খুলে ফেলবেন। তারপর যেসব তথ্যাবলি চাইবে সেগুলো দিয়ে একের পর এক পূরন করবেন। যেটা পূরন করবেন অটো সেইভ হয়ে যাবে, তাই চিন্তা করবেন না। 

একদিনে বা এক বৈঠকে করতে হবে এরকম কোন নিয়ম নেই। আপনি একদিন এক অংশ করেন। চাইলে পুরো মাস ব্যাপী করতে পারেন। খুব ভালো করে পড়ে যথাযথভাবে করবেন। 

লেটার অব ইনটেন্ট কি?

খুব সহজ ভাবে বললে Personal Statement, Statement of Purpose অথবা Personal Essay যাই বলনু না কেন সব লেটার অব ইনটেন্ট। অনার্স লেভেলে যারা পার্সনাল স্টেটমেন্ট অথবা পার্সনাল এসে (Essay) লিখেন সেটাই আপনাদের লেটার অব ইনটেন্ট। স্কলারশিপ পাওয়ার জন্য রেজাল্টের পর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো লেটার অব ইনটেন্ট।

অনার্সের জন্য সহজ সরল ভাষায় লিখবেন, কি করতে চান। ভবিষ্যতে কি করবেন। কেন তুরস্ককে বাছাই করলেন। এসব সুন্দর করে প্রশ্ন অনুযায়ী লিখবেন। তাদের পছন্দ হলে এটাই হয়ে যেতে পারে আপনার স্কলারশিপ পাওয়ার উপায়। প্রতিটি প্রশ্নের উত্তরের জন্য সীমাবদ্ধতা থাকবে। সেটার প্রতি অবশ্যই খেয়াল রাখবেন। 

লেটার অব ইনটেন্ট কিভাবে লিখবেন?

প্রথমে দেখে নেই তুরস্কের সরকারি বৃত্তির আন্ডারগ্রাজুয়েট/পোস্টগ্র্যাজুয়েট প্রার্থীদের লেটার অব ইনটেন্ট বা পার্সোনাল স্টেটমেন্ট এর Prompt কেমন: 

 “In this section, it is expected to explain the following details: your academic and social experiences relating the field you want to take an education, your reasons for choosing Turkey for study, and the importance of your future plans for your education and scholarship in Turkey. You can write a letter of intent in the language you can express yourself.”

পুরো Prompt এ যে বিষয়গুলোকে আপনার লেটারের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করতে বলা হয়েছে সেগুলো হল:

ক. আপনি যে বিষয়ে অনার্স করতে চান সে বিষয় সম্পর্কিত আপনার অ্যাকাডেমিক এবং সামাজিক অভিজ্ঞতা।

খ. উচ্চশিক্ষার জন্য তুরস্ককে কেন পছন্দ করলেন।

গ. আপনার ডিগ্রী বা শিক্ষা এবং তুরস্কের বৃত্তির জন্য আপনার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার গুরুত্ব।  

মাথায় অনেক কিছু, কিন্তু লিখে শেষ করতে পারেননি। সমস্যা নেই এখানে মাথায় বাকি যা আছে লিখে ফেলেন। অবশ্যই প্রোডাকটিভ কিছু লিখবেন। 

রেফারেন্স লেটার কার থেকে নিবেন এবং কয়টা নিবেন?

আবেদনের জন্য একটি রেফারেন্স/রিকমেন্ডেশন লেটার বাধ্যতামূলক। তবে দুই বা তার অধিকও হতে পারে। মিনিমাম দুটো দেওয়া ভালো। এক্ষেত্রে আপনার প্রতিষ্ঠান প্রধান থেকে নিলে ভালো হয়।

যেহেতু অনার্সের জন্য শুধু থিওলজিতেই অনার্সের সুযোগ পাবেন, তাই এই বিষয়ে আবেদনের ক্ষেত্রে ওই বিষয়ে অথরিটি আপনাকে সুযোগ দিলে ভবিষ্যতে কি কি করতে পারবেন। সংক্ষেপে এসব লিখতে পারেন। যার থেকেই নেন তাদের মোবাইল নাম্বার ও ইমেইল এড্রেস লিখতে হবে। অথরিটি আপনার রেফারিকে মেইল করতে পারে। এতে উনার রিপ্লে দিতে হবে। 

তুর্কি ভাষা কি শিখতেই হবে?

এই স্কলারশিপ পাওয়া মানে আপনাকে প্রথম বছর তুর্কি ভাষা শিখতেই হবে। স্কুল এবং অনার্স লেভেল, সবারই শেখা বাধ্যতামূলক। 

*অনার্সের জন্য প্রথম বছর তুর্কি ভাষা শেখার পরে দ্বিতীয় বছরে এক বছরের আরবি ভাষা কোর্স করতে হবে। যদি আরবি ভাষার উপর যোগ্যতা থাকে, তাহলে ভাষা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে সরাসরি ফ্যাকাল্টিতে অংশগ্রহণ করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে এক বছর আরবি কোর্সের প্রয়োজন নেই। 

লিখিত পরীক্ষা এবং ভাইবা কেমন হবে?

দিয়ানাতের লিখিত পরীক্ষার ক্ষেত্রে তারা ২০ মার্কের একরি আইকিউ টেস্ট ও তারপর ভাইবার জন্য ডাকা হয়।

আবেদনের প্রায় ২ মাস পর ভাইভার জন্য ডাকবে। ভাইভাতে ডাক পাওয়া মানে সবেমাত্র শুরু। এতে স্কলারশীপ অথরিটি আপনার সাবজেক্ট/ফিল্ড রিলেটেড কিছু প্রশ্ন করবে। এবং আবেদনের সময় আপনি যে সকল ডকুমেন্টস আপলোড করেছেন সেগুলোর মুলকপি দেখতে চাইবে। ভাইভা ইংরেজি ভাষায় হয়, তবে আপনি ইংরেজিতে দূর্বল হলে বাংলাতে দিতে পারবেন। একজন দোভাষী থাকবে। ইংরেজিতে দিতে পারলে ভালো। নতুবা আপনার দুর্বলতা প্রমান পাবে। না পারলে পরে অর্ধেক গিয়ে আটকা পরার চাইতে ইংরেজিতে না বলা ভালো। সমসাময়িক বিষয় সম্পর্কে জানতে চাইবে। আপনার ভবিষ্যত পরিকল্পনা। এসব নির্ধিধায় উত্তর দেওয়া লাগবে। ভাইভা দিয়ে বের হওয়ার সময় ফাইনাল রেজাল্ট কখন দিবে সেটাও বলে দিবে। 

কোন কনসালটেন্সি দিয়ে আবেদন করলে স্কলারশিপ পাবেন?

প্রশ্নই আসে না। কারো সহযোগিতা ছাড়া নিজে নিজে আবেদন করবেন। অনেকে এসব করে হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। নিয়মিত প্রতারণা হচ্ছে। যতদূর পারবেন তাদের থেকে দূরে থাকবেন। আপনি আবেদনের সময় কোন সমস্যার মুখোমুখি হলে তুরস্কে অধ্যয়নরত সিনিয়রদের পরামর্শ নিন। গ্রুপে ডুকে প্রথমে ফাইল অপশনে গিয়ে সব ফাইল পড়বেন। ওখানে না পাওয়া গেলে প্রশ্ন করবেন। নিজের আবেদন নিজে করার মধ্যে কল্যাণ আছে।

স্কলারশিপ পাওয়ার পর তুরস্কে আসতে কত টাকা খরচ হতে পারে?

এই স্কলারশিপ প্রাপ্তদের ভিসা ১০০% পাওয়া যায়। শুধুমাত্র মেডিকেল করা, ভিসা এপ্লাইসহ ১২ হাজার টাকার মতো লাগবে, এছাড়া আর কোথাও টাকা লাগবে না। ভিসা দেওয়ার পর ইমেইলে বিমানের টিকেট পাঠিয়ে দেওয়া হবে। 

তুরস্কে আপনাকে কারা সহযোগিতা করবে?

আপনি স্কলারশিপ প্রাথমিক রেজাল্ট পাওয়ার পর থেকে শুরু করে ইন্টারভিউ, ভিসা প্রসেসিং, টিকেট পাওয়া,

এয়ারপোর্টে রিসিভ করা, হোস্টেলে পৌছিয়ে দেওয়া, ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি করানো এবং রেসিডেন্স পারমিটসহ সব কিছুতেই দিয়ানাত আপনাকে সহযোগিতা করবে। এসবের জন্য আপনার জন্য চিন্তা করতে হবে না। 

তুরস্কে বাংলাদেশীদের অবস্থান:

বর্তমানে প্রায় সাত শতাধিক ছাত্র-ছাত্রী পড়ালেখা করেন। এর মধ্যে অর্ধেক ইস্তানবুলে আর বাকীরা আনকারা, কনিয়া, বুরসা, কায়সেরী, সাকারিয়া, খোজায়লি, এসকিশেহির, পামুক্কালে, ইসপারতা, এরজুরুম, ইজমির এবং ট্রাবজনসহ আরে কিছু শহরে। প্রতি বছর একটা সংখ্যা আসতেছেন আবার অনেকে গ্রাজুয়েশন শেষ করে তুর্কি ত্যাগ করে কেউ ইউরোপে আবার কেউ দেশে চাকুরীতে জয়েন করতেছেন। 

বাংলাদেশী কমিউনিটির বিভিন্ন প্রোগ্রাম উপলক্ষে এবং আনকারায় বাংলাদেশ এ্যাম্বেসী আর ইস্তানবুলে কনস্যুলেট এর বিভিন্ন ইভেন্টে সবাই একসাথ হওয়ার সুযোগ হয়। কিছু ব্যবসায়ী, চাকুরীজীবি, ডাক্তার, ইউনিভার্সিটি শিক্ষক এবং ফ্যামিলি আছেন এদের বড় একটি সংখ্যা ইস্তানবুলে বসবাস করেন। আরো কিছু বাংলাদেশী আছেন যারা নব্বইয়ের দশকে এসেছেন, পড়ালেখা শেষ করে এখানেই স্যাটেলড এবং পাশাপাশি তুরস্কের নাগরিকত্ব পেয়েছেন। 

বিস্তারিত যেখানে পাবেন: 

স্কলারশিপ আবেদনের লিংক: https://diyanetburslari.tdv.org

সবার জন্য শুভ কামনা

লিখেছেন: ওমর ফারুক হেলালী

শিক্ষার্থী, ইস্তানবুল ইউনিভার্সিটি

নিজ খরচে তুরস্কে ব্যাচেলর করার আদ্যোপান্ত

নিজ খরচে তুরস্কে ব্যাচেলর করার আদ্যোপান্ত
Higher Study | Turkey
1 min read

নিজ খরচে তুরস্কে ব্যাচেলর করার আদ্যোপান্ত

নিজ খরচে তুরস্কে ব্যাচেলর করার আদ্যোপান্ত
September 23, 2023

নিজ খরচে তুরস্কে ব্যাচেলর করার আদ্যোপান্ত

প্রতিদিন অনেকেই জানতে চান তুরস্কে যদি আমি স্কলারশিপ না পাই, আর আমি যদি নিজ খরচ পড়তে চাই, তাহলে আমাকে কি করতে হবে? আমি কি পারবো নিজ খরচে পড়তে, কত খরচ হবে আমার? রেজাল্ট কেমন লাগবে ইত্যাদি। আপনাদের করা সব প্রশ্নগুলো নিয়ে সাজানো এই পোস্ট, নিজ খরচে তুরস্কে পড়তে চাইলে এই পোস্টটি আপনার জন্য।

-তুরস্কের পাবলিক ইউনিভার্সিটিতে অনার্স লেভেলে বুরসলারি/দিয়ানাত মাধ্যম ছাড়া আবেদন করা যায়?

– হ্যাঁ, যায় ।

-ভর্তি পরীক্ষা দেয়া লাগে?

-ভর্তি পরীক্ষা ছাড়া কিছু ইউনিভার্সিটিতে আবেদন করা সম্ভব। বিদেশিদের জন্য ভর্তি পরীক্ষাকে YÖS বলে। বাংলাদেশে সুলেইমান দেমিরেল ইউনিভার্সিটি ও ইস্তানবুল ইউনিভার্সিটির YÖS পরীক্ষার সেন্টার আছে। Yös পরীক্ষার রেজাল্ট দিয়ে তুরস্কের অর্ধশতাধিক ইউনিভার্সিটিতে আবেদন করতে পারবেন। 

এই পরীক্ষার রেজাল্ট আপনাকে চান্স ও ভালো সাবজেক্ট পেতে সহায়তা করবে। এমনকি ভিসা পেতেও সহায়তা করবে। তবে এ বছর করোনার জন্য বাংলাদেশে পরীক্ষা হবে না। সেক্ষেত্রে এইচএসসির রেজাল্ট দিয়ে আবেদনের সুযোগ দিচ্ছে। অলরেডি আবেদন শুরু হয়েছে। আপনি তুরস্কের ইউনিভার্সিটিগুলোর ওয়েবসাইট ভিজিট করলেই বিস্তারিত তথ্য পাবেন।

-রেজাল্ট কত হলে আবেদন করতে পারব?

-এইচ এস সি তে GPA-3.50 হলে আবেদন করতে পারবেন। ইউনিভার্সিটি ভেদে তারতম্য হয়। চান্স পেতে হলে অবশ্যই ভাল রেজাল্ট থাকতে হবে।

-কোন মিডিয়ামে পড়াশোনা করতে হবে?

-অধিকাংশ ইউনিভার্সিটিই তুর্কিশ মিডিয়াম। কিছু ইউনিভার্সিটিতে ইংলিশ মিডিয়ামেও সুযোগ আছে। 

–কোন বিষয়ে আবেদন করতে পারব?

-মানবিক, বিজ্ঞান,মেডিকেলে, ব্যবসা, থিওলজিসহ সকল বিষয়ে আবেদন করতে পারবেন।

-কত মাসে সেমিস্টার?

-চার মাস করে প্রতি বছর অটাম ও স্প্রিং দুটি সেমিস্টার হয়ে থাকে।

-IELTS/TOEFL/SAT গ্রহণ করে কি?

-হ্যাঁ, গ্রহণ করে।

-তুর্কিশ ল্যাংগুয়েজ কোর্স কত মাস ?

-এক বছর।

-তুরস্কের সার্টিফিকেট বাংলাদেশের মার্কেটে চলে?

-হ্যাঁ। ইউজিসি থেকে সমমান করিয়ে আপনি বি সি এস, নিবন্ধনসহ সকল চাকরির মার্কেটে চালাতে পারবেন। 

-তুরস্কের সার্টিফিকেট দিয়ে বাংলাদেশে চাকরি পাব?

-পাবেন। অস্বাভাবিক যোগ্যতা থাকতে হবে নয়তোবা মামু খালু গদিতে থাকতে হবে।😁

-তুরস্ক থেকে ইউরোপে যাওয়া যায়?

-চারটি পথে যাওয়া যায়।

১) আকাশ পথ 

২) সড়ক পথ

৩) বৈধ পথ

৪)অবৈধ পথ।😜 

প্রথম দুটি তো বুঝে ফেলছেন। চতুর্থটি সম্পর্কে ইস্তানবুলে অনেক দালাল পাবেন, পুলিশি ডান্ডার রিস্ক নিয়ে তাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারবেন। এ ব্যাপারে এর বেশী কিছু জানি না। ইনবক্সে দালালের নাম্বার না চাওয়ার অনুরোধ রইলো 😜। তৃতীয় বিষয়টি হচ্ছে বৈধ পথে তথা ইরাসমুস এক্সচেঞ্জ প্রগ্রামের মাধ্যমে এক বছরের জন্য ইউরোপের একটি ইউনিভার্সিটিতে অধ্যয়ন করার সুযোগ পাবেন।

তাছাড়া মেভলানা এক্সচেঞ্জ প্রগ্রামের মাধ্যমে ইউরোপের বাহিরে অন্য একটি দেশে আরো একটি সেমিস্টার অধ্যয়ন করার সুযোগ আছে।

-টিউশন ফি কত?

-ইউনিভার্সিটি ও ফ্যাকাল্টি ভেদে টিউশন ফি কম বেশী হয়। ছোট শহরের ইউনিভার্সিটিগুলোতে সেমিস্টার ফি ৩০০লিরা (৩৭৫০টাকা) থেকে ১৫০০লিরা (১৮৭৫০) পর্যন্ত হয়ে থাকে।  ইস্তানবুল, আংকারা,  ইজমির এর মত বড় শহরের ইউনিভার্সিটির টিউশন ফি ১৫০০ লিরা (১৮৭৫০ টাকা) থেকে ৭৫০০ লিরা (৯৩৭৫০টাকা) পর্যন্ত হয়ে থাকে। বিস্তারিত ইউনিভার্সিটির ইন্টারন্যাশনাল বিভাগে দেয়া থাকে।

–থাকা খাওয়ার খরচ কেমন?

-সরকারী বা বেসরকারী হলের খরচ ২৫০ লিরা (২৫০০টাকা) থেকে ৭০০লিরা (৮৭৫০টাকা) পর্যন্ত। তুরস্কে সরকারি ও প্রাইভেট দুই ধরনের ডরিমেটরি আছে । সরকারীতে বিদেশী স্টুডেন্টদের চান্স পেতে এক বছরের রেজাল্ট দরকার হয়। কয়েকজন মিলে ফ্লাট নিয়ে থাকলে জন প্রতি ৩-৫ হাজার টাকায় থাকা খাওয়া কমপ্লিট করা সম্ভব। শহর ভেদে কম বেশী হবে । 

-ল্যাংগুয়েজ কোর্স ফি কত?

-ছোট শহরের কোর্সগুলোতে ৩০০০ লিরা (৩৭৫০০টাকা) থেকে শুরু হয়, কম বেশী আছে। 

-হেল্থ ইনস্যুরেনস কত টাকা?

-১৫০লিরা(১৮৭৫টাকা) থেকে উপরে।

-বিমান ভাড়া কত?

-পঞ্চাশ হাজার থেকে সত্তর হাজার পর্যন্ত।

-রেসিডেন্ট কার্ড করতে কত টাকা লাগে?

-১৫০ লিরা(১৮৭৫টাকা)

-এমব্যাসি ও মেডিকেল ফি কত?

-২০ হাজার টাকা।

-কাগজপত্র অনুবাদ করতে কত টাকা লাগে?

-১৫০০ থেকে ২০০০ টাকা ।

-ভিসা হওয়ার সম্ভাবনা কতটুকু?

-কনসালটেন্সি গুলো এমব্যাসির সাথে সুসম্পর্ক করে ভিসার গ্যারান্টি দেয়😜। তবে আপনার কাগজপত্র সব ঠিক থাকলে ভিসা হওয়ার সম্ভাবনা আছে। ঢাকায় এ বছর নতুন এমব্যাসেডর আসছে। আশা করি কোয়ালিফাইড কারোর ভিসা রিজেক্ট না হোক! রিজেক্ট করলে কারণ ব্যাখ্যা করুক!

-ভিসা না হলে ২০ হাজার টাকা লস?

-জ্বী। পৃথিবীর কোনো এমব্যাসিই ভিসা ফি ফেরত দেয় না।

-স্কলারশিপ ব্যতীত, এমব্যাসির সাথে সুসম্পর্ক কিংবা কনসালটেন্সি ছাড়া কেউ প্রাইভেটভাবে নিজে নিজে আবেদন করে তুরস্কে গেছে?

– হ্যাঁ। সংখ্যাটা কম হলেও এসেছে।

-অনার্স করার পাশাপাশি কাজ করা যাবে?

– বড় শহরে লুকিয়ে কাজ করতে পারলেও একাডেমিক রেজাল্ট ভাল করাটা কঠিন। তুরস্কে ভাল রেজাল্ট করতে পড়াশোনা করতে হয় 😊। কাজ পাওয়াটাও কঠিন, তুর্কিশ অনেক বেকার আছে।

-বাংলাদেশের প্রাইভেট ইউনিভার্সিটির খরচে তুরস্কে পাবলিকে পড়াশোনা করা সম্ভব?

-হ্যাঁ। ইউরোপের লাইফ স্টাইলে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে তুরস্কের ছোট একটি শহরের ইউনিভার্সিটিতে বাংলাদেশের প্রাইভেট ইউনিভার্সিটির চেয়ে কম খরচে অনার্স শেষ করা সম্ভব। 

-কিছু কিছু ইউনিভার্সিটির ওয়েব সাইটে তুর্কিশ ভাষা আসে , আবেদন করব কিভাবে?

-অধিকাংশ ইউনিভার্সিটির ইন্টারন্যাশনাল বিভাগে ইংলিশ আছে। না থাকলে নিজের মোবাইল বা কম্পিউটারের অটো ইংলিশ ট্রানসলেট অপশন ব্যবহার করে আবেদন করবেন । না পারলে গুগল ট্রানসলেট। তাও না পারলে শুধুমাত্র এই ব্যাপারে আমাদেরকে ইনবক্স করতে পারবেন। 

-আবেদন করতে পাসপোর্ট লাগে?

-না। থাকলে ভাল। 

-আবেদন করতে কি কি লাগে?

-ফটো, আইডি/জন্ম সনদ, এস এস সি ও এইচ এস সি এর সার্টিফিকেট ও মার্কশিট (তুর্কিশে অনুবাদ থাকলে ভাল),  ইমেইল, মোবাইল নাম্বার ও ঠিকানা।

-গ্রীষ্মের তিন মাস ছুটিতে কাজ করে সে উপার্জন দিয়ে বাকি সেমিস্টার পার করা যায়?

-হ্যাঁ। চোখ কান খোলা রেখে মিতব্যয়ী হলে সম্ভব।

-প্রাইভেট স্কলারশিপ পাওয়া সম্ভব?

-হ্যাঁ। কতিপয় সরকারি বেসরকারি সংস্থা বিদেশি স্টুডেন্টদের স্টাইপেন্ড দিয়ে সহায়তা করে থাকে। সেক্ষেত্রে চোখ কান খোলা রাখলে এবং রেজাল্ট ভাল করলে আসার পরবর্তী বছর থেকে নিজেই দুয়েকটা স্কলারশিপ ম্যানেজ করে নিতে পারবেন।

-তুরস্কে ধার্মিক মেয়েরা নিরাপত্তার সাথে পড়াশোনা করতে পারে?

-হ্যাঁ। সর্বোচ্চ নিরাপত্তার সাথে যেমন ধর্ম পালন করতে পারবে ঠিক তদ্রূপ ধর্ম পালন না করারও সর্বোচ্চ স্বাধীনতা আছে।

-আপনি কি করেন, কিভাবে চলেন, ভবিষ্যতে কি করবেন?

-এগুলো ব্যক্তিগত প্রশ্ন। আপনার জানার দরকার আছে বলে মনে হয় না। 

নিজ খরচে পড়াশোনার ব্যাপারে আরও প্রশ্ন থাকলে কমেন্ট বক্সে লিখুন, পোস্ট আপডেট করে দিব।

লিখেছেন: আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ

সুলেইমান দেমিরেল ইউনিভার্সিটি।

Higher Study | IELTS | Tips & Tricks
1 min read

“ঘরে বসে IELTS এর প্রস্তুতি”

September 24, 2023

“ঘরে বসে IELTS এর প্রস্তুতি”

আজকের পর্বে আমরা আলোচনা করবো “ঘরে বসে IELTS এর প্রস্তুতি” সম্পর্কে। তাহলে আর দেরি না করে চলুন শুরু করা যাক।

হায়ার স্টাডির স্বপ্ন যখন আপনাকে তারা করে বেড়ায়, তখন আপনার জীবনের সাথে জড়িয়ে যাবে IELTS (আইইএলটিএস) নামক শব্দটি। বর্তমানে উচ্চশিক্ষার জন্য যারা দেশের বাহিরে যেতে ইচ্ছুক তাদের জন্য একটি সুপরিচিত শব্দ IELTS (আইইএলটিএস)। কিন্তু অনেকেই শব্দটি শুনে থাকলেও IELTS এর বিষয়ে তাদের স্পষ্ট ও স্বচ্ছ কোন ধারণা নেই। ফলে IELTS কি, কিভাবে IELTS করতে হয়, করে কি লাভ, কিভাবে শুরু করবেন, সফলতা পাবেন প্রভৃতি প্রশ্নগুলোয় আপনি দ্বিধান্বিত হতে পারেন। তাই আজ আপনাদের সাথে আলোচনা করবো IELTS এর আদ্যোপান্ত।

১. IELTS (আইইএলটিএস) কি এবং কেন? এটা খায় না মাথায় দেয়!…..

২.IELTS এর পূর্ণরূপ হলো International English Language Testing System। ১৯৮৯ সালে IELTS যাত্রা শুরু করে এবং পরবর্তীতে বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয়তা লাভ করে।

৩.IELTS হলো আন্তর্জাতিক মানের একটি পরীক্ষা এবং এই পরীক্ষার মাধ্যমে আপনার ইংরেজিতে কতটুকু দক্ষতা রয়েছে সেটি যাচাইয়ের পরীক্ষা । অর্থাৎ ইংরেজিতে আপনার কি ধরণের দক্ষতা রয়েছে তার মূল্যায়ন পরীক্ষা এটি।

ইংরেজি ভাষাভাষী রাষ্ট্রে একজন নন-ইংলিশ ব্যক্তি কিভাবে তার মনের ভাব প্রকাশ করবেন, নিজেকে উপস্থাপন করবেন, অন্যের মনের ভাব বুঝবেন, ইংরেজি বলতে, লিখতে, পড়তে, শুনে বুঝতে পারবেন এর মানদণ্ড স্বরূপ IELTS পরীক্ষা নেওয়া হয়। উল্লেখ্য, ইংরেজি ভাষায় আপনার কতটুকু দক্ষতা রয়েছে তা যাচাইয়ের জন্য আরও অনেক পরীক্ষা রয়েছে তবে IELTS হলো তাদের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় পরীক্ষা।

সাধারণত যারা উচ্চশিক্ষার জন্য যারা দেশের বাহিরে (বিদেশ বলতে সব দেশ নয়, ইংরেজি ভাষাভাষীর দেশগুলো) গমনকারী শিক্ষার্থীরা এবং ইমিগ্রেশন, জব, ট্রেনিং, ব্যবসার উদ্দেশ্যে বিদেশে যেতে চাইলে IELTS সার্টিফিকেটের প্রয়োজন হয়)।

সমগ্র বিশ্বব্যাপী British Council, IDP: IELTS Australia এবং Cambridge English Language Assessment এর অধীনে IELTS পরীক্ষা হয়। প্রতিবছর প্রায় ৩০ লাখ প্রার্থী এই পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে থাকেন। ১৬ বছর বয়স থেকে এ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করা যায় এবং কতবার অংশগ্রহণ করতে পারবেন তা নির্ধারিত নয়। অর্থাৎ আপনি যত বার চাইবেন অংশগ্রহণ করতে পারেন।

এখন আসুন এক নজরে দেখে নেই আইইএলটিএস করার উপকারিতা বা সুবিধা গুলো, যদিও আইইএলটিএস করার অনেক সুবিধা রয়েছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য সুবিধাগুলো হলো শুধু এখানে তুলে ধরলাম-

১. উচ্চশিক্ষা (অনার্স, মাস্টার্স, পিএইচডি) গ্রহণের উদ্দেশ্যে।

২. আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া, জার্মানি, কানাডাসহ বিভিন্ন দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার উদ্দেশ্যে।

৩. বিদেশে কোনো চাকরি পেলে, সেখানে বসবাসের উদ্দেশ্যে।

৪. বিদেশে উচ্চশিক্ষা, জব গ্রহণের মাধ্যমে নিজের ক্যারিয়ার গঠনের উদ্দেশ্যে।

৫. অনেক দেশের ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ, সরকারি এজেন্সিগুলো IELTS এর স্কোরের উপর সবচেয়ে বেশি গুরুত্বারোপ করে থাকে।

৭. আমেরিকার অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন, GRE,Gmate,ACT, TOFEL এসব এর পাশা পাশি IELTS গ্রহণ করা হয়ে থাকে।

৮. ইংরেজির দুর্বলতা কাটিয়ে দেশে ভালো চাকরির আশায়।

৯. ইংরেজি ভাষাভাষী মানুষের সাথে চাকরি ও ব্যবসাসূত্রে যোগাযোগ স্থাপনের লক্ষ্যে।

এতোক্ষণ আমরা জানলাম, আইইএলটিএস কি এবং এর উপকারিতা গুলো।

এখন আমরা চলুন জেনে নেই আইইএলটিএস এর IELTS এর প্রশ্ন কাঠামো সম্পর্কে।

আইইএলটিএস (IELTS) টেস্টকে চার ভাগে ভাগ করা যায়-

১. Accademice IELTS (একাডেমিক আইইএলটিএস)

২. UKVI IELTS

৩. General Training IELTS (জেনারেল ট্রেনিং আইইএলটিএস)

৪.IELTS life skills.

তবে বিদেশে উচ্চ শিক্ষার জন্য স্টুডেন্টরা academic IELTS এবং UKVI IELTS (UK Study purpose) দিয়ে থাকে। আর General Training IELTS মূলত যারা দেশের বাহিরে ইমিগ্রেন্ট বা স্কিল ওয়ার্ক পারমিটে আসে তারা দিয়ে থাকে।

তবে আমাদের মূল উদ্দেশ্য যখন একাডেমি আইইএলটিএস নিয়ে , তাই আমরা কেবল এই বিষয়েই বিস্তারিত আলোচনা করবো।

এবার আসুন আইইএলটিএস পর প্রশ্নের ধরন একটু বিস্তারিত আলোচনা করি।

আইইএলটিএস টেস্ট দুটিকে( Accademic & GT) ৪টি পোর্শনে স্পিলিড করা হয়েছে।

এগুলে হলো

1. Reading

2.Writing

3.listening

4.Speaking

1. Reading(রিডিং): রিডিং টেস্টের জন্য আপনাকে ১ ঘন্টা সময় দেওয়া হবে ও ৩টি অনুচ্ছেদ থেকে ৪০টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। রিডিং টেস্টের মাধ্যমে আপনার পড়ার দক্ষতা যাচাই করা হয়। টেস্টের অনুচ্ছেদ থেকে Gap fill, summary, true false nit given. Yes no not given, list of headingস,MCQ এর সঠিক উত্তর খুঁজে বের করতে হয় এবং উত্তর গুলো আপার কেইজ বা ক্যাপিট্যাল লেটারে লওখতপ হয়। একাডেমিক টেস্টের অনুচ্ছেদগুলো বেশ বড় এবং এগুলো সংবাদপত্র, বই, ম্যাগাজিন থেকে নেওয়া হতে পারে যা থেকে প্রশ্নের উত্তর খুঁজে বের করা হয়। এগুলো সাধারণত গবেষণা ও বিজ্ঞান বিষয়ক লেখা।একাডেমিক টেস্টের চেয়ে জেনারেল টেস্ট তুলনামূলক সহজ। দৈনন্দিন জীবনে মুখোমুখি হতে হয় এমন বিষয় নিয়ে এই টেস্ট হয়। সংবাদপত্র, বই, বিজ্ঞাপন, হ্যান্ডআউট, ম্যাগাজিন থেকে অনুচ্ছেদ তুলে দেওয়া হয়।

2.Writing(রাইটিং): রাইটিং অংশ হচ্ছে সম্পূর্ণ পরীক্ষার সবচেয়ে কঠিন অংশ। তবে এটি সহজ না কঠিন তা নির্ভর করে আপনার প্রস্তুতি ও দক্ষতার উপর। টেস্টে আপনার ইংরেজি লেখার দক্ষতা যাচাই করা হয়। এক্ষেত্রে আপনাকে যথেষ্ট সৃজনশীল হতে হবে। এই টেস্টে ১ঘন্টা সময়ের মধ্যে আপনাকে দুইটি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। প্রথম অংশে একটি গ্রাফ, ডায়াগ্রাম, চার্ট, বা ম্যাপ দেওয়া থাকে যেটি নিজের ভাষায় বিশ্লেষণ করতে হয়। পরের অংশে একটি মতামত( Opinion easy, advantage disadvantage, Cause and effect etc) থাকবে সেটির পক্ষে-বিপক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করতে হবে। তবে প্রথম অংশের চেয়ে দ্বিতীয় অংশে বেশি নাম্বার থাকে এবং সময়ও বেশি দিতে হয়।

IELTS Related Another Post: ঘরে বসে IELTS প্রস্তুতি নেওয়ার উপায়

একাডেমিক টেস্ট ও জেনারেল টেস্টে কিছুটা পার্থক্য আছে। জেনারেল টেস্টে প্রথম প্রশ্নে গ্রাফ, ডায়াগ্রাম, চার্ট বা ম্যাপের পরিবর্তে ফরমাল বা পারসোনাল লেটার লিখতে দেওয়া হয়।

3.listening (লিসেনিং): লিসেনিং এর জন্য আপনাকে ৩০ মিনিট সময় দেওয়া হবে। আপনাকে ৩০ মিনিটের অডিও ভিত্তিক এই পরীক্ষায় ৪টি ভাগে ১০টি করে মোট ৪০টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। প্রতিটির নির্ণারিত মান ১ এই ভিত্তিতে সঠিক উত্তরের উপর নির্ভর করে ব্যান্ড স্কোর দেওয়া হয়। লিসেনিং আপনার কথোপকথন বোঝার দক্ষতা যাচাই মূলক পরীক্ষা। ৩০ মিনিটের এই ৪টি রেকর্ডটি আপনার মাত্র একবার শোনার সুযোগ থাকবে। এটি শোনার পর উত্তরপত্রে আপনাকে উত্তর গুলো লিখতে হবে এবং আরো দশ মিনিট পাবেন উত্তর গুলো উত্তর পত্রে ট্রান্সফার করার জন্য।এবং এটাও খেয়াল রাখতে হবে স্পেলিং মিস্টেক হলে আপনার মার্ক কার্ক কাটা যাবে, এছাড়া উত্তর গিলো আপনার কেইজ বা ক্যাপিট্যাল লেটারে লিখতে হবে। তাই আপনাকে এই পরীক্ষার সময় খুব মনোযোগী হতে হবে।

4.Speaking (স্পিকিং): ইংরেজিতে আপনি কতটা গুছিয়ে, সুন্দর করে ও সাবলীলভাবে কথা বলতে পারেন সেই দক্ষতা যাচাই করা হয় স্পিকিং টেস্টের মাধ্যমে। পরীক্ষার্থীদের ১১ থেকে ১৪ মিনিটের পরীক্ষা দিতে হয়। প্রথম অংশে কিছু সাধারণ প্রশ্ন করা হয় যেমন: পরিবার, পড়াশোনা, কাজ, শখ ইত্যাদি নিয়ে। দ্বিতীয় অংশে Cue card বা একটি নির্দিষ্ট বিষয়ে ২ মিনিট কথা বলতে হয় এবং এর আগে ঐ বিষ বা টপিকটা নিয়ে এক মিনিট চিন্তা করার সময দেয়া হয়। তৃতীয় অংশে কোনো নির্দিষ্ট বিষয়ে পরীক্ষকের সঙ্গে ৪-৫ মিনিট কথোপকথন করতে হয় বা প্রশ্ন-উত্তর চলে।

আমরা পরের প্রশ্নে আলোচনা করবো

IELTS student এর পড়ার রুটিন কেমন হওয়া উচিত?

ধন্যবাদ

© Banglay IELTS

England | Higher Study | IELTS | Oxford | Scholarship | UK
1 min read

🔰🔰অক্সফোর্ডে বিনা মূল্যে পড়ার সুযোগ 🔰🔰

September 19, 2023

🔰🔰অক্সফোর্ডে বিনা মূল্যে পড়ার সুযোগ 🔰🔰

উন্নয়নশীল দেশের শিক্ষার্থীদের জন্য বৃত্তি নিয়ে পড়ার সুযোগ আছে যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে। স্নাতকোত্তর ও পিএইচডিতে এ বৃত্তি নিয়ে পড়তে পারবেন আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা। সম্পূর্ণ বিনা মূল্যে পড়ার অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এ বৃত্তির নাম ‘রোডস স্কলারশিপ’। বাংলাদেশসহ অন্য দেশের শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবেন। আবেদনের শেষ সময় এ বছরের জন্য জুলাই-অক্টোবর।

বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন বৃত্তি ‘রোডস স্কলারশিপ’। রোডস বৃত্তি যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার জন্য আন্তর্জাতিক বৃত্তি প্রদান প্রকল্প। বৃত্তিটি ১৯০২ সালে চালু করা হয়। ইংরেজ ব্যবসায়ী ও রাজনীতিবিদ সেসিল রোডস এ বৃত্তি চালু করেন। বৃত্তির উদ্দেশ্য ছিল কর্মজীবনে প্রবেশ করতে যাওয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে ভবিষ্যতে নাগরিক নেতৃত্বের গুণাবলি ও নৈতিক সাহস প্রতিষ্ঠিত করা। শুরুতে রোডস বৃত্তিটি কমনওয়েলথ সংস্থাভুক্ত দেশগুলোর (সঙ্গে জার্মানি ও যুক্তরাষ্ট্রও ছিল) পুরুষ আবেদন প্রার্থীদের জন্য নির্দিষ্ট করা ছিল। পরে সেটি সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। প্রাথমিকভাবে নারীদের সুযোগ না দেওয়া, প্রতিষ্ঠাতা রোডসের ইঙ্গ-শ্বেতাঙ্গ আধিপত্যবাদী মনোভাব এবং ব্রিটিশ উপনিবেশবাদের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার কারণে এ বৃত্তি প্রকল্পটি বিতর্কিত ছিল।

রোডস বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের মধ্যে অন্যতম হলেন পাকিস্তানের সাবেক রাষ্ট্রপতি ওয়াসিম সাজ্জাদ, অস্ট্রেলিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী টোনি অ্যাবট, বব হক ও ম্যালকম টার্নবুল, যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক রাষ্ট্রপতি বিল ক্লিনটনসহ একাধিক নোবেল পুরস্কার বিজেতা। বিতর্কিত হওয়ার কারণে বেশ কয়েকজন ব্যক্তি রোডস বৃত্তি প্রত্যাখ্যানও করেছেন।

🔰সুযোগ সুবিধাগুলো—

  • সম্পূর্ণ টিউশন ফি মিলবে;
  • আবাসন সুবিধা থাকবে;
  • উপবৃত্তি হিসেবে বছরে ১৮, ১৮০ পাউন্ড (বাংলাদেশি মুদ্রায় ২৪ লাখ ৮৮ হাজার ২৭৩ টাকা) পাবেন। (১ পাউন্ড সমান ১৩৬ টাকা ৮৭ পয়সা ধরে)
  • বিমানে যাতায়াতের টিকিট
  • ভিসা ফি
  • স্বাস্থ্যবিমাও পাবেন।

🔰যোগ্যতাগুলো—

  • আবেদনকারীর বয়স ১৮ থেকে ২৪ বছর হতে হবে;
  • স্নাতকোত্তরের জন্য স্নাতক এবং পিএইচডির জন্য স্নাতকোত্তর পাস হতে হবে;
  • ইংরেজি ভাষায় দক্ষ হতে হবে;
  • ইংরেজিতে আইইএলটিএসের দক্ষতা সনদ লাগবে।

🔰আবেদন প্রক্রিয়া
অনলাইনে আবেদন করা যাবে। আবেদন করতে এবং বিস্তারিত জানতে নিচের লিঙ্কে ক্লিক করুন ।

🔗লিঙ্কঃ
https://www.rhodeshouse.ox.ac.uk/scholarships/the-rhodes-scholarship/

Higher Study
1 min read

National University to Abroad

September 5, 2023

National University to Abroad

আপনি পাব্লিক ভার্সিটিতে তে পড়েন? Great! আপনি প্রাইভেটে পড়েন? Good! আপনি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় এর অধীনে কোন কলেজে পড়েন? amazing! ভাই, বুকে আসেন। চলেন এক কাপ চা খাই।

.

অনেকেই মনে করে, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ি, আমারে দ্বারা কিছু হবেনা। আমি কি উচ্চশিক্ষায় বিদেশে যেতে পারব? আমাদের থেকে অন্যরা তো অনেক এগিয়ে। আপনি যদি তাদের একজন হন তাহলে এই পোস্টটি আপনাকেই খুঁজছে!

.

লাইফে যা হওয়ার তা হয়ে গিয়েছে, এখন আর যাতে খারাপ কিছু না হয় সেজন্য কাজ করতে হবে। পাব্লিকে পড়ার স্বপ্ন ছিলো পূরণ হয়নি, মধ্যবিত্ত বলে প্রাইভেটেও পড়তে পারেন নি, জীবনে ভার্সিটি নামক স্বাদ নিতে পারেন নি, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে কিছু হবে না, ছোটোবেলার স্বপ্ন গুলো অধরা থেকে যাচ্ছে, সাথে আরো কয়েক’শ হতাশা!

আপনি যদি সত্যিই চান লাইফের বাকী অংশটায় স্বপ্নের ছোঁয়া লাগাবেন, তাহলে হাতে যা আছে তা নিয়েই মাঠে নামতে হবে! সাধারণত এক গ্লাস পানি তেমন বিশেষ কিছু না হলেও বিশাল মরুভূমির মাঝে এক গ্লাস পানি অনেক কিছু! সুতরাং এই এক গ্লাস পানি নিয়েই আপনাকে মরুভূমি পার করতে হবে। আসুন খেলায় নামি!

.

প্রথমেই আগের অপ্রাপ্তির চিন্তা ভাবনা বাদ দিতে হবে। এখন আপনাকে মাথায় আনতে হবে আগামীর কথা! সবসময় পজেটিভ চিন্তা রাখবেন। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে আপনি বরং আরো একধাপ এগিয়ে থাকতে পারবেন। বিশ্বাস হয়না? চলুন একটা পরিসংখ্যান করা যাক।

.

⇨ কেয়ার না করাঃ যারা public এ পড়ে, তারা ভাবে অনেক দিন তো কষ্ট করলাম। এবার একটু relax করি। এই relax করতে করতে কখন যে থার্ড ইয়ারে এরা চলে আসে বুঝতেই পারেনা। এরা আড্ডা মাস্তি ক্যাম্পাসে চিল আপ, ট্যুর দিতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে। আমার দেখা অনেকেই উদাসীন থাকে লেখাপড়ার ব্যাপারে। অন্যদিকে যারা জাতীয়তে পড়ে তারা একটু কেয়ারফুল হয় কেননা জাতীয়তে রেজাল্ট ভাল করা একটু টাফ। এখানে কোথা থেকে প্রশ্ন আসবে জানা যায় খুব কম। পাব্লিক এর মতন কিছু প্রশ্ন পড়লেই হয়না বরং আরো বেশি পড়া লাগে। কিছু পোলাপান আলাদা সব সময় থাকে, যারা আসলেই এসব নিয়ে ভাবে। আপনাকে তাদের মধ্যে একজন অন্যতম হতে হবে।

⇨ অনেক সময় পাওয়াঃ যারা জাতীয়তে পড়ে এদের হাতে বেশ ভালো সময় থাকে। অনন্ত পাব্লিকে যারা পড়ে তাদের থেকে বেশি থাকে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় এ ক্লাস খুব কম হয়, অন্যদিকে পাব্লিকে বেশ ভালই ক্লাস হয়। সাথে থাকে assignment, presentation ইত্যাদি ইত্যাদি। অনেক সময় ক্লাস ৯ টা থেকেও থাকে প্রায় ১ টা অবধি। ক্লাস থেকে এসে সন্ধ্যা অবধি ঘুম। সন্ধ্যা তে উঠে হয় টিউশন নাহলে আড্ডা। এরা হাতে সময় কম পায়। কিন্তু কলেজের পোলাপান হাতে বেশি সময় পায়। ক্লাস কম হয়, এতো presentation থাকেনা। নিজের পড়াশোনা জন্যেও বেশ সময় পাবেন। মনে রাখবেন, cgpa ভালো না হলে চান্স পাওয়া একটু টাফ। সুতরাং কলেজ বা ভার্সিটি এই পরিচয় না এনে নিজের ডিপার্টমেন্ট এর পরিচয় মাথায় আনুন৷ পাঁচ তারকা হোটেলে যে চাউল থেকে ভাত হয়, রাস্তার পাশের হোটেলেও সেই চাউল থেকে ভাত হচ্ছে। সুতরাং চাউল এর পরিচয় মুখ্য, স্থানভেদে জিনিসের পার্থক্য হলেও উপাদান একই!

Higher study এর জন্য সুচিন্তিতভাবে আগানো দরকার বলে আমি মনে করি।

তার কিছু নিচে উল্লেখ করলাম –

১.ভালো cgpa

২.ইংরেজি তে দক্ষতা বাড়ানো ও ielts/ toffel এর জন্য প্রস্তুতি নেওয়া।( সাধারণত ielts score মাস্টার্স এর জন্য ৬.৫, কোন মডিউলে ৬ এর কম নয়)

৩.এনালিটিকেল দক্ষতা প্রমাণের জন্য GRE/GMAT এক্সাম শেষ করা একটা ভালো স্কোর সহ ৩১০+.

৪.যত বেশি সম্ভব ছোটো খাটো জব,প্রোজেক্ট এ কাজ করার অভিজ্ঞতা নেওয়া।

৫.সম্ভব হলে পাবলিকেশন করা।

৬.extra কারিকুলাম কাযক্রমে অংশগ্রহণ করা। বিভিন্ন ট্রেনিং, সেমিনার – সিম্পজিয়াম, লিডারশীপ প্রগ্রাম, সোশাল ওয়াক্‌।

৭.কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহারিক জ্ঞান বাড়ানো,কারণ তা আপনার উচ্চশিক্ষার জন্য লাগবেই।

৮. পড়াশুনা করা অবস্থাতেই বিভিন্ন দেশের উচ্চ শিক্ষার সুবিধা অসুবিধা সম্পকে খোজ রাখা।

৯.কমিউনিকেশন দক্ষতা বাড়ানো কারণ আপনাকে উচ্চ শিক্ষার বিভিন্ন প্রয়োজনে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন প্রফেসর,ডিন ও কোঅডিনেটর এর সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

১০.সবপরি সময়, শ্রম ও ধৈযর্ ধরে লেগে থাকা কোন অবস্থাতেই নিরাশ না হওয়া।

© CRHS

Higher Study
1 min read

বিদেশে পড়তে যাওয়ার ১ বছর আগে থেকে করণীয়:

September 4, 2023

বিদেশে পড়তে যাওয়ার ১ বছর আগে থেকে করণীয়:

(আজকের পোস্টটি শুধুমাত্র কানাডার জন্য নয়, যেকোনো দেশে পড়তে গেলে এই তথ্যগুলো আপনাকে সহায়তা করবে।)

১. আপনার নাম এবং আপনার পিতা-মাতার নামের সাথে মিল রেখে সার্টিফিকেটে কোনো ভুল থাকলে তা সংশোধন করবেন, হতে পারে নামের বানানে ভুল বা অন্য কিছু। এসময়ে একটা জিনিস খেয়াল রাখবেন, আপনার পিতা-মাতার ভোটার আইডিতে যে নাম আছে ওই নামই যেন সার্টিফিকেটে থাকে। মোট কথা, আপনার জন্মসনদ, সার্টিফিকেট এবং বাবা-মায়ের এনআইডিতে যেন সেইম নাম থাকে।

২. পাসপোর্ট তৈরি: পাসপোর্ট তৈরির সময় পূর্বের সার্টিফিটের মতো নাম এবং স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানার দিকে খেয়াল রাখবেন। এমন যেন না হয় জন্মসনদে আছে বর্তমান ঠিকানা বরিশাল কিন্তু পাসপোর্টে কোনোভাবে এসে গেছে নোয়াখালী।

(১,২ নং পয়েন্টে কোনোভাবে ভুল হলে এগুলোর সংশোধন; বিদেশে পড়তে যান বা না-যান, এমনিতেই জরুরি এবং সংশোধন একটু সময় সাপেক্ষ বিষয়।)

৩. SSC এবং HSC এর মার্কশিট এবং সার্টিফিকেট বোর্ড থেকে সংগ্রহ করা এবং মাস্টার্সে যেতে চাইলে অনার্সের সার্টিফিকেট বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অফিস থেকে সংগ্রহ করে রাখা।

৪. সার্টিফিকেট সংগ্রহের পর এগুলো শিক্ষা এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে সত্যায়িত করা।

৫. IELTS Preparation: আইইএলটিএস পরীক্ষার প্রিপারেশন টা একটু আগে থেকেই নেওয়া ভালো। কারণ, অনেকের কাঙ্ক্ষিত স্কোর তুলতে অনেক বেশি সময় লেগে যায় এবং এই সময়ের কারণে অনেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সেশন মিস করে ফেলে। যার জন্য এডুকেশন গ্যাপ বেড়ে যায় এবং ভিসা পাওয়া কঠিন হয়ে যায়।

৬. স্কলারশিপ নিয়ে পড়াশোনা করার ইচ্ছা থাকলে IELTS এর পাশাপাশি আন্ডারগ্র্যাজুয়েটের স্টুডেন্টদের জন্য SAT/ACT পরীক্ষা এবং স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থীদের জন্য GRE/GMAT পরীক্ষার প্রস্তুতি আগে থেকে নেওয়া ভালো।

৭. আপনার পরিচিত বা যেসকল শিক্ষকরা আপনাকে ভালো জানে, এই সকল শিক্ষকদের মধ্য থেকে দুইজন বা তিনজন টিচারের রেকমেন্ডেশন লেটার সংগ্রহ করে রাখা।

৮. SOP লেখার প্রিপারেশন: বিদেশে স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়ার জন্য SOP লেখা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টির প্রিপারেশন অনেক আগে থেকেই নেওয়া ভালো। কীভাবে আপনি এটাকে লিখবেন, এর জন্য অভিজ্ঞ ভাইদের সহযোগিতা নেওয়া বা বিভিন্ন ফেসবুক গ্রুপ বা অন্য কোথা থেকে সহযোগিতা নেওয়া এবং নিজের মতো করে এটাকে প্রস্তুতি নেওয়া যাতে SOP এর ভাষাটা নিজের মতো করে হয়।

৯. ব্যাকগ্রাউন্ড এর সাথে মিল রেখে আপনি যে দেশে পড়তে যেতে চাচ্ছেন ওই দেশের মিনিমাম পাঁচটা বিশ্ববিদ্যালয় খুঁজে বের করে রাখা এবং যে সাবজেক্টে পড়তে যেতে চাচ্ছেন ওই সাবজেক্টটা যেন আপনার পূর্বের পড়া সাবজেক্ট এর সাথে মিল থাকে। ধরেন, আপনি সায়েন্স থেকে এইচএসসি পাশ করছেন সুতরাং আপনাকে এমন কোন সাবজেক্টই পরবর্তীতে চয়েজ করতে হবে যেটা সায়েন্স ব্যাকগ্রাউন্ড এর সাথে মিল থাকে বা ব্যবসায় শিক্ষা বিষয় থেকে আগে পড়াশোনা করে থাকলে এমন সাবজেক্ট পছন্দ করতে হবে যেটা ব্যাবসায় শিক্ষার সাথে মিল থাকে।

১০. আপনার বাজেট, আপনার পছন্দের শহর সহ সব কিছু বিষয় মাথায় রেখে মিনিমাম পাঁচটা বিশ্ববিদ্যালয় বা কলেজ আগে থেকে পছন্দ করে রাখা।

১১. আপনি যে সকল বিশ্ববিদ্যালয় পছন্দ করবেন সে সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের আবেদনের ডেডলাইনের দিকে খেয়াল রাখা এবং সে অনুযায়ী আগে থেকেই আবেদন করা।

১২. ভলেন্টিয়ার সংগঠনে যুক্ত: আপনি যদি খুব সহজেই বিশ্ববিদ্যালয়ের আবেদন করে সিলেক্ট হতে চান বা স্কলারশিপ পেতে চান এবং সহজেই ভিসা পেতে চান তাহলে কিছু ভলেন্টিয়ার সংগঠনের সাথে যুক্ত থাকা এবং তার যথেষ্ট প্রমাণ সংগ্রহ করে রাখা।

১৩. বিদেশে গেলে বেশিরভাগ সময় আপনাকে নিজেকে নিজের রান্না করে খেতে হবে সুতরাং আগে থেকেই দেশ থেকে রান্না শিখে যাওয়া টা ভালো।

১৪. যদি ড্রাইভিং শেখা সম্ভব হয় তাহলে শিখে ফেলুন। ড্রাইভিং লাইসেন্স তৈরি করে রাখুন এবং যদি আরও সম্ভব হয় তাহলে ইন্টারন্যাশনাল ড্রাইভিং লাইসেন্স তৈরি করে রাখতে পারেন।

১৫. যদি সম্ভব হয় তাহলে কম্পিউটারে নিজের স্কিল দেশ থেকে আপগ্রেড করে যান। যেমন: microsoft-office, মাইক্রোসফট ওয়ার্ড, মাইক্রোসফট পাওয়ারপয়েন্টের কাজ শেখা এবং সার্টিফিকেট সংগ্রহ করে রাখতে পারেন। এটা বিদেশে আপনাকে অনেক সাপোর্ট দিবে।

আমার কাছে এই ১৫ টা পয়েন্ট খুবই গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়ছিল। আশা করি, অনেকের কাজে আসবে। গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংবলিত এই লেখাটি লিখেছেন শেখ সাইফুল ইসলাম।

Higher Study
1 min read

আমেরিকায় উচ্চশিক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

September 3, 2023

আমেরিকায় উচ্চশিক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য আসতে গেলে কিছু কাগজপত্র লাগে। যার ধারণা ও প্রস্তুতি আগে থেকে নিয়ে রাখা ভালো। তাহলে শেষ মূহুর্তে অনেক অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা থেকে বেঁচে থাকা সম্ভব। আজকের লেখাতে সেই বিষয়গুলি লেখার চেষ্টা করবো।

১। পাসপোর্ট ও পাসপোর্টের মেয়াদ

তুমি যেহেতু দেশের বাহিরে আসার প্ল্যান করছ, তাহলে তোমার অবশ্যই পাসপোর্ট থাকা জরুরী। তাই সময়ের আগে, এটি প্রস্তুত রাখা ভালো। ভালো খবর হলো, এখন পাসপোর্টে ১০ বছর মেয়াদ থাকে, তাই একটু আগে করে ফেললেও মেয়াদ নিয়ে তেমন ভাবতে হয় না। আমার পরামর্শ হলো, বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইনাল ইয়ারে সবার পাসপোর্ট বানিয়ে নেওয়া দরকার। আমার অভিজ্ঞতা অনুযায়ী একা একা পাসপোর্ট করতে, প্রায় ২ মাস সময় লেগে যায় (নরমাল ডেলিভারি হলে), আর প্রায় ৫ হাজার টাকা খরচ হয়।

অনেকেই আছো, যাদের আগে থেকেই পাসপোর্ট আছে, তাদেরকে বলব এটার মেয়াদ ঠিক আছে কি না দেখে নিও। সচরাচর, ভিসা দেওয়ার সময় নূন্যতম এক-বছরের মেয়াদ থাকতে হয়। তাই, যদি তুমি ফল-২০২৪ এ আসতে চাও, তাহলে হয়ত ভিসা পাবা জুলাই ২০২৪ থেকে। সেক্ষেত্রে তোমার পাসপোর্টের মেয়াদ কমপক্ষে জুলাই ২০২৫ অবধি থাকা জরুরী। যদি না থাকে, তাহলে সময় থাকতে রিনিউ করে নেওয়া দরকার।

২। একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট

এটা শুধুমাত্র যারা পাস করে ফেলেছ তাদের জন্য। বিদেশের যে বিশ্ববিদ্যালয়েই তোমার এডমিশন হোক না কেন, সেখানে একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট লাগে। যা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রি অফিস থেকে সরবরাহ করা হয়। তবে, এটা কখনো কখনো সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় (যেমন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়) গুলোতে ১৫-২০ দিন সময় নেয়। তাই আগে-ভাগে দুই-এক কপি তুলে রাখা ভালো। আর একটা কথা, প্রফেসরদের ইমেইল দেওয়ার সময়, এই ট্রান্সক্রিপ্ট এটাস্ট করে দিলে, সেটার একটা আলাদা গুরুত্ব থাকে। তাই আমি মনে করি, ইমেইল দেওয়ার আগে কমপক্ষে এক-কপি তুলে রাখা দরকার।

৩। ভালো একটা CV (Curriculum Vitae)/Resume

উচ্চশিক্ষার আবেদনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জিনিস হচ্ছে CV। তাই এটার ব্যাপারে বিশেষ যত্নবান হওয়া দরকার। CV একজন ছাত্রকে প্রফেসর এর সামনে তুলে ধরে। তাই অনেক সময় নিয়ে, বিভিন্ন জনের CV Sample দেখে এটি বানানো উচিৎ। তাড়াহুড়া করে ভালো CV বানানো সম্ভব নয়। কারো কারো একটা ভালো CV বানাতে বছর লেগে যায়। CV বানানোর কিছু আইডিয়া পাওয়া যাবে Europass CV Template থেকে। তবে CV বানানোর জন্য, অভিজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়া খুবই জরুরী। তাই আমি মনে করি, নিজের মত একটা CV লিখে, অভিজ্ঞ কাউকে পাঠানো যেতে পারে।

কেও যদি আমাকে পাঠাও, আমি যতটা পারি সাহায্য করার চেষ্টা করবো। তবে হহ্যাঁ, ফিডব্যাকের জন্য কখনো অপেক্ষা করতে হতে পারে।

৪। Motivation Letter / SOP (Statement of Purpose)

এটিও সিভির (CV) সমান গুরুত্বপূর্ণ একটা ডকুমেন্ট। যাতে মূলত একজন ছাত্রের ব্যাকগ্রাউন্ড এবং তার সাথে আবেদনকৃত উচ্চশিক্ষা কোর্সের একটা সংযোগ স্থাপন করতে হয়। সেটার জন্য একটা সুপরিকল্পিত প্ল্যান প্রয়োজন। জোড়াতালি দিয়ে, যেকোন রকমের একটা সম্পর্ক স্থাপন করে লিখে দিলে হয় না। কারণ, SOP প্রফেসররা খুব ভালো করে পড়ে দেখেন। প্রত্যেকটি লাইন। তাই এটি যত্ন নিয়ে লিখতে হয়। এখানে আসলেই তুমি কি চাও এবং তোমার ভবিষৎ প্ল্যান কী তা ফুটিয়ে তুলতে হয়। আর একটা গুরুত্বপূর্ণ কথা হলো, তোমার স্বপ্নের সাথে আবেদনকৃত বিশ্ববিদ্যালয় বা প্রফেসরের কী সম্পর্ক তাও বর্ণনা করতে হয়। তাই, SOP লেখার আগে, বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রফেসরদের সম্পর্কে ভালো ধারণা তৈরি করে নিতে হবে। তাই এ ব্যাপারে পড়াশোনা জরুরী। একটা ভালো SOP ছাড়া ভালো বিশ্ববিদ্যালয়ে ফান্ডিং পাওয়া একরকম অসম্ভব।

আমার পরামর্শ হলো, CV এবং SOP লেখার জন্য কমপক্ষে দুইমাস সময় হাতে রাখা দরকার। তাই যারা পরবর্তী ফলে আবেদন করতে চাও, এখনি এগুলো প্রস্তুত করার সময়।

৫। Recommendation Letter / Reference Letter

পরবর্তী গুরুত্বপূর্ণ কাগজ হলো Recommendation Letter / Reference Letter। আমেরিকার বিশ্ববিদ্যালয় গুলি ৩ টি করে Recommendation Letter চাই। যার দুইটা বিশ্ববিদ্যালয়ের সরাসরি শিক্ষক থেকে, এবং অপরটি কোন সহকর্মী বা অফিসের বস বা সমাজ-কর্মী এদের থেকে নেওয়া ভালো। মূলত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকগণ আবেদনকৃত ছাত্র/ছাত্রীর একাডেমিক মান নিয়ে বলবেন। আর অপরটি তার কাজের প্রতি মনোযোগ, অথবা কর্মী হিসাবে নিষ্ঠা অথবা সে কতটা সামাজিক এগুলোর মূল্যায়ন করবে।

এখন আসি, আমাদের দেশের প্রফেসরগণ বাইরের প্রফেসরদের মত শুধুমাত্র একটা/দুইটা কোর্স আর রিসার্স নিয়ে ব্যাস্ত থাকেন না। তাদের অনেক দ্বায়িত্ব থাকে। তাই এটা ভালো হয়, তুমি যে শিক্ষকের সাথে Recommendation Letter নিতে চাও, তাঁর সাথে তোমার সম্পর্ক মূল্যায়ন করে নিজেই ড্রাফট লিখে রাখ। এরপর সময় হলে, উক্ত শিক্ষকে দিলে, উনি অবশ্যই সংশোধন করে দিবেন। যেহেতু এতে স্যারের সময় বাচবে তাই উনি হয়ত একটু খুশিও হবেন। তাই নিজে ড্রাফট লিখে রাখাটা খুবই জরুরী।

আজ এতটুকুই। পরবর্তীতে আরো কিছু পরামর্শ নিয়ে লিখব ইনশা-আল্লাহ। সবাই ভালো থাকো, আর স্বপ্ন ও সাহস নিয়ে সামনে এগিয়ে যাও।

মো: আরিফুল ইসলাম

পি এইচ ডি গবেষক

বিঙ্গহ্যামটন ইউনিভার্সিটি, নিউ-ইয়র্ক, আমেরিকা।

Higher Study
1 min read

স্কলারশিপে আমেরিকাতে যাওয়ার খরচ সমূহঃ

May 18, 2023

স্কলারশিপে আমেরিকাতে যাওয়ার খরচ সমূহঃ

  • IELTS খরচ ২০ হাজার টাকা
  • i20 ফর্ম for সেভিস ID ফি ৩০ হাজার টাকা
  • কোভিড টেস্ট ৩ হাজার টাকা
  • ভিসা খরচ ১৩ হাজার টাকা
  • হালকা শপিং ২০ হাজার টাকা
  • প্লেন ভাড়া ৮০+ হাজার টাকা
  • প্রথম ২ মাসের খরচ, যেমনঃ
    —— বাসাভাড়াঃ ১-১.৫ লক্ষ টাকা
    —— খাওয়াঃ ৫০-৭০ হাজার টাকা
    —— অন্যান্যঃ ৪০-৫০ হাজার টাকা

স্ত্রী সহ যেতে হলে সর্বমোট ৫ থেকে ৬ লক্ষ টাকা হাতে নিয়ে নিন।

বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদনের জন্য নানা ধরনের আবেদন ফি রয়েছে ৭ হাজার থেকে ১২ হাজার টাকার ভেতরে যেগুলো এখানে ধরা হয়নি। কারণ অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করা ফ্রী।

ধন্যবাদ। 🙂

©️ শাহানুল ভাই

Tips & Tricks
1 min read

কী সাবজেক্ট নিলে ভাল হবে?

May 8, 2023

কী সাবজেক্ট নিলে ভাল হবে?

ধরেন, জগদীশ চন্দ্র বসুকে যদি গণিত পড়তে বলা হতো তাহলে কি তিনি গাছের প্রাণ আছে তা আবিষ্কার করতে পারতেন? নাকি রবীন্দ্রনাথকে রকেট সাইন্স পড়ালে তিনি গীতাঞ্জলী উপহার দিতে পারতেন? অথবা ডঃ ইউনূস স্যার যদি পড়তেন রসায়ন?

হ্যাঁ হয়তো যারা ভাল তারা যেকোন বিষয়েই ভাল করতে পারবে কিন্তু সর্বোচ্চ ভালটা কি দিতে পারবেন? আবিষ্কার বা সমাজ বদলানোমূলক ধারণাগুলি কি আসতো? হতেই পারে একজন কম্পিউটার বিশারদ ছাপোষা চাকরি করেই জীবন পার করে দিলো অন্যদিকে একজন সামাজিক বিজ্ঞানের ছাত্র নতুন গাঠনিক সমাজের আধুনিক জীবনের সূত্র বের করে ফেললো? আবার কাড়ি কাড়ি টাকা কামিয়েও ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার বা ফার্মাসিস্ট ভুগতে পারেন ডিপ্রেশনে…. অন্যদিকে জাপানীজ ভাষা বা লাইব্রেরী ম্যানেজমেন্টে পড়া কোন শিক্ষার্থী বানিয়ে ফেলতে পারেন সুগঠিত ক্যারিয়ার, জাপানে বা বিশ্ববিখ্যাত কোন লাইব্রেরীতে যার পাঠকসংখ্যা মিলিয়নেরও বেশি….. তাহলে?

সুখ কিসে? টাকা কিসে? সম্মান কিসে? এসবকিছুই চিন্তায় আসে সাবজেক্ট চয়েজ করবার ক্ষেত্রে। চায়নাতে প্রফেসররা চান্সপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদেরকে তাদের ল্যাব ও ফ্যাসিলিটি ঘুরিয়ে দেখান। যেন শিক্ষার্থীরা নিজে দেখে শুনে বুঝে সিদ্ধান্ত নিতে পারে যে কোন বিষয়ে বা কোন ল্যাবে সে কাজ করবে। কিন্তু আমরা যেহেতু বাংলাদেশে তাই প্রথমেই কোন বিশ্ববিদ্যালয় চয়েজ করবেন তার জন্যঃ

  1. নিউজপেপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে বিগত ২ বছরের কি কি উন্নয়ন বা কেলেঙ্কারীর খবর ছেপেছে তা দেখুন, সে বিষয়ে ওখানকার শিক্ষার্থীরা কতটা সরব তা পড়ুন, মরাগরুদের সাথে পড়লে আপনিও ভবিষ্যত বকনা বাছুর হয়ে যাবেন তাতে ভুল নেই…
  2. কোন কোন বিষয়ের শিক্ষক কি কি গবেষণা করে দেশ উদ্ধার করেছেন তা দেখুন…. দেশের ব্যাপারে তাদের মনোভাব মাপুন ফেসবুকীয় বিদ্রোহী বা তেলাতেলির পোস্টগুলি পড়ে…
  3. কোন কোন বিষয়ের শিক্ষার্থীরা সবচেয়ে বেশী চাকরী পেয়েছেন তা শুনুন বড়ভাই/বোনদেরকে কল দিয়ে… মেয়ে আইডি এক্ষেত্রে কেন জানি সবচেয়ে বেশি তথ্য সংগ্রহ করতে পারে… -_-

এবার বিশ্ববিদ্যালয় চয়েজ হলে ও চান্স পেলে সেখানকার বিষয়গুলি নিয়ে বসুন। আর্টস বা কমার্স বলে বিষয়গুলি কে অবহেলা ও সাইন্স বলে বিষয়গুলিকে প্রাধান্য- এধরনের মেন্টালিটি ছেড়ে দিন। নিচের বিষয়গুলি অনুযায়ী র‌্যাংকিং করুনঃ

  1. কোন বিষয়টি আপনার পছন্দ
  2. কোন বিষয়ের সব বড় ভাইরা মোটা অংকের চাকুরী করছেন
  3. কোন বিষয়টি বিশ্বে আগামী ৫ বছর পরেও চাকুরী ডিমান্ড থাকবে
  4. কোন বিষয়টি পেলে আপনি নিজে কিছু না কিছু বানিয়ে ফেলবার/আবিষ্কারের চেষ্টা করবেন
  5. কোন বিষয়টির শিক্ষকগণ বন্ধু ভাবাপন্ন (এক্ষেত্রে ছেলেদেরকে জিগ্যেস করা ভাল কারণ কেন যেন প্রায়ই দেখি অধিকাংশ Sheক্ষক গণ মেয়েদের প্রতি বেশি বন্ধু ভাবাপন্ন ফলে মেয়ে আইডি দিয়ে নক দিলেও সত্য কথা বের হবে না; যদিও সবাই এক নন)
  6. কোন বিষয়টি হতে বিগত বছরগুলিতে সেশনজট তেমন ছিল না
  7. কোন বিষয় হতে বিদেশে বেশিসংখ্যাক বড় ভাই গিয়েছেন (বিদেশে গিয়ে কি তিনি বিষয়ভিত্তিক ডিম পাড়ছেন নাকি ড্রেন পরিষ্কার করছেন তা দেখে নেয় গেলে আরও ভাল)
  8. কোন বিষয় হতে বিসিএস পাওয়া সহজ…
  9. কোন বিষয় পড়ার পর কোন চাকরি না পেলেও দোকানদারি করেও দিন পার করা যাবে…

এবার বিষয়গুলিকে ১,২,৩,৪ এভাবে সাজানোর পর বিসমিল্লাহ বলে শুরু করুন লোকের মতামত নেয়া। অবশ্যই প্রতিটা বিষয়ের প্রথম সারির বড় ভাই/বোন এবং শেষ সারির নেতা/গৃহিনী হতে জানবেন যে ওই বিষয় পড়লে ভবিষ্যতে কি কি চুল ছেঁড়া যাবে, তারা কতটা ছিড়েছে এবং আপনার দ্বারা তা হবে কিনা…. তারপর হাজতের নামাজ পড়ুন… দেখবেন মনটা ইনশাল্লাহ একটা সাবজেক্টের দিকে টানছে…. ব্যাস !!!

এরপর ঝাঁপান….. জয় বাংলা 🙂

আমি চাইনা কোন ডঃ শহীদুল্লাহ জীববিজ্ঞান পড়ুক, না আমি চাই অমর্ত্যসেন পড়ুক কৃষিবিজ্ঞান, আমি চাই যে ভবিষ্যতের নেতা তিনি পড়ুন রাষ্ট্রবিজ্ঞান, যে কামার সে পড়ুক মেকানিক্যাল, যে জেলে সে পড়ুক ফিসারীজ….. 😉 সুতরাং এত দ্বিধা-দ্বন্দের কিছু নেই…. বর্তমানের হিসেবে সবচেয়ে বেশি সম্ভাবনাময় বিষয়টি বেছে নিন… বাকিটা স্রষ্টার উপর ছেড়ে দিন…. মনে রাখতে হবে ডঃ জাকির নায়েক একজন চিকিৎসক, আমাদের রাষ্ট্রপ্রধান একজন আইনজ্ঞ আর ৭টা মোবাইল এপ্লিকেশন বানানো এই আমি একজন সমুদ্রবিজ্ঞানের ছাত্র 😉 হাহাহাহা 😛

বিষয় মানুষের ভবিষ্যতের একাংশ হয়তো ঠিক করে, কিন্তু মানুষের মতো মানুষ হতে না পারলে বাকি অংশজুড়ে থাকে মনোঃকষ্ট, সবকিছু পাবার পরও অতৃপ্তি…. তাই ভাল পরিবেশ, ভাল মানুষ, ভাল বন্ধু, স্নেহশীল সিনিয়র চয়েজ করুন…. জীবন সুন্দর হয়ে যাবে ইনশাল্লাহ তা আপনি যে সাবজেক্টই চয়েজ করেন না কেন….

কিন্তু কথা হলো এত কাজ কে করবে? এতকিছু ভাবনার সময় কি এই ডিজিটাল জেনারেশনের রয়েছে? আমার কথা সিম্পলঃ গুরুত্ব দিয়ে জীবনের ডিসিশন না নিলে সময়মতো ওই ডিসিশনই খেলে দিবে জীবনটাকে…. তাই সময় থাকতে সাধু সাবধান!!!

সকলের জন্য রইলো শুভ কামনা 🙂 আমার জন্য দুয়া করবেন। আমিন। 🙂

লিখেছেন- শাহানুল ইসলাম

China | Higher Study
1 min read

চীনা Certificate এর দেশে দাম কেমন?

May 8, 2023

চীনা Certificate এর দেশে দাম কেমন?

এই প্রশ্নের উত্তর দেবার যোগ্যতা এখনও আমার হয়নি আর আমি শোনা কথা বলি না। তবে নিজের দেশ হতে পাওয়া সার্টিফিকেটের বাইরের দুনিয়াতে কি মূল্য তা জানতে নিচের লেখাটি পড় দেখতে পারেনঃ

মুহম্মদ এম জে সিদ্দিকী, ব্রিসবেন (অস্ট্রেলিয়া) থেকে বলেছেনঃ

অস্ট্রেলিয়া কোয়ালিফিকেশন ফ্রেমওয়ার্কের অধীনের এক নীতিমালায় অস্ট্রেলিয়া সরকার বাংলাদেশের সবগুলো বিশ্ববিদ্যালয়কে তিনটি ভাগে ভাগ করেছে।

সেকশন ১: মূলত ১৯৭১ সালের পূর্বে প্রতিষ্ঠিত সকল বিশ্ববিদ্যালয় এই সেকশনের অধীনে আছে। প্রথম ক্যাটাগরিতে রাখার কারণ হিসেবে দুটি বিষয়কে বিবেচনায় আনা হয়েছে। (ক) কোয়ালিফায়েড শিক্ষক, যাঁরা ভালো মানের শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রম নিশ্চিত করেন। (খ) প্রতিযোগিতামূলক ভর্তি পরীক্ষা। যার মাধ্যমে দেশ সেরা ছাত্রছাত্রীদের এই সব বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করানো হয়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ কুয়েট, চুয়েট, ডুয়েট, রুয়েট, কৃষি, বুয়েট, জাহাঙ্গীরনগর, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় এই সেকশনে স্থান পেয়েছে।

সেকশন ২: জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনের সকল কলেজ এই সেকশনে পড়েছে। এখানে বিশেষভাবে গুরুত্ব দিয়ে বলা হয়েছে যে, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও এর অধীনস্থ সকল কলেজের শিক্ষামান স্ট্যান্ডার্ড মানের অনেক নিচে। কলেজের পাশাপাশি এই সেকশনে আরও রাখা হয়েছে দেশের প্রায় সবগুলো প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় ও গত কয়েক বছরের মধ্যে প্রতিষ্ঠিত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে (ফেনী, বরিশাল, কুমিল্লা, যশোর, পাবনা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বাকি সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়)। বিশ্ববিদ্যালয় শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) ও খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়কে (খুবি)!

সেকশন ৩: ওপরের দুই সেকশনের বাইরে যত প্রতিষ্ঠান আছে প্রায় সবগুলো এই সেকশনের অধীনে আছে।

এই রকম সেকশনে ভাগ করে যা করা হয়েছে তা বিস্তারিত বোঝাতে নিচে দুটি উদাহরণ দিচ্ছি |

সেকশন ১-এর অধীনের যেকোনো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একজন ছাত্র বা ছাত্রী যদি চার বছরের ব্যাচেলর পাস করার পর দুই বছরের মাস্টার্স করে, তবে তার এই দুটি ডিগ্রিকেই অস্ট্রেলিয়ার ব্যাচেলর ও মাস্টার্সের সমপর্যায়ের বলে ধরা হবে। অর্থাৎ এই ছাত্র বা ছাত্রীর পক্ষে বাংলাদেশে মাস্টার্স করে অস্ট্রেলিয়ার যেকোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডির জন্য সরাসরি অ্যাপ্লাই করতে পারবে।


সেকশন ২-এর লিস্টেড বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে যদি কেউ চার বছরের (অনার্স) ব্যাচেলর করে তবে তার ডিগ্রি অস্ট্রেলিয়ার মূল ব্যাচেলর ডিগ্রির অ্যাসোসিয়েট বলে ধরা হবে। দুই বছরের মাস্টার্স ডিগ্রিকেও অস্ট্রেলিয়ার মূল মাস্টার্স ডিগ্রির অ্যাসোসিয়েট ডিগ্রি ভাবা হবে। এই ছাত্র বা ছাত্রী যদি চার বছরের (অনার্স) ব্যাচেলরের পরে আবার দুই বছরের মাস্টার্স করে তবে তার যোগ্যতাকে অস্ট্রেলিয়ার ব্যাচেলরের সমপর্যায়ের ভাবা হয় (তাও থিসিস ও ডিগ্রির মূল্যায়ন সাপেক্ষে)। তার মানে সেকশন ২-এর কোনো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চার বছরের অনার্স ও দুই বছরের মাস্টার্সের পর অস্ট্রেলিয়াতে কেউ সরাসরি পিএইচডি করতে পারবে না। এমনকি মাস্টার্সে অ্যাপ্লাই করলেও সেটা অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরে বলা যাবে যে, সেই ছাত্র বা ছাত্রী আসলে মাস্টার্সে ভর্তি হতে পারবে কি না!

রেফারেন্সঃ goo.gl/mHQFav

এই দেখুন বেলজিয়াম থেকে পাঠানো একটি মাস্টার্স প্রোগ্রাম এর ইমেইল যেখানে বাংলাদেশের পাবলিক থেকে পাশ করা আমার জুনিয়রের অনার্স কে ডিপ্লোমা বলছে …….

আগে নিজের ক্যাপাসিটি জানা যাক। পরে অন্যের কামানো চুলের দিকে প্রশ্ন তুলি…. নাকি !!! চাইনিজ সার্টিফিকেট নিয়ে অন্যান্য সকল দেশে এপ্লাই করলে সমান সমান মূল্য পাওয়া যায়……. না হয় অশিক্ষিতরাই মূল্য দিল না…. লাগবে না….. ওদের মূল্যায়ন কে গোনে….. 😕

©শাহানুল ইসলাম

CV
1 min read

CV তৈরিতে বা CV ই-মেইলে CV তে ভুল হয়

March 28, 2023

CV তৈরিতে বা CV ই-মেইলে CV তে ভুল হয়

বড় ভাইয়ের সিভি নিয়ে তার মধ্যে নিজের নাম ঠিকানা বসিয়ে সিভি তৈরিকে আমি বলবো প্রথম ভুল। ক্যারিয়ারের শুরুতেই নির্ভরশীলতা কি ঠিক? আমরা প্রত্যেকেই ইউনিক, প্রত্যেকের সিভিও ইউনিক।

সিভিতে অনেকেই মেইল আইডি পাওয়া যায়ঃ

voboghure@yahoo.com

mailto:voboghure@yahoo.com

paglababa@gmail.com

নিশ্চিত থাকতে পারেন, এরকম আজে বাজে মেইল আইডি থাকলে ইহ জনমে ইন্টারভিউয়ের ডাক পাবেন না।ইমেল আইডি যেমন হলে ভালো হয়- mdbulbulislam607@gmail.com. ২টি শব্দের মাঝে কোন নম্বর দিয়ে ইমেল আইডি ব্যিবহার করাটা ভালোনা। সেই সাথে Certificate নাম দিয়ে ইমেল আইডি ব্যবহার করা উত্তম।

লিঙ্কডইন রেডি রাখবেন সব সময়। যে কেউ যেন ভিজিট করলেই আপনার সম্পর্কে জেনে যায়।

একই সিভি চালিয়ে দিচ্ছেন গবেষক, মার্কেটিং, ব্রান্ডিং, একাউন্ট যে কোন চাকরীর জন্য। ধরুন, আপনি মুরগি রাঁধবেন। একই মশলা দিয়ে কি গ্রিল, তান্দুরি, রোস্ট, কাবাব তৈরি সম্ভব? নিশ্চয়ই না। আপনাকেও প্রতিবার আবেদন করার সময় মশলা চেঞ্জ করতে হবে। নয়তো কেউ ডাকবে না।

স্কুলের ছবি দিয়ে চাকরির জন্য আবেদন করা মস্ত বড় ভুল। আপনাকে একজন লোক যে ইন্টারভিউর জন্যে ডাকবে, সিভি খুলে সে যখন আপনার স্কুলের ছবি দেখবে, সে কি আপনাকে ডাকবে আর?

A4 আকারের কাগজের মাপে সিভি তৈরি করতে হবে। চারপাশে ১ ইঞ্চি পরিমাণ ‘মার্জিন’ রাখতে হবে। সাদা কাগজে কালো কালিতে তথ্যগুলো লেখা থাকবে। সিভির পটভূমিতে অন্য কোনো রং ব্যবহার না করাই ভালো।

গ্রামার ও বানান CV তে ভুল সিভির মারাত্মক আরেকটি ভুল। অনেকে বড় ভাইয়ের সিভিতে কি লিখা আছে তার বাংলা অর্থও জানেন না অথচ সেই সিভি পাঠিয়ে দিচ্ছেন।

ফ্রেশারদের সিভিতে কো-কারিকুলাম অ্যাক্টিভিটিজ থাকতে হবে। চার বছরে এক বছর সকলে ছুটিই কাটান। কিছু না কিছু এই সময়ে করতে হবে। মনে রাখবেন, মৃত্যুর পর ঘুমানোর অনেক সময় পাবেন। আলসেমি করে, ঘুমিয়ে মূল্যবান সময় নষ্ট করবেন না।

ট্রেনিং না থাকাটা সিভির আরেকটি বড় দুর্বলতা। ট্রেনিং করুন। সিভি স্ট্রং হবে। কাজে দিবে।কেন আমি সেরা? কেন আমাকেই ডাকবেন ইন্টারভিউর জন্যে? এটা যদি সিভিতে ফুটে না ওঠে, আপনি ইন্টারভিউ কল পাবেন না।

বেশি পুরানো তথ্য সিভিতে রাখবেন না। নতুন নতুন কাজ প্রোফাইলে যুক্ত হলে পূর্বের কাজগুলো সরিয়ে ফেলুন।

সিভি আপডেট করবেন প্রতিমাসে, নয়তো কি কাজ করেছেন মনে থাকবে না। আজ করি কাল করি করে করে সময় নষ্ট করবেন না।

অনেক প্রতিষ্ঠানকে একই সিভি দেওয়া। এ বিষয়টি অনেক চাকরিপ্রার্থীই জানেন না। কিন্তু আপনি যদি একই সিভি সব চাকরির আবেদনে দিতে থাকেন তাহলে তাতে চাকরি হওয়ার সম্ভাবনা সত্যিই কমে যায়। দুটি ভিন্ন প্রতিষ্ঠানে নিঃসন্দেহে ভিন্ন ভিন্ন পদে, ভিন্ন কাজের মানুষ দরকার। তাদের সবাইকে আপনার একটাই পুরনো সিভি দিলে তা তাদের নিকট আকর্ষণীয় হবে না। এক জরিপে দেখা গেছে, ৩৬ ভাগ প্রতিষ্ঠান সিভি একজাতীয় হওয়ার কারণে স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাদ দিয়ে দেয়। এর প্রতিকার হিসেবে প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানে সিভি দেওয়ার আগে তাদের দেওয়া চাকরির বর্ণনা থেকে নিজের সিভিকে নতুন করে সাজিয়ে নেওয়া।

দক্ষতাগুলো উল্লেখ না করা। আপনার নানা দক্ষতা হয়তো নিজের কাছে তেমন গুরুত্বপূর্ণ মনে নাও হতে পারে। কিন্তু নিয়োগকর্তার কাছে এসব দক্ষতা গুরুত্বপূর্ণ। আপনি কম্পিউটারে কতোটা দক্ষ, টিমওয়ার্কে কতোটা সফল, বিদেশি ভাষায় কতোটা সাবলীল সিভিতে এসব ঠিকঠাক লিখতে ভুলবেন না।এক জরিপে দেখা গেছে, ৩৫ ভাগ নিয়োগকর্তা সিভিতে দক্ষতার বর্ণনা না থাকায় সিভিগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাদ দিয়ে দেয়। এক্ষেত্রে আলাদা একটি বিভাগ তৈরি করে সেখানে আপনার দক্ষতাগুলো উল্লেখ করতে পারেন।

অতিরিক্ত ডিজাইন করা। আপনার সিভিতে যদি বহু ফন্টের সমাহার এবং প্রচুর বুলেটের ব্যবহার থাকে তাহলে তা নিয়োগকর্তার দৃষ্টি অন্যদিকে সরিয়ে দিতে পারে। আপনার সিভির মূল লক্ষ্য থাকবে চাকরিটির জন্য আপনি কতোটা যোগ্য তা তুলে ধরা। এখানে নিয়োগকর্তার দৃষ্টি অন্যদিকে সরিয়ে দেওয়ার মতো কোনো বিষয় তুলে ধরা যাবে না।এ কারণে সিভিতে রাখতে হবে পরিষ্কার একটি ডিজাইন। এতে থাকবে পরিষ্কার লাইন ও ঝরঝরে ফন্ট। এতে সামান্য পরিমাণ মানসম্মত রং ব্যবহার করে জব টাইটেলটি ভিন্ন করা যেতে পারে। কিন্তু বহু রং ও স্টাইলের ব্যবহার করা যাবে না।এছাড়া ভাষাগত দিকেও লক্ষ্য রাখতে হবে। একঘেয়ে ভাষার ব্যবহার বাদ দিতে হবে। এর মধ্যে রয়েছে ‘developed’ কথাটা বহুবার ব্যবহার। এতে পাঠক ঘুমিয়ে পড়তে পারে

সিভি সঠিক ফরমেটে না পাঠানো। অনেকে সিভি ইমেজ/ মাইক্রোসফট ওয়ার্ড ফরমেটে পাঠান। কিন্তু অনেকগুলো ইমেজ একসাথে জোড়া দিয়ে, সিরিয়াল করে সাজিয়ে আপনার সিভি দেখার মত সময় আসলে রিক্রুটারের থাকে না। আবার আপনি যদি মাইক্রোসফট ওয়ার্ডে সিভি পাঠান তাহলে দেখা যায় আপনি হয়ত এমন কোন ফন্ট ব্যবহার করেছেন যা ওই প্রতিষ্ঠানের কম্পিউটারে সাপোর্ট করে না/ অনুপস্থিত। এতে আপনার সিভিটা খুললে রিক্রুটার কিছু সাংকেতিক চিহ্ন ছাড়া কিছুই দেখবেন না।মাইক্রোসফট ওয়ার্ড ফাইলে সিভি প্রিন্ট করার সময় Enable Editing করতে হয়। অনেক সময় আপনার সিভিটা পর্যবেক্ষণ করার সময় কী-বোর্ডে চাপ লেগে বানান বা গুরুত্বপূর্ণ কিছু, যেমনঃ আপনার ফলাফল/CGPA পরিবর্তন হয়ে যেতে পারে। এই ধরনের সমস্যার সহজ সমাধান হল আপনার সিভিটা PDF করে ই-মেইল করুন।

সিভির সাথে কভার লেটার সংযুক্ত না করা। অনেকে আবেদনের বিপরীতে শুধু সিভি পাঠিয়ে দেন, কভার লেটার পাঠান না। কিন্তু কভার লেটার না চাইলেও আপনার উচিত কভার লেটার আপনার সিভির সাথে সংযুক্ত করা।

কভার লেটারে উল্লেখ করুন উক্ত চাকরির জন্য আপনি কেন যোগ্য, আপনি যদি ফ্রেশার হন তাহলে উল্লেখ করুন চাকরিটির ব্যাপারে আপনার আগ্রহ কতটা, আপনার স্কিল আর জ্ঞান কিভাবে এই চাকরিতে আপনাকে সাহায্য করবে ইত্যাদি।কভার লেটার আর সিভি একসাথে পাঠাবেন, অবশ্যই PDF ফরমেটে। অনেকে ই-মেইলের বডিতে কভার লেটার লিখে দেন এটা করা উচিত না। আলাদাভাবে কভার লেটার তৈরী করে সিভি এবং কভার লেটার একসাথে পাঠান।

CV তে ভুল গুলো শুধরে ফেলুন, নয়তো মাশুল দিতে হবে। মনে রাখবেন, শরীরের যত্ন না নিলে যেমন শরীর অসুস্থ হয় তেমনি সিভির যত্ন না নিলে ক্যারিয়ার অসুস্থ হয়ে পড়বে।

©️ Md Bulbul Islam

Higher Study
1 min read

বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিবেন যেভাবে

March 28, 2023

বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিবেন যেভাবে

১.পাসপোর্ট
বাইরে পড়াশোনা করতে যাবেন এই চিন্তা আপনার মাথায় আসার সাথে সাথেই আপনাকে দেখতে হবে আপনার পাসপোর্ট করা আছে কিনা। বাইরে আবেদনের ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই আবেদন করার কিছু সময় আগে থেকেই পাসপোর্ট করে রাখতে হবে যাতে করে আবেদনের ক্ষেত্রে আপনার বেশি তাড়াহুড়া করতে না হয়। আবার বেশি সময় হাতে রেখে পাসপোর্ট করলে আপনি পাসপোর্ট বানানোর ক্ষেত্রে বাড়তি খরচও কিছুটা কমাতে পারবেন।


২. ইংরেজি দক্ষতা যাচাই
বিদেশে উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রে আপনাকে যে জিনিসটা সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন তা হল ভাষা-গত দক্ষতা যাচাই করা। প্রত্যেকটি দেশে ভিন্ন ভিন্ন ভাষা রয়েছে। আপনি যখন যে দেশে যাবেন তখন আপনাকে সে ভাষার দক্ষতা যাচাই স্কোরের উপর ভিত্তি করে আপনি আপনার পছন্দের বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কলারশিপ কিংবা ভিসার জন্য নির্বাচিত হবেন। তাহলে বুঝতেই পারছেন যে ভাষা-গত দক্ষতা যাচাই করা ঠিক কতটা গুরুত্বপূর্ণ। আপনার যদি টার্গেট থাকে ইউরোপ, আমেরিকা,কানাডা যাওয়ার তাহলে আপনাকে অবশ্যই ইংরেজি দক্ষতা যাচাই পরীক্ষার জন্য ভালো স্কোর অর্জন করতে হবে। বর্তমানে সারা-বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত ইংরেজি দক্ষতা যাচাইয়ের পরীক্ষার নাম হল IELTS, GRE, GMAT, TOFEL ইত্যাদি। উপযুক্ত পরীক্ষার স্কোর দিয়ে আপনার স্বপ্নের বিশ্ববিদ্যালয়ের আবেদন করতে হবে। তাই স্বপ্ন যদি থাকে বিদেশে উচ্চশিক্ষার তাহলে ভাষা দক্ষতার পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হবার জন্য প্রস্তুতি নিন এখনই।


৩. টার্গেট ঠিক রাখা:
অমুক এইচএসসি-র পর বিদেশে পড়তে যাচ্ছে দেখে আপনারও যেতে হবে, ব্যাপারটা এমন না। জীবনের কোনো না কোনো পর্যায়ে আমরা অনেকেই বাইরে যেতে চাই ৷ কিন্তু এটা যেহেতু জীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি সিদ্ধান্ত, সেহেতু এটা নিতে হবে অনেক ভেবেচিন্তে। আপনার বয়স, শিক্ষাগত যোগ্যতা, অর্থ, পরিবারের সম্মতিসহ সবকিছুই বিবেচনায় রাখতে হবে।


৪. সিজিপিএ
বিশ্ববিদ্যালয়ের জীবনের শিক্ষার মূল্যায়ন যাচাই কারক হিসেবে পরিচিত হল সিজিপিএ। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা প্রায়শই বিদেশে যাওয়ার ক্ষেত্রে উচ্চ সিজিপিএ এর কথা বলে। তবে হ্যাঁ ভালো স্কলারশিপ পেতে হলে আপনাকে আপনার রেজাল্ট এর দিকে নজর দিতে হবে। তাই অন্তত ৩.৫০ রাখার চেষ্টা করুন। কারণ রেজাল্ট ভালো হলে স্কলারশিপ পাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায় অনেকাংশে।


৫.ক্রেডিট ট্রান্সফার
দেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো একটি কোর্সে কিছুদিন পড়াশোনা করেছেন বা করছেন। এখন আপনি ওই কোর্সই বিদেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে আগ্রহী। সেই ক্ষেত্রে দেশে করা কোর্সটির ক্রেডিট গ্রহণের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে অব্যাহতি পত্র দাবি করতে পারেন। আপনার কোর্সটির জন্য কতটুকু ক্রেডিট পাবেন তা নির্ধারণ করবে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ।

এরজন্য যা যা লাগবে:
একাডেমিক সার্টিফিকেট, ট্রান্সক্রিপ্ট, প্রত্যয়নপত্র।
কোর্সের আউটলাইন ও পাঠ্যতালিকা।
কোর্স লেভেল সম্পর্কিত তথ্যাদি।
কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয় অনুষদ কর্তৃক সুপারিশনামা।
কোর্স অ্যাসেসমেন্টের পদ্ধতি।
গ্রেডিং সিস্টেম সংক্রান্ত তথ্য।
কোর্সের মেয়াদ, লেকচার-ঘণ্টা, ল্যাবরেটরিতে কাজের ঘণ্টা, ফিল্ডওয়ার্ক ইত্যাদি।
পরীক্ষা, রচনা, প্রজেক্ট ওয়ার্ক ইত্যাদি।
৬. কোথায় যেতে চাই: আমাদের দেশ থেকে মূলত দুই শ্রেণীর মানুষ বাইরে পড়াশোনা করতে যান— এক শ্রেণী যেতে চান ফুল বৃত্তি নিয়ে এবং অন্য শ্রেণী যেতে চান নিজের খরচে। এছাড়াও আরো একটি শ্রেণী রয়েছে যারা ইদানিং কম খরচে বাইরে থেকে ভালো পড়াশোনার সুযোগ খুঁজে থাকেন।
যারা ফুল বৃত্তি নিয়ে HSC এর পর দেশের বাইরে পড়তে যান,তারা নিচের বৃত্তিগুলো দেখতে পারেন.

  • ইন্ডিয়ান গভর্নমেন্ট বৃত্তি
  • ইন্দোনেশিয়া গভর্নমেন্ট বৃত্তি
  • মিশর গভর্নমেন্ট বৃত্তি
  • রাশিয়ান গভর্নমেন্ট বৃত্তি
  • আজেরবাইজান গভর্নমেন্ট বৃত্তি
  • চাইনিজ গভর্নমেন্ট বৃত্তি
    *জাপান গভর্নমেন্ট বৃত্তি
  • রোমানিয়ান গভর্নমেন্ট বৃত্তি
  • হাঙ্গেরিয়ান গভর্নমেন্ট বৃত্তি
  • ব্রুনেই দারুসসালাম গভর্নমেন্ট বৃত্তি
  • তুর্কিশ গভর্নমেন্ট বৃত্তি
    বৃত্তিগুলোর আবেদনের সাধারণ সময়কাল ডিসেম্বর থেকে মে এর মধ্যে প্রতি বছর। তাই এইচএসসি পাস করার পর আপনি হাতে বেশকিছু দিন সময় পাবেন। আবার যারা কম খরচে ভালো মানের লেখাপড়া করতে চান তারা মালয়েশিয়ার ইউনিভার্সিটি মালয়েশিয়া পার্লিস এবং ইউনিভার্সিটি মালয়েশিয়া সারাওয়াক দেখতে পারেন।
    ব্যবসায় এবং মানবিকের বিষয়গুলোতে পড়াশোনা করতে আপনার টিউশন ফী এবং হোস্টেল ফী বাবদ মোট ৭-১০ লক্ষ টাকা এবং ইঞ্জিনিয়ারিং এর বিষয়গুলোতে পড়াশোনা করতে ১০-১৪ লক্ষ টাকার মতো খরচ হতে পারে। এই দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ই কিউএস টপ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২০ এর ৮০০ এর মধ্যে রয়েছে।

  • ৭. কি কি পরীক্ষা দেয়া লাগবে
    উচ্চমাধ্যমিকের পরে বাইরে পড়াশোনার ক্ষেত্রে মনে হয় সবচাইতে বেশি দ্বিধা-দ্বন্দ্ব থাকে এই বিষয়টি নিয়ে। কেবল আমেরিকার ক্ষেত্রে স্যাট লাগে তাও ক্ষেত্র বিশেষে। এছাড়া পৃথিবীর বাকি দেশগুলোতে আপনি কেবল IELTS পরীক্ষা দিয়েই আবেদন করতে পারবেন। আবার কিছু কিছু দেশ যেমন চীন, জাপান, কোরিয়া, রাশিয়া, তাইওয়ান এই দেশগুলোতে আবেদনের ক্ষেত্রে আপনাকে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তাদের নিজেদের ভাষায় পড়াশোনা করতে হবে। তাই এই সব ক্ষেত্রে IELTS এর দরকার নেই।
    কিন্তু মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, হংকং ইত্যাদি দেশগুলোতে আবেদনের ক্ষেত্রে আবার IELTS এর দরকার রয়েছে। এসব ক্ষেত্রে আবার একটি অপসন রয়েছে এমন আপনি যদি ওই সব দেশে গিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজেদের ইংলিশ কোর্স করেন আপনার পড়াশোনার পাশাপাশি কিংবা তার আগে সেই ক্ষেত্রে IELTS স্কোর লাগে না আবেদন করতে। তবে এই ইংলিশ কোর্স বাবদ বেশকিছু টাকা খরচ হবে আপনার।

  • ৮. প্রফেশনাল রাইটিং
    আমাদের দেশের শিক্ষার্থীদের একটি ভীতি হলো এক্যাডেমিক রাইটিং অথবা প্রফেশনাল রাইটিং।বিভিন্ন ভার্সিটিতে বৃত্তির জন্য আবেদন করার পূর্বে আপনার এসওপি,কিছু রিটেন স্যাম্পল ওদের দিতে হয় যেমন আপনি যে স্টেটমেন্ট অফ পারপাস টা দিবেন, সেটাতেও আপনার অনেক এক্যাডেমিক রাইটিং লিখতে হবে। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টের রিটেন স্যাম্পল,রিটেন এসএ দেওয়ার দরকার হয়ে থাকে, এবং এই রিটেন স্যাম্পল গুলোই একাডেমিক হয় যা অনেক বেশি প্রফেশনাল।তাই এর ভালো প্র্যাকটিস থাকা অনেক জরুরী।

  • ৯. কিভাবে ডকুমেন্ট পাঠাবো
    বাইরে আবেদনগুলোগুলো বেশিরভাগ অনলাইন নির্ভর কিন্তু তারপরও অনলাইনে আবেদন করে আবার সেই আবেদনের প্রিন্ট কপি এবং সাথে আরো কিছু ডকুমেন্ট (সাধারণত পয়েন্ট ৪ এ বর্ণিত) এক করে আপনাকে বাইরে পাঠাতে হবে অনেক ক্ষেত্রে। যারা ঢাকার বাইরে থাকেন তাদের জন্যও এই কুরিয়ার বিশেষ ব্যবস্থা রয়েছে। আপনি ঢাকার বাইরে থেকে যে কোনো ভালো কুরিয়ার যোগে আপনার ডকুমেন্টগুলো এদের কাছে পাঠিয়ে দিবেন এবং চার্জ বিকাশ করে দিয়ে দিবেন।
    কুরিয়ারের মাধ্যমে প্রেরণ করতে হলে আপনার খরচ পড়বে-
  • এশিয়ার দেশগুলোর ক্ষেত্রে ১৩০০ টাকা
  • ইউরোপের দেশগুলোর ক্ষেত্রে ১৪০০ টাকা
  • আমেরিকা, কানাডা এবং মেক্সিকোর ক্ষেত্রে ১৫০০ টাকা
    আবার ডেলিভারি সময় লাগবে –
  • এশিয়ার দেশগুলোর ক্ষেত্রে ২-৩ দিন (ওয়ার্কিং ডে)
  • ইউরোপ এবং আমেরিকার ক্ষেত্রে ৪-৫ দিন (ওয়ার্কিং ডে)

  • ১০. সর্বমোট কত খরচ পড়তে পারে
    বাইরে পড়াশোনার ক্ষেত্রে আপনি যদি নিজের টাকায় পড়াশোনা করতে যান তাহলে আপনার খরচ একদম কম করে পড়বে ৬.৫ থেকে ৭.৫ লক্ষ টাকা ব্যবসায় শিক্ষা শাখা এবং মানবিকের বিষয়গুলো নিয়ে পড়াশোনা করতে আর ১০ থেকে ১৫ লক্ষ টাকা যাবে বিজ্ঞানের বিষয়গুলো পড়াশোনা করতে। তবে এই খরচের পরিমান মালয়েশিয়া এবং চীন হিসেব করে দেয়া। অন্য দেশগুলোর ক্ষেত্রে এই খরচ আরো বাড়ার সম্ভাবনা আরো বেশি বিশেষ করে ইউরোপ, অস্ট্রেলিয়া ইত্যাদি দেশগুলোতে। আবার যারা পড়াশোনা করবেন ফুল বৃত্তি নিয়ে তাদের ক্ষেত্রে ক্ষেত্র বিশেষে বিমান ভাড়া এবং কিছু হাত খরচ লাগবে তবে সব মিলে এই পরিমান ৫০ হাজার থেকে ৬০ হাজারের উপর পড়বে না বলে আশা করা যায়।

  • ১১. রিকোমেন্ডেশন
    বিদেশে উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে লেটার অফ রিকমেন্ডেশনকে বেশ গুরুত্বের সাথে দেখা হয়। মূলত আপনার সম্পর্কে জানে, আপনাকে ভালো চিনে এমন ২ থেকে ৩ জন ব্যক্তির কাছ থেকে রিকোমেন্ডেশন আপনার প্রয়োজন হবে। তবে অবশ্যইপরিবারের কোন ব্যক্তির কাছ থেকে আপনি রিকমেন্ডেশন না চেয়ে আপনার কোন শিক্ষক, কোন মেন্টর, কোথাও জব করলে সেক্ষেত্রে উচ্চপদস্থ ব্যক্তিবর্গের কাছ থেকে আপনি রিকমেন্ডেশন লেটার নিতে পারেন। কারণ কারা রিকমেন্ডেশন দিচ্ছে তা মূল ব্যাপার নয়। বরং কি লিখছে সেটা মূল ব্যাপার।

  • ১২. কিভাবে স্কলারশিপের খোজ পাবেন
    একেক দেশের বৃত্তির জন্য প্রয়োজনীয় যোগ্যতার ধরন একেকরকম। তাই প্রথমেই জেনে নিতে হবে কোন দেশের কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য আপনি আবেদন করতে চান। প্রথমেই খোজ করতে হবে বিভিন্ন দেশের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট এ। নানা দেশের বাংলাদেশের দূতাবাসেও বৃত্তির সব তথ্য দেয়া থাকে।দূতাবাসের সাথে যোগাযোগ করেও ওই দেশের রাষ্ট্রীয় বৃত্তি গুলো সম্পর্কে ধারণা নিতে পারবেন। আমাদের দেশের মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক এর ওয়েবসাইটেও থাকে বিভিন্ন দেশের বড় বড় বিশ্ববিদ্যালয়ে বৃত্তির তথ্যসমূহ।
    বিদেশে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের ক্ষেত্রে কি ধরণের সুবিধা রয়েছে?
    বিদেশে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের ক্ষেত্রে একজন শিক্ষার্থী ঠিক কি ধরণের সুযোগ সুবিধা অর্জন করতে পারবেন চলুন জেনে নেওয়া যাক সে সম্পর্কে।
  • আত্ননির্ভরশীলতা
    বিদেশে উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে আপনি পরিপূর্ণভাবে আত্ননির্ভরশীলতা অর্জনের সুযোগ পাবেন। পূর্বে যেখানে আপনি পরিবারের উপর নির্ভরশীল থাকতেন, এখন আপনাকে আপনার জীবনের সকল ধরণের সিদ্ধান্ত আপনাকে নিতে হবে। বিদেশে কোন ধরণের হেল্পিং হ্যান্ড নেই বিধায় আপনার ব্যক্তিগত কাজগুলো আপনাকে করতে হবে।
  • আধুনিক শিক্ষা অর্জন
    বিদেশে উচ্চশিক্ষার মাধ্যমে আপনি উন্নত এবং আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থার সাথে পরিচিত হবার সুযোগ পাবেন। দেশের পুঁথিগত বিদ্যা থেকে আপনি গবেষণালব্ধ শিক্ষা ব্যবস্থার সাথে সমন্বয় সাধন করতে পারবেন। নতুন পরিবেশ, নতুন জীবনযাত্রার সাথে আপনি বিশ্বের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ে আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত হবার পরিপূর্ণ সুযোগ পাবেন।
  • ক্যারিয়ার
    দেশের বাজারে বিদেশে উচ্চশিক্ষার কদর দিন দিন বেড়েই চলেছে। বড় বড় প্রতিষ্ঠানসমূহে আপনি বিদেশে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের ফলে খুব সহজে নিজের পছন্দের পজিশনে চাকরি করতে পারছেন। পাশাপাশি একটি ডিগ্রী পাচ্ছেন যা আপনার বিদেশের মাটিতেও ক্যারিয়ার বুস্ট করতে বেশ সাহায্য করবে।
  • পার্ট টাইম চাকরি
    বিদেশে উচ্চশিক্ষার সবচেয়ে বড় সুবিধা হল পার্ট টাইম চাকরি। আপনি বিদেশে উচ্চশিক্ষার মাধ্যমে পড়াশোনার পাশাপাশি নিজে আয় করতে পারবেন। বেশিরভাগ দেশে শিক্ষার্থীদের জন্য ওয়ার্ক পারমিট রয়েছে। তাই পড়াশোনার পাশাপাশি বাড়তি আয়ের সুযোগ পেতে শিক্ষার্থীরা পাড়ি জমাচ্ছে বিদেশে।
  • একটি নিশ্চিত ভবিষ্যৎ
    বর্তমান বাজারে বিদেশে উচ্চশিক্ষার চাহিদা রয়েছে তুঙ্গে। আপনি যদি একটি ভালো মানের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিগ্রি অর্জন করতে পারেন তাহলে আপনাকে চাকরি খুঁজতে হৰে না বরং চাকরি আপনাকে খুঁজে নিবে। তাই একটি ভালো মানের চাকরি, উন্নত জীবনযাপনে অভ্যস্ত হতে চাইলে বিদেশে উচ্চশিক্ষায় আপনাকে স্বাগতম।
    বিদেশে পড়াশোনার জন্য বেশিরভাগ শিক্ষার্থীরাই প্রথমে বৃত্তি লাভের জন্য নানা বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করতে পারেন। এবং যে দেশগুলোতে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের সবচেয়ে বেশি আবেদন করতে দেখা যায় সেই দেশগুলো হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র, মালয়েশিয়া, অস্ট্রেলিয়া, জার্মানি,কানাডা।
    Source: The daily Campus
MASTER OF ECONOMICS AT BOISE STATE UNIVERSITY
Scholarship
1 min read

MASTER OF ECONOMICS AT BOISE STATE UNIVERSITY

MASTER OF ECONOMICS AT BOISE STATE UNIVERSITY
February 19, 2023

MASTER OF ECONOMICS AT BOISE STATE UNIVERSITY

Application Requirements:

1. Minimum CGPA 3.00 out of 4.00 scales.

2. Official Academic Transcript (evaluated by WES)

3. Minimum English Proficiency Score:

· IELTS: 6.5

· TOEFL: 550 (Paper-based)/80 (Internet-based)

4. Acceptable GRE score (GRE waiver is available for CGPA 3.30 or better)

5. Three Recommendation Letters

6. Statement of Purpose (SOP)

7. Writing Sample

8. Resume/CV

Available Financial Aid:

1. Graduate Assistantships:

Economics Department থেকে প্রতি Fall ও Spring সেমিস্টারে তিনজনকে TA/RA প্রদান করা হয়ে থাকে। এই GAship পেলে একজন শিক্ষার্থী $9500 ডলারের স্টাইপেন্ড, $4000 ডলারের স্টুডেন্ট হেলথ ইন্সুরেন্স এবং ফুল Tuition Fee Waiver সহ আরো সুযোগ সুবিধা পেয়ে থাকে। এক্ষেত্রে প্রতি সপ্তাহে 20 ঘন্টা বিভিন্ন একাডেমিক দায়িত্ব পালন করতে হবে। এই Assistantship পাওয়ার জন্য ভালো CGPA score, GMAT/GRE score এবং যোগাযোগ দক্ষতা বোনাস হিসেবে কাজ করবে।

2. Graduate Fellowships:

Boise State University থেকে Economics বিভাগের দুইজন শিক্ষার্থীকে Fall ও Spring সেমিস্টারে Graduate Fellowships প্রদান করা হয়ে থাকে। এই ফেলোশিপের অধীনে Ethel C. Chapman Trust থেকে একজন শিক্ষার্থী ফুল Tuition Fee waiver এবং প্রতি বছর $10,000 ডলার এমাঊন্টের স্টাইপেন্ড সুবিধা পেয়ে থাকে। ফেলোশিপটি পেতে হলে CGPA 3.5 এবং ফুল-টাইম গ্রাজুয়েট ‍হিসেবে ভর্তি হতে হবে।

বিস্তারিত তথ্য ‍নিচের লিংকে রয়েছে:

https://www.boisestate.edu/…/assitantships-and…/

Application Deadlines:

February 15 (fall priority)

August 1 (fall final)

কোর্স এবং ভর্তি সংক্রান্ত সকল বিস্তারিত তথ্য নিচের লিংকে দেয়া আছে:

https://www.boisestate.edu/graduatecatalog/…

©️ Guidelines for Non-STEM Higher Study Aspirants

Master of Accountancy at Belmont University
Scholarship
1 min read

Master of Accountancy at Belmont University

Master of Accountancy at Belmont University
February 19, 2023

Master of Accountancy at Belmont University

Application Requirements:

1. Official Academic Transcript (evaluated by NACES)

2. Minimum English Proficiency Score:

• IELTS: 6.5

• TOEFL: 550 (Paper-based)/80 (Internet-based)

• Duolingo: 115

3. Essay (One-page)

4. Resume

5. Names and Email Addresses of Two Recommenders

6. GMAT/GRE Official Score Result (Optional)

Available Financial Aid:

1. Graduate Assistantships:

Graduate Assistantship পেলে একজন শিক্ষার্থী Tuition Fee Waiver সহ আরো সুযোগ সুবিধা পেয়ে থাকে। এক্ষেত্রে প্রতি সপ্তাহে 20 ঘন্টা বিভিন্ন একাডেমিক দায়িত্ব পালন করতে হবে। এই Assistantship পাওয়ার জন্য ভালো GMAT/GRE score এবং যোগাযোগ দক্ষতা বোনাস হিসেবে কাজ করবে।

Application Deadlines:

SUMMER Application Deadline – April 15, 2023

FALL Application Deadline – August 1, 2023

কোর্স এবং ভর্তি সংক্রান্ত সকল বিস্তারিত তথ্য নিচের লিংকে দেয়া আছে:

https://www.belmont.edu/…/grad…/programs/macc/index.html

© Guidelines for Non-STEM Higher Study Aspirants

Master of Arts in English at Belmont University
Scholarship
1 min read

Master of Arts in English at Belmont University

Master of Arts in English at Belmont University
February 19, 2023

Master of Arts in English at Belmont University

Application Requirements:

1. Minimum CGPA 3.00 out of 4.00 scales.

2. Official Academic Transcript (evaluated by WES)

3. Minimum English Proficiency Score:

• IELTS: 6.5

• TOEFL: 550 (Paper-based)/80 (Internet-based)

• Duolingo: 115

4. Two Recommendation Letters

5. Statement of Purpose (Less than 500 words)

6. Writing Sample

Available Financial Aid:

1. Graduate Assistantships:

Graduate Assistantship পেলে একজন শিক্ষার্থী Tuition Fee Waiver সহ আরো সুযোগ সুবিধা পেয়ে থাকে। এক্ষেত্রে প্রতি সপ্তাহে 20 ঘন্টা বিভিন্ন একাডেমিক দায়িত্ব পালন করতে হবে। এই Assistantship পাওয়ার জন্য ভালো GMAT/GRE score এবং যোগাযোগ দক্ষতা বোনাস হিসেবে কাজ করবে।

2. Internships, Fellowships and Employment:

Belmont University গ্রাজুয়েট শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন Part-time internships, employment এবং Fellowships দিয়ে থাকে। শিক্ষার্থীদের রাইটিং সেন্টার, লাইব্রেরী এবং বিভিন্ন লোকাল স্কুলে Part-time internships এবং employment এর ভিত্তিতে নিয়োগ দেয়া হয়ে থাকে। এই internship ও employment গুলো থেকে একজন শিক্ষার্থী Tuition Fee waiver সহ অন্যান্য সুযোগ সুবিধা পেয়ে থাকে। এছাড়াও কিছু Fellowships রয়েছে যা ইন্টারন্যাশনালসহ সকল শিক্ষার্থীদের আবেদনের সুযোগ রয়েছে।

Application Deadlines:

SUMMER Application Deadline –May 1, 2023

FALL Application Deadline – August 1, 2023

কোর্স এবং ভর্তি সংক্রান্ত সকল বিস্তারিত তথ্য নিচের লিংকে দেয়া আছে:

https://www.belmont.edu/libe…/grad/grad-english/index.html

© Guidelines for Non-STEM Higher Study Aspirants

MBA Program at Boise State University
Scholarship
1 min read

MBA Program at Boise State University

MBA Program at Boise State University
February 19, 2023

MBA Program at Boise State University

Application Requirements:

1. Minimum CGPA 3.00 out of 4.00 scales.

2. Official Academic Transcript (evaluated by WES)

3. Minimum English Proficiency Score:

• IELTS: 6.5 or better

• TOEFL: 80

4. Resume

5. Two Recommendation Letters

6. Essay

Available Financial Aid:

1. Graduate Assistantships:

Boise State University থেকে Graduate Assistantship পেলে একজন শিক্ষার্থী $11,000 ডলার স্টাইপেন্ড, স্টুডেন্ট হেলথ ইন্সুরেন্স এবং Tuition Fee Waiver সহ আরো সুযোগ সুবিধা পেয়ে থাকে। এক্ষেত্রে প্রতি সপ্তাহে 20 ঘন্টা বিভিন্ন একাডেমিক দায়িত্ব পালন করতে হবে। এই Assistantship পাওয়ার জন্য ভালো GMAT/GRE score এবং যোগাযোগ দক্ষতা বোনাস হিসেবে কাজ করবে।

GA Application Deadline for Fall GAship:

March 1

GA Application Deadline for Spring GAship:

Oct 1

বিস্তারিত পাওয়া যাবে নিচের লিংকে:

https://www.boisestate.edu/…/graduate-assistantship/

2. Gem Scholarship for Graduate Students:

Gem Scholarship ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্টদের জন্য একটি Merit-based Scholarship সুবিধা। এই Scholarship এর অধীনে একজন শিক্ষার্থীকে ফুল-টাইম Graduate হিসেবে ভর্তি হতে হবে এবং প্রতি বছর Scholarship টি Renew করতে হবে। Scholarship টিতে আবেদনের জন্য Minimum Undergrad CGPA 3.30 থাকতে হবে ।

Deadlines

Fall Semester – February 15 (priority), May 1 (final)

Spring Semester – October 1 (priority), January 10 (final)

Scholarship সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য নিচের লিংকে রয়েছে।

https://www.boisestate.edu/…/scholarships-and-fellowships/

কোর্স এবং ভর্তি সংক্রান্ত সকল বিস্তারিত তথ্য নিচের লিংকে দেয়া আছে:

Career Track MBA (Boise State’s Full-time MBA)

© Guidelines for Non-STEM Higher Study Aspirants

MASTER OF ACCOUNTANCY AT BOISE STATE UNIVERSITY
Scholarship
1 min read

MASTER OF ACCOUNTANCY AT BOISE STATE UNIVERSITY

MASTER OF ACCOUNTANCY AT BOISE STATE UNIVERSITY
February 19, 2023

MASTER OF ACCOUNTANCY AT BOISE STATE UNIVERSITY

Application Requirements:

1. Minimum CGPA 3.00 out of 4.00 scales.

2. Official Academic Transcript (evaluated by WES)

3. Minimum English Proficiency Score:

· IELTS: 6.5 or better

· TOEFL: 587/240/95

4. GMAT exam score ≥ 500/ GRE exam score at least 152

5. Resume

6. Three Recommendation Letters

7. Essay

Available Financial Aid:

1. Graduate Assistantships:

Boise State University থেকে Graduate Assistantship পেলে একজন শিক্ষার্থী $11,000 ডলার স্টাইপেন্ড, স্টুডেন্ট হেলথ ইন্সুরেন্স এবং Tuition Fee Waiver সহ আরো সুযোগ সুবিধা পেয়ে থাকে। এক্ষেত্রে প্রতি সপ্তাহে 20 ঘন্টা বিভিন্ন একাডেমিক দায়িত্ব পালন করতে হবে। এই Assistantship পাওয়ার জন্য ভালো GMAT/GRE score এবং যোগাযোগ দক্ষতা বোনাস হিসেবে কাজ করবে।

GA Application Deadline for Fall GAship: March 1
GA Application Deadline for Spring GAship: Oct 1

বিস্তারিত পাওয়া যাবে নিচের লিংকে:

https://www.boisestate.edu/…/graduate-assistantship/

2. COBE Scholarships:

এই Scholarship টিতে আবেদনের জন্য একজন শিক্ষার্থীকে ফুল-টাইম Graduate হিসেবে ভর্তি হতে হবে এবং Minimum Undergrad CGPA 3.00 থাকতে হবে । তবে কিছুCOBE Scholarship এর ক্ষেত্রে Admission Criteria ভিন্ন হতে পারে। প্রতি বছরSpring সেমিস্টারে এইScholarship টি প্রদান করা হয়ে থাকে।

Scholarship Application Deadlines:

New Students – February 15

Continuing Students – March 15

Scholarship সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য ‍নিচের লিংকে রয়েছে।

Scholarships

https://www.boisestate.edu/cobe/students/scholarships/embed/#?secret=XZS4S2b4kS#?secret=l72kVtPFZ5

3. Gem Scholarship for Graduate Students:

Gem Scholarship ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্টদের জন্য একটি Merit-based Scholarship সুবিধা। এই Scholarship এর অধীনে একজন শিক্ষার্থীকে ফুল-টাইম Graduate হিসেবে ভর্তি হতে হবে এবং প্রতি বছর Scholarship টি Renew করতে হবে। Scholarship টিতে আবেদনের জন্য Minimum Undergrad CGPA 3.30 থাকতে হবে ।

Deadlines:

Fall Semester – February 15 (priority), May 1 (final)

Spring Semester – October 1 (priority), January 10 (final)

Scholarship সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য ‍নিচের লিংকে রয়েছে।

https://www.boisestate.edu/…/scholarships-and-fellowships/

Program Application Deadlines:

Fall Semester: June 1

Spring Semester: October 1

Summer Session: March 1

কোর্স এবং ভর্তি সংক্রান্ত সকল বিস্তারিত তথ্য নিচের লিংকে দেয়া আছে:

Master of Accountancy

©️ Guidelines for Non-STEM Higher Study Aspirants

Master of Arts in Anthropology at Boise State University
Scholarship
1 min read

Master of Arts in Anthropology at Boise State University

Master of Arts in Anthropology at Boise State University
February 19, 2023

Master of Arts in Anthropology at Boise State University

Application Requirements:

1. Minimum CGPA 3.00 out of 4.00 scales.

2. Official Academic Transcript (evaluated by WES)

3. Minimum English Proficiency Score:

· IELTS: 6.5

· TOEFL: 550 (Paper-based)/80 (Internet-based)

4. Acceptable GRE score

5. Two Recommendation Letters

6. Statement of Purpose (Less than 500 words)

7. Writing Sample

Available Financial Aid:

1. Graduate Teaching Assistantships:

Boise State University থেকে Teaching Assistantship পেলে একজন শিক্ষার্থী ভালো এমাউন্টের স্টাইপেন্ড, স্টুডেন্ট হেলথ ইন্সুরেন্স এবং Tuition Fee Waiver সহ আরো সুযোগ সুবিধা পেয়ে থাকে। এক্ষেত্রে প্রতি সপ্তাহে 20 ঘন্টা বিভিন্ন একাডেমিক দায়িত্ব পালন করতে হবে। এই Assistantship পাওয়ার জন্য ভালো GMAT/GRE score এবং যোগাযোগ দক্ষতা বোনাস হিসেবে কাজ করবে।

2. Departmental Scholarships:

Boise State University এর অধীনেAnthropology Department থেকে অনেকগুলো Scholarship পাবার সুযোগ রয়েছে। এই Scholarship গুলোতে আবেদন করার জন্য একজন শিক্ষার্থীকে ইউনিভার্সিটিতে রিলেভেন্ট সাবজেক্টে ফুল-টাইম হিসেবে ভর্তি হতে হবে। এছাড়াও Minimum Undergrad CGPA 3.00 থাকতে হবে। প্রতি বছর ভালো এমাউন্টের ‍স্টাইপেন্ডসহ আরো অন্যান্য অনেক সুযোগ সুবিধা প্রদান করা হয়ে থাকে। Scholarship সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য ‍নিচের লিংকে রয়েছে।

https://www.boisestate.edu/…/graduate…/graduate-funding/

Application Deadlines:

January 15 – Priority application deadline to be considered for merit-based financial assistance

May 1 – Regular application deadline for Fall semester admission (financial assistance may not be awarded)

June 30 – FINAL Graduate College deadline (no financial assistance)

কোর্স এবং ভর্তি সংক্রান্ত সকল বিস্তারিত তথ্য নিচের লিংকে দেয়া আছে:

https://www.boisestate.edu/…/graduate…/ma-anthropology/

©️ Guidelines for Non-STEM Higher Study Aspirants

Higher Study
1 min read

আমেরিকায় উচ্চশিক্ষা ও প্রাথমিক প্রস্তুতি

February 15, 2023

আমেরিকায় উচ্চশিক্ষা ও প্রাথমিক প্রস্তুতি

আপনি যে পজিশানে আছেন বা থাকবেন (চাকুরি/ব্যবসা) যদি মাইন্ড সেট করেন যে উচ্চশিক্ষায় যাবেন বা চেষ্টা করবেন তাহলে আপনাকে অগ্রিম কংগ্রাচুলেশনস! আপনি আপনার যাত্রা শুরু করে দিয়েছেন। আজকে কথা বলবো এর পরবর্তীত ধাপগুলো নিয়ে।

★ মাইন্ড সেটাপ:

আপনি মাইন্ড সেটাপ করেছেন যে আমেরিকা বা যেকোনও দেশে অনার্স/মাস্টার্স বা পিএইচডি করতে আসবেন কিন্ত সেটা সবে মাত্র শুরু। মাইন্ড সেট করুন আপনি অনেক জায়গায় হতাশ হবেন!
পরিবার, সমাজ, বন্ধু তথাকথিত এস্টাবলিশ মানুষের কথা শুনতে হবে। বিসিএস দিচ্ছো না কেন,সরকারী চাকুরী কেন ট্রাই করতেসো ব্লা ব্লা…..মনে হবে আর হবে না,হচ্ছে না। প্রচন্ডভাবে মানসিক আঘাত প্রাপ্ত হবেন কিন্ত পরাজয়ে ডরে না বীর! এই আঘাতকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নেন। এর শেষ দেখে নিবেন এমন মাইন্ড সেট করেন। তাহলেই জয় নিশ্চিত!

★ টাকা জমানো:

যাদের অনেক টাকা তাদের কথা বাদ দিলে অনেকই স্টুডেন্ট থাকেন যারা টিউশনি করে ব্যয় বহন করেন।যদি ইচ্ছে থাকে বিদেশে আসবেন কিছু টাকা সঞ্চয় করার অভ্যাস গড়ে তুলেন। মনে রাখবেন, আপনার ১০০ টাকা দরকার হলে যদি আপনি ৪০ টাকা সাপোর্ট করতে পারেন তবে আপনার ফিউচার চিন্তা করে বাকি ৬০ টাকা সবাই দিতে চাইবে। এটাই সাভাবিক। আর হায়ার স্টাডি-তে ফুল ফান্ড হলেও বেশ কিছু খরচ কর‍তে হয় শুরুতে অল্প সময় এর মাঝে (খরচের ডিটেইলস একটি আরটিকেল আছে) তাই টাকা জমানোর বিকল্প কিছুই নেই।

★ পাসপোর্ট করা:

প্রাথমিক স্টেপ এর একটি হলো পাসপোর্ট করা। চাইলে ১০ বছরের জন্য করতে পারেন (রিকোমেন্ডেট)। আর পাসপোর্ট এর সব কাজ নিজে করার ট্রাই করবেন।তাহলে ফরম ফিলাপ ফোবিয়া কাটবে সাথে যখন বিদেশ আসবেন তখন বুঝবেন যে সিস্টেমগত ভাবে আমার দেশ কোথায় আছে 🤪🤪।

★ ডুয়েল কারেন্সি কার্ড:

একবারে শুরুর দিকে এটি করে নিতে পারেন। সব পরিক্ষার পেমেন্ট থেকে শুরু করে ইউনিভার্সিটির আবেদন ফি সব কিছু পে করার জন্য ইস্টার্ন ব্যাংক এর ডুয়েল কারেন্সির কার্ড নিয়ে নিতে পারেন। আর একান্তই না পারলে পরিচিত কারোর টা ব্যাবহার করতে পারেন তবে নিজের করে নেয়াই রেকোমেন্ডেড।

★ স্ট্যান্ডারাইজড টেস্ট:

আপনাকে বিদেশ আসতে হলে কিছু পরীক্ষা দিতে হবে। ল্যাংগুয়েজ টেস্ট (IELTS /TOEFL/DUILINGO) ও এটাপ্টিবিলিটি টেস্ট (SAT/GRE/GMAT)। তাই মানসিকভাবে মোটামুটি ৩/৪ মাসের একটি প্রিপারেশান টাইম ধরে নিয়ে শুরু করে দিতে হবে। প্রিপারেশান প্রক্রিয়া ও বই সামাচার নিয়ে ডিটেইলস লিখা পাবেন পরে।

মোটামুটি এইগুলো হলো প্রাথমিক স্টেপগুলো। পরবর্তী প্রতিটি স্টেপ নিয়ে লিখা আসবে, ইনশাআল্লাহ।

হ্যাপি হায়ার স্টাডি!

Mahmudun Noby Symon
Ph.D Student at Southern Illinois University,Carbondale.

boise state university
Scholarship
1 min read

MASTER OF ECONOMICS AT BOISE STATE UNIVERSITY

boise state university
February 15, 2023

MASTER OF ECONOMICS AT BOISE STATE UNIVERSITY

Application Requirements:

1. Minimum CGPA 3.00 out of 4.00 scales.

2. Official Academic Transcript (evaluated by WES)

3. Minimum English Proficiency Score:

· IELTS: 6.5

· TOEFL: 550 (Paper-based)/80 (Internet-based)

4. Acceptable GRE score (GRE waiver is available for CGPA 3.30 or better)

5. Three Recommendation Letters

6. Statement of Purpose (SOP)

7. Writing Sample

8. Resume/CV

Available Financial Aid:

1. Graduate Assistantships:

Economics Department থেকে প্রতি Fall ও Spring সেমিস্টারে তিনজনকে TA/RA প্রদান করা হয়ে থাকে। এই GAship পেলে একজন শিক্ষার্থী $9500 ডলারের স্টাইপেন্ড, $4000 ডলারের স্টুডেন্ট হেলথ ইন্সুরেন্স এবং ফুল Tuition Fee Waiver সহ আরো সুযোগ সুবিধা পেয়ে থাকে। এক্ষেত্রে প্রতি সপ্তাহে 20 ঘন্টা বিভিন্ন একাডেমিক দায়িত্ব পালন করতে হবে। এই Assistantship পাওয়ার জন্য ভালো CGPA score, GMAT/GRE score এবং যোগাযোগ দক্ষতা বোনাস হিসেবে কাজ করবে।

2. Graduate Fellowships:

Boise State University থেকে Economics বিভাগের দুইজন শিক্ষার্থীকে Fall ও Spring সেমিস্টারে Graduate Fellowships প্রদান করা হয়ে থাকে। এই ফেলোশিপের অধীনে Ethel C. Chapman Trust থেকে একজন শিক্ষার্থী ফুল Tuition Fee waiver এবং প্রতি বছর $10,000 ডলার এমাঊন্টের স্টাইপেন্ড সুবিধা পেয়ে থাকে। ফেলোশিপটি পেতে হলে CGPA 3.5 এবং ফুল-টাইম গ্রাজুয়েট ‍হিসেবে ভর্তি হতে হবে।

বিস্তারিত তথ্য ‍নিচের লিংকে রয়েছে:

https://www.boisestate.edu/…/assitantships-and…/

Application Deadlines:

February 15 (fall priority)

August 1 (fall final)

কোর্স এবং ভর্তি সংক্রান্ত সকল বিস্তারিত তথ্য নিচের লিংকে দেয়া আছে:

https://www.boisestate.edu/graduatecatalog/…

©️ Maliha Mobasshira

নিজের সাবজেক্টের পাশাপাশি অন্য সাবজেক্ট খুঁজে বের করার উপায়
Higher Study
1 min read

নিজের সাবজেক্টের পাশাপাশি অন্য সাবজেক্ট খুঁজে বের করার উপায়

নিজের সাবজেক্টের পাশাপাশি অন্য সাবজেক্ট খুঁজে বের করার উপায়
February 15, 2023

নিজের সাবজেক্টের পাশাপাশি অন্য সাবজেক্ট খুঁজে বের করার উপায়

পড়াশুনা করেছেন এক সাবজেক্টে এখন সরাসরি সে সাবজেক্টে মাস্টার্স করতে চাচ্ছেন না বরং কাছাকাছি অন্য কোন সাব্জেক্টে পড়তে চান কিন্তু জানেন না যে কি কি আছে, সেক্ষেত্রে কিভাবে খুঁজে বের করবেন রিলেটেড সাবজেক্ট গুলা কি কি? এমন অনেক সাব্জেক্ট আছে যেগুলা দেশের কোথাও পড়ায় না কিন্তু বিদেশের ভার্সিটি গুলো স্পেসালাইজেশন করে। উদহারণ দিলে ক্লিয়ার হবে, যেমন আপনি পড়াশুনা করেছেন ইকোনমিক্স থেকে। ইকোনমিক্সের একটাই অনার্স/মাস্টার্স দেশে। কারও হয়তো একটা বিশেষ সাইড পছন্দ হলো ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড বা ফাইনেন্সিয়াল ইকোনোমিক্স কিন্তু দেশের কোথাও সে এগুলার কোনটাই স্পেসালাইজড মাস্টার্স করতে পারছে না বলে আবার সে রেগুলার মাস্টার্স করছে যেখানে নতুন কিছু শেখার সুযোগ কম। সমাধান হলো বিদেশে পড়তে যাওয়া।

স্কলারশিপ নিয়ে রোমানিয়ায় পড়ার সুযোগ

তো, আপনি যদি জানেন যে মেজর কোনটা খুঁজছেন, তাহলে জাস্ট গুগল করলে হল যে অমুক সাবজেক্ট তমুক দেশের কোন কোন ভার্সিটি পড়ায়। চলে আসবে এক মুহূর্তে। কিন্তু যদি কনফিউসড থাকেন বা দেখতে চান যে আর কি কি রিলেটেড সাবজেক্ট আছে, তাহলে ও গুগুল করতে পারেন লিখে যে, Subjects related to ……খালি যায়গায় আপনার সাবজেক্টের নাম লিখেন। তারপর যেটা পছন্দ হয়, সেটা আবার গুগল করে নাড়ি-নক্ষত্র বের করে এ সাব্জেকটের। দেখেন আপনি যে পড়াশুনা করেছেন, সেগুলার সাথে কোন দিক থেকে মিল আছে কিনা! না থাকলে এ সাবজেক্ট আপনাকে টানে কিনা দেখেন। ব্যাস, এরপর কাজ হল সে সাবজেক্ট যে দেশে পড়তে যেতে চান, সে দেশের কোন ভার্সিটিতে পড়ায় সেটার খোজ নেয়া। তারপর, ভার্সিটি ওয়েবসাইটে গিয়ে সেটার ফান্ডিং কেমন এবং কি লাগবে এপ্লাই করতে সেসব বের করে এপ্লাই করা। আরেকটা উপায় হলো ভার্সিটি গুলার মেজরের লিস্ট দেখা, সেখানেও অনেক এমন সাবজেক্ট এর লিস্ট পাবেন আর এখানে কত শত যে মেজর আছে, সেটা না দেখলে বিশ্বাস করা কঠিন!

নিজের মূল সাবজেক্টের কাছাকাছি সাব্জেক্টে গেলে একটা বড় সুবিধা হলো SOP তে রিলেট করে দেখানো যায়। বলা যায় যে, এ একটা কোর্স করতে গিয়ে অমুক সাবজেক্ট সম্পর্কে জানার অনেক আগ্রহ জাগছে, তাই এপ্লাই করতেছি। আপনার সব পড়াশুনা ও অভিজ্ঞতা রেলেভেন্ট থাকলো আর এডমিশন কমিটি/প্রফেসর বুঝলো যে আপনি স্পেসালাইজ করতে চান।

এটা নিয়ে লিখার আরেকটা বড় কারণ হলো অনেকে জিজ্ঞেস করেন যে কি সাবজেক্টে পড়বেন বুঝতে পারছেন না। তারা এটা ফলো করতে পারেন। ধন্যবাদ।।

©তানিন যায়েদ

এডিবি-জেএসপি বৃত্তি, ১০ দেশে পড়ার সুযোগ পাবেন ৩০০ শিক্ষার্থী
Higher Study | Scholarship
1 min read

এডিবি-জেএসপি বৃত্তি, ১০ দেশে পড়ার সুযোগ পাবেন ৩০০ শিক্ষার্থী

এডিবি-জেএসপি বৃত্তি, ১০ দেশে পড়ার সুযোগ পাবেন ৩০০ শিক্ষার্থী
February 12, 2023

এডিবি-জেএসপি বৃত্তি, ১০ দেশে পড়ার সুযোগ পাবেন ৩০০ শিক্ষার্থী

এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোর জন্য এডিবি-জেএসপি স্কলারশিপের আবেদন চলছে। এডিবি-জেএসপি স্কলারশিপ প্রোগ্রামের আওতায় জাপান সরকার ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) শিক্ষাবৃত্তি সুবিধা হচ্ছে ‘এডিবি-জেএসপি স্কলারশিপ প্রোগ্রাম’।

জাপান স্কলারশিপ প্রোগ্রামের (জেএসপি) আওতায় এডিবিভুক্ত উন্নয়নশীল দেশের শিক্ষার্থীরা স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নেওয়ার জন্য এ বৃত্তির সুযোগ পেয়ে থাকেন। ১৯৮৮ সাল থেকে চালু হওয়া এ বৃত্তির জন্য আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

প্রতিবছরের মতো এবারও ৪০টি দেশের ১৩৫ শিক্ষার্থী বৃত্তি নিয়ে পড়ার সুযোগ পাবেন। যুক্তরাষ্ট্র, নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, চীন, ভারত, জাপান, পাকিস্তান, ফিলিপাইন, সিঙ্গাপুর ও থাইল্যান্ডের ২৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা বিনা মূল্যে পড়ালেখার সুযোগ পাবেন।

কোন কোন বিষয়ে পড়ার সুযোগ

স্নাতকোত্তর কোর্সে শিক্ষার্থীরা সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (কৃষি, বায়োলজিক্যাল সায়েন্স, কম্পিউটার সায়েন্স, প্রকৌশল, পরিবেশ, ফরেস্ট্রি, জেনেটিকস ও হেলথ), ইকোনমিকস বিজনেস অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট (অ্যাকাউন্টিং, ডেভেলপমেন্ট অ্যাডমিনিস্ট্রেশন/ম্যানেজমেন্ট, কসার্ম, ই-বিজনেস, এন্ট্রাপ্রেনিউরশিপ, অর্থনীতি, ফিন্যান্স, ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন ও সমাজবিজ্ঞান), ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ (এশিয়া প্যাসিফিক স্টাডিজ, ডেভেলপমেন্ট ম্যানেজমেন্ট ও ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ) এবং ল অ্যান্ড পাবলিক পলিসি (ইন্টার‌ন্যাশনাল বিজনেস ল, ইন্টারন্যাশনাল এনভায়রনমেন্টাল ল, পলিসি স্টাডিজ, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ও পাবলিক পলিসি) বিষয়ে বৃত্তি নিয়ে পড়ার সুযোগ আছে।

সুযোগ-সুবিধা

*সম্পূর্ণ বিনা বেতনে পড়ালেখার সুযোগ

*মাসিক আবাসন ভাতা

*শিক্ষা সরঞ্জাম বাবদ ভাতা

*হেলথ ইনস্যুরেন্সের সুবিধা

*বিমান টিকিট

আবেদনের যোগ্যতা

*বিজ্ঞপ্তিতে উল্লিখিত দেশের নাগরিক হতে হবে। দ্বৈত নাগরিকত্ব থাকা যাবে না

*স্নাতক ডিগ্রি সম্পন্ন থাকতে হবে

*তালিকাভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকোত্তরে ভর্তি হতে হবে।

*স্নাতক-পরবর্তী দুই বছরের ফুল টাইম কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।

*ইংরেজি ভাষায় সাবলীল হতে হবে।

*সুস্বাস্থ্যের অধিকারী এবং বয়স অনূর্ধ্ব ৩৫ বছর হতে হবে।

*পড়ালেখা শেষে অবশ্যই নিজ দেশে ফেরত যেতে হবে।

*যেসব কাগজপত্রের প্রয়োজন

*পাসপোর্ট, জাতীয় পরিচয়পত্র এবং প্রার্থীর ছবি

*একাডেমিক পেপারস

*বার্ষিক ইনকাম ট্যাক্স সার্টিফিকেট

*অভিভাবকের ইনকাম ট্যাক্স সার্টিফিকেট

*ওয়ার্ক এক্সপেরিয়েন্স লেটার

*দুটি রেফারেন্স লেটার

*সিভি

আবেদন যেভাবে

আগ্রহী প্রার্থীদের এডিবির ওয়েবসাইট থেকে নির্ধারিত আবেদন ফরম ডাউনলোড করতে হবে।

এরপর তা পূরণ করে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ প্রতিষ্ঠানে পাঠাতে হবে। পড়াশোনা শুরু করার পরিকল্পিত সময়ের অন্তত ছয় মাস আগে আবেদন পাঠাতে হবে। এই বৃত্তির বিস্তারিত তথ্য ও আবেদনপদ্ধতি জানতে. https://www.adb.org/wor…/careers/japan-scholarship-program

©️Pideem Educare

Higher Study | Scholarship
1 min read

স্কলারশিপ নিয়ে রোমানিয়ায় পড়ার সুযোগ

February 9, 2023

স্কলারশিপ নিয়ে রোমানিয়ায় পড়ার সুযোগ

আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের স্নাতক, স্নাতকোত্তর ও পিএইচডিতে ফুল ফ্রি স্কলারশিপ দিচ্ছে রোমানিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। প্রতিবছর বাংলাদেশসহ ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত নয়, এমন দেশগুলোর নাগরিকদের জন্য এ স্কলারশিপ প্রদান করা হয়ে থাকে। আবেদন শেষ সময় ১ মার্চ ২০২৩।

দক্ষিণ-পূর্ব ইউরোপের দেশ রোমানিয়া। আয়তনের দিক থেকে রোমানিয়া ইউরোপের ১২তম বৃহত্তম রাষ্ট্র এবং জনসংখ্যার বিবেচনায় রোমানিয়া ইউরোপিয়ান ইউনিয়নে ষষ্ঠ দেশ। দেশটির রাজধানী বুখারেস্ট। ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসের সঙ্গে গঠনশৈলীর বিবেচনায় সামঞ্জস্য থাকায় অনেকে বুখারেস্টকে পূর্ব ইউরোপের প্যারিস হিসেবে আখ্যা দিয়ে থাকেন। রোমানিয়া বর্তমানে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের মধ্যে সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনৈতিক দেশগুলোর মধ্যে একটি। শিক্ষার দিক থেকেও দেশটি দারুণভাবে এগিয়ে যাচ্ছে।

‘রোমানিয়া গভমেন্ট স্কলারশিপ’ এর আওতায় নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের এই স্কলারশিপ প্রদান করা হবে। এ স্কলারশিপের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা রোমানিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে মেডিসিন ও ফার্মেসি ছাড়া প্রায় সব বিষয়ে অধ্যয়ন করার সুযোগ পাবেন। স্নাতক ও স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থীদের রোমানিয়ান ভাষায় পড়শোনা করতে হবে। তবে পিএইচডিতে ইংরেজি ভাষায় শিক্ষার্থীরা অধ্যয়ন করতে পারবেন। প্রতিটি দেশ থেকে ৮৫ জনকে এ স্কলারশিপ প্রদান করা হবে।

রোমানিয়ার কিছু উল্লেখযোগ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে রয়েছে ইউনিভার্সিটি অব বুখারেস্ট, বুখারেস্ট ইউনিভার্সিটি অব ইকোনমিক স্টাডিজ, বাবেস-বলিয়াই ইউনিভার্সিটি, আলেকজান্দ্রু আইওয়ান কুজা ইউনিভার্সিটি, ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি অব তিমিশোআরা, ইউনিভার্সিটি পলিটেকনিক অব বুখারেস্ট, টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটি অব ঘিওরঘি আসাচি ইয়াস ইত্যাদি।

সুযোগ-সুবিধাসমূহ:

• সম্পূর্ণ টিউশন ফি মওকুফ করা হবে।

• ডরমিটরিতে বিনামূল্যে আবাসনের ব্যবস্থা।

• মাসিক উপবৃত্তি হিসেবে প্রতি মাসে স্নাতকের শিক্ষার্থীদের ৬৫ ইউরো করে প্রদান করা হবে।

• স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থীদের প্রতি মাসে ৭৫ ইউরো প্রদান করা হবে।

• পিএইচডি শিক্ষার্থীদের প্রতি মাসে ৮৫ ইউরো প্রদান করা হবে।

যোগ্যতার মানদণ্ড:

• ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য রাষ্ট্রগুলো ছাড়া সব দেশের আবেদনকারীরা আবেদন করতে পারবে।

• আবেদনকারীদের অবশ্যই একটি স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান থেকে তাদের বর্তমান একাডেমিক নথি জমা দিতে হবে।

• স্নাতকের জন্য উচ্চ মাধ্যমিকে ভালো ফলধারী হতে হবে।

• স্নাতকোত্তরের জন্য স্নাতকে ভালো ফলধারী হতে হবে।

• পিএইচডির জন্য স্নাতকোত্তরে ভালো ফলধারী হতে হবে।

• রোমানিয়ান ভাষায় প্রয়োজনীয় সাবলীলতা নেই এমন শিক্ষার্থীদের জন্য রোমানিয়ান ভাষা কোর্সের প্রয়োজন হবে।

প্রয়োজনীয় নথি:

• জীবন বৃত্তান্ত (সিভি)।

• স্কলারশিপের অ্যাপ্লিকেশন ফরম।

• যে ইউনিভার্সিটি পড়তে আগ্রহী, সে ইউনিভার্সিটির আবেদন ফরম।

• যাবতীয় শিক্ষা সনদ এবং ট্রান্সক্রিপ্টের কপি।

• জন্ম নিবন্ধন বা বার্থ সার্টিফিকেটের কপি।

• পাসপোর্টের বায়োগ্র্যাফিকাল পেজ এবং সেই সঙ্গে প্রথম তিন পৃষ্ঠা।

• মেডিকেল সার্টিফিকেট।

• ইউরো পাস ফরম্যাটের সিভি।

• দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি।

• আবেদনকারীর দেশের কূটনৈতিক মিশন দ্বারা জারি করা একটি সরকারী চিঠি

আবেদন প্রক্রিয়া:

অনলাইনে আবেদন করা যাবে। প্রার্থীদের ‘স্টাডি ইন রোমানিয়া’ প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে তাদের অনলাইন আবেদন জমা দিতে হবে।

© The Daily Campus

MASTER OF ARTS IN POLITICAL SCIENCE AT BOISE STATE UNIVERSITY
Scholarship
1 min read

MASTER OF ARTS IN POLITICAL SCIENCE AT BOISE STATE UNIVERSITY

MASTER OF ARTS IN POLITICAL SCIENCE AT BOISE STATE UNIVERSITY
February 14, 2023

MASTER OF ARTS IN POLITICAL SCIENCE AT BOISE STATE UNIVERSITY

Application Requirements:

1. Minimum CGPA 3.00 out of 4.00 scales.

2. Official Academic Transcript (evaluated by WES)

3. Minimum English Proficiency Score:

· IELTS: 6.5

· TOEFL: 550 (Paper-based)/80 (Internet-based)

4. Acceptable GRE score (optional)

5. Three Recommendation Letters

6. Statement of Purpose

7. Writing Sample (10 Pages)

Available Financial Aid:

1. Graduate Teaching Assistantships:

Boise State University থেকে Teaching Assistantship পেলে একজন শিক্ষার্থী ভালো এমাউন্টের মাসিক স্টাইপেন্ড, স্টুডেন্ট হেলথ ইন্সুরেন্স এবং Tuition Fee Waiver সহ আরো সুযোগ সুবিধা পেয়ে থাকে। এক্ষেত্রে প্রতি সপ্তাহে 20 ঘন্টা বিভিন্ন একাডেমিক দায়িত্ব পালন করতে হবে। এই Assistantship পাওয়ার জন্য ভালো GMAT/GRE score এবং যোগাযোগ দক্ষতা বোনাস হিসেবে কাজ করবে।

Application Deadlines:

August 1 (fall final)

November 1 (spring priority)

December 15 (spring final)

কোর্স এবং ভর্তি সংক্রান্ত সকল বিস্তারিত তথ্য নিচের লিংকে দেয়া আছে:

https://www.boisestate.edu/graduatecatalog/…

©️ Maliha Mobasshira

Scholarship
1 min read

Master of Accountancy at Belmont University

February 14, 2023

Master of Accountancy at Belmont University

Application Requirements:

1. Official Academic Transcript (evaluated by NACES)

2. Minimum English Proficiency Score:

• IELTS: 6.5

• TOEFL: 550 (Paper-based)/80 (Internet-based)

• Duolingo: 115

3. Essay (One-page)

4. Resume

5. Names and Email Addresses of Two Recommenders

6. GMAT/GRE Official Score Result (Optional)

Available Financial Aid:

1. Graduate Assistantships:

Graduate Assistantship পেলে একজন শিক্ষার্থী Tuition Fee Waiver সহ আরো সুযোগ সুবিধা পেয়ে থাকে। এক্ষেত্রে প্রতি সপ্তাহে 20 ঘন্টা বিভিন্ন একাডেমিক দায়িত্ব পালন করতে হবে। এই Assistantship পাওয়ার জন্য ভালো GMAT/GRE score এবং যোগাযোগ দক্ষতা বোনাস হিসেবে কাজ করবে।

Application Deadlines:

SUMMER Application Deadline – April 15, 2023

FALL Application Deadline – August 1, 2023

কোর্স এবং ভর্তি সংক্রান্ত সকল বিস্তারিত তথ্য নিচের লিংকে দেয়া আছে:

https://www.belmont.edu/…/grad…/programs/macc/index.html

© Maliha Mobasshira

Scholarship
1 min read

University of Pavia, Italy

February 15, 2023

University of Pavia, Italy

এক ভাইয়ের এপ্লিকেশন করার সময় এই ইউনিভার্সিটির কিছু ইনফরমেশন দেখতে পেলাম।

★ এই ইউনিভার্সিটি টিউশন ফি খুবই কম! Yearly £400 Euro.. যা বাংলাদেশি টাকায় বছরে 42 হাজার 240 টাকা!!

★ এই ভার্সিটিতে অ্যাপ্লিকেশন করতে আইএলটিএস লাগে না যাদের আইএলটিএস আছে তাদের প্লাস পয়েন্ট থাকবে!

★ কম খরচে এই শহরে থাকা খাওয়া হয়ে যাবে!

★ এটি Pavia সিটিতে অবস্থিত এখানে জব এভেলেবেল!

Details: https://web-en.unipv.it/

আমেরিকায় পড়াশোনা করতে আসা!
Higher Study
1 min read

আমেরিকায় পড়াশোনা করতে আসা!

আমেরিকায় পড়াশোনা করতে আসা!
February 14, 2023

আমেরিকায় পড়াশোনা করতে আসা!

আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে পড়াশোনা শেষ করার পর বা গ্র‍্যাজুয়েশান শেষ হলেই ক্যারিয়ার নিয়ে চিন্তা করতে হয় (যদিও জ্ঞানীরা আরও আগে ভেবে রাখে)। ক্যারিয়ার এর দিক থেকে যদি ভাবেন দেশে বিসিএস , অন্যান্য সরকারি চাকুরী ও বেসরকারি চাকুরী ছাড়া তেমন সুযোগ নেই বললেই চলে। ব্রিটিশদের সরকারি আমলাদের অন্যভাবে দেখার যে বীজ আমাদের দিয়ে গিয়েছে সেটা এখনও একই আছে। ক্যারিয়ার চয়েস যার যার নিজের ব্যাপার কিন্তু সমসাময়িক সময়ে বিদেশে পড়তে আসার যে একটি ধারা শুরু হয়েছে সেটা নিজ ও দেশের জন্যই মঙ্গল। ফ্রেস চিন্তা-ভাবনা আর নিজেকে মেলে ধরতে বিদেশে আসার বিকল্প কিছুই নেই। আজকে যে ব্যাপারে কথা বলবো সেটা সদ্য গ্র‍্যাজুয়েশান করা বা দোটানায় আছেন এমন মানুষদের জন্য।

1. কেন আসবেন বিদেশে:

আপনি যে লেভেল এর স্টুডেন্ট হোন না কেনে আমেরিকা হলো এমন এক দেশ যারা সবার জন্য সমান সুযোগ করে রেখেছে। পাবলিক ইউনিভার্সিটিতে পড়ে অনেকের পা মাটিতে পড়ে না/আবার প্রাইভেট বা ন্যাশনাল-এ পড়ে হীনমন্যতায় ভুগেন এমন মানুষের অভাব নেই। কিন্তু বিলিভ করেন আমেরিকাতে সবার সুযোগ সমান। আপনার ল্যাংগুয়েজ টেস্ট স্কোর/জিয়ারি/জিম্যাট স্কোর থাকলে কে কোথা থেকে এসেছেন তা দেখার সময় আমেরিকান ইউনিভার্সিটির নেই।

2. আমাকে দিয়ে হবে কিনা:

আপনাকে দিয়ে না হওয়ার মতো কোনও কারণ আসলেই নেই। আমেরিকা আসার প্রতিটা স্টেপ আপনি ঘরে বসে নিজেই অবজারভ করতে পারবেন। কারও হেল্প বা মামা/চাচা ছাড়াই আপনি সব করতে পারবেন।আর আপনারা যেসব এক্সাম লাইফে দিয়ে এসেছেন তার চেয়েও সহজ কিছু পরীক্ষা দিতে হবে কাজের মধ্যে এইটুকু।

3. ল্যাংগুয়েজ টেস্ট /স্ট্যান্ডারাইজ টেস্ট: ইংরেজি ভাষাভাষী দেশে আসাতে হলে অবশ্যই আপনাকে ইংরেজিতে দক্ষতার পরীক্ষায় নাম লিখাতে হবে। এই জন্য আপনার সুবিধা মতো IELTS/Duilingo/Tofel এর যেকোনও একটি টেস্ট-এ অংশগ্রহণ করতে পারেন। আমেরিকা বা কানাডায় আসার জন্য আরেকটি রিকোয়ারমেন্ট হলো জিয়ারি/জিম্যাট। যদিও অনেক ইউনিভার্সিটি এখন এইটা তুলে দিয়েছে তবু যাদের প্রোফাইলে ল্যাকিংস আছে তারা এই টেস্টগুলোতে অংশগ্রহণ করতে পারেন। যা আপনাকে ফান্ড/এডমিশান-এ এগিয়ে রাখবে। এইসব টেস্ট এর বিস্তারিত আসবে পরের লিখায় ইনশাআল্লাহ।

4. আমার প্রোফাইল ভালো না, আমাকে দিয়ে হবে:

অনেক সম্ভাবনাময় স্টুডেন্ট এই প্রশ্নে এসে হাবুডুবু খায়। সহজ উত্তর হলো, হবে। সিজিপিএ ৩ বা এর কিছু কম, তেমন গবেষণা নেই বা বড় কয়েকটি F আছে তাও আপনাকে দিয়ে হবে। এমন অনেক ছেলেমেয়েকে আমি চিনি যাদের এই অবস্থা থাকার পরেও দিব্যি পিএইচডি শেষ করেছে। আপনিও পারবেন। শুধু সঠিক কিছু স্টেপ আপনাকে সাফল্যের দিকে নিয়ে যাবে। আর আমেরিকার এডমিশন প্রসেস হলিস্টিক। আমাদের তথাকথিত ফাস্ট বেঞ্চার যে এডমিশন/ফান্ড পাবে তার গ্যারান্টি দেশে দেওয়া গেলেও আমেরিকাতে দেওয়া যায় না। আপনার সব খারাপ থাকার পরেও হয়তো আপনার SOP টা চোখে পড়ার মতো। ফান্ড/এডমিশান সবই পেয়ে যেতে পারেন। তাই সবার সুযোগ সমান, হতাশ হওয়ার কিছুই নেই।

5. হতাশ হয়ে যাই, কী করবো:

বিদেশে পড়তে আসার আগে সব কিছু নিয়ে টেনশান/হতাশা থাকবেই। সমাজিক/পারিবারিক প্রেসারে কিছুটা হতাশ লাগবেই। হয়তো সময় লাগতে পারে কিন্ত লেগে থাকলে সাফল্য আসবেই। আল্লাহর উপর ভরসা রেখে এগিয়ে গেলে সাফল্য আসবেই।

সবশেষে কথা হলো, লেগে থাকা আর সঠিক প্রেপারেশান নিলে আপনার সাফল্য সুনিশ্চিত। হায়ার স্টাডি নিয়ে আরও বিস্তারিত আসবে, ইনশাআল্লাহ।

হ্যাপি হায়ার স্টাডি!

© Mahmudun Noby Symon bhai

পিএইচডি স্টুডেন্ট

সাউদার্ন ইলিনয় ইউনিভার্সিটি, কারবনডেল।

Scholarship
1 min read

ফুলব্রাইট বিদেশী ছাত্র বৃত্তি 2023 – অনলাইনে আবেদন জমা দিন

February 14, 2023

ফুলব্রাইট বিদেশী ছাত্র বৃত্তি 2023 – অনলাইনে আবেদন জমা দিন

ফুলব্রাইট ফরেন স্টুডেন্ট স্কলারশিপ প্রোগ্রাম 2023 – ফুলব্রাইট ফরেন স্টুডেন্ট প্ল্যাটফর্ম নতুন স্নাতক, উদীয়মান পেশাদার এবং বিশ্বের বিভিন্ন অংশের নির্মাতাদের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে অধ্যয়ন এবং গবেষণায় নিয়োজিত করার অনুমতি দেয়। ফুলব্রাইট প্রোগ্রাম 160 টিরও বেশি দেশের আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য উন্মুক্ত। প্রতি বছর, 4,000 টিরও বেশি আন্তর্জাতিক ছাত্রদের ফুলব্রাইট বৃত্তি প্রদান করা হয়।

ফুলব্রাইট প্রোগ্রামটি প্রায় পঁচাত্তর বছর ধরে চলে আসছে, এবং সেই সময়ে এটি জীবনের সর্বস্তরের থেকে কয়েক হাজার স্নাতক তৈরি করেছে যারা বিশ্বকে আরও ভাল, আরও ন্যায়সঙ্গত, সমৃদ্ধ এবং ন্যায়সঙ্গত জায়গা করে তুলতে কাজ করছে৷

ফুলব্রাইট প্রোগ্রাম বহু বছর ধরে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে বৈচিত্র্য এবং অন্তর্ভুক্তি বাড়াতে এবং শিক্ষার্থীরা আমেরিকান এবং আন্তর্জাতিক সংস্কৃতির একটি ন্যায্য প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে কাজ করেছে। অংশীদার সরকার, ফুলব্রাইট কমিশন, উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, অংশগ্রহণকারী এবং সারা বিশ্বের প্রাক্তন ছাত্রদের সাথে সহযোগিতার মাধ্যমে, ফুলব্রাইট প্রোগ্রাম এবং এর প্রশাসকরা প্রোগ্রামের বৈচিত্র্য, ইক্যুইটি এবং অন্তর্ভুক্তি বৃদ্ধি ও বর্ধিত করার প্রচেষ্টাকে দ্বিগুণ করার জন্য নিবেদিত।

প্রকল্পের সুনির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্য, অঞ্চল এবং আপনার ভাষার দক্ষতা সবই আপনার একচেটিয়া ফুলব্রাইট অভিজ্ঞতা গঠনে ভূমিকা পালন করে। ফুলব্রাইটার্সের অভিজ্ঞতার বৈচিত্র্য থাকা সত্ত্বেও, শিক্ষার্থীরা সর্বসম্মতভাবে সম্মত হয় যে সুযোগটি তাদের জীবন এবং কর্মজীবনে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলেছিল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস এবং অন্যান্য দ্বিজাতিক ফুলব্রাইট কমিশন বা ফাউন্ডেশন ফুলব্রাইট ফরেন স্টুডেন্ট প্রোগ্রাম পরিচালনা করে। বিদেশী ছাত্র প্রোগ্রামের সমস্ত আবেদন এই বিভাগগুলি দ্বারা পরিচালিত হয়।

ফুলব্রাইট আন্তর্জাতিক ছাত্র প্রোগ্রামের সুবিধা:

কভারেজ এবং সুবিধা অনুসরণ করে ফুলব্রাইট স্টুডেন্ট প্রোগ্রাম অ্যাওয়ার্ড;

  • আঘাত বা অসুস্থতার ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যসেবা কভারেজ।
  • জরুরী এবং রুটিন উভয় ক্ষেত্রেই পরিষেবা দিনরাত উপলব্ধ
  • 12 মাসের জন্য ফেডারেল কর্মসংস্থানের জন্য অ-প্রতিযোগিতামূলক যোগ্যতা (NCE) প্রদান করুন।
  • ভাতা আবাসিক দেশে বসবাসের খরচের সমানুপাতিক। অনুদানের সময়, প্রাপক জীবনযাত্রার ব্যয় মেটাতে এই তহবিলগুলি ব্যবহার করতে পারেন।
  • এয়ারলাইন প্রস্থানের আগে হোস্ট দেশে এবং সেখান থেকে স্থানান্তর করে, সেইসাথে সেখানে অবস্থানের সময়।

ফুলব্রাইট আন্তর্জাতিক ছাত্র প্রোগ্রামের জন্য যোগ্যতার মানদণ্ড:

ফুলব্রাইট স্কলারশিপ 2023 যে কেউ নিম্নলিখিত প্রয়োজনীয়তা পূরণ করে তাদের জন্য উন্মুক্ত:

  • 155টি বিভিন্ন দেশের আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা আবেদন করার যোগ্য। সুতরাং আপনি যদি এই অনুমোদিত দেশের যেকোনও হন তবে আপনি আপনার আবেদন জমা দিতে পারেন।
  • আপনার ইংরেজি ভাষায় অসামান্য দক্ষতা থাকতে হবে।
  • ফুলব্রাইট প্রোগ্রামের জন্য ন্যূনতম মৌখিক GRE স্কোর 138 এবং সর্বনিম্ন পরিমাণগত GRE স্কোর 136 প্রয়োজন।
  • প্রোগ্রামের জন্য আবেদন করার জন্য আপনার অবশ্যই স্নাতক ডিগ্রি বা সমমানের পড়াশোনা থাকতে হবে।

ফুলব্রাইট আন্তর্জাতিক ছাত্র প্রোগ্রামের জন্য কীভাবে আবেদন করবেন?

ফুলব্রাইট ইন্টারন্যাশনাল স্কলারশিপ প্রোগ্রামের জন্য আবেদন করার জন্য আপনাকে অবশ্যই সমস্ত প্রয়োজনীয় নথি সংগ্রহ করতে হবে;

  • শিক্ষাগত শংসাপত্র এবং ডিগ্রি।
  • সাম্প্রতিক ইংরেজি দক্ষতা পরীক্ষার প্রমাণ।
  • আপনাকে দুটি প্রবন্ধ লিখতে হবে।
  • তিনটি সুপারিশ চিঠি প্রয়োজন.

এখানে প্রয়োজনীয় উপাদান সহ আপনার অনলাইন আবেদন জমা দিন ।

https://foreign.fulbrightonline.org/about/foreign-student-program

ফুলব্রাইট আন্তর্জাতিক ছাত্র প্রোগ্রামের জন্য আবেদন করার সময়সীমা:

ফুলব্রাইট ইন্টারন্যাশনাল এক্সিলেন্স স্টুডেন্ট প্রোগ্রাম 2023-এর জন্য আপনার আবেদন জমা দেওয়ার সময়সীমা সাধারণত ফেব্রুয়ারি থেকে অক্টোবরের মধ্যে হয় তবে এটি বিভিন্ন দেশের জন্য আলাদা হতে পারে।

IELTS BOOKS

Higher Study
1 min read

SOP বা মোটিভেশন লেটার: কী, কেন লেখতে হয় এবং কীভাবে লেখতে হয়?

February 15, 2023

SOP বা মোটিভেশন লেটার: কী, কেন লেখতে হয় এবং কীভাবে লেখতে হয়?

SOP এর Full Form হল Statement of Purpose। একে কখনো কখনো Letter of Motivation বলা হয়। মূলত এটি এক ধরণের চিঠি যা উচ্চশিক্ষার জন্য আবেদনকারীকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বা স্কলারশিপ প্রদানকারী কর্তৃপক্ষের কাছে লিখতে হয়। এই SOP খুবই গুরুত্বপূর্ণ কারণ এর মাধ্যমে একজন শিক্ষার্থীর গুণগত মান বিচার করা হয়। তাই, সময় হাতে নিয়ে ও অত্যন্ত মনোযোগ নিয়ে এই SOP লেখা উচিত।

SOP লেখার নিয়ম/সতর্কতা

আপনার SOP হতে হবে নির্ভুল। এখানে Spelling Mistake অথবা Sentence Making-এ ভুল থাকতে পারবে না। তাই লেখার পর অনেক বার চেক করুণ। প্রয়োজনে আপনি আপনার কোন বন্ধু, শিক্ষক বা গুরুজনের সাহায্য নিতে পারেন। তাদের দিয়ে দেখিয়ে নিন আপনার লেখার Grammar, Sentence Structure ও  অন্যান্য বিষয়াদি যথার্থ আছে কিনা। অনেক সময় আপনার চোখে যে ভুল ধরা পড়বে না- তা অন্য কারো চোখে ধরা পড়বে। তাই এক্ষেত্রে অবশ্যই অন্য কারো সহযোগিতা নেওয়া ভালো। আপনি চাইলে Grammarly (grammarly.com) দিয়েও অনলাইনে চেক করিয়ে নিতে পারেন।

SOP কিভাবে লেখতে হয়/স্ট্রাকচার

SOP এর তিনটি অংশ থাকেঃ যথা- Introduction, Body এবং Conclusion. মূলত এর আঙ্গিক সাধারণ Essay এর মত হলেও এটি লিখতে আপনাকে হতে হবে Artistic – যেন এটি পড়ে আপনার স্কলারশিপ বা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আপনাকেই সিলেক্ট করে। আপনি চাইলে Body Part-এ অনেক কিছু যুক্ত করতে পারেন, যাতে আপনার লেখাগুলো আপনার অনেক দিক নিয়ে আলোচনা থাকে। তবে এক্ষেত্রে খেয়াল রাখাতে হবে, অনেক Paragraph সংযুক্ত করতে গিয়ে যেন এলোমেলো বা অগোছালো না হয়ে যায়। অথবা, আপনার লেখা দিকহারা না হয়ে যায়। আপনার SOP হবে Concise, Explanatory, Convincing and Dynamic- Diversified. 

শেষ প্যারায় থাকে Conclusion।এই Conclusion অংশে থাকে আপনি যে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে অথবা এই স্কলারশিপ পাওয়ার জন্য যোগ্য ব্যক্তি সেই বিষায়ে পূর্বের আলোচনায় যেসকল যুক্তি আছে, সেইগুলো পুনরায় ব্যক্ত করা। আপনার যোগ্যতা ও দক্ষতা তুলে ধরার মাধ্যমে এটা প্রমাণ করা যে আপনি এই স্কলারশিপ বা নিদেন পক্ষে এডমিশন কনফর্ম করা। সামঞ্জস্য ও সংক্ষেপিত কিন্তু আপনার সকল দক্ষতার ও যোগ্যতার বিবরণ সম্বলিত SOP হবে আপনার এডমিশন ও স্কলারশিপের শেষ অস্ত্র।

SOP লেখা সময় সাপেক্ষ্য ব্যাপার।একটা ভালো SOP লেখার জন্য আপনাকে অনেকগুলো SOP পড়া উচিত। এতে আপনার লেখা ভালো হবে। তবে কখনোই অন্য SOP কপি করা উচিত হবে না। এতে বিপদ হতে পারে এমনকি কোন কারণে কপি হয়েছে সেটা তারা বুঝতে পারলে আপনার আবেদন বাতিল হয়ে যাবে।


তথ্যসুত্রঃ

১।  https://www.germanprobashe.com/archives/18559

২। https://www.facebook.com/notes/turkey-burslari-scholarship-for-bangladeshi-students/মোটিভেশন-motivation-লেটার-লেখার-নিয়ম-নমুনাসহ/585046742428624/

৩। https://higherstudyprep.com/blog/important-tips-for-writing-a-statement-of-purpose/

৪। http://bsaagweb.de/motivation-letter/

লেখক/লেখিকা পরিচিতিঃ

সতর্কবার্তা উপরোক্ত আর্টিকেল এর সকল তথ্য উপাত্ত সংগ্রীহিত। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি প্রক্রিয়া এবং এম্বেসী এর ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া প্রতিনিয়তই পরিবর্তনশীল। হালনাগাদ তথ্যের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় এবং এম্বেসী এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট এ নজর রাখতে অনুরোধ করা হচ্ছে। উপরোক্ত আর্টিকেল এর কোন তথ্য/উপাত্ত আপনার কাছে ভুল মনে হলে সঠিক তথ্যের রেফারেন্স/ওয়েবলিংক সহ নিচের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করার জন্য অনুরোধ করা হলো।

IELTS BOOK

Scholarship
1 min read

Master of Fine Arts at Belmont University

December 18, 2022

Master of Fine Arts at Belmont University

Master of Fine Arts at Belmont University
Application Requirements:

  1. Minimum CGPA 3.00 out of 4.00 scales
  2. Official Academic Transcript (evaluated by WES)
  3. Minimum English Proficiency Score:
    · IELTS: 6.5
    · TOEFL: 550 (Paper-based)/80 (Internet-based)
    · Duolingo: 115
  4. A complete CV
  5. Two Potential Recommendations.
  6. Statement of purpose (SOP)
  7. Portfolio of Work (at least 15-20 pieces)

Available Financial Aid:

  1. Watkins Endowment:
    Belmont University থেকে Master of Fine Arts এর শিক্ষার্থীদের প্রতি বছর বৃত্তি দেয়া হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে একজন শিক্ষার্থী বছরে $10000-$15000 ডলার পর্যন্ত আর্থিক সহায়তা পেয়ে থাকে। এই Scholarship টি Faculty Jury দ্বারা নিয়ন্ত্রিত এবং শিক্ষার্থীদের আবেদন ও কাজের ওপর ভিত্তি করে অর্থ সহায়তা প্রদান করা হয়ে থাকে।

Application Deadlines:

SUMMER Application Deadline – April 30, 2023
কোর্স এবং ভর্তি সংক্রান্ত সকল বিস্তারিত তথ্য নিচের লিংকে দেয়া আছে:
https://www.belmont.edu/watkins/graduate/master-of-fine-arts/index.html
©️gnhsa

Scholarship
1 min read

Sweden Government (SI) Swedish Institute Scholarship 2023 | Fully Funded

February 14, 2023

Sweden Government (SI) Swedish Institute Scholarship 2023 | Fully Funded

আবেদন করার জন্য উন্মুক্ত । সুইডেন গভর্নমেন্ট (SI) সুইডিশ ইনস্টিটিউট স্কলারশিপ 2023 এর জন্য আবেদন করুন। 2023/24 ইনটেকের জন্য সুইডেন গভর্নমেন্ট স্কলারশিপ এখন আন্তর্জাতিক ছাত্রদের জন্য উন্মুক্ত। এই বৃত্তিটি আন্তর্জাতিক আবেদনকারীদের লক্ষ্য করে যারা সুইডিশ বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি পূর্ণ-সময়ের স্নাতকোত্তর ডিগ্রি প্রোগ্রাম সম্পন্ন করবে। স্কলারশিপ সব খরচ কভার করবে । প্রথম ধাপ হল সুইডেন ইউনিভার্সিটিতে ভর্তির অফার নিরাপদ করা এবং নেওয়া। তারপর আপনি একটি সুইডিশ “গ্লোবাল প্রফেশনাল স্কলারশিপ” এর জন্য আলাদাভাবে আবেদন করবেন  ।

2023/24 এর জন্য সুইডেন সরকার সুইডেনের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে স্নাতকোত্তর অধ্যয়নের জন্য 400টি Full Free Scholarship প্রদানের পরিকল্পনা করেছে। স্কলারশিপের সময়কাল কোর্স এবং ডিগ্রি প্রোগ্রামের ধরনের উপর নির্ভর করে 1 বছর বা 2 বছর হতে পারে। এই স্কলারশিপটি সুইডিশ মন্ত্রনালয় ফর ফরেন অ্যাফেয়ার্স দ্বারা অর্থায়ন করা হয় । ইংরেজি ভাষায় প্রায় 600টি মাস্টার প্রোগ্রাম পাওয়া যায়। সুইডেন সরকার (এসআই) সুইডিশ ইনস্টিটিউট স্কলারশিপ 2023-এর আবেদন প্রক্রিয়া নীচে উপলব্ধ।

সুইডেন সরকার (এসআই) সুইডিশ ইনস্টিটিউট স্কলারশিপ 2023 সম্পর্কে বিস্তারিত

• দেশ:  সুইডেন

• কোর্স লেভেল:  স্নাতকোত্তর ডিগ্রি

• সময়কাল:  1 বছর, 2 বছর

• আর্থিক কভারেজ:  সম্পূর্ণ অর্থায়িত

• শেষ তারিখ: 

• 16ই জানুয়ারী 2023  (একটি মাস্টার প্রোগ্রামে আবেদন করার জন্য)

• 28 ফেব্রুয়ারী 2023  (একটি বৃত্তির জন্য আবেদন করা হচ্ছে)

আর্থিক কভারেজ

এসআই সুইডিশ স্কলারশিপ 2023 একটি সম্পূর্ণ অর্থায়িত সমস্ত খরচ কভারড প্রোগ্রাম। আপনার খরচ নিয়ে চিন্তা করতে হবে না। বৃত্তি কভার করবে:

• সম্পূর্ণ টিউশন ফি  সরাসরি বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে প্রদান করা হয়।

•  স্কলারশিপ জুড়ে আপনার জীবনযাত্রার খরচ মেটাতে নিয়মিত SEK 11,000 পেমেন্ট করুন 

•  সুইডেনে এবং থেকে SEK 15,000 এর বিমান ভাড়া টিকিটের জন্য ভ্রমণ অনুদান ।

• বীমা  কভারেজ।

• চিকিৎসা বীমা.

অধ্যয়ন ক্ষেত্র

প্রায়  600টি প্রোগ্রাম সুইডিশ বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে পাওয়া যায় যেগুলি ইংরেজিতে পড়ানো হয় ৷ ফাইলের তালিকা নীচে দেওয়া হল.

• কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং

• কৃষি, উদ্যানপালন, বনায়ন এবং মৎস্য চাষ

• আর্টস, ডিজাইন এবং মিডিয়া

• ব্যবসায় প্রশাসন এবং অর্থনীতি

• শিক্ষা/শিক্ষা বিজ্ঞান/শিক্ষাবিদ্যা

• স্বাস্থ্য এবং চিকিৎসা পরিচর্যা

• মানবিক

• সাংবাদিকতা, যোগাযোগ এবং তথ্য

• ভাষা

• আইন এবং আইন অধ্যয়ন

• উপকরণ, নির্মাণ, এবং উত্পাদন

• গণিত

• প্রাকৃতিক বিজ্ঞান

• ধর্ম শিক্ষা

• সামাজিক বিজ্ঞান এবং আচরণ বিজ্ঞান

• সমাজকর্ম ও কল্যাণ

• প্রযুক্তি

• ভেটেরিনারি মেডিসিন এবং নার্সিং

চেক করুন:  আইফেল ফ্রান্স সরকারী বৃত্তি 2023 (সম্পূর্ণ অর্থায়নে)

যোগ্যতার মানদণ্ড

সুইডেন সরকারী বৃত্তির জন্য সাধারণ যোগ্যতার মানদণ্ড হল:

• আন্তর্জাতিক ছাত্ররা EEA এর বাইরে যোগ্য।

• আপনার অবশ্যই ন্যূনতম 3,000 ঘন্টা প্রদর্শিত সম্পূর্ণ বা খণ্ডকালীন কর্মসংস্থান থাকতে হবে

• একটি যোগ্য দেশ থেকে হতে হবে.

• প্রার্থীদের অবশ্যই নীচের দেশগুলির নাগরিক হতে হবে।

যোগ্য দেশ

আপনি যদি এই বৃত্তির জন্য আবেদন করতে চান তবে আপনাকে অবশ্যই এই দেশগুলির মধ্যে একটি হতে হবে:

আর্মেনিয়া, আজারবাইজান, বাংলাদেশ, বেলারুশ, বলিভিয়া, ব্রাজিল, কম্বোডিয়া, ক্যামেরুন, কলম্বিয়া, ইকুয়েডর, মিশর, ইথিওপিয়া, গাম্বিয়া, জর্জিয়া, ঘানা, গুয়াতেমালা, হন্ডুরাস, ইন্দোনেশিয়া, জর্ডান, কেনিয়া, লাইবেরিয়া, মালাউই, মোল্দোভা, মরক্কো, বার্মা), নেপাল, নাইজেরিয়া,  পাকিস্তান , পেরু, ফিলিপাইন, রাশিয়ান ফেডারেশন, রুয়ান্ডা, দক্ষিণ আফ্রিকা, শ্রীলঙ্কা, সুদান, তানজানিয়া, তিউনিসিয়া, উগান্ডা, ইউক্রেন, ভিয়েতনাম, জাম্বিয়া, জিম্বাবুয়ে।

প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

• প্রেরণা চিঠি

• সিভি

• রেফারেন্স চিঠি

• কাজ এবং নেতৃত্বের অভিজ্ঞতার বৈধ এবং সম্পূর্ণ প্রমাণ

• আপনার বৈধ পাসপোর্টের কপি

কিভাবে আবেদন করবেন (আবেদন প্রক্রিয়া)

নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করুন।

• একটি মাস্টার্স প্রোগ্রামের জন্য আবেদন করুন (16 JAN 2023 পর্যন্ত)

• একটি গ্লোবাল প্রফেশনাল স্কলারশিপের জন্য আবেদন করুন (28 ফেব্রুয়ারী 2023 পর্যন্ত)

• ভর্তির আগে SI স্ক্রীনিং এবং মূল্যায়ন  ( তারিখ: 1 MAR 2023 – 29 MAR 2023)

• বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তির বিজ্ঞপ্তি  ( তারিখ: 30 মার্চ 2023)

• এসআই বৃত্তি প্রাপকদের চূড়ান্ত মূল্যায়ন এবং ঘোষণা  ( তারিখ: 31 মার্চ 2023 – 27 এপ্রিল 2023)

আপনাকে প্রথমে সুইডেন ইউনিভার্সিটিতে মাস্টার্স প্রোগ্রামের জন্য আবেদন করতে হবে এবং 16 জানুয়ারী 2023 এর মধ্যে আপনার ভর্তি নিশ্চিত করতে হবে  । 16 জানুয়ারী 2023 এর মধ্যে Universityadmissions.se  তে  চারটি যোগ্য মাস্টার্স প্রোগ্রামের জন্য আবেদন করতে হবে  ।

তারপর 10 ফেব্রুয়ারীতে, সুইডিশ সরকারের কাছ থেকে এসআই গ্লোবাল স্কলারশিপ খুলবে যা একটি সম্পূর্ণ অর্থায়িত বৃত্তি। সুতরাং, আপনি 28 ফেব্রুয়ারী 2023 পর্যন্ত সুইডিশ গ্লোবাল স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে পারেন। তারপর স্ক্রীনিং এবং মূল্যায়ন প্রক্রিয়া শুরু হবে।

IELTS BOOK

Scholarship
1 min read

রোমানিয়ান সরকারী বৃত্তি 2023-2024 (বিএসসি, এমএসসি, পিএইচডি)

December 16, 2022

রোমানিয়ান সরকারী বৃত্তি 2023-2024 (বিএসসি, এমএসসি, পিএইচডি)

Student Visa without Ielts exam + scholarship + No tuition fee…

রোমানিয়ান সরকারী বৃত্তি 2023-2024 (বিএসসি, এমএসসি, পিএইচডি)

Romanian Government Scholarship 2023-2024

(UNDERGRADUATE, MASTERS, PHD)

2023-2024 শিক্ষাবর্ষের আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য রোমানিয়া সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় রোমানিয়া সরকারী বৃত্তি এখন আন্ডারগ্রাড, মাস্টার এবং স্নাতকোত্তর ডিগ্রি কোর্সের জন্য আবেদন গ্রহণ করছে।

আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য তিন ধরণের ডিগ্রি কোর্সের জন্য রোমানিয়ান সরকারী বৃত্তি প্রদান করা হয়:

আন্ডারগ্র্যাড ডিগ্রি কোর্স:

মাস্টার ডিগ্রি কোর্স:

ডক্টরাল ডিগ্রি কোর্স:

প্রয়োজনীয় কাগজপত্র:
1.Passport
2.Europass Cv
3.Birth Certificate
4.Academic Papers
5.ECA(যদি থাকে)(এক্সট্রা কারিকুলাম সার্টিফিকেট)
সুযোগ সুবিধা ঃঃটিউশন ফি মওকুফ।
থাকা ফ্রি,মান্থলি স্পাইপেন্ড বা ভাতা আছে।

বিএসসি ৬৫ ইউরো
এমসিসি ৭০ ইউরো
পিএইচডি ৭৫ ইউরো।
আরো অনেক সুবিধা পাবেন।

এপ্লিকেশন শুরুঃ ১৫ ডিসেম্বর ২০২২
এপ্লিকেশন শেষঃ ০১ মার্চ ২০২৩
🇦🇩 রেজাল্ট প্রকাশিত হবেঃ ১৫ জুলাই ২০২৩


Application link: https://scholarships.studyinromania.gov.ro/scholarship-about


নাহিদুল ইসলাম সবুজ

রোমানিয়ান গভারমেন্ট স্কলারশিপ হোল্ডার ২২/২৩
টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটি অফ ক্লুজ নাপোকা, রোমানিয়া।
ডিপার্টমেন্ট অফ সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং

CV
1 min read

CV এবং Resume এর মধ্যে পার্থক্য

December 16, 2022

CV এবং Resume এর মধ্যে পার্থক্য

CV (curriculam vitae):

চাকরির আবদনে করতে হলে জীবন বৃত্তান্ত খুবই জরুরী। জীবন বৃত্তান্তকে ইংরেজিতে curriculum vitae’ বলা হয়। এটি ল্যাটিন শব্দ (Curriculum Vitæ) থেকে এসেছে। এর অর্থ course of life. Curriculum vitae কে সংক্ষেপে CV বলা হয়। যুক্তরাজ্য, আইয়ারল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড সহ বিশ্বের অধিকাংশ দেশে Curriculum vitae (CV) শব্দটি বেশি ব্যবহৃত হয়। এটিকে Bio-data ও বলা হয়।

রেজ্যুম (Resume):

আমেরিকা ও কানাডায় ‘resume’ শব্দটি বেশি ব্যবহৃত হয়। Resume শব্দটি ল্যাটিন শব্দ résumé থেকে এসেছে। রেজ্যুমে হচ্ছে একজন ব্যক্তির ব্যক্তিগত, শিক্ষাগত, পেশা আর যোগ্যতার তথ্য একনজরে তুলে ধরার কৌশল। এটিকে একজন চাকরিপ্রার্থীর ব্যক্তিগত বিজ্ঞাপনও বলা হয়।

CV এবং Resume এর মধ্যে পার্থক্যঃ
CV ও resume উভয়ের অর্থ জীবন বৃত্তান্ত বুঝালেও সামান্য অর্থগত পার্থক্য আছে। নিন্মে CV এবং Resume এর মধ্যে পার্থক্য দেখানো হলো-

১। রেজ্যুমে ও সিভির মূল অংশগুলো একই রকমের। রেজ্যুমে মূলত এক বা দুই পৃষ্ঠায় লেখা হয়। অন্যদিকে সিভির লেখায় পৃষ্ঠার সীমাবদ্ধতা নেই এবং স্বাভাবিকভাবেই বিবরনগুলোও হয় তুলনামূলক বিস্তারিত, এমনকি এখানে কয়েকজন সম্মানিত ব্যক্তির নাম-ঠিকানা (রেফারেন্স) উল্লেখ করা হয়ে থাকে। সাধারণত, মধ্যম বা উচ্চস্তরের চাকুরি (ক্যারিয়ার) অথবা ফেলোশীপের জন্য সিভি লেখা হয়।

২। CV বলতে বিস্তারিত জীবন বৃত্তান্ত বুঝায়। আর resume বলতে সংক্ষিপ্ত জীবন বৃত্তান্ত বুঝায়।

৩। যদি কোনো চাকরির বিজ্ঞাপনে লেখা থাকে, please send us your CV। তাহলে পূর্ণাঙ্গ বা বিস্তারিত জীবন বৃত্তান্ত পাঠানো উচিৎ। অন্যদিকে আর যদি লেখা থাকে, please send us your resume তাহলে সংক্ষিপ্ত জীবন বৃত্তান্তটি পাঠানো উচিৎ।

৪। সিভিতে আপনার একাডেমিক যোগ্যতাকে ফোকাস করা হয় আর রেজ্যুমতে আপনার স্কিলের উপর ফোকাস করা হয়।

৫। সিভিতে আপনার পার্সোনাল ডিটেইলস থাকতে পারে।অন্যদিকে রেজ্যুমতে থাকবে না।

৬। সিভি কিছুটা দীর্ঘ হয়। অন্যদিকে রেজ্যুম খুব শর্ট হয় সিভির তুলনায়

৭। যুক্তরাজ্য, আইয়ারল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড সহ বিশ্বের অধিকাংশ দেশে Curriculum vitae (CV) শব্দটি বেশি ব্যবহৃত হয়। অন্যদিকে আমেরিকা ও কানাডায় ‘resume’ শব্দটি বেশি ব্যবহৃত হয়।

Higher Study
1 min read

বিদেশে উচ্চশিক্ষা: স্কলারশিপ পেতে যেসব তথ্য জানা জরুরি ও বিদেশে স্কলারশিপ পাওয়ার যোগ্যতা

December 16, 2022

বিদেশে উচ্চশিক্ষা: স্কলারশিপ পেতে যেসব তথ্য জানা জরুরি ও বিদেশে স্কলারশিপ পাওয়ার যোগ্যতা

বিদেশে উচ্চশিক্ষা: স্কলারশিপ পেতে যেসব তথ্য জানা জরুরিঃ অনেকের-ই স্বপ্ন থাকে বিদেশে গিয়ে উচ্চশিক্ষা লাভ করার। কিন্তু সঠিক গাইড লাইন কিংবা উপযুক্ত তথ্য উপাত্তের অভাবে অনেকের কাছেই সেটা সম্ভব হয়ে ওঠে না । বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য যাওয়া সত্যিই প্রশংসনীয় উদ্যোগ ।তবে সে উদ্যোগ সফল ভাবে বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজন কিছু বাস্তবসম্মত ও নিখুত পরিকল্পনার । যা আপনাকে আপনার লক্ষ্যে পৌছাতে সাহায্য করবে। প্রথমেই মনে রাখতে হবে এটি একটি উদ্যোগ । আর প্রত্যেক উদ্যেগে সম্ভাবনার পাশাপাশি কিছু প্রতিবন্ধকতা ও থাকে । আর আপনাকে সে প্রতিবন্ধকতাকে কাটিয়ে উঠতে হবে। তাই প্রথমেই আপনাকে যা ভাবতে হবে তা হল, কেন আপনি উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে যাবেন? সেখানে কী কী সুবিধা এবং অসুবিধা রয়েছে ? এর ইতিবাচক এবং নেকতবাচক প্রভাব গুলো কী কী ? আপনাকে কোন কোন চ্যালেঞ্জের মোকাবেলা করতে হতে পারে ?

বিদেশে উচ্চশিক্ষা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য

বিদেশে উচ্চশিক্ষা কেন করবেন?

কেন আপনি বিদেশে পড়তে যাবেন? বিদেশে উচ্চশিক্ষা মানে আপনি একজন বিশ্ব নাগরিক ।যার মাধ্যমে আপনার ব্যক্তিগত দৃষ্টভঙ্গি প্রসারিত হওয়ার পাশাপশি বিচিত্র অভিজ্ঞতা ও দক্ষতায় নিজেকে সমৃদ্ধ করতে পারবেন। তাই নিজের কর্মক্ষেত্র প্রসারিত করতে চাইলে উচ্চশিক্ষার কোন বিকল্প নেই । নিচে তার কয়েকটি যুক্তিসঙ্গত কারণ তুলে ধরা হল।

বিদেশে উচ্চশিক্ষা/স্কলারশিপের ব্যক্তিগত উপকারিতা

(১) বিদেশে উচ্চশিক্ষার মাধ্যমে আপনার আত্মসমৃদ্ধি ঘটবে । নানা মাত্রিক অভিজ্ঞতার কারণে বুদ্ধিমত্তা ও মননশীলতার দিক থেকে নতুন কিছু ‍ভাবতে ও করতে শিখবেন । আপনি অভিজ্ঞতা লাভ করতে পারবেন ,কিভাবে বৈচিত্রময় পরিস্থিত ও সংস্কৃতির সাথে নিজেকে খাপ খায়িয়ে নিতে হয় । যা আপনার কেরিয়ারের ক্ষেত্র আপনাকে আধিকতর আত্মবিশ্বসী ও কৌশলি করে গড়ে তুলবে।

(২) বিদেশে উচ্চশিক্ষার দরুন আপনার দক্ষতা বৃদ্ধি পাবে এবং আপনার কর্মক্ষেত্র প্রসারিত হবে।বিশ্বের যেকোন প্রান্তে আপনি চাকুরির জন্য আবেদন করতে পারবেন এবং আপনার চাকুরি পাওয়ার সম্ভাবনাকে অনেক বাড়িয়ে তুলবে। আপনি অনেক বেশি সেলারিতে চাকুরি করতে পারবেন। তাছাড়া আপনার কর্মক্ষেত্র পরিধি হবে পুরো বিশ্ব।

(৩) আপনার কমিউনিকেশন স্কিল অনেক বৃদ্ধি পাবে। যা আপনার চাকুরি পাওয়ার ক্ষেত্রে খুব কাজে আসবে।

(৪) সর্বোপরি আপনি একটি সুন্দর এবং ফলপ্রসু জীবন উপভোগ করতে পারবেন।

বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য প্রাথমিক ধাপসমুহ:

(১) Subject choice বা বিষয় নির্বাচণ খুব-ই গুরুত্বপূর্ণ । কারণ এর উপরেই নির্ভর করবে আপনার ভবিষ্যৎ। এক্ষেত্রে আপনাকে এমন একটি বিষয় নির্বাচণ করতে হবে , যা আপনার পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধির পাশাপাশি বর্তমান বিশে্বর পেক্ষাপটে যার ব্যপক গুরুত্ব রয়েছে। এ ক্ষেত্রে নতুন কোন বিষয় নির্বাচণ করা ভালো। যার চাহিদা আগামী দশ কিংবা বিশ বছর পরও থাকবে।

স্কলারশিপ কিভাবে পাওয়া যায়

বিষয় নির্বাচণ বা সাবজেক্ট চয়েজের ক্ষেত্রে যেসব বিষয়ে খেয়াল রাখা প্রয়োজন:

(১) ভবিষ্যতে আপনি নিজেকে কোন স্থানে দেখতে চান, এবং সে বিষয়ে আপনার যোগ্যতা কতটুকু , তার উপর বিত্তি করে বিষয় নির্বাচণ করোন।

(২) আপনার কাঙ্খিত বিষয়ে বিশ্বে গ্রহণযোগ্যতা কেমন অর্থাৎ পড়াশোনা শেষে আপনার জব সেক্টর আনুমানিক কোথায় হতে পারে।

(৩) আপনার পেছন্দের বিষয়ের উপর কোন দেশ সবচেয়ে ভালো সুযোগ সুবিধা প্রধান করে এবং তাদের শিক্ষার মান ও পাঠদান পদ্ধতি কেমন ইত্যাদি বিষয়ে ধারনা রাখতে হবে।

(৪) পড়া-শোনা শেষে আপনার কর্মক্ষেত্র কোথায় তৈরী করতে চান ? যদি আপনি বিদেশে থাকতে চান , তাহলে আপনাকে জানতে হবে সে দেশের ইমিগ্রেশন প্রসেস কেমন ? পড়াশোনা শেষে চাকুরি ও রেসিডেনশিপ পাওয়ার সম্ভাবনা কতটুকু রয়েছে।

(৫) আপনার কাঙ্খিত কোর্সটির মেয়দ কত বছর ? টিউশন ফি ও আনুসাঙ্গিক খরচ সহ আপনাকে কত টাকা পরিশোধ করতে হবে? আর আপনি সেটা পরিশোধ করতে সক্ষম কি না?

আর যদি আপনি খরচ বহন করতে সক্ষম না হন। তাহলে আপনাকে দেখতে হবে সে বিশ্ববিদ্যালয়ে স্কলারশিপ প্রোগরাম আছে কি না? থাকলে আপনি তার জন্য আপনি ইলিজেবল( যোগ্য) কি না ?

(৬) সর্বশেষ আপনি যে বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতে চান, সে বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে মোটামোটি ধারনা নিয়ে রাখা ভালো যা আপনার CV, motivation letter ইত্যাদি কাগজ পত্র তৈরীতে খুব কাজে দিবে। এ ক্ষেত্রে আপনি কাঙ্খিত বিশ্ববিদ্যালয় ওয়েব সাইটের সাহায্য নিতে পারেন । তাছাড়া অনেক বিশ্ববিদ্যালয় ওয়েব সাইটে চেট বক্স রয়েছে। যার মাধ্যমে আপনি সে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে সে বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে সম্যক ধারনা লাভ করতে পাবেন।

সিভি: যেখানে থাকবে আপনার জীবনবৃত্তান্ত, ভাষাগত দক্ষতা, এক্সটা কারিকোলাম একটিভেটি, অভিজ্ঞতা,হবিস ( আপনি লেখা-পড়ার পাশাপাশি কি করতে পছন্দ করেন)ইত্যাদি । যদি আপনার কোন আন্তর্জাতিক এয়াওর্ড বা রিসার্স পাবলিকেশন থেকে থাকে সেটিও তুলে ধরতে পারেন।

বিদেশে স্কলারশিপ পাওয়ার যোগ্যতা

(1) SSC, HSC অথবা তদূর্ধ্ব সনদের সত্যয়িত ফটো কপি।

২). মটিভেশন লেটারঃ যা খুবই গুরুত্বপূর্ণ, এটিই পারে আপনার চান্স পাওয়ার সম্ভাবনাকে বাড়িয়ে তুলতে। তাই একটু সময় নিয়ে যত্ন সহকারে এটি লিখুন । বিশেষভাবে যে বিষয় গুলো উল্লেখ করা প্রয়োজন তা হল,আপনি কেন এ বিষয়ে পড়তে আগ্রহী? উক্ত বিষয়কে ঘিরে আপনার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী? উক্ত বিষয় পড়ার জন্য আপনি কেন তাদের বিশ্ববিদ্যালয়কেই বেচে নিলেন ইত্যাদি। তবে এক্ষেত্রে উল্লেখ্য যে,প্রশ্ন গুলোর পক্ষে আপনকে যথেষ্ট যুক্তিযুক্ত কারণ উপস্থাপন করতে হবে।

মোটকথা আপনি তাদের ইমপ্রেস করবেন কিভাবে করা যায় সেটা আপনাকে ভাবতে হবে। তার জন্য আপনি সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয় গিয়ে একটু ঘাটাঘাটি করলেই যথেষ্ট তথ্য পেতে পারেন।যা আপনার মটিভেশন লেটারকে আরও পেশনেইট করে তুলবে।

3. Recommendations Letter /reference letter : ( যেখানে আপনার লেখা পড়া ও চারিত্রিক বিষয়ে সর্ম্পকে শিক্ষকের একটি স্টেমেন্ট বা বক্তব্য থাকবে এ মূলত ৫০০ – ৭০০ ওয়ার্ড এর মধ্যে হয়ে থাকে)

আপনি যে বিশ্ববিদ্যালয়ের লেখাপড়া করেছেন সে বিশ্ববিদ্যালয়ের যে কোন শিক্ষকের কাছ থেকে একটি রিকমেন্ডেশন লেটার লিখিয়ে নিতে পারেন । তবে যিনি আপনার সম্পর্কে ভালো জানেন, আপনার সম্পর্কে ভালো লিখতে পারবেন, তার শরণাপন্ন হওয়া ভালো।

৪). পাসপোর্টঃ যা, যেকোন দেশে যাওয়ার জন্য অত্যাশ্যক। আপনি আপনার দেশের বাহির যেকোন স্থানে যেতে চাইলে এটি আপনার প্রয়োজন পরবেই। কোন ট্রেভেলসের মাধ্যমে কিংবা নিজেই ঘরে বসে করতে পারেন অনলাইন। ফরম ফিলাপ করার পর pdf টি ডাউনলোড করোন , টাকা সহ ফরমটি ব্যাংকে জমা দিন । বাস হয়েগেল ,পরে শুধু আপনাকে পুলিশ বেরিফিকেশনের জন্য অপেক্ষা করতে হবে । পুলিশ ভেরিফিকেশন হওয়ার পর পাসপোর্ট আপনার হাতে এসে পৌছাবে।

৫). ভাষাগত দক্ষতা সনদঃ আপনার নির্বাচিত দেশ বা বিশ্ববিদ্যালের শর্ত অনুযায়ী আপনার ভাষাগত দক্ষতার সনদ থাকতে হবে।ভাষাগত দক্ষতা প্রমানের জন্য IELTs,/TOEF/GRF/,SAT/,GMAT ইত্যাদি পরীক্ষা দিতে হবে। যদিও বিশ্ববিদ্যালয় ভেদে ভাষাগত দক্ষতার সনদ ভিন্ন ভিন্ন চাওয়া হয়। তবে আমেরিকা জন্য GRE / IELTs, আর কানাডার জন্য SAT/ GMAT এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন ভুক্ত যেকোন দেশের জন্য IELTs /TOEFL score অগ্রাধিকার দেয়া হয়।

৬). রিসার্স পাবলিকেশনঃ যদি আপনি রিসার্চ বেইজ মাস্টার্স কিংবা PHD করতে চান, তবে আপনার রিসার্চ দক্ষতার প্রমান সরূপ আপনার কমপক্ষে একটি আরটিকেল পাবলিশ থাকতে হবে। এ ক্ষেত্রে লক্ষ্য রাখবেন, রিসার্চ পাবলিকেশন জার্নাটি যেন মান সম্মত হয়। কোন অপরিচিত জার্নাল কিংবা টাকার মাধ্যমে যে সমস্তু জার্নাল আরটিকেল পাবলিশ করে তাদের দারস্ত হওয়া যাবে না। কারণ আন্তর্জাতিক ইউনিভার্সিটি গুলোতে ইহার গ্রহণযোগ্যতা খুবই কম । তাহলে আপনার চান্স পাওয়ার সম্ভাবনা কমে যাবে।

৮) ব্যাংক স্টেটমেন্টঃ এটি মূলত দাবী করে আপনি কার অর্থায়নে বিদেশে লেখাপড়া করবেন। যদি আপনি স্কালার্সিপ পেয়ে যান ! সে ক্ষেত্রে আপনাকে ব্যাংক স্টেটমেন্ট দেখাতে হবে না। আর যদি আপনি সেল্ফ ফান্ডে কিংবা ফেমেলি ফান্ডে যেতে চান, তাহলে অবশ্যই আপনাকে ব্যাংক স্টেটমেন্ট দেখাতে হবে। উল্লেখ্য যে, যদি আপনি নিজ খরচে পড়তে চান, তাহলে আপনার আর্থিক সক্ষমতার প্রমান সরুপ আপাকে ব্যাংক সালভেন্সি সার্টিফিকেট প্রদান করতে হবে। অনেক ক্ষেত্রে সালভেন্সি সার্টিফিকেটের বৈধতা প্রমাণের জন্য বিগত ছয় মাসের লেনদেনের রিপোর্টর সত্যায়িত ফটোকপি পাঠাতে হয়।ব্যাংক স্টেটেমেন্টে টাকার পরিমান ৩০ লক্ষ টাকা থেকে ১ কুটি টাকা পযর্ন্ত চাওয়া হয়। তবে সেটা বিশ্ববিদ্যালয়ের চাহিদার উপর নির্ভর করে।

৯) আবেদন ফিঃ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ভেদে আপনাকে ৭০০-১০০০০ পর্যন্ত আবেদন ফি বা ব্যাংক ডাফ্ট পাঠাতে হবে।

Higher Study
1 min read

আমেরিকা বা যে কোন দেশে উচ্চশিক্ষার জন্য চেকলিস্ট

September 30, 2023

আমেরিকা বা যে কোন দেশে উচ্চশিক্ষার জন্য চেকলিস্ট

আমেরিকা কিংবা যেকোনো দেশে উচ্চশিক্ষার চেকলিস্ট, যেটা যে কারোই প্রয়োজন তার অ্যাকাডেমিক প্রোফাইল বানাতে-

চেকলিস্ট:

আমেরিকায় হায়ার স্টাডির জন্য মূল যে উপাদানগুলো দরকার:

১. একটা অনার্স ডিগ্রি। সিজিপিএ ৩.০০ হলে ভালো। ৩.০০ এর কম হলেও উপায় আছে।

২. জিআরই/জিম্যাট স্কোর। জিআরইতে অন্তত ৩০০ স্কোর রাখা উচিৎ।

৩. টোয়েফল/আইইএলটিএস। টোয়েফলে মিনিমাম ৮০ অথবা আইইএলটিএসে মিনিমাম ৬.৫ রাখা উচিৎ।

৪. স্টেটমেন্ট অফ পারপাস। (SOP)

৫. রিকমেন্ডেশন লেটার। বড়জোর তিনটা লাগতে পারে। তাই অনার্সের শুরু থেকেই শিক্ষকদের সাথে ভালো সম্পর্ক রাখা উচিৎ।

৬. সিভি/ রেজ্যুম।

৭. কোন সাবজেক্টে/ফিল্ডে ডিগ্রি নিতে/রিসার্চ করতে ইচ্ছুক, সে সম্পর্কে ভালো ধারণা।

৮. চার থেকে সাড়ে চার লাখ টাকা। অনেকের এর থেকে কমও লাগতে পারে। এটা গড় হিসাব।

৯. ধৈর্য্য।

১০. ভালো যোগাযোগ এবং গুগলকে ভালোভাবে ব্যবহার করার দক্ষতা। (ভার্সিটি, প্রফেসর খোঁজা; প্রফেসর, ভার্সিটির সাথে যোগাযোগের জন্য)

মূল এই উপাদানগুলোর পাশাপাশি আরও কিছু উপাদান রয়েছে যেগুলো থাকলে প্রোফাইল আরও শক্তিশালী হয়।

১. পাবলিকেশন।

২. চাকরি/ ইন্টার্নশিপের অভিজ্ঞতা।

৩. টিচিং/রিসার্চ অ্যাসিস্ট্যান্টশিপের অভিজ্ঞতা।

৪. প্রজেক্ট।

৫. যে বিষয়ে পড়তে চান সেই বিষয় সম্পর্কিত সফটওয়্যারগুলো অপারেট করার জ্ঞান।

পাবলিকেশন, গবেষণার অভিজ্ঞতা:

এগুলো অ্যাপ্লিকেশনের মূল উপাদান (Compulsory) নয়। তবুও, গবেষণার অভিজ্ঞতার বিকল্প কিছু হয় না। সত্যি বলতে, যার লক্ষ্য উচ্চশিক্ষা তার জন্য রানিং স্টুডেন্ট থাকা অবস্থাতেই সুযোগ থাকলে এই অভিজ্ঞতাগুলো অর্জন করা উচিৎ।

Related post: Click

কম সিজিপিএ থাকলে:

গুরুত্বপূর্ণ কথাটা হল, আমেরিকায় গ্র্যাজুয়েট অ্যাডমিশনের প্রত্যেকটা অ্যাপ্লিকেশন ইউনিক। প্রতিটা অ্যাপ্লিকেশনের সবগুলো উপাদান বিবেচনা করে অ্যাডমিশন দেওয়া হয়। সিজিপিএ কম থাকলে অন্যান্য উপাদানগুলো শক্তিশালী করে অ্যাডমিশন পাওয়া সম্ভব। সিজিপিএ ৩.০০ থাকলেই আমেরিকার ৯০ ভাগ ভার্সিটিতেই অ্যাপ্লাই করার যোগ্য আপনি। বেশ কিছু ইউনিভার্সিটি আছে যেগুলো ৩.০০ এর কম সিজিপিএ গ্রহণ করে। কাজেই, কেউ যদি আপনাকে বলে- কম সিজিপিএধারী বলে আপনি হায়ার স্টাডিতে যেতে পারবেন না তাহলে সেই কথা তখনি উড়িয়ে দিন। উল্লেখ্য, এটা ঠিক কম সিজিপিএ থাকলেও অন্যান্য জায়গায় ভালো করে অ্যাডমিশন পাওয়া যায় কিন্তু ভালো সিজিপিএর বিকল্প কিছু নেই।

যদি রানিং স্টুডেন্ট থাকা অবস্থাতেই বুঝে যান আপনার পক্ষে কিছুতেই সিজিপিএ ৩.০০ এর উপরে নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয় তাহলে তখন থেকেই দীর্ঘ সময় নিয়ে জিআরই এর প্রস্তুতি নিন যেন ভালো স্কোর করতে পারেন। চেষ্টা করুন দুয়েকটা পাবলিকেশন করতে। টিচারের সাথে ভালো সম্পর্ক থাকলে তার অধীনে TA/ RA এর কাজ করতে পারেন। বিভিন্ন অনলাইন কোর্স করে স্কিল অর্জনের চেষ্টা করুন।

কম সিজিপিএ এবং ক্যারিয়ার:

চাকরি নাকি উচ্চশিক্ষা!

গ্রুপে প্রায়ই কিছু প্রশ্ন আসে।

আমার সিজিপিএ তিনের নিচে/ খুব কম। অথবা আমার প্রোফাইল এই, আমি কি অ্যাডমিশন/ ফান্ড পাবো?

আমার সিজিপিএ কম। আমার কি চাকরির ক্যারিয়ারে যাওয়া উচিৎ নাকি উচ্চশিক্ষা?

প্রায়ই বিভিন্ন গ্রুপে বেশ রসালো একটা তর্ক হয়। বিসিএস এবং হায়ার স্টাডির তুলনা। বিসিএস একটা চাকরি, একটা ক্যারিয়ার। হায়ার স্টাডি অন্য একটা ক্যারিয়ারে যাওয়ার জন্য আরও পড়াশোনা। দুটো দুই রকমের জিনিস। এখানে কোনো তুলনা চলে না। দুটোই নিজেদের জায়গায় ইউনিক। কেউ কারও প্রতিদ্বন্দ্বী নয়। যার ক্যারিয়ারের লক্ষ্য যেখানে সে সেখানেই চেষ্টা করবে। তর্ক বিতর্কের কিছু নেই এখানে। কেউ এএসপি হয়ে মনে মনে রিসার্চ করছে কিভাবে আধুনিক উপায়ে অপরাধ কমানো যায় আবার কেউ হায়ার স্টাডি শেষে রিসার্চ করছে কিভাবে কম খরচে গরীব দেশের জন্য একটা ভ্যাকসিন বানানো যায়। দুই ধরনের রিসার্চই আমাদের দরকার। এ নিয়ে বিতর্ক ছেলেমানুষী।

আপনার যদি উচ্চশিক্ষায় যাওয়ার উদ্দেশ্য থাকে তবে এটা নিয়েই বিভিন্ন রিসার্চ করা উচিৎ। গ্রুপে প্রোফাইল শেয়ার করে ফান্ড/অ্যাডমিশন পাওয়া যাবে কিনা সে প্রশ্ন করলে কেউই উত্তর দিতে পারবে না। কেউ কোনো উত্তর দিলেও সেটা হবে গত বছরগুলোর অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে বলা উত্তর, সম্পূর্ণ উত্তর নয়। অ্যাডমিশনের সিদ্ধান্ত একমাত্র ডিপার্টমেন্টের অ্যাডমিশন কমিটির। ধরা যাক, আপনার সিজিপিএ ২.৮০। এরপরেও আপনার হয়তো এমন একটা স্টেটমেন্ট অফ পারপাস লেখার ক্ষমতা আছে যার উপর ভিত্তি করে আপনি অ্যাডমিশন পেয়ে যেতে পারেন।

আবার অনেকে প্রশ্ন করেন, আমি সদ্য অনার্স/মাস্টার্স কমপ্লিট করেছি। জিআরই ৩১০+, টোয়েফল ১০০+ থাকলে অ্যাডমিশন, ফান্ড পাবো কিনা। এ ধরনের প্রশ্ন অবান্তর। কারণ, প্রথম কথা, আপনি এই স্কোরগুলো সিকিউর করতে পারবেন এমন কোনো নিশ্চয়তা নেই। দ্বিতীয়ত, আপনি গ্রুপে পোস্ট করেছেন নিশ্চয়ই আপনার হায়ার স্টাডির ইচ্ছা আছে বলেই। এখন কেউ যদি আপনার এই প্রশ্নের উত্তরে বলে, না সম্ভব না, তবে কি আপনি অন্য লোকের কথা শুনে নিজের ক্যারিয়ারের ডিসিশন নিয়ে নেবেন?

মোদ্দা কথা হল, আপনাকে সম্পূর্ণ প্রোফাইল কমপ্লিট করতে হবে। তারপর সবার সাথে (গ্রুপে অভিজ্ঞদের পরামর্শ, ভার্সিটিতে মেইল করা) কথা বলতে হবে। অসম্পূর্ণ প্রোফাইল শেয়ার করে সেটার ফিডব্যাকের ভিত্তিতে নিজের ভবিষ্যতের ডিসিশন নেওয়া ঠিক নয়। অ্যাডমিশন প্রসেসটা ‘ধরি মাছ, না ছুঁই পানি’ এমন না। হায়ার স্টাডিতে যেতে হলে আপনাকে পানিতে নামতেই হবে। আমেরিকায় ৪২০০ বিশ্ববিদ্যালয় আছে। কাজেই, আপনার সামনে সুযোগ চার হজার দুইশোটা।

Post Credit- Shamim Sharif Romel

Scholarship
1 min read

বিজনেস স্কুলে ফান্ডেড মাস্টার্স, F2, F1, লেট এপ্লিকেশন

December 15, 2022

বিজনেস স্কুলে ফান্ডেড মাস্টার্স, F2, F1, লেট এপ্লিকেশন

আমেরিকান বিজনেস স্কুলে –
§ এডমিশনই পাওয়া যায়না।
§ জিম্যাট ছাড়া ওরা কথা বলেনা
§ ফান্ড পাওয়া ইম্পসিবল
এইগুলো খুব কমন, কিন্তু বাজে কথা।

আমি এই ফল ২০১৭ থেকে fully funded মাস্টার্স (MS in Economics and Finance) শুরু করেছি Southern Illinois University Edwardsville (SIUE) তে । এবার আমার গল্প বলি। এই গল্প হয়ত অনেককেই সাহস যোগাবে উচ্চশিক্ষার পথে আরো একধাপ এগিয়ে যেতে।

আমেরিকাতে আসার কোন চিন্তাই ছিলনা। Bangladesh Institute of Bank Management (BIBM) এ ৫ম সেমিস্টারে পড়ছি, পড়ালেখার পাটচুকিয়ে কোন এক ব্যাংকে ঢুকে সুখে শান্তিতে জীবন কাটিয়ে দেবো। কিন্তু বাগড়া বাজাল আমার জীবনসঙ্গী। হঠাৎ করে ফল ২০১৬ তে PhD fund নিয়ে পাড়ি দিল আমেরিকায়। ওর আশা আমিও পাড়ি দিবো ওর কাছে। আমি যেতে রাজি, তবে ঘরে বসে থাকতে রাজি না। ওর ও তাই ইচ্ছা। একটাই উপায় F1 ভিসা নিয়ে আমেরিকায় যেতে হবে।
শুরু হল আমাদের নতুন যুদ্ধ, ফান্ড লাগবে। আমার ব্যাকগ্রাউন্ড বিজনেস স্টাডিস, তার উপর দ্বিতীয় মাস্টার্স। আগের রেকর্ড বলে ফান্ড পাওয়া অনেক কঠিন, কিন্তু অসম্ভব না। ঠিক করলাম এপ্লাই করব Economics, Finance অন্যথায় MBA এর জন্য।

জিম্যাট নাকি জিআরই – কোনটা পড়ব? অনেক বিজনেস স্কুলের ওয়েবসাইট ঘেটে দেখলাম, হাতেগোনা দুয়েকটা ছাড়া, সবাই এই দু’টো এক্সামকেই এক্সেপ্ট করে। আমার হাজব্যান্ড GRE পরীক্ষা দিয়েছিল, তাই GRE সম্পর্কে আগে থেকে আইডিয়া ছিল। GRE পরীক্ষাই দিব সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললাম। সেপ্টেম্বর থেকে GRE প্রস্তুতি শুরু – জানুয়ারিতে GRE, TOEFL দেওয়ার ইচ্ছা। এই টাইমলাইন নিয়ে পরবর্তী ফল ধরা খুবই কঠিন। তখন আবার আমার ইন্টার্নশীপ শুরু করেছি ব্যাংকে – ১০টা – ৬টা অফিসও করতে হয়। GRE ব্যাপারে অনেক সাহায্য পেয়েছি এই গ্রুপ থেকে। তাই GRE প্রস্তুতি নিয়ে কিছু লিখছিনা – সব প্লান এই গ্রুপের ডক সেকশনে আছে।

আমি GRE পড়ি, আর আমার জামাইবাবু ভার্সিটি লিস্ট করে। ভার্সিটি সিলেক্ট করা অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কাজ। HSA acceptance list দেখে বিজনেস স্কুলে কে কে এক্সেপ্টেড হয়েছে, কোন বিজনেস স্কুলে, স্কোর কেমন লাগে – এরকম ইনফো আমরা লিস্ট করলাম। মোটামুটি ১০ টা ইউনিভার্সিটি পাওয়া গেল যেখানে বাংলাদেশী স্টুডেন্টরা ফান্ডিং নিয়ে পড়তে গেছে। তারমানে বোঝা গেল বিজনেস স্কুলে ফান্ডিং পাওয়ার আশা আছে।

ইউনিভার্সিটি সিলেকশনের পাশাপাশি হাত দেই SOP লেখাতে। আমার মতে SOP লেখা সবচাইতে কঠিন কাজ। আমি SOP লিখি, আর আমার হাজব্যান্ড এডিট করে। কিন্তু কিছুই হয়না। আমি লিখতে লিখতে কাঁদি, উনি ধমক লাগায়। যাইহোক, অনেক কষ্ট করে, অনেক জনের কাছ থেকে সাহায্য নিয়ে লিখলাম SOP। আগেই বলেছি SOP লেখা সবচেয়ে কঠিন কাজ, এটা লেখাতে অনেক সময় দিতে হবে। SOP লেখার কোন শর্টকাট নাই, কোন ফর্মুলা নাই। এই গ্রুপের ডকে অনেকেই SOP শেয়ার করেছেন। এইগুলো থেকে আইডিয়া নেয়া যেতে পারে। কিন্তু প্রত্যেকের থাকবে নিজস্ব গল্প।

আবার TOEFL ও দিতে হবে। কিন্তু তখনি TOEFL রেজিস্ট্রেশন করিনি। যদি GRE স্কোর ভাল আসে, তবেই TOEFL পরীক্ষা দিব -অন্যথায় সব পয়সা জলে যাবে । আলহামদুলিল্লাহ, GRE স্কোর এল ৩০৯, সাথে সাথে TOEFL রেজিস্ট্রেসন করতে বসলাম। কিন্তু বিধিবাম, পরবর্তী এভেইলেবল ডেট মাত্র ৫ দিন পরে, এরপরেরটা ২৫ দিন!! উপায় নাই ৫ দিন পরের ডেটই নিতে হবে। TOEFL score খারাপ হল, মাত্র ৯৩, কিন্তু আর সময় নাই, ট্রাই করতে দোষ কি।

এরপর শুরু হল Graduate Coordinator এর সাথে যোগাযোগ করা। ১০টা ইউনিভার্সিটিতে ইমেইল করলাম, আমার প্রোফাইল জানিয়ে।
§ BBA in AIS, CGPA 3.83, UIU
§ MBM, CGPA 3.50, BIBM
§ GRE 309, TOEFL 93
§ No job experiences, No publication
৫ জন জানাল আমার প্রোফাইল নিয়ে ফান্ড পাওয়ার সম্ভাবনা আছে। আল্লাহর নাম এ শুরু করলাম এপ্লিকেশন করা।
এরপর শুর হল অপেক্ষার পালা। এরমাঝে আবার ব্যাক আপ হিসেবে F2 ভিসার এর জন্য আবেদন করলাম, ভিসা পেয়েও গেলাম।
University of Cincinnati থেকে স্কাইপ ইন্টারভিউ নিল। যৎসামান্য ফান্ডিং ও অফার করল। কিন্তু ভিসার জন্য অনেক টাকা দেখাতে হবে। এত টাকা দেখালে আমেরিকান এম্বেসি আর আমাকে ভিসা দিবেনা। তাই এই অফারটা ডিক্লাইন করলাম।

এরপর আবার অপেক্ষা করি আর বাকি কারো কোন খবর নাই। মাঝে মাঝে গ্র্যাড কো-অর্ডিনেটরদের ইমেল করি- কেউ রিপ্লাই দেয় আবার কেউ দেয়না। একদিন SIUE এর কো-অর্ডিনেটর জানালেন Graduate Scholar Award (GSA) নামে একটা scholarship আছে যা ফুল টিউশন ওয়েভ করে। মনে হল ভাল জিনিস, এপ্লাই করলাম ।

এরপর আবার অপেক্ষা করি। দুএকটা ভার্সিটি থেকে এডমিশন দিল, কিন্তু ফান্ড নাই। অবশেষে, মে মাসের শেষের দিকে SIUE থেকে অভিনন্দন জানিয়ে বলল আমি GSA স্কলারশিপ পেয়েছি MS in Economics & Finance। কিন্তু এই স্কলারশীপ শুধু টিউশন কাভার করবে, থাকা-খাওয়া নিজের । খবর নিয়ে দেখলাম, থাকা-খাওয়ার খরচ অন ক্যাম্পাস জব করে চালানো যাবে। তাই আল্লাহর নামে এক্সেপ্ট করলাম এই অফার ।

SIUE I-20 পাঠাবে কিন্তু তাদেরকে আমার ফাইনান্সিয়াল পেপার্স দেখাতে হবে যে, ডেফিসিট $18000, ব্যাংকে ছয় মাস ধরে থাকতে হবে। এই ব্যাপারে প্রস্তুতিটা একটু আগে ভাগেই নিয়েছিলাম। GRE দেবার পরপরই (জানুয়ারি মাসে) ব্যাংক লোন নিয়ে বাবাকে দিয়ে ১০ লক্ষ টাকার একটা FDR করিয়ে রেখেছিলাম। কিন্তু বাবা যে FDR টা করেছে ওটাতে এখনো ৬ মাস হয়নি। তার মানে বাবাকে স্পন্সর হিসেবে দেখানো যাবেনা। তখন HSA তে ঘাটাঘাটি করে দেখলাম, I-20 আনার জন্য স্পন্সর মোটামুটি যে কাউকে দেখানো যায়। ব্যাংকের কাগজপত্র ঠিক থাকলেই ইউনিভার্সিটি I-20 পাঠিয়ে দেয়। কিন্তু ভিসা আবেদনের সময় এই স্পন্সরিং ব্যাপারটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অতপর, আমার ছোটখালা আর নানুমণিকে স্পন্সর দেখিয়ে নিয়ে এলাম I-20। ভাগ্যিস, I-20 তে লেখা ছিল Family Fund।
এবার এম্বেসিতে দাঁড়ানোর পালা। ভিসা ইন্টারভিউ এর বিশাল কিউ, ডেট পেলাম ১৬ জুলাই, ততদিনে বাবার FDR টাও ৬ মাস মেয়াদি হয়ে গেছে। কিন্তু, HSA তে সবাই পোস্ট দিচ্ছে পার্শিয়াল ফান্ড মানেই ভিসা রিজেক্ট। ভয়ে ভয়ে F1 ভিসার জন্য আবেদন করলাম। ভয় হচ্ছিল F1 না দিয়ে যদি আবার F2 ও রিজেক্ট করে দেয়। আমি প্রস্তুত ছিলাম কিছু প্রশ্নের জন্য,
§ Why Second Master’s?
§ Why didn’t you enter USA earlier with F2 VISA?
§ Who is going to sponsor $18000? How?
ভিসা ইন্টারভিউয়ে প্রথম দুই টপিক নিয়ে কিছুই জিজ্ঞেস করলনা, শুধু জানতে চাইল বাকি টাকা কিভাবে পে করব। বাবা স্পন্সর দেখে আমাকে খুব বেশি বেগ পোহাতে হয়নি। ৬৬% স্পন্সর দেখিয়েও ভিসা এপ্রুভ করে দিল। আমার খুশি আর দেখে কে!

Related Post: Click

এরপর SIUE Bangladesh Student Association এর সাথে যোগাযোগ করি। ওনারা অনেক সাহায্য করে – বাসা ঠিক করে দেয়, অন ক্যাম্পাস জব কিভাবে পাওয়া যাবে সেটার প্রসেস বলে দেয়। এর মাঝে আবার, গ্র্যাজুয়েট কো-অর্ডিনেটর জানাই যে আমি ভিসা পেয়েছি, আমি এই মাস্টার্স প্রোগ্রামে জয়েন করছি। আবার ছোট্ট করে জিজ্ঞেস করেছিলাম, তোমাদের কাছে কোন ধরনের এসিস্ট্যান্টশিপ কি বাকি আছে(!!) – আমার খুব দরকার।

২৯ জুলাই চলে এলাম আমেরিকায়। SIUE তে গেলাম, এডমিশান, কোর্স রেজিস্ট্রেশন, ওরিয়েন্টেশন হল। ওরিয়েন্টেশন শেষে ক্যাম্পাস ডাইনিং সার্ভিসে একটা পার্ট-টাইম চাকুরিও যোগাড় করে ফেললাম। যে টাকা দিবে ওতে আমার থাকা-খাওয়া টেনেটুনে হয়ে যাবে। এবার গেলাম ডিপার্টমেন্টে ঢুঁ মারতে। গ্র্যাজুয়েট কো-অর্ডিনেটরকে নিজের পরিচয় দিতেই সে নড়েচড়ে উঠে আমাকে বলল – তোমাকেই তো খুঁজছি আমরা, তোমাকে ইমেইল করেছি, কিন্তু রিপ্লাই করছনা কেন। আমি তো হত-বিহবল – মানে কি? সারাদিন দৌঁড়ের উপর আছি, ইমেইল দেখার সময় কোথায় পেলাম। এবার সে বিস্তারিত বলা শুরু করল – তোমাকে আমরা গ্রাজুয়েট এসিস্ট্যান্টশিপ অফার করছি, তুমি কি এক্সেপ্ট করবে? আমি বললাম কেন করবনা – আমিতো খুশিতে আত্মহারা।
আমি মাস্টার্স করি ইলিনয়ে, আর আমার হাজব্যান্ড পিএইডি করে কেন্টাকিতে – চার ঘন্টা ড্রাইভে আমাদের সংসার। দু’আ করবেন আমাদের জন্য। HSA, NexTop USA এর কাছে আমরা অশেষ কৃতজ্ঞ।

Post Credit:
Tazin Poushi & Parag Jafar Siddique

Higher Study
1 min read

স্কলারশিপ কিভাবে পাওয়া যায়?

February 14, 2023

স্কলারশিপ কিভাবে পাওয়া যায়?

যারা বিদেশে পড়াশোনা করতে ইচ্ছুক, তাদের মনে তৈরি হওয়া অন্যতম একটি প্রশ্ন হলো, স্কলারশিপ কিভাবে পাওয়া যায়? আমরা সবাই বিদেশে স্কলারশিপ নিয়ে পড়ার স্বপ্ন দেখি। কিন্তু, স্কলারশিপ কিভাবে পাওয়া যায়, তা সবাই হয়তো জানি না।

আগে থেকে আবেদন করলে স্কলারশিপ পাওয়া অনেক সহজ হয়ে যায়। তবে, তার জন্য নির্দিষ্ট কিছু যোগ্যতা থাকতে হবে। এই যোগ্যতা আবার বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিভিন্ন রকম। আপনি যদি পিএচডি এর জন্য যান সেক্ষেত্রে এক রকম। আবার আপনি যদি গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট করতে যান সেক্ষেত্রে অন্যরকম।

বিদেশে সাধারণত গ্রাজুয়েশন, পোস্ট গ্রাজুয়েশন এবং পিএচডি অর্জন করার জন্য মানুষ বেশি যায়। তা আপনি যেই জন্যই যান না কেন, আজকে আমি আপনাদের জানাব স্কলারশিপ পাওয়ার আদ্যোপান্ত। তাহলে, দেরি না করে চলুন জানা যাক, স্কলারশিপ কিভাবে পাওয়া যায়।

স্কলারশিপ কখন পাওয়া যাবে?

আপনি উচ্চ মাধ্যমিক বা স্নাতক শেষে বিদেশে স্কলারশিপ নিয়ে পড়তে পারবেন। পার্থক্য হচ্ছে, উচ্চমাধ্যমিক শেষে যখন স্কলারশিপের আবেদন করবেন, তখনকার প্রসেস স্নাতকোত্তর পর্যায়ের স্কলারশিপের প্রসেসের চাইতে একটু সহজ। যেই পর্যায়ের স্কলারশিপই চান না কেন, যা যা দরকারী জিনিস বা রিকোয়্যারমেন্টস আছে সেগুলো আপনাকে পালন করতে হবে।

তবে, কিছু কিছু ক্ষেত্রে ভিন্ন রিকোয়্যারমেন্ট থাকে। যেমন ক্রীড়া ও প্রতিভাভিত্তিক স্কলারশিপ পাওয়ার জন্য আপনাকে একটি লাইভ পারফরম্যান্স বা পোর্টফোলিও বা একটি ক্রীড়াবিষয়ক ডকুমেন্টারি সাবমিট করতে হতে পারে৷ কিন্তু, সাধারণ বা সাবজেক্টভিত্তিক স্কলারশিপের জন্য এরকম কিছু করতে হবে না। স্কলারশিপ কিভাবে পাওয়া যায় এই প্রশ্নের প্রথম উত্তর এটাই।

স্কলারশিপের ওয়েবসাইট

স্কলারশিপ কিভাবে পাওয়া যায় এটার ২য় ধাপ হলো, স্কলারশিপের খোঁজ খবর রাখা। স্কলারশিপের জন্য বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন অফিসিয়াল ওয়েবসাইট আছে। তবে, আপনাদের সুবিধার্থে এখানে দুটি ওয়েবসাইটের লিঙ্ক দিচ্ছি।

এই দুইটি সাইটে ঢুকলে স্কলারশিপের অনেক অফার পাবেন:

• opportunitiescircle.com

• scholarships365.info

উচ্চমাধ্যমিক শেষে স্কলারশিপ কিভাবে পাওয়া যায়

আপনি যদি উচ্চমাধ্যমিক শেষে স্কলারশিপ নিয়ে স্নাতক পর্যায়ে পড়াশোনা করার জন্য বিদেশে যেতে চান, তাহলে উচ্চমাধ্যমিকে থাকতেই নিজেকে ডেভেলপ করার চেষ্টা করবেন। তাহলে, আপনার জন্য স্কলারশিপ পাওয়া সহজ হবে।

চলুন জেনে নেয়া যাক কোন বিষয়গুলোতে আপনাকে দক্ষতা অর্জন করতে হবে:

• ইউরোপ, যুক্তরাষ্ট্র, ও কানাডার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক পর্যায়ে ভর্তির জন্য এসএটি স্কোর চাওয়া হয়। সুতরাং কলেজ জীবন থেকেই এসএটি স্কোরের দিকে মনোযোগ দিন।

• বিভিন্ন প্রতিযোগীতামূলক, স্বেচ্ছাসেবামূলক, সামাজিক কার্যক্রমের সাথে যুক্ত থাকলে সেটা ভর্তির জন্য সহায়ক হবে। তাই, চেষ্টা করবেন বিভিন্ন অলিম্পিয়াড বা ভলান্টিয়ারিং বা সমাজসেবামূলক কাজে অংশগ্রহণ করতে। এসব কাজের সনদ আপনাকে এগিয়ে রাখবে।

• স্কলারশিপের আবেদনে রেকমেন্ডেশন লেটার অতি জরুরি একটি বিষয়। কাজেই এমন একজনকে দিয়ে রেকোমেন্ডেশন লেখাবেন, যিনি আপনাকে ভালমত চিনেন, হতে পারে সেটা আপনার স্কুল-কলেজের শিক্ষক, বা কোন প্রভাবশালী বা আলোচিত ব্যক্তিত্ব। যিনি লিখবেন তাকে আপনার লার্নিং ইন্টারেস্ট এবং সামাজিক দক্ষতা এবং নেতৃত্বদানের প্রকৃতি সম্পর্কে অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে।

• IELTS এবং TOEFL স্কোর আপনার ইংরেজির দক্ষতা প্রমাণ করবে। এই দুটি বিষয়ের উপন ভালভাবে মনোযোগ দিন এবং স্কোর বাড়ান। 

• সবশেষে আবেদনপত্রের সাথে নিজের আগ্রহের কথা লিখবেন – কেন বিদেশে পড়তে চান, আপনার পড়াশোনার মূল লক্ষ্য কি, ভবিষ্যতে কোন বিষয়ে কাজ করতে চান ইত্যাদি।

স্নাতক শেষে কিভাবে স্কলারশিপ পাওয়া যায়

দেশের বাইরে স্কলারশিপ নিয়ে স্নাতকোত্তর বা পিএইচডি করতে হলে, আপনাকে স্নাতক পর্যায় থেকেই এই ব্যাপারে খোঁজখবর রাখতে হবে। এমনি যদি ওয়েবসাইটও ঘুরে দেখেন তাহলেও আইডিয়া পাবেন। স্কলারশিপ কিভাবে পাওয়া যায়, এই প্রশ্নে উত্তর এখানেই পেয়ে যাবেন।

১. স্নাতক পর্যায়ে গবেষণা ও নিবন্ধের দিকে বিশেষ মনোযোগ দিবেন। কারণ, বিদেশে অ্যাডমিশনের জন্য এটা কাজে লাগবে। যে বিষয়ে গবেষণা করেছেন সেটার উপর লেখা জার্নাল বা থিসিস পেপার বিভিন্ন ইন্টারন্যাশনাল জার্নালে প্রকাশের চেষ্টা করবেন। এক্ষেত্রে আপনার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক বা সিনিয়রদের সাহায্য নিতে পারেন, তারা আপনাকে গাইড করবে।

২. আপনি বিদেশে গিয়ে যে বিষয়ে পড়তে ইচ্ছুক, সে বিষয়ে যদি আপনার চাকরির অভিজ্ঞতা থাকে, তাহলে অ্যাডমিশন এবং স্কলারশিপ পাওয়ার ক্ষেত্রে এটা প্লাস পয়েন্ট হবে। যেমন আপনি মিডিয়া স্টাডিজ নিয়ে পড়তে ইচ্ছুক, স্নাতকে পড়ার সময়েই মিডিয়া ফিল্ডে ইন্টার্নশীপ করেছেন বা কাজ করার অভিজ্ঞতা আছে। এই ওয়ার্ক এক্সপেরিয়েন্সটা প্রসেসে উল্লেখ করবেন।

৩. বিদেশে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভাগ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের জন্য স্কলারশিপ ও ফেলোশিপের অর্থ বরাদ্দ রাখা হয়। আপনাকে আগে থেকেই সেসব বিভাগের শিক্ষক বা গবেষণা প্রতিষ্ঠানের অধ্যাপকের সাথে মেইলে যোগাযোগ করে ফান্ডের জন্য আবেদন করতে হবে।

৪. মেইলে আপনাকে উল্লেখ করতে হবে কোন বিষয়ে পড়তে চান, কেন পড়তে চান, কোন শিক্ষক বা অধ্যাপকের অধীনে গবেষণা করতে চান ইত্যাদি।

৫. স্কলারশিপ দাতা প্রতিষ্ঠান আপনাকে দুইভাবে স্কলারশিপের অর্থ দিতে পারে – আপনার বিশ্ববিদ্যালয়ের তহবিলে অথবা সরাসরি চেকের মাধ্যমে। যদি আপনি স্কলারশিপ পান, তাহলে আপনাকে স্পষ্ট করে উল্লেখ করতে হবে যে আপনি কোন মাধ্যমে স্কলারশিপটা রিসিভ করতে চান।

৬. আপনার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক বা যার অধীনে গবেষণা করেছেন স্নাতক পর্যায়ে, তার কাছ থেকে রেকমেন্ডেশন লেটার আনতে হবে। যিনি লেটার লিখবেন তাকে আপনার মেধা ও প্রজ্ঞা সম্পর্কে সুস্পষ্টভাবে লিখতে হবে।

৭. IELTS, TOEFL, GRE, GMAT এই স্কোরগুলো স্নাতকোত্তর বা পিএইচডি পড়াশোনার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আপনি বাইরের দেশে বিজনেস স্টাডিজ নিয়ে পড়তে চাইলে GRE এবং GMAT এর উপর প্রস্তুতি শুরু করবেন স্নাতকে ভর্তি হওয়ার সাথে সাথে।

স্কলারশিপের জন্য রেজাল্ট কতটা গুরুত্বপূর্ণ

স্কলারশিপের আবেদন করার জন্য রেজাল্ট খুব একটা বড় কোন ফ্যাক্টর না। হয়তো আবেদনের সময় একটি নির্দিষ্ট জিপিএ/সিজিপিএ চাইবে, কিন্তু সেটাই কোন ফাইনাল বিষয় না। ভাল ইংরেজি জানা এবং চমৎকার মেইল রাইটিংয়ের উপর স্কলারশিপ অনেকটাই নির্ভর করে। কাজেই এই দুটি জিনিসে দক্ষ হওয়ার চেষ্টা করবেন।

আর যদি রেজাল্টের ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট তথ্য চান, তাহলে বলব দেশে থাকতে পড়াশোনাটা ভালমত চালিয়ে যান। যাতে মোটামুটি ভাল একটা রেজাল্ট করতে পারেন। পাশাপাশি দেখুন আপনার রেজাল্টের সাথে কোন বিদেশি প্রতিষ্ঠানের রিকোয়্যারমেন্ট ম্যাচ করছে।

আপনার প্রকাশিত জার্নাল বা থিসিস পেপার, রেকমেন্ডেশন লেটার, স্টেটমেন্ট অফ পারপাজ, IELTS/TOEFL/GRE/GMAT/SAT স্কোর ঠিকঠাক থাকলেই স্কলারশিপ পাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যাবে। স্কলারশিপ কিভাবে পাওয়া যায়, এ নিয়ে আশা করি আর প্রশ্ন নেই।

Related post: Click here

কিছু গুরুত্বপূর্ণ জিনিস মনে রাখবেন

• স্টেটমেন্ট অফ পারপাজ/রেকমেন্ডেশন লেটার/ইমেইলের বিষয়বস্তু কখনোই অন্যেরটা কপি করে বসিয়ে দিবেন না। সম্পূর্ণ নিজের মেধা, চিন্তাভাবনাকে কাজে লাগিয়ে লিখবেন।

• স্টেটমেন্ট অফ পারপাজ প্রথম অবস্থায় যেটা লিখেছেন সেটা কখনোই ফাইনাল ধরে বসে থাকবেন না। কাজেই এটা লেখার ক্ষেত্রে অনেকবার রিভাইজ দিবেন এবং লিখবেন। এভাবে করতে করতে ফাইনালে আপনার স্টেটমেন্ট অফ পারপাজের কাঠামো ও ভাষা ঠিকঠাক হবে।

• আপনার গবেষণা বা জার্নাল কখনোই নিচু মানের বা অপরিচিত কোন জার্নালে প্রকাশ করবেন না। না হলে আপনার ভর্তি বাতিল হতে পারে। একইভাবে আপনার গবেষণা সম্পূর্ণ আপনারই হতে হবে, কোন কপি-পেস্ট চলবেনা।

• আবেদন ফি জমা দেয়ার ক্ষেত্রে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট এবং ইন্টারন্যাশনাল ক্রেডিট কার্ডের ডিটেইলস যেন ঠিকঠাক থাকে সেদিকে খেয়াল রাখবেন। কারণ ফি কার্ডের মাধ্যমেই জমা দিতে হবে আগে।

• বাইরের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার জন্য ট্রান্সক্রিপ্ট বা নম্বরপত্র যখন ইমেইলে জমা দিবেন সেটা যেন পুরোপুরি অথেনটিক এবং ইংরেজিতে লেখা থাকে। অনেকসময় অনেক বিশ্ববিদ্যালয় থার্ড পার্টির মাধ্যমেও ট্রান্সক্রিপ্টের সত্যতা যাচাই করে।

 • বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে তিন সেমিস্টারে ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনা করে – ফল, স্প্রিং, এবং সামার। সাধারণত ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্টদের জন্য ফল সেমিস্টারই আদর্শ, যা আগস্ট থেকে শুরু হয়। কোন কারণে আপনি যদি ফল সেমিস্টারে ভর্তি হতে ব্যর্থ হোন, তাহলে পরের নিকটবর্তী সেমিস্টারে ভর্তির চেষ্টা করুন।

• কখনো একটি ভার্সিটির আশায় না থেকে বিভিন্ন ভার্সিটিতে অ্যাপ্লাই করুন।

• যে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে চান, সেই প্রতিষ্ঠানের ভর্তি তথ্য সম্পর্কে জানতে তাদের নিজস্ব ওয়েবসাইট, ইউটিউব, বা ফেসবুক থাকলে সেখানে চোখ রাখুন। আবার কিছু বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তির জন্য অনলাইন সেশন পরিচালনা করে। কাজেই কোন প্রতিষ্ঠান কিভাবে ভর্তি করছে সেদিকে পূর্ণ খেয়াল রাখুন।

পরিশেষে

এই ছিল আজকে স্কলারশিপ কিভাবে পাওয়া যায় নিয়ে লেখা। আসলে কাগজপত্র বা যোগ্যতার চাইতে ভাগ্য হচ্ছে বড় ব্যাপার। ভাগ্য সহায় না থাকলে যতই চেষ্টা করুন স্কলারশিপ সহজে পাবেন না।

তাই বলে কি চেষ্টা করা থেকে থেমে থাকবেন? অবশ্যই না। চেষ্টাও সমানভাবে চালিয়ে যাবেন। তো এই ছিল আজকের আয়োজন। আশা করি লেখাটা আপনাদের কাজে লাগবে। স্কলারশিপ কিভাবে পাওয়া যায়, এই নিয়ে আরও কোন প্রশ্ন থাকলে করতে পারেন। ভাল লাগলে লেখাটি শেখাটি শেয়ার করবেন, ধন্যবাদ।

IELTS BOOK

Higher Study
1 min read

জার্মানিতে উচ্চশিক্ষা নিয়ে, আপনার ৩০টি প্রশ্নের উত্তর

December 14, 2022

জার্মানিতে উচ্চশিক্ষা নিয়ে, আপনার ৩০টি প্রশ্নের উত্তর

১. ভাই আমি জার্মানীতে ব্যাচেলর করতে চাই, কিভাবে যেতে পারি?

উত্তরঃ ব্যাচেলরে করতে হলে আপনাকে HSC এর পরে জার্মানী স্বীকৃত বাংলাদেশের যে কোন প্রাইভেট/পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ১ বছর পড়তে হবে, এবং মোট কোর্সের ২৫% শেষ করতে হবে।

২. জার্মানীতে স্বীকৃত বাংলাদেশী বিশ্ববিদ্যালয় কোন গুলো সেটা কিভাবে বুঝবো? উত্তরঃ anabin university list bangladesh লিখে গুগল করেন। যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে H+ থাকবে, সেগুলো জার্মান স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয়। এই লিস্টের ১ টায় পড়লেই হবে।

৩. ভাই, ১ বছর কমপ্লিট করার জন্য নর্থসাউথে পড়বো নাকি ন্যাশনাল ইউনিতে পড়বো?

উত্তরঃ যে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়লে আপনি সিজিপিএ বেশী তুলতে পারবেন, টাকা কম লাগবে সেটায় পড়বেন। তবে সেইফ জোনে থাকতে ভাল বিশ্ববিদ্যালয়েই পড়া উচিত। কারন জীবনের সবকিছুই অনিশ্চিত। দেখা গেলো, কোন কারনে আপনার ব্যাচেলরে/মাস্টার্সে আসা হলো না, তখন দেশের চাকরির বাজারে আপনার যেন সাফারার না হতে হয়, সেদিক চিন্তা করে হলেও কোয়ালিটি আছে এমন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া উচিত।

৪. ভাই, IELTS পয়েন্টে কত লাগবে?

উত্তরঃ IELTS 6 লাগবে। কিছুক্ষেত্রে MOI/5.5 দিয়েও অফারলেটার পাওয়া যায়। তবে সাম্প্রতি এম্বাসি রিকয়ারমেন্ট 6 করেছে। ভিসা পেতে আপনার IELTS 6 থাকাটা বাধ্যতামূলক।

৫. ভাই, Medium of Instruction (MOI) সার্টিফিকেট কি?উত্তরঃ Medium of Instruction (MOI) মিডিয়ায় ইন্সট্রাকশন সার্টিফিকেট হচ্ছে আপনার বাচেলর/বিএসসি/বিবিএ পড়াশোনার মাধ্যম যে ইংরেজীতে ছিলো সেটার প্রত্যয়ন/প্রমানপত্র /সার্টিফিকেট। আমাদের দেশে শুধুমাত্র ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সকল প্রফেশনাল কোর্স+ সব পাবলিক+প্রাইভেট ভার্সিটির ব্যাচেলর ইংরেজীতে। সুতরাং আপনি যদি এর অর্ন্তভুক্ত হন আপনিও তুলতে পারবেন।

৬. MOI কি করে এটা দিয়ে? খায় নাকি মাথায় নেয়?

উত্তরঃ আপনি IELTS এর অল্টারনেটিভ হিসেবে ব্যাবহার করে বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করতে পারেন। কিছু কিছু বিশ্ববিদ্যালয় IELTS এর পরিবর্তে MOI সার্টিফিকেট একসেপ্ট করে। সাধারনত MOI সার্টিফিকেট কে IELTS 6.5 এর সমমান ধরা হয়ে। তবে সেটা নির্দিষ্ট কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে। বিশ্ববিদ্যালয় MOI একসেপ্ট করবে কি না সেটা তাদের ওয়েব সাইটে উল্লেখ করে থাকে। অনেক যায়গা উল্লেখ না থাকলে ঐ সাবজেক্টের কোর্স কোয়াডিনেটরকে মেইল করলেই সে আপনাকে জানাবে যে তারা IELTS এর পরিবর্তে MOI গ্রহন করে কি না।

৭. ভাই, MOI কিভাবে তুলবো?

উত্তরঃ ভার্সিটির সার্টিফিকেট সেকশনে গিয়ে বলবেন MOI তুলতে চাই, তারা একটা ফর্ম দিবে। সেটা পূরন করে, একাউন্টসে ৩০০-৫০০/- টাকা জমা দিয়ে, সার্টিফিকেট সেকশনে ফর্ম জমা দিলেই সপ্তাহ খানেক পরে সার্টিফিকেট হাতে পেয়ে যাবেন।

৮. ভাই, MOI দিয়ে কি জার্মানীতে আবেদন করা যায়?উত্তরঃ হ্যা। জার্মানীতে কিছুকিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে কিছুকিছু সাবজেক্টে MOI দিয়ে আবেদন করা যায়। এবং এডমিশন পাওয়া যায়। তবে জার্মান এম্বাসী ফেস করতে IELTS 6.0 থাকাটা বাধ্যতামূলক। IELTS না থাকলে আপনাকে কোনদিনও ভিসা দিবে না।

৯. পারটাইম জব পাওয়া যায়?

উত্তরঃ জ্বি ভাই, পাওয়া যায়। তবে ছোট শহরের তুলনায় বড় শহরে সুযোগ বেশী। আসল কথা হইলো, জার্মানীতে পড়তে আসা সবাই ই পারটাইম জব করে নিজের খরচ নিজে চালায়।

১০. ভাই, জার্মানীতে পারটাইম জব পেতে জার্মান লাঙ্গুইজ লাগে?

উত্তরঃ ছোট শহরে লাগে। বড় শহরে ল্যাঙ্গুয়েজ না জানলেও জব পাওয়া যায়।

১১. ভাই, ডিপ্লোমা করে জার্মানীতে B.Sc করতে যেতে চাই। পারবো?

উত্তরঃ ডিপ্লোমা করা হয় যেহেতু সাবজেক্ট ভিত্তিক, সুতরাং ব্যাচেলরে আপনার সাবজেক্ট এর সাথে মিল আছে এমন ইংরেজি মাধ্যমে সাবজেক্ট খুজে পাওয়া কঠিন। যা পাওয়া যায়, তা আবার Uniassist এর মাধ্যমে আবেদন করতে হয়, Uni-Assist ডিপ্লমা একসেপ্ট করে না। তবে কয়েকটা ভার্সিটির কয়েকটা সাবজেক্ট আছে যারা সরাসরি আবেদন নেয় এবং Diploma একসেপ্ট করে, তবে ব্যপারটা অনেক কঠিন। সে ক্ষেত্রে মাস্টার্সে যাওয়াই ভাল।

১২. ভাই মাস্টার্সে আবেদন করতে কি কি ডকুমেন্ট লাগব?

উত্তরঃ- ১. HSC Certificate/Diploma Certificate

২. HSC Transcript/ Diploma Transcript(১থেকে ৮ টা সব)

৩. B.Sc Certificate

৪. B.Sc Transcript

৫. IELTS 6.0 Certificate

৬. Passport

৭. Recommendation Letter From Professor (২ টা ২ জন থেকে)

৮. Recommendation Letter From Office Head (১টা)

৯. Works Experience Certificate(If any)

১০. Europass CV

১১. Letter of Motivation

১২. Medium of Instructions (MOI)

১৩. Trade Course Certificate (Auto Cad, MS office if any)

এই সব ডকুমেন্ট নোটারি করতে হবে।

১৩. নোটারী আবার কি?

উত্তরঃ বাংলা কথা, উকিল দিয়ে সত্যায়িত করাই নোটারি।

১৪. কি কি কাগজ নোটারী করবো?উত্তরঃ- উল্লেখিত ১১ নম্বর প্রশ্নের উত্তরে উল্লেখিত, ১,২,৩,৪,৫,৬,১২,১৩ নং পেপারস গুলো অবশ্যই অফসেটে পেইজে সাদাকালো প্রিন্ট করে নোটারী করতে হবে। নোটারী প্রতি পেইজ ৮-১০ টাকা করে লাগে।ফার্মগেট, মোহাম্মাদপুর টাউনহল মার্কেট, সহ ঢাকা শহরে অনেক জায়গায় নোটারী করা যায়। দামাদামি করে রেট ঠিক করবেন।আমি মোহাম্মাদপুর টাউনহল মার্কেটে করিয়েছি। ৮ টাকা করে প্রতি কপি রেখেছে।

১৫. ভাই, Bsc/ব্যাচেলর করেছি, নিচের সারির বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আমি কি জার্মানীতে চান্স পাবো?

উত্তর: জ্বি পাবেন। শুধুমাত্র আপনার ভার্সিটি জার্মান স্বীকৃত হলেই হবে।

১৬. ভাই, আমি ডিপ্লামা করে Bsc করেছি+আমার সেমিষ্টার ১০ টা+ আমি নাইট শিফটে পড়েছি, আমি কি জার্মানীতে আবেদন করতে পারবো?

উত্তরঃ জ্বি ভাই পারবেন। কোন সমস্যা নাই।

১৭. ভাই, সিজিপিএ কত লাগে?

উত্তরঃ ব্যাচেলরের সিজিপিএ ৩.৫ থাকলে সবচেয়ে ভাল। ৩.০ থাকলেও হবে। তবে ২.৬৮ পেয়েও জার্মানীতে আসার নজির আছে। সুতরাং কোন কিছুই অসম্ভব না।

১৮. ভাই জার্মানীতে যেতে কত টাকা লাগে?

উত্তরঃ মোটামুটি ১৩ লাখ টাকা লাগে।১৯. কিভাবে ১৩ লাখ টাকা লাগে?উত্তরঃ ব্লক একাউন্ট ১০.৫ লাখ, প্লেন ভাড়া ৫০ হাজারঅনান্য খরচ ২ লাখ+-

২০. ভাই, ব্লক একাউন্ট কি?

উত্তর: জার্মানীতে আপনার নিজের নামে ১০৫৩২ ইউরো ১ বছরের জন্য জমা করতে হয়। জার্মানীতে যাওয়ার পরে আপনি পুরো টাকাটা ১২ কিস্তিতে ফেরত পাবেন। অনান্য দেশের দেশে যেমন ব্যাংক স্টেটমেন্ট দেখাতে হয়, জার্মানীতে ব্যাংক স্টেটমেন্টের পরিবর্তে ব্লক একাউন্ট করতে হয়। ব্লক একাউন্ট সোনালী, সিটি, ইস্টার্ন, ঐছাড়া অনান্য ব্যাংকে করতে পারবেন।ব্লক একাউন্ট কি, কেন? কিভাবে করবেন,এর বিস্তারিত ইউটুব থেকে দেখে নিবেন।

২১. ভাই, নিজেনিজে আবেদন করবো কিভাবে?

উত্তরঃ প্রথমে, গ্রুপের ফাইল সেকশনের সবগুলো ফাইল পড়ে নিন, অনেকই হেল্প চেয়ে পোস্ট করেন, তাদের কমেন্টে পড়ুন, সব প্রশ্নের সমাধান এবং গাইডলাইন দুইটাই পাবেন। তারপরও যদি কিছু না বোঝেন, গ্রুপে হেল্প পোস্ট দিন।

২২. ভাই, জার্মানীতে বিশ্ববিদ্যালয়ে কখন আবেদন করতে হয়?

উত্তরঃ- আপনি বছরে ২ টা সেশনে আবেদন করতে পারবেন। বিশ্ববিদ্যালয় ভেদে ডেডলাইন আলাদা হতে পারে তবে,১. উইন্টার( জানুয়ারি ১৫-জুলাই ১৫)২. সামার ( ১লা অক্টবার-ডিসেম্বর ১৫)২৩. ভাই, কখন আবেদন করলে ভাল হবে?উত্তরঃ উইন্টারে সবচেয়ে বেশী কোর্স অফার করে জার্মানীতে। তাই উইন্টারে আবেদন করাটাই বুদ্ধিমানের কাজ। সাধারনত প্রতিটা ভার্সিটির আবেদনের ডেডলাইন এক এক রকমের থাকে, তাই প্রতিটা কোর্সের ওয়েব সাইটে নিজে নিজে খুজে বের করে রাখুন। আপনার কোন সময়ে আবেদন করতে হবে।কোর্স সার্চ করতে, Daad de international Program লিখে গুগল করুন। এরপর সার্চ করে আপনার কোর্স সিলেক্ট করুন।

২৪. ভাই জার্মানীতে টিউশন ফি আছে?

উত্তরঃ না ভাই, নাই। তবে ১ টা স্টেট, বার্ডেন বুডেনবার্গে আছে, সেটা প্রতি সেমিষ্টারে ১৫০০ ইউরোর মতো।এছাড়া সারা জার্মানীতে অনান্য সকল স্টেটে, সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা ফ্রি। তবে প্রতিটা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতি সেমিষ্টারে সেমিষ্টার কনট্রিবউশন ১০০-৩০০ ইউরো লাগে। এতে করে ঐ স্টেটের সকল পাবলিক পরিবহণে টিকেট ফ্রি।

২৫. জার্মানীতে স্কলারশিপ আছে?

উত্তরঃ হ্যা আছে। DAAD স্কলারশিপ।

২৬. DAAD স্কলারশিপ আবেদন করতে কি যোগ্যতা লাগে?

উত্তরঃ ব্যাচেলর শেষে, কমপক্ষে ০২ বছর চাকরির অভিজ্ঞতা লাগে। এবং IELTS 6.0 লাগে।

২৭.DAAD স্কলারশিপ পেলে কি কি সুবিধা?

উত্তরঃ ব্লক একাউন্ট লাগব না। মাসে ৮৫০ ইউরো পাবেন। এবং এম্বাসিতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দ্রুত এপায়নমেন্ট পাবেন। DAAD স্কলারশিপ মানে হট কেক। পেলে লাইফ ফুরফুরে হয়ে যাবে। তাই চেষ্টা করতে ক্ষতি কি!

২৮. ভাই জার্মানীতে পড়াশোনা শেষ করে ভবিষ্যতে দেশে পাঠিয়ে দেয়?

উত্তর: না। আপনি চাকরি খুজতে দেড় বছরের জব সার্সিং ভিসা পাবেন।

২৯. ভাই, জার্মানীতে নাগরিকত্ব পাওয়া যায়?

উত্তরঃ জ্বি ভাই। জার্মানীতে নাগরিকত্ব পাওয়া যায়। সাধারনত নাগরিকত্ব পেতে ক্যাটাগরি ভেদে, ২ থেকে ৮ বছর লাগে।

৩০. ভাই, আপনাকে ইনবক্স করবো?উত্তরঃ হ্যা করতে পারেন। তবে আপনার কিছু জানার থাকলে অবশ্যই বাংলায় টাইপ করে, পয়েন্ট আকারে একবারে সব প্রশ্ন লিখুন। এছাড়া রিপ্লে পাবেন না। কারন মুরাদ টাকলা মার্কা বাংলিস আমি পড়তে পারি না।

সবশেষে একটা কথাই বলবো, জার্মানীতে উচ্চশিক্ষা কঠিন কিছুই না। ধৈর্য্য ধরতে হবে। মনোবল বাড়াতে হবে এবং লক্ষ্য ঠিক রেখে পরিশ্রম করতে থাকুন। কোন অবস্থাতেই হতাশ হওয়া যাবে না। ইনশাল্লাহ আপনি অবশ্যই পারবেন। আপনার জন্যই জার্মানী। ইনশাল্লাহ দ্রুতই আপনার সাথে আমার জার্মানীতে দেখা হচ্ছে।

লেখক,
Mollah Mohammad Tamal,
M.Sc in Tropical Hydrogeoloy & Environmental Engineering.
Technical University of Dramstadt
Dramstadt, Germany.

Scholarship
1 min read

ডালহৌসি বিশ্ববিদ্যালয় বৃত্তি 2023 | কানাডায় পড়াশোনা

December 14, 2022

ডালহৌসি বিশ্ববিদ্যালয় বৃত্তি 2023 | কানাডায় পড়াশোনা

ডালহৌসি ইউনিভার্সিটি স্কলারশিপ 2023 – ডালহৌসি ইউনিভার্সিটি, কানাডার শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয়গুলির মধ্যে একটি, 2023-2024 এর জন্য সম্পূর্ণ অর্থায়িত বৃত্তি প্রদান করছে। তারা স্নাতকোত্তর এবং পিএইচডির জন্য বৃত্তি প্রদান করে। প্রোগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়টি নোভা স্কোটিয়ার হ্যালিফ্যাক্সে  অবস্থিত , যা বিশ্বের সবচেয়ে বন্ধুত্বপূর্ণ শহরগুলির মধ্যে একটি হিসাবে বিবেচিত হয়।

বিশ্বের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চ শিক্ষার জন্য আগ্রহী শিক্ষার্থীরা ডালহৌসি বিশ্ববিদ্যালয় বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারে। তারা যোগ্যতা  এবং একাডেমিক কৃতিত্বের ভিত্তিতে বৃত্তি অনুমোদন করে  ; যাইহোক, কিছু অভাবী এবং যোগ্য ছাত্রদের সাহায্য করার উপর ভিত্তি করে যারা পড়াশোনা করতে চায়।

এই বৃত্তিগুলি স্নাতক, স্নাতক এবং পেশাদার কোর্সের শিক্ষার্থীদের দেওয়া হয় । আপনি এখন বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারেন কারণ এটি সমস্ত মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য সেরা সুযোগ। ডালহৌসি ইউনিভার্সিটি স্কলারশিপ সংক্রান্ত আরও বিস্তারিত জানার জন্য, নীচের বিশদ বিবরণ দেখুন এবং আবেদন করুন।

ডালহৌসি বিশ্ববিদ্যালয় বৃত্তি 2023 বিশদ।

• দেশ:  কানাডা

• প্রকার:  সম্পূর্ণ অর্থায়িত

• বিভাগ:  কানাডায় বৃত্তি

• ক্ষেত্র:  বিভিন্ন

• শেষ তারিখ:  31শে ডিসেম্বর 2022।

ইংরেজি পরীক্ষার প্রয়োজনীয়তা

ডালহৌসি ইউনিভার্সিটি  একটি ইংরেজি মাধ্যম,  যার কারণে শিক্ষার্থীদের ইংরেজি দক্ষতার জন্য যোগ্যতার মানদণ্ড পূরণ করতে হবে। কিন্তু যেসব শিক্ষার্থী ইংরেজি মাধ্যম প্রতিষ্ঠানে তিন বছরের মাধ্যমিক শিক্ষা এবং এক বছরের মাধ্যমিক-পরবর্তী শিক্ষা শেষ করেছে তারা ইংরেজিতে তাদের সাবলীলতা প্রমাণ করতে ঐচ্ছিক। যাইহোক, আপনার IELTS এর কিছু বিকল্পের প্রয়োজন হবে, যেমন;

• পিটিই

• ডুওলিঙ্গো

• মিশিগান ইংরেজি পরীক্ষা

• TOEFL

• CAEL

আর্থিক কভারেজ।

কানাডার কিছু স্কলারশিপ নির্দিষ্ট সুবিধার সাথে আসার সময় সম্পূর্ণ অর্থায়ন করা হয়। আপনাকে অবশ্যই কানাডার ডালহৌসি ইউনিভার্সিটি প্রদত্ত বিভিন্ন স্কলারশিপ স্কিমের শর্তাবলী পড়তে হবে। তারা যেমন আর্থিক খরচ কভার;

• টিউশন ফি (সম্পূর্ণ/আংশিক)

• মাসিক উপবৃত্তি

• মাসিক জীবিকা ভাতা

• গবেষণা ভাতা

• ভ্রমণ ভাতা

• স্বাস্থ্য বীমা

ডালহৌসি বিশ্ববিদ্যালয়ের আবেদন ফি।

বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই শিক্ষার্থীর উদ্বেগ থাকে আবেদন ফি বা প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনীয় অন্য কোনো রেজিস্ট্রেশন ফি নিয়ে। ডালহৌসি বিশ্ববিদ্যালয়ের আবেদন ফি  $70 থেকে 115 কানাডিয়ান ডলারের মধ্যে ।

স্নাতক প্রোগ্রামগুলির জন্য, ডালহৌসি বিশ্ববিদ্যালয় $115 চার্জ করে, যা ফেরতযোগ্য নয়, যেখানে স্নাতক প্রোগ্রামগুলির জন্য, তারা $70 চার্জ করে, যা ফেরতযোগ্য নয়।

ডালহৌসি বিশ্ববিদ্যালয় কানাডার বৃত্তির তালিকা

আমি ডালহৌসি বিশ্ববিদ্যালয়ে বৃত্তি প্রদানকারী কিছু প্রোগ্রামের তালিকা করছি।

#1 আরমার্ক নেতৃত্ব পুরস্কার।

এই বৃত্তি প্রকল্পটি স্নাতক ছাত্রদের জন্য একটি নেতৃত্বের প্রোগ্রাম। স্থাপত্য এবং পরিকল্পনা, কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান, ব্যবস্থাপনা, বিজ্ঞান, ডেন্টাল হাইজিন, কম্পিউটার বিজ্ঞান, স্বাস্থ্য পেশা, দক্ষতা এবং সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের অধীনে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা এই বৃত্তি প্রোগ্রামের জন্য যোগ্য।

ডালহৌসি ইউনিভার্সিটিতে আরামার্কের স্কলারশিপ স্কিম অনুমান করা হয়েছে $4,000। অতিরিক্ত সহপাঠ্যক্রমিক ক্রিয়াকলাপ এবং খেলাধুলায় আগ্রহী শিক্ষার্থীদের বিশেষ অগ্রাধিকার দেওয়া হয়।

#2 রিচার্ড এবং মেলডা মারে জ্যামাইকান ইঞ্জিনিয়ারিং বৃত্তি।

জ্যামাইকান বাসিন্দাদের আকৃষ্ট করার জন্য এটি ডালহৌসি বিশ্ববিদ্যালয়ের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ এবং স্বনামধন্য স্কলারশিপ স্কিমগুলির মধ্যে একটি। এর মূল্য চার বছরের জন্য $88,000 এর বেশি এবং বার্ষিক প্রায় $22,000। এই স্কিমটি সেই ছাত্রদের জন্য যারা ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পড়াশোনা করতে চান৷ এর ভিত্তি হল আর্থিক চাহিদা এবং যোগ্যতা।

#3। ডালহৌসি বিশ্ববিদ্যালয় প্রবেশিকা পুরস্কার।

এই বৃত্তিগুলি দুর্দান্ত একাডেমিক পারফরম্যান্স এবং খেলাধুলা, অতিরিক্ত সহ-পাঠ্যক্রমিক ক্রিয়াকলাপ এবং নেতৃত্বের সাথে জড়িত শিক্ষার্থীদের দেওয়া হয়।

এই বৃত্তিগুলি স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রবেশ পুরষ্কারের ব্যানারে তৈরি হয়।

বৃত্তির মেয়াদ

বিভিন্ন বৃত্তির সময়কাল প্রতিটি প্রোগ্রামের জন্য পরিবর্তিত হয়। কিছু বৃত্তি এক বছরের জন্য, এবং কিছু 2, 3, বা 4 বছরের জন্য পুনর্নবীকরণযোগ্য।

প্রবেশিকা পুরষ্কারগুলিতে সর্বনিম্ন পরিমাণ বৃত্তি রয়েছে, প্রায় $500 থেকে $48,000।

ডালহৌসি বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রহণযোগ্যতার হার।

QS ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র‍্যাঙ্কিং 2022-এ এটি 291তম অবস্থানে থাকাকালীন কানাডায় 12 তম স্থানে রয়েছে।

এর গ্রহণযোগ্যতার হার প্রায়  60-70%।

প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

• ডিগ্রী বা ডিপ্লোমা

• সিভি/রিজুমে

• সরকারী প্রতিলিখন

• ইংরেজি ভাষার দক্ষতা পরীক্ষার ফলাফল

• নার্সিং আবেদনকারীদের জন্য CASPER পরীক্ষার ফলাফল।

• রেফারেন্স চিঠি

• শিল্পকর্মের পোর্টফোলিও

• উদ্দেশ্য বিবৃতি

• গবেষণা অভিপ্রায় বিবৃতি

কিভাবে আবেদন করতে হবে.

ডালহৌসি বিশ্ববিদ্যালয়ের আবেদন প্রক্রিয়া অনলাইন।

আপনাকে অবশ্যই প্রয়োজনীয় নথির সাথে আবেদন জমা দিতে হবে এবং আপনার আগ্রহের ক্ষেত্র বেছে নিতে হবে, প্রাসঙ্গিক প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে।

দ্রষ্টব্য: সময়সীমা 31শে ডিসেম্বর 2022।

অফিসিয়াল লিঙ্ক
https://www.dal.ca/academics/programs/graduate/internetworking/admissions/how-to-apply.html

কানাডায় উচ্চশিক্ষা অর্জনের আদ্যোপান্ত
Higher Study
1 min read

কানাডায় উচ্চশিক্ষা অর্জনের আদ্যোপান্ত

কানাডায় উচ্চশিক্ষা অর্জনের আদ্যোপান্ত
February 14, 2023

কানাডায় উচ্চশিক্ষা অর্জনের আদ্যোপান্ত

উচ্চশিক্ষা অর্জনে শিক্ষার্থীদের অধিক আগ্রহের দেশটির নাম হচ্ছে কানাডা। উত্তর আমেরিকার এই দেশটি বৃহৎ আয়তনের দিক দিয়ে সারাবিশ্বে রাশিয়ার hrপরেই অবস্থান। শিক্ষার মান, স্কলারশিপ প্রাপ্তি, বাৎসরিক টিউশন ফি, আবাসন সুবিধা, শিক্ষার্থীদের আয়ের পথ এবং শিক্ষাজীবন শেষে স্থায়ীভাবে বসবাসের সুযোগসহ অন্য বিষয়গুলো বিবেচনায় কানাডা হচ্ছে শিক্ষার্থীদের জন্য অপার সম্ভাবনাময় দেশ। বর্তমানে দেশটির বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশি শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করছেন।

যারা বাইরের দেশে উচ্চশিক্ষার বিষয়ে ভাবছেন কিংবা কিভাবে শুরু করবেন আইডিয়া পাচ্ছেন না, তাদের জন্য আজ রয়েছে যাবতীয় তথ্য-উপাত্ত। 

কেন পড়বেন কানাডায়

কানাডা হচ্ছে বিশ্বের সপ্তম শান্তিপূর্ণ দেশ। এদেশের নাগরিক সুযোগ-সুবিধার অন্ত নেই বললেই চলে। তাই এখানের জীবন ব্যবস্থা অন্যান্য দেশের নাগরিকদের কাছে বেশ ঈর্ষণীয়। 

শিক্ষার মানের ব্যাপারে বলতে গেলে, QS Ranking কিংবা The Times Higher Ranking সব জায়গাতেই রয়েছে কানাডিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শ্রেষ্ঠত্বের ছড়াছড়ি। গবেষণা ভিত্তিক পড়ালেখার মান অত্যন্ত উচ্চমানের হওয়ায় এদেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সার্টিফিকেট বিশ্বের যেকোনো দেশেই বেশ চাহিদা সম্পন্ন।

পড়ালেখা চলাকালীন পার্টটাইম চাকরি করার সুযোগ রয়েছে। তাছাড়া কো-অপারেটিভ পদ্ধতির মাধ্যমে সরাসরি যেকোনো কানাডিয়ান কোম্পানিতে ইন্টার্নশিপ, এমনকি ফুলটাইম চাকরিও পাওয়া যায়। এসব থেকে আয় করা অর্থ দিয়ে সহজেই শিক্ষার্থীরা সেমিস্টার ফি পরিশোধ করতে পারেন।

তাছাড়া মাল্টি-কালচার, সহজ ইমিগ্রেশন এবং শিক্ষা-পরবর্তী কাজের সহজ পলিসি থাকায় শিক্ষাজীবন শেষে চাকরিতে ঢোকার ৫ বছরের মধ্যেই রয়েছে স্থায়ী নাগরিক হওয়ার সুযোগ।

কোন কোন ডিগ্রি নিয়ে পড়া যায় 

এদেশে শিক্ষার্থীরা তিন ধরনের ডিগ্রিতে পড়ালেখা করতে পারেন। সেগুলো হচ্ছে– 

১. ফাউন্ডেশন বা কালচারাল কোর্স

২. আন্ডার-গ্র্যাড বা ব্যাচেলর ডিগ্রি

৩. পোস্ট-গ্র্যাড বা মাস্টার্স এবং পিএইচডি ডিগ্রি

Related Post: Click Here

কী ধরনের প্রোফাইল প্রয়োজন

কানাডাতে পড়তে সাধারণত তেমন ধরাবাঁধা নিয়ম নেই। সাধারণ কিছু যোগ্যতা থাকলেই সেখানে সুযোগ পাওয়া যায়। তারপরেও নির্দিষ্ট করে বলতে গেলে-

পিএইচডি ডিগ্রির জন্য

১. দুই বছরের কাজের অভিজ্ঞতা, ২. মাস্টার্স ডিগ্রি সনদ (থিসিসসহ), ৩. ব্যাচেলর ডিগ্রি সনদ (থিসিসসহ), ৪. গবেষণা পত্র (যদি থাকে), ৫. উচ্চ মাধ্যমিক সনদ, ৬. মাধ্যমিক সনদ, ৭. আইইএলটিএস স্কোর ন্যূনতম (৬.৫), ৮. GRE স্কোর (সব বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রযোজ্য নয়), ৯. বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রিকমেন্ডেশন লেটার, ১০. কর্মস্থল থেকে রিকমেন্ডেশন লেটার, ১১. স্টেটমেন্ট অব পারপাস (যেখানে এক্সট্রা কারিকুলার কাজগুলো উল্লেখ থাকতে হবে), ১২. সিভি

মাস্টার্স ডিগ্রির জন্য

১. কাজের অভিজ্ঞতা সনদ (যদি থাকে), ২. ব্যাচেলর্স ডিগ্রি সনদ (থিসিসসহ), ৩. গবেষণা পত্র (যদি থাকে), ৪. উচ্চ মাধ্যমিক সনদ, ৫. মাধ্যমিক সনদ, ৬. আইএলটিএস স্কোর কমপক্ষে (৬.৫), ৭. রিকমেন্ডেশন লেটার, ৮. স্টেটমেন্ট অব পারপাস, ৯. সিভি

ব্যাচেলর প্রোগ্রামের জন্য

১. উচ্চ মাধ্যমিক সনদ, ২. মাধ্যমিক সনদ, ৩. আইএলটিএস স্কোর ন্যুনতম (৫ .৫), ৪. কলেজের দু’জন শিক্ষকের কাছ থেকে দুটি রিকমেন্ডেশন লেটার, ৫. স্টেটমেন্ট অব পারপাস (কেনো পড়তে যাচ্ছেন, কেনো বিশ্ববিদ্যালয়টি পছন্দ হয়েছে উল্লেখ করতে হবে), ৬. সিভি

ফাউন্ডেশন কোর্সের জন্য

১. উচ্চ মাধ্যমিক সনদ, ২. মাধ্যমিক সনদ, ৩. আইএলটিএস স্কোর ন্যূনতম ৫, ৪. কলেজের দু’জন শিক্ষকের কাছ থেকে দুটি রিকমেন্ডেশন লেটার, ৫. স্টেটমেন্ট অব পারপাস (কেনো পড়তে যাচ্ছেন এবং কেনো এ ই কোর্স পছন্দ করেছেন সেটা উল্লেখ করতে হবে), ৬. সিভি  

আবেদনের সময়

অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয় সাধারণত বছরের ফল সেমিস্টারে ছাত্র-ছাত্রীদের ভর্তি করিয়ে থাকে। তবে আন্ডার-গ্র্যাড কোর্সে আবেদনের সময়সীমা ফেব্রুয়ারি/মার্চ থেকে জুনের মধ্যভাগ পর্যন্ত হয়ে থাকে। আর পোস্ট গ্র্যাড কোর্সগুলোতে আবেদনের সময়সীমা ডিসেম্বর/জানুয়ারি থেকে মার্চ অবধি হয়ে থাকে।

যে পরিমাণ খরচ হতে পারে

বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আলাদা আলাদা নিয়মে তাদের টিউশন ফি ধার্য করে থাকে। দেশটির উত্তরাঞ্চলের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে টিউশন ফি কিছুটা কম। সাধারণ হিসেব কষতে গেলে এদেশে ব্যাচেলর্স কোর্সে প্রায় ১৪-১৬ হাজার ডলার; মাস্টার্স এবং পিএইচডি কোর্সের জন্য প্রায় ১০-১২ হাজার কানাডিয়ান ডলার খরচ হয়।

স্কলারশিপ পাওয়ার সুযোগ 

কানাডা প্রতি বছর শিক্ষার্থীদের বেশ উল্লেখযোগ্য পরিমাণে স্কলারশিপ দিয়ে থাকে। তাছাড়া একাডেমিক রেজাল্টের উপরও শিক্ষার্থীরা বৃত্তি পেয়ে থাকেন। ছাত্র-ছাত্রীরা সহজেই এসব স্কলারশিপের মাধ্যমে টিউশন ফি ছাড়াই ডিগ্রি সম্পন্ন করতে পারেন। কিছু জনপ্রিয় স্কলারশিপের নাম হচ্ছে –

১. ভেনিয়ার কানাডা গ্র্যাজুয়েট স্কলারশিপ, ২. আইডিআরসি ডক্টরাল রিসার্চ অ্যাওয়ার্ড, ৩. ইন্ডাস্ট্রিয়াল পোস্ট গ্র্যাজুয়েট স্কলারশিপ, ৪. রিসার্চ অ্যাসোসিয়েট স্কলারশিপ, ৫. স্টেট স্কলারশিপ, ৬. প্রেসিডেন্সিয়াল স্কলারশিপ, ৭. ইউনিভার্সিটি স্কলারশিপ

শিক্ষার্থীদের মাসিক খরচ

কানাডায় ১০টি প্রদেশ রয়েছে। দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশগুলোতে সাধারণত উত্তরের প্রদেশগুলোর তুলনায় মাসিক খরচ কিছুটা বেশি। অতিরিক্ত ঠান্ডার কারণে দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশগুলোতে লোক সমাগমও উত্তরের থেকে কিছুটা বেশি। এজন্য সেসব প্রদেশের প্রাদেশিক রাজধানীসহ অন্যান্য দক্ষিণ তীরবর্তী শহরগুলোও বেশ বড় এবং ব্যবসার প্রাণকেন্দ্র। জীবনযাপনের মান যেখানে ভালো, সেখানের খরচটাও একটু বেশি। গড় হিসাব করলে একজন শিক্ষার্থীর মাসিক খরচ মোটামুটি ১০০০-১২০০ ডলারের কাছাকাছি, যা শিক্ষার্থীরা পার্ট-টাইম কাজের মাধ্যমে সহজেই উপার্জন করতে পারেন।

কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকা

Alberta University of the Arts, Athabasca University, McEwan University, Mount Royal University, University of Alberta, University of Calgary , University of Lethbridge, British Columbia,  Capilano University ,  University of British Columbia, University of Victoria, University of the Fraser Valley, University of Northern British Columbia, Vancouver Island University , Brandon University, University College of the North, University of Manitoba, University of Winnipeg, Mount Allison University, St. Thomas University, University of New Brunswick, Université de Moncton, Algoma University, Brock University, Carleton University, Lakehead University, Laurentian University, McMaster University, Queen’s University at Kingston, Royal Military College of Canada, Ryerson University, Université de l’Ontario français, University of Guelph,  Ontario Tech University, University of Ottawa, University of Toronto.

Follow Me: Facebook

IELTS BOOK

Scholarship
1 min read

Germany IU University Scholarships 2023 |

December 14, 2022

Germany IU University Scholarships 2023 |

জার্মানি আইইউ ইউনিভার্সিটি স্কলারশিপ 2023

• দেশ:  জার্মানি

• শহর:  এরফুর্ট

• বিশ্ববিদ্যালয়:  আইইউ ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অফ অ্যাপ্লাইড সায়েন্সেস

• স্তর:  স্নাতক, মাস্টার্স

• প্রকার:  সম্পূর্ণ অর্থায়িত

• বিভাগ:  বৃত্তি

• সময়সীমা:  চলমান

IU আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয় দ্বারা দেওয়া বিষয়

IU ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অফ অ্যাপ্লাইড সায়েন্সেস দ্বারা স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর ডিগ্রি স্তরের জন্য নিম্নলিখিত বিষয়গুলি দেওয়া হল;

ব্যাচেলর ডিগ্রি কোর্স:

• এআই

• ব্যবসা প্রশাসন

• যন্ত্রমানব নির্মাণ বিদ্যা

• আন্তর্জাতিক ব্যবস্থাপনা

• ব্যবসা প্রশাসন

• বিট

• কম্পিউটার বিজ্ঞান

• ডেটা সায়েন্স

• শিল্পোদ্যোগ

• আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্যসেবা প্রশাসন

• সাইবার নিরাপত্তা

• ডিজিটাল ব্যবসা

• শিল্প প্রকৌশল এবং ব্যবস্থাপনা

মাস্টার ডিগ্রি কোর্স:

• বিগ ডেটা ম্যানেজমেন্ট এমবিএ

• অ্যাকাউন্টিং এবং ফিনান্সে এমবিএ

• মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা (এমএ)

• আইটি ব্যবস্থাপনা (এমএ)

• কম্পিউটার বিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর

• এমএসসি সাইবার সিকিউরিটি স্টাডিজ

• আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থাপনা

• ইঞ্জিনিয়ারিং ম্যানেজমেন্ট এমবিএ

• হিসাব ও অর্থ

• আন্তর্জাতিক বিপণন

• ডেটা সায়েন্স

• প্রকৌশল ব্যবস্থাপনা

• মার্কেটিং এমবিএ

• মার্কেটিং ম্যানেজমেন্ট এম.এ

• এমবিএ

• এআই প্রযুক্তি (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা)

• ডাটা ব্যাবস্থাপনা

• তথ্য প্রযুক্তি (এমএ)

আপনি IU ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অফ অ্যাপ্লাইড সায়েন্সেস-এ উপরে উল্লিখিত ক্ষেত্রগুলি পেতে পারেন। এই সমস্ত কোর্সগুলি তাদের এক ধরণের এবং উচ্চ শিক্ষার জন্য জার্মানিতে ভ্রমণের জন্য বেশিরভাগ ছাত্রদের আকৃষ্ট করে৷

আইইউ ইউনিভার্সিটি স্কলারশিপের সময়কাল

• ব্যাচেলর ডিগ্রির সময়কাল প্রায় 36 মাস।

• একটি MBA এর সময় 12 মাস।

• মাস্টার্স ডিগ্রীর কোর্স 12 মাস।

reseated post: Click Here

যোগ্যতার মানদণ্ড

IU ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অফ অ্যাপ্লাইড সায়েন্সের জন্য যোগ্য হতে, নিম্নলিখিত মানদণ্ডগুলি পূরণ করতে ভুলবেন না;

• সমস্ত আবেদনকারীদের ব্যাচেলর প্রোগ্রামের জন্য একটি উচ্চ বিদ্যালয় ডিগ্রী থাকতে হবে

• সকল আবেদনকারীদের মাস্টার্স প্রোগ্রামের জন্য স্নাতক ডিগ্রি থাকতে হবে।

• সমস্ত আবেদনকারীদের স্নাতক ডিগ্রি শেষ করার পর একটি প্রাসঙ্গিক ক্ষেত্রে একটি অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।

• সমস্ত আবেদনকারীদের অবশ্যই সমস্ত ডিগ্রি প্রোগ্রামের জন্য ইংরেজি দক্ষতা থাকতে হবে।

দ্রষ্টব্য:  অন-ক্যাম্পাস অধ্যয়ন প্রতি বছর এপ্রিল বা অক্টোবরে শুরু হয়, যেখানে অনলাইন অধ্যয়ন যে কোনও সময় শুরু করা যেতে পারে।

প্রয়োজনীয় কাগজপত্র.

• পরিচয় পত্র

• স্নাতক ডিগ্রী

• মাস্টার্স ডিগ্রী

কিভাবে আবেদন করতে হবে?

IU ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অফ অ্যাপ্লাইড সায়েন্সেস জার্মানি স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে, উপরে উল্লেখিত সমস্ত নথি সহ একটি অনলাইন আবেদন ফর্ম জমা দিন।

IU আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয় জার্মানি 2023-2024 অফিসিয়াল লিঙ্ক: Clicl Here

©️ youthop

Higher Study
1 min read

জার্মানীতে উচ্চ শিক্ষা সংক্রান্ত বিস্তারিত

December 13, 2022

জার্মানীতে উচ্চ শিক্ষা সংক্রান্ত বিস্তারিত

উচ্চশিক্ষা নিয়ে বিদেশে পড়তে যেতে চান অনেকেই। তবে যারা ইউরোপের কোন একটি দেশে পড়তে যেতে চান, তাদের জন্য জার্মানি হতে পারে প্রথম পছন্দ। টিউশন ফি না থাকার কারনে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এই দেশটি। দেশটিতে দিন দিন বেড়েই চলেছে ইন্টারন্যাশনাল ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা। জার্মানিতে পড়াশোনা ও উচ্চশিক্ষার বিস্তারিত সকল তথ্য থাকছে এই আর্টিকেলে।

✅পরিচিতিঃ
ইউরোপের খুবই সমৃদ্ধশালী দেশগুলোর মধ্যে জার্মানি অন্যতম। দেশটির রাজধানী বার্লিন এবং বৃহত্তম শহরও বটে। মধ্য ও পশ্চিম ইউরোপের দেশটির রাজ্য সংখ্যা ১৬টি। দেশটির সাথে ৯টি দেশের সীমান্ত রয়েছে। দেশটির আয়তন প্রায় ৩,৫৭,৩৮৬ বর্গ কিমি। আয়তনের দিক থেকে এটি ইউরোপের সপ্তম বৃহত্তম দেশ। দেশটির সরকারি ভাষা হচ্ছে জার্মান ভাষা। শিল্পোন্নত দেশগুলোর মধ্যে জার্মানি অন্যতম। অর্থনীতি দিক থেকে এটি বিশ্বের ৩য় বৃহত্তম।

উচ্চশিক্ষার জন্য কেন জার্মানিকে বেছে নিবেন?
উচ্চশিক্ষার জন্য একটি দেশ বেছে নেওয়ার জন্য যতগুলো কারন থাকা দরকার, তার সবগুলিই খুজে পাবেন ইউরোপের এই দেশটিতে। ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্টদের পছন্দের তালিকায় থাকার বেশ কিছু কারন রয়েছে। দেশটিতে আপনি টিউশন ফি ছাড়াই পড়তে পারবেন। শিক্ষার মান নিয়ে প্রশ্ন তোলার কোন সুযোগ নেই। বিশ্বের সেরা ১০০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে বর্তমানে ৩টি জার্মানির দখলে। তাছাড়াও দেশটিতে বেশ কিছু স্কলারশিপের সুযোগ রয়েছে। তাদের মধ্যে ডাড স্কলারশিপ এবং ইরাস্মুস মুন্ডুস স্কলারশিপ বেশ জনপ্রিয়। আর যদি নোবেল প্রাইজের কথা বলি তাহলে ১০৯টি জার্মানদের পকেটে।

এছাড়াও যদি আপনি ঘোরাঘুরি বেশ পছন্দ করেন তবে এটি আপনার জন্য দারুণ সুযোগ নিয়ে আপেক্ষা করছে। আপনি সেনজেন এর ২৯টি দেশে অনায়াসেই ঘুরতে পারবেন। ইউরোপের সৌন্দর্য আপনাকে মুগ্ধ করতে বাধ্য। এই দেশটির অর্থনৈতিক, সামাজিক অবস্থান বেশ মজবুত। বর্তমানে দেশটির চ্যান্সেলর এঙ্গেলা ম্যার্কেল। পড়াশোনার পাশাপাশি খন্ড কালীন জবের বেশ সুবুধা রয়েছে। রয়েছে পড়াশোনা শেষে স্থায়ী ভাবে বসবাস করার সুযোগ। সবকিছু মিলিয়ে দেশটিকে পছন্দের তালিকায় রাখতেই পারেন।

কি কি বিষয়ে জার্মানিতে পড়তে পারবেন?ব্যাচেলর, মাস্টার্স, পিএইচডি থেকে শুরু করে ডিপ্লোমা সব বিষয়েই পড়তে পারবেন। তবে সিনিয়ররা মাস্টার্স এবং পিএইচডি পড়তে আসার জন্য উৎসাহিত করে থাকেন। ডাড এর তথ্য অনুযায়ী প্রাইয় ২০৫৮টি কোর্স রয়েছে। তার মধ্যে ১৫০৭টি রয়েছে ইংরেজিতে। ব্যাচেলরে ইংরেজিতে ১৪২ টি এবং মাস্টার্সের জন্য ১০৮৩টি কোর্স রয়েছে। যারা সময়ের সাথে বেড়েই চলেছে। আপনার পছন্দের কোর্স খুঁজতে।ইঞ্জিনিয়ারিং থেকে শুরু করে, আইন, মেডিসিন, বিজনেস, স্পোর্টস, সবকিছুই পড়তে পারবেন। সাধারণত ইংলিশ, জার্মান অথবা উভয় ভাষাতেই পড়া যায়।

কি কি বিষয়ে জার্মানিতে পড়তে পারবেন?
ব্যাচেলর, মাস্টার্স, পিএইচডি থেকে শুরু করে ডিপ্লোমা সব বিষয়েই পড়তে পারবেন। তবে সিনিয়ররা মাস্টার্স এবং পিএইচডি পড়তে আসার জন্য উৎসাহিত করে থাকেন। ডাড এর তথ্য অনুযায়ী প্রাইয় ২০৫৮টি কোর্স রয়েছে। তার মধ্যে ১৫০৭টি রয়েছে ইংরেজিতে। ব্যাচেলরে ইংরেজিতে ১৪২ টি এবং মাস্টার্সের জন্য ১০৮৩টি কোর্স রয়েছে। যারা সময়ের সাথে বেড়েই চলেছে। আপনার পছন্দের কোর্স খুঁজতে।

ইঞ্জিনিয়ারিং থেকে শুরু করে, আইন, মেডিসিন, বিজনেস, স্পোর্টস, সবকিছুই পড়তে পারবেন। সাধারণত ইংলিশ, জার্মান অথবা উভয় ভাষাতেই পড়া যায়।

কি কি যোগ্যতা থাকে লাগে?
শিক্ষাগত যোগ্যতা ছাড়াও আপনার ভাষাগত যোগ্যতা বা দক্ষতা থাকা চাই। বিদেশে অর্থাৎ জার্মানিতে পড়াশোনা করতে গেলে আরোও কিছু ডকুমেন্টসের প্রয়োজন হয়ে থাকে। সবগুলো ধারাবাহিক ভাবে বলার চেষ্টা করছি। অনেকেই মনে করেন খুব ভালো রেজাল্ট না হলে বিদেশে পড়তে যাওয়া যায়না। অথচ জার্মানির ক্ষেত্রে ধারনাটা পুরোপুরি ভুল। আপনার রেজাল্ট ৩.৫ এর উপরে হলে খুব ভাল, তবে ৩.০০ উপরে হলে আপনি মোটামুটি সেইফ। তবে অনেকেই ৩.০০ এর নিচে রেজাল্ট নিয়েও জার্মানিতে গেছেন।সেক্ষেত্রে আপনার অন্যান্য যোগ্যতা বেশ ভালো হওয়া চাই। তবে আপনাকে আপনার রেজাল্ট জার্মান গ্রেডে কনভার্ট করে নিতে হবে। জার্মান গ্রেডে ২.৫ হলে আপনি আবেদন করতে পারবেন। এর কম নিয়েও আবেদন করা যায়। এবার জেনে নেওয়া যাক, শিক্ষাগত যোগ্যতা কি কি থাকা লাগে?

শিক্ষাগত যোগ্যতাঃ
ব্যাচেলরের ক্ষেত্রে ১৩ বছরের শিক্ষাগত যোগ্যতা চেয়ে থাকে। আপনি যদি এইচএসসি পাস করেন তবে আপনাকে বাংলাদেশের জার্মান স্বীকৃত যেকোন একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১ বছর তথা আপনার কোর্সের ২৫% শেষ করতে হবে। এখানে জেনে রাখা ভাল, ডিপ্লোমাদের ক্ষেত্রেও সেইম। যদিও ডিপ্লোমা ডিগ্রিধারীরা ১৮ বছর পড়াশোনা করে থাকেন।

মাস্টার্সের ক্ষেত্রে আপনার ব্যাচেলরের সার্টিফিকেট হলেই চলবে। আপনাকে জার্মান স্বীকৃত যেকোন একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যাচেলর ডিগ্রী শেষ করতে হবে।

ভাষাগত দক্ষতাঃ
জার্মানিতে সাধারণত আপনি ইংরেজি ও জার্মান ভাষায় পড়তে যেতে পারবেন। ইংরেজি ভাষা দক্ষতার জন্য আপনাকে আইএলটিএস সহ এজাতীয় পরীক্ষার স্কোর থাকা লাগবে। আইএলটিএস টেস্ট এর ক্ষেত্রে ব্যাচেলরের জন্য ৫.৫ থেকে ৬.০০ স্কোর চেয়ে থাকে। মাস্টার্সের ক্ষেত্রে ৬.০০ থেকে ৬.৫ অথবা কোর্স এবং বিশ্ববিদ্যালয় ভেদে ভিন্ন হতে পারে। তবে বেশিরভাগ বিশ্ববিদ্যালয় বেশ কিছু টেস্ট এর স্কোর গ্রহণ করে থাকে।

জার্মান ভাষার ক্ষেত্রে বি-১ থেকে বি-২ পর্যন্ত স্কোর চেয়ে থাকে। আপনি গোয়েথ ইন্সটিটিউট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও অনেক কোচিং সেন্টারে জার্মান ভাষা শিখতে পারেন। তবে আপনাকে গোয়েথ ইন্সটিটিউটে পরীক্ষা দিতে হবে।

কি কি পেপার বা ডকুমেন্টস লাগবে?

মাস্টার্সের ক্ষেত্রেঃ

⭐পাসপোর্ট

⭐এইচএসসির মার্কশীট

⭐এইচএসসির সার্টিফিকেট

⭐ডিপ্লোমার সকল মার্কশীট (ডিপ্লোমাদের ক্ষেত্রে)

⭐ডিপ্লোমার সার্টিফিকেট (ডিপ্লোমাদের ক্ষেত্রে)

⭐ব্যাচেলরের মার্কশীট

⭐ব্যাচেলরের সার্টিফিকেট

⭐আইএলটিএস (IELTS) স্কোর (৬.০ থেকে ৬.৫)

⭐জার্মান ভাষা B1/B2 ( জার্মান কোর্সের ক্ষেত্রে)

⭐মোটিভেশন লেটার

⭐রিকোমেন্ডেশন লেটার (কিছু কিছু কোর্সের ক্ষেত্রে)

⭐রিসার্চ/কনফারেন্স পেপার (যদি থাকে)

⭐সিভি ইত্যাদিমনে রাখা ভাল এইখানের পেপারগুলি নোটারাইজড হতে হবে। আপনি যোকোন জায়গা থেকে নোটারি করতে পারেন। তবে জার্মান এম্বাসি বাংলাদেশ কাজটি ফ্রিতেই করে দেয়। আপনি চাইলে সেখান থেকে অথবা যেকোন জায়গা থেকেই করতে পারেন।

Related post : Click Here

কোর্স খোঁজা ও আবেদন প্রক্রিয়াঃ

কোর্স খোজাঃ

আপনার যদি সকল প্রকার যোগ্যতা থেকে থাকে তবে এখন সময় হচ্ছে পছন্দের কোর্স খুজে বের করা। জার্মানিতে পড়াশোনার জন্য পছন্দের কোর্স খুঁজে বের করার জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয় হচ্ছে ডাড ওয়েবসাইট। প্রথেমে ডাড এর ওয়েবসাইটে গিয়ে আপনার পছন্দ অনুযায়ী ফিল্টার করে খুব সহজেই খুঁজে পেতে পারেন আপনার পছন্দের কোর্সটি।

✅আবেদন প্রক্রিয়াঃজার্মান বিশ্ববিদ্যালয়গুলো দুই ভাবে আবেদন গ্রহন করে থাকে। প্রথমটি হচ্ছে ডিরেক্ট ইউনিভার্সিটি পোর্টালে অন্যটি হচ্ছে ইউনি এসিস্টের মাধ্যমে। ইউনি-এসিস্ট হচ্ছে একটি প্রতিষ্ঠান যারা আপনার রেজাল্ট যাচাই করে বিশ্ববিদ্যালয়ে ফরওয়ার্ড করে। তবে ভর্তির সিদ্ধান্ত বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নিয়ে থাকে।ইউনি-এসিস্টের মাধ্যমে আবেদনের ক্ষেত্রে ফি প্রদান করতে হয়। যা প্রথম কোর্সের ক্ষেত্রে ৭৫ ইউরো এবং অতিরিক্ত অন্যান্য একাধিক কোর্সের ক্ষেত্রে ৩৫ ইউরো করে ফি দিতে হয়। তবে ভালো খবর হচ্ছে ডিরেক্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে অবেদনের ক্ষত্রে কোন প্রকার ফি প্রদান করতে হয়না।

✅আবেদনের সময়সীমাঃএকটি কোর্সে আবেদনের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে আবেদনের সময়সীমা জানা। বিষয়টি জানা থাকলে খুব সহজেই কাজটি করা যায়। এখানে সাধারণত ২টি সেমিস্টারে আবেদন করা যায়। পক্ষান্তরে সামার ও উইন্টার সেমিস্টার। সামার সেমিস্টারের আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হয় এপ্রিল থেকে যা জুলাইয়ের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত থাকে। উইন্টার সেমিস্টারে নভেম্বর থেকে শুরু হয় যা জানুয়ারী পর্যন্ত বহাল থাকে। তবে বিশ্ববিদ্যালয় ভেদে সময়সীমা পরিবর্তন হয়ে থাকে। উল্লেখ্য যে প্রতিটি কোর্সেই বলা থাকে আবেদন সময়সীমা। তবে সবসময় অবেদন শুরুর দিকেই আবেদন করার চেষ্টা করবেন।

✅ভিসা আবেদনঃআপনি যদি কোন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অফার লেটার পেয়ে যান তাহলে এখন সময় হচ্ছে ভিসার জন্য আবেদন করা। ভিসার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হচ্ছে ব্লক একাউন্ট। ব্লক একাউন্ট হচ্ছে, আপনি জার্মানি এসে থাকা খাওয়ার খরচ বহন করতে সক্ষম তার প্রমাণ স্বরূপ। আপনাকে ১০৩৩২ ইউরো ব্লক করতে হবে। যা জার্মানি যাওয়ার পর প্রতি মাসে ৮৬১ ইউরো করে তুলতে পারবেন। ভিসা না পেলেও চিন্তার কোন কারন নেই, সম্পূর্ণ টাকাটা আপনার একাউন্টে নিয়ে আসতে পারবেন।

✅পার্ট টাইম জবের সুবিধাঃএকজন ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্টের জন্য পার্ট টাইম জব খুবই জরুরি। জার্মানিতে একজন ছাত্রের সপ্তাহে ২০ ঘন্টা এবং মাসে ৮০ ঘন্টা কাজ করার বৈধতা রয়েছে। যা বছরে ১২০ দিন ফুল টাইম অথবা বছরে ২৮০ দিন হাফ টাইম কাজের সুযোগ রয়েছে। বর্তমানে প্রতি ঘন্টায় ন্যূনতম ৯.৩৫ ইউরো করে মজুরী পেয়ে থাকেন। যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৯৯২ টাকার মত।তবে জব পাওয়ার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলে একটি শহর। বড় শহরগুলোতে জব সহজেই পাওয়া গেলেও ছোট শহরগুলোতে পার্ট টাইম জবের সুযোগ তুলনামুলক কম। জব পেতে সবচেয়ে বেশি ভুমিকা পালন করে থাকে জার্মান ভাষা দক্ষতা। ভাষা জানা থাকলে ছোট কিংবা বড় শহর হোক না কেন আপনি জব খুঁজে পাবেন। জব পেতে ১ থেকে ৬ মাস পর্যন্ত সময় লেগে যেতে পারে। তবে পরামর্শ থাকবে বেসিক জার্মান শিখে যাওয়ার জন্য। যা পার্ট টাইম জব পেতে আপনাকে দারুণ ভাবে সাহায্য করবে।

✅স্থায়ী হবার সুযোগঃবিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য যারাই পড়তে যান, তাদের সবার প্রধান ও মুখ্য উদ্দেশ্য হচ্ছে স্থায়ী ভাবে থেকে যাওয়া। এই দেশটিও তার ব্যতিক্রম নয়। একজন ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্ট চাইলেই দেশটিতে স্থায়ী হতে পারে। ৫ বছর বৈধ ভাবে থাকলে স্থায়ী হবার জন্য আবেদন করতে পারবে। এই সুযোগটি নেওয়ার জন্য আপনাকে আপনার পড়াশোনা রিলেটেড একটি ফুল টাইম জব করতে হবে। আর এভাবেই আপনি জার্মানিতে স্থায়ী হতে পারবেন। জার্মানিতে পড়াশোনা শেষে এই সুযোগটি সবাই নিয়ে থাকেন।এইখানে সকল প্রকার তথ্য শতভাগ ধ্রুব নয়। যা স্থান, কাল, পাত্র ভেদে পরিবর্তিত হতে পারে। সুতরাং যদি কোন তথ্য আপোডেট করার প্রয়োজন হয়, দয়া করে আমাদেরকে অবহিত করুন। আমরা আপনার মন্তব্যকে সাধরে গ্রহন করব।

Regards,

Mollah Mohammad Tamal

M.Sc in Tropical Hydrogeoloy & Environmental Engineering.

Technical University of Dramstadt Dramstadt, Germany

Follow Me: Facebook

Higher Study
1 min read

যে ১০ দেশে বাংলাদেশিদের কম খরচে পড়ার সুযোগ

December 13, 2022

যে ১০ দেশে বাংলাদেশিদের কম খরচে পড়ার সুযোগ

যে ১০ দেশে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের কম খরচে পড়ার সুযোগউন্নত ক্যারিয়ার গড়ার আশা দেশের সব শিক্ষার্থীর। তাদের অনেকের ভাবনায় থাকে কম খরচে বিদেশে পড়াশোনা। বিশ্বমানের শিক্ষাব্যবস্থা ও উন্নতজীবনের সঙ্গে খরচের হিসাব মিলে গেলেই উচ্চশিক্ষার জন্য অন্য দেশে পাড়ি জমানো যায়।যে ১০ দেশে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা কম খরচে উচ্চশিক্ষা নিতে পারেন।জার্মানিবিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য শিক্ষার্থীদের প্রথম পছন্দ জার্মানি। সে দেশের অধিকাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রাষ্ট্রীয় খরচে চলে। ব্যাচেলর কোর্স ও বেশিরভাগ মাস্টার্স কোর্সের জন্য সাধারণত ফি নেই। কিছু মাস্টার্স প্রোগ্রামে টিউশন ফি থাকলেও তা অন্যান্য দেশের তুলনায় কম।তবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে খরচ বলতে আছে সেমিস্টার কন্ট্রিবিউশন ফি। এর সঙ্গে টিউশন ফির সম্পর্ক নেই। এটি শিক্ষার্থীদের কল্যাণে পাবলিক পরিবহন, ক্রীড়া, অনুষদ/বিভাগীয় ছাত্র সংগঠন ও প্রশাসনিক ফির খরচ বহন করে। এই ফি প্রতিষ্ঠান ভেদে পরিবর্তিত হয় এবং সাধারণত ১০০ থেকে ৩৫০ ইউরোর (প্রায় ৯ হাজার ৬৫০ থেকে ৩৩ হাজার ৭৩০ টাকা) মধ্যে থাকে।আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জীবনযাত্রার খরচ সাধারণত প্রতি মাসে ৭২৫ ইউরোর (প্রায় ৬৯ হাজার ৯০০ টাকা) মতো হয়ে থাকে। বাসস্থান, খাবার, পোশাক ও বিনোদন এতে অন্তর্ভুক্ত।নরওয়েএ দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোও আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য টিউশন ফি মুক্ত রেখেছে। প্রতি সেমিস্টারে শুধুমাত্র শিক্ষার্থী ইউনিয়ন ফি দিতে হয়, যা ৩০ থেকে ৬০ ইউরোর (প্রায় ২ হাজার ৮৯০ থেকে ৫ হাজার ৭৮০ টাকা) মধ্যে। এর মাধ্যমে পাবলিক পরিবহন, জাদুঘর পরিদর্শন, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, স্বাস্থ্যসেবা ও ক্রীড়াসহ বেশকিছু সুবিধা থাকে।নরওয়েতে জীবনযাত্রার জন্য প্রতি মাসে গড়ে ৮০০ থেকে ১ হাজার ৪০০ ইউরোর (প্রায় ৭৭ হাজার থেকে ১ লাখ ৩৪ হাজার ৯০০ টাকা) মতো খরচের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।বড় শহরগুলোয় স্বাভাবিকভাবেই খরচ বেশি। ছোট শহরে ৮০০ থেকে এক হাজার ইউরোর (প্রায় ৭৭ হাজার থেকে সাড়ে ৯৬ হাজার টাকা) মধ্যেই থাকা-খাওয়া ও চলাফেরার খরচ হয়ে যায়।ফ্রান্সবিশ্বসেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বর্গ বলা যেতে পারে ফ্রান্সকে। শুধু পড়াশোনার জন্যই নয়, বৈশ্বিক অর্থনীতি ও ইউরোপীয় বাজারে তাদের অভিজাত পদচারণা আছে। স্নাতকের পর বিদেশি শিক্ষার্থীরা সেখানে ব্যবসায়িক খাতে আকর্ষণীয় কাজের সুযোগ পেতে পারেন।

সুস্বাদু খাবার থেকে শুরু করে ঐতিহাসিক ল্যান্ডমার্ক, ফ্যাশন, শিল্প-সাহিত্য ও জীবনধারা—প্রায় সবকিছুর আনন্দদায়ক মিশ্রণ পাওয়া যায় ফ্রান্সে।

এখানে লাইসেন্স (স্নাতক) স্তরে বছরে খরচ হতে পারে ২ হাজার ৭৭০ ইউরো (প্রায় ২ লাখ ৬৭ হাজার টাকা)। মাস্টার লেভেলে বছরে খরচ হতে পারে ৩ হাজার ৭৭০ ইউরো বা ৩ লাখ ৬৩ হাজার ৪০০ টাকা।

জীবনযাত্রার জন্য প্যারিস, নিস, লিয়ন, ন্যান্টেস, বোর্দো বা টুলুজের মতো অভিজাত শহরগুলো বাদ দিয়ে ছোট শহর বেছে নিলে ৬৫০ ইউরোর (প্রায় ৬২ হাজার ৬৫০ টাকা) কমে থাকা যাবে।

  • অস্ট্রিয়া

ইউরোপের প্রাণকেন্দ্র অস্ট্রিয়া যে কোনো শিক্ষার্থীর স্বপ্ন পূরণে আকর্ষণীয় স্থান হতে পারে। ইইউ (ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন)/ইইএ (ইউরোপিয়ান ইকোনোমিক এরিয়া) দেশগুলোর শিক্ষার্থীদের জন্য এ দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর টিউশন ফি একদম ফ্রি।

কিন্তু, নন-ইউ/ইইএ দেশগুলোর শিক্ষার্থীদের জন্য এখানকার পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো প্রতি সেমিস্টারে ২০ ইউরো (প্রায় ১ হাজার ৯২৭ টাকা) ছাড়াও টিউশন ফি বাবদ গড়ে ৭২৬ ইউরো (প্রায় ৭০ হাজার টাকা) ধার্য করে।

তবে, বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশের শিক্ষার্থীদের জন্য অস্ট্রিয়ার অনেক পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় টিউশন ফি মুক্ত।

এ তালিকায় আছে ভিয়েনা বিশ্ববিদ্যালয়, ভিয়েনা মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, ইনসব্রুক বিশ্ববিদ্যালয়, জোহানেস কেপলার ইউনিভার্সিটি লিঞ্জ, গ্রাজ বিশ্ববিদ্যালয় ও লিওবেন বিশ্ববিদ্যালয়।

অপরূপ এ দেশটিতে জীবনযাত্রার খরচ ইউরোপের অন্যান্য দেশের তুলনায় কম। প্রতি মাসে ৯০০ থেকে ১ হাজার ৩০০ ইউরোয় (প্রায় ৮৬ হাজার ৭০০ থেকে ১ লাখ ২৫ হাজার ২৩০ টাকা) ভিয়েনা ও সালজবার্গে আবাসন, খাবার, সামাজিক কর্মসূচি ও গণপরিবহণসহ সব খরচ মেটানো যেতে পারে।

অন্যান্য জনপ্রিয় স্টুডেন্ট লোকেশনের মধ্যে লিনজ বা গ্রাজে সাধারণত ৯০০ থেকে এক হাজার ইউরোর (প্রায় ৮৬ হাজার ৭০০ থেকে ৯৬ হাজার ৫০০ টাকা) মধ্যে মাসিক খরচ হয়ে যায়।

  • তাইওয়ান

আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য প্রযুক্তি, ইতিহাস, রান্না, সংস্কৃতি, ভাষা ও প্রাকৃতিক সম্পদসহ অনেক বিষয়ে অভিজ্ঞতা নেওয়ার সুযোগে ভরপুর এশিয়ার স্বঘোষিত এই দ্বীপদেশটি। এখানে বেশি কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদেশি শিক্ষার্থীরা ইংরেজিতে পড়ছেন।

বহুসাংস্কৃতিক ও ইতিহাসসমৃদ্ধ তাইওয়ান বিদেশি শিক্ষার্থীদের আন্তরিকভাবে স্বাগত জানায়। এখানে সাবলীলভাবে চলাফেরা করা যায়। বেশ কয়েক বছর ধরে তাইওয়ানের উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থা বেশ জনপ্রিয়।

তাইওয়ানের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় পড়ার খরচ প্রতি বছর ৬৭৫ থেকে ১২ হাজার ৭০০ ইউরো (প্রায় ৬৫ হাজার টাকা থেকে ১২ লাখ ২৪ হাজার টাকা)। এখানে প্রতি মাসে কমপক্ষে প্রায় ৬৮০ থেকে ৮৮০ ইউরো (প্রায় ৬৫ হাজার ৫৪০ থেকে ৮৪ হাজার ৮২০ টাকা) খরচ করতে হবে।

  • তুরস্ক

এশিয়া ও ইউরোপকে স্পর্শ করে গড়ে ওঠা তুরস্ক স্থাপত্য বিস্ময় ও হট এয়ার বেলুন ট্রিপের জন্য বিখ্যাত। এখানকার যে বিষয়টি বিদেশি শিক্ষার্থীদের নজর কাড়ে তা হলো এর মানসম্পন্ন শিক্ষা ব্যবস্থা।

দেশটি ইউরোপীয় উচ্চশিক্ষা অঞ্চলের অংশ যা ‘বোলোগনা প্রক্রিয়া’ হিসেবে পরিচিত। এ কারণে তুরস্কের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ডিপ্লোমা বা অন্যান্য ডিগ্রি ইউরোপে স্বীকৃত।

তুরস্কের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সাশ্রয়ী। একজন শিক্ষার্থীকে সাধারণত প্রতি শিক্ষাবর্ষে ১০০ থেকে ৪ হাজার ইউরোর (প্রায় ৯ হাজার ৬৪০ থেকে ৩ লাখ ৮৫ হাজার ৫২৬ টাকা) মতো খরচ করতে হয়।

অন্যান্য দেশের তুলনায় সাশ্রয়ী তুরস্কে একজন বিদেশি শিক্ষার্থী প্রতি মাসে ৪০০ থেকে ৬৫০ ইউরো খরচ করে (৩৮ হাজার ৫৬০ থেকে ৬২ হাজার ৬৫০ টাকা) থাকতে পারেন।

  • পোল্যান্ড

সাড়ে ৪০০-র বেশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দেশ পোল্যান্ড ইউরোপের দ্বিতীয় প্রাচীনতম বিশ্ববিদ্যালয়কে ধারণ করে আছে। এ দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় ভর্তি পরীক্ষা না থাকায় বিদেশি শিক্ষার্থীরা এখানে অনেক স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন।

আন্ডারগ্রাজুয়েশনের জন্য অন্তত প্রয়োজন হবে মাধ্যমিক শিক্ষার শংসাপত্র, আর্থিক কার্যকারিতা শংসাপত্র ও ইংরেজি বা পোলিশ ভাষায় দক্ষতা।

প্রথম, দ্বিতীয় ও দীর্ঘ-চক্র অধ্যয়নের জন্য টিউশন ফি ২ হাজার ৩৬৮ ইউরো (প্রায় ২ লাখ ২৮ হাজার ১১০ টাকা)। পোল্যান্ড স্থিতিশীল অর্থনীতির ইউরোপীয় দেশ। বাইরের শিক্ষার্থীদের জীবনযাত্রার খরচ এখানে প্রতি মাসে ৩৫০ থেকে ৫৫০ ইউরো (প্রায় ৩৩ হাজার ৭৩৪ থেকে ৫৩ হাজার টাকা)। শহর ভেদে এই বাজেটের তারতম্য ঘটে থাকে।

  • মালয়েশিয়া

২০২১ সালে মালয়েশিয়ার সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পিএইচডি প্রোগ্রামের জন্য মোট ১১ হাজার ১৬১ বিদেশি শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছিলেন। দেশের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ পাবলিক প্রতিষ্ঠান ইউনিভার্সিটি মালায়া ২০২২ সালে এশিয়ার শীর্ষ ৫০ বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় স্থান পেয়েছে।

এখানকার পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যাচেলর ডিগ্রিতে প্রতি বছর খরচ হয় ২ হাজার থেকে সাড়ে ৪ হাজার ইউরো (১ লাখ ৯২ হাজার ৭৬০ থেকে ৪ লাখ ৩৩ হাজার ৭২০ টাকা)।

স্নাতকোত্তর ডিগ্রিতে প্রতি বছর ৫০০ থেকে ৪ হাজার ইউরো (প্রায় ৪৮ হাজার ১৯০ থেকে ৩ লাখ ৮৫ হাজার ৫২৬ টাকা) লেগে যায়।

জীবনযাত্রার খরচের জন্য প্রতি মাসে ৪৫০ থেকে ৮০০ ইউরো (প্রায় ৪৩ হাজার ৩৭২ থেকে ৭৭ হাজার টাকা) প্রয়োজন হয়।

Related post : Click Here

  • গ্রিস

ভূমধ্যসাগরের তীরবর্তী গ্রিস শুধু সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক উত্তরাধিকার নিয়েই গর্ব করে না, তারা উন্নত শিক্ষাব্যবস্থার জন্যও গর্বিত। গ্রিক বিশ্ববিদ্যালয় ইংরেজিতে পড়ার সুবিধা রেখেছে।

ইইউভুক্ত দেশ হিসেবে গ্রিস ‘বোলোগনা প্রক্রিয়া’র সদস্য। শিক্ষার্থীরা ইউরোপের যে কোনো বোলোগনা সদস্য দেশের যে কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্রেডিট স্থানান্তর করতে পারেন।

নন-ইউ/ইইএ শিক্ষার্থীদের জন্য বেশিরভাগ ব্যাচেলর ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রির জন্য প্রতি শিক্ষাবর্ষে দেড় হাজার থেকে ২ হাজার ইউরোর (১ লাখ ৪৪ হাজার ৬০০ থেকে ১ লাখ ৯২ হাজার ৭৭০ টাকা) মতো অর্থ খরচ করতে হয়।

গ্রিসের সাশ্রয়ী পরিবেশে বেশিরভাগ শিক্ষার্থীর প্রতি মাসে ৪৫০ থেকে ৭৫০ ইউরো (প্রায় ৪৩ হাজার ৩৭২ থেকে ৭২ হাজার ২৮৭ টাকা) প্রয়োজন হয়। এটি স্পেন, জার্মানি বা ইতালির তুলনায় বেশ সাশ্রয়ী।

  • হাঙ্গেরি

বৈচিত্র্য ও বহুসংস্কৃতির চমৎকার মেলবন্ধন চোখের পড়বে হাঙ্গেরিতে ঘুরতে গেলে। এ দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বিদেশি শিক্ষার্থীদের দৃষ্টি আকর্ষণে সক্ষম। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো টিউশন ফির দিক থেকে পশ্চিমের সমকক্ষদের তুলনায় অনেক সাশ্রয়ী।

একজন বিদেশি শিক্ষার্থীকে প্রতি বছর ১ হাজার ২০০ থেকে ৫ হাজার ইউরোর (প্রায় ১ লাখ ১৫ হাজার ৬৬০ থেকে ৪ লাখ ৮১ হাজার টাকা) প্রস্তুতি নিতে হয়।

এ ছাড়া, বসবাসের জন্য প্রয়োজন ৩৭৫ থেকে ৭০০ ইউরো (প্রায় ৩৬ হাজার ১৪০ থেকে ৬৭ হাজার ৪৭০ টাকা)। এটি অবশ্যই শহর ভেদে ভিন্ন হয়।

আবাসন, খাবার, পরিবহনসহ আনুষঙ্গিক বিষয় বিবেচনা করে রাজধানী বুদাপেস্টে থাকতে গেলে প্রতি মাসে ৬০০ ইউরোর (প্রায় ৫৭ হাজার ৮৩০ টাকা) প্রয়োজন। ছোট শহরে প্রতি মাসে ৬০০ ইউরোর (প্রায় ৪৮ হাজার ২০০ টাকা) প্রয়োজন হতে পারে।

শেষ কথা


কম খরচে দেশের বাইরে পড়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর চাহিদা, সামর্থ্য ও অন্যান্য বিষয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে স্কলারশিপের চেষ্টা করা উচিত। এর জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কলারশিপ প্রক্রিয়া সম্পর্কে ভালোভাবে জানা দরকার।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট, সেখানকার অধ্যয়ন উপদেষ্টার সঙ্গে স্কলারশিপ বা স্টুডেন্ট লোনের ব্যাপারে কথা বলা ভালো। বিদেশে স্নাতক পড়ার জন্য আর্থিক সহায়তার মধ্যে আছে ফেডারেল অনুদান, ফেডারেল ও ব্যক্তিগত ঋণ। এর বাইরে আছে বেসরকারি সংস্থার বৃত্তি।

Follow Me: Facebook

Higher Study
1 min read

ফিনল্যান্ড (Finland)

September 24, 2023

ফিনল্যান্ড (Finland)

ফিনল্যান্ড উত্তর ইউরোপীয় একটি ধনী রাষ্ট্র। এর প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে সুইডেন, নরওয়ে, রাশিয়া। দেশটি অসম্ভব সুন্দর এবং শীত প্রধান দেশ। পৃথিবীর সুখী দেশ গুলোর তালিকায় ফিনল্যান্ড সবসময়ই প্রথম সারিতে থাকে।

শিক্ষা ব্যাবস্থা : ফিনল্যান্ডের শিক্ষা ব্যাবস্থা খুবই উন্নত। পৃথিবীর প্রথম সারির দেশ গুলোর একটি। আপনি এই দেশের ভার্সিটি গুলো থেকে ব্যাচেলর, মাস্টার্স বা পিএইচডি করতে পারেন। ফিনল্যান্ডের ভার্সিটি গুলো সাধারণ তিন বছরের ব্যাচেলর কোর্স অফার করে এবং মাস্টার্সের জন্য দুই বছর। আপনি ইন্জিনিয়ারিং, বিজনেস, আর্টস সহ আরো নানা ধরনের বিষয়ে উপর উচ্চতর শিক্ষা নিতে পারবেন।

আবেদনের সময়: নভেম্বরের শেষ থেকে জানুয়ারির মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন। তবে কিছু কোর্সের জন্য আবেদনের সময় ভিন্ন। আবেদন করার জন্য নিচের লিঙ্ক টি ব্যাবহার করতে হবে। বিস্তারিত সেখানেই পাবেন।
লিঙ্ক: https://studyinfo.fi/wp2/en/

* ব্যাচেলরে ভর্তির জন্য এডমিশন টেস্ট দিতে হবে।

* IELTS ছাড়াও হয়তো কিছু ভার্সিটি এডমিশন লেটার অফার করতে পারে এবং ভিসাও পেয়ে যাবেন হয়তো। IELTS এ ৬.৫ থাকলে সব ভার্সিটিতে আবেদনের যোগ্য আপনি।

* মাস্টার্সের জন্য ব্যাচেলরে ৬৫-৭০% স্কোর থাকা ভাল।

টিউশন ফি : ২০১৭ সাল পর্যন্ত ফিনল্যান্ডের ভার্সিটি গুলোতে পড়ালেখা সম্পূর্ণ ফ্রি ছিলো কিন্তু এরপর থেকে টিউশন ফি নেয়া শুরু করেছে। ভার্সিটি ভেদে টিউশন ফি কম বা বেশি হতে পারে। তবে সাধারণত টিউশন ফি ৮০০০ – ১৬০০০ € মধ্যে হয়ে থাকে।

স্কলারশিপ : ফিনল্যান্ডের প্রায় প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয় নানান ধরনের স্কলারশিপ দিয়ে থাকে। বিশেষ করে টিউশন ফির উপর। আপনার একাডেমি রেজাল্টর উপর ভিত্তি করে ভার্সিটি আপনাকে ৫০-১০০% পর্যন্ত টিউশন ফি মাপ করতে পারে এমন কি প্রতি মাসে কিছু টাকাও দিতে পারে।

পার্ট-টাইম জব: ফিনল্যান্ড শীত প্রধান দেশ। তাই সবসময়ই যে কাজ পাবেন এমনটা নয়। পার্ট-টাইম জব করে টিউশন ফি দিতে পারবেন না। প্রতি সপ্তাহে ২৫ ঘন্টা কাজ করতে পারবেন। আর ছুটিতে ফুল টাউম কাজ করতে পারবেন। প্রতি ঘন্টায় কাজের জন্য ৯-১৩ € করে পারবে। এখন নিজেই হিসেব করেন কেমন কি ইনকাম করতে পারবেন।

পারমানেন্ট রেসিডেন্স : পারমানেন্ট রেসিডেন্স হবার জন্য আপনাকে নিজের বিষয় ভিত্তিক জব করতেই হবে এমন কোন বাধ্যবাধকতা নেই। আপনি চাইলে যে কোন রিগাল জব দিয়েই এপ্লাই করতে পারবেন তবে সেলারী অব্যশই প্রতি মাসে 1260 ইউরো অথবা বেশি হতে হবে।। আর এই কন্ডিশন পড়ালেখা শেষ করে ওয়ার্ক পারমিট এ যাওয়া + 4 বছর পর পারমানেন্ট হওয়ার উভয় ক্ষেত্রে একই।

ভিসা : ফিনল্যান্ড এমবাসি বাংলাদেশে নেই। যার জন্য আপনাকে ভারতে যেতে হবে। আবেদন ফি ৩৬০ €। যদি আপনি টিউশন ফি দিতে না হয় তবে আপনার ব্যাংক একাউন্টে ৬৭২০.০০ € দেখাতে হবে আর যি টিউশন ফি দিতে হয় তবে এর সাথে টিউশন ফি এমাউন্টও দেখাতে হবে। টাকাটা কোথা থেকে এসেছে সেটারও ডকুমেন্টস লাগবে।

Higher Study
1 min read

আমি ওই ছেলেটাকে কোন উত্তর দেইনি। প্রশ্নই আসে না উত্তর দেয়ার

December 12, 2022

আমি ওই ছেলেটাকে কোন উত্তর দেইনি। প্রশ্নই আসে না উত্তর দেয়ার

কুষ্টিয়ার ইসলামিক ইউনিভার্সিটির এক ছাত্র আমাকে একটা ই-মেইল করেছে। পুরো বিষয়টা বুঝিয়ে বলার আগে বরং মেইলে সে কি লিখেছে; সেটা বলা যাক। মেইলটি সে ইংরেজিতে লিখেছে। এর বাংলা করলে যা দাঁড়ায়-

স্যার,

আমি কুষ্টিয়ার ইসলামিক ইউনিভার্সিটির সমাজকর্ম বিভাগের তৃতীয়বর্ষের ছাত্র। আমার খুব ইচ্ছা আমি বিদেশে পড়তে যাবো। আমার রেজাল্ট অনেক ভালো। আমার স্থান ক্লাসে সেকেন্ড। তবে আমার পারিবারিক অবস্থা অতটা ভালো না। আমার স্কলারশিপ এবং পার্টটাইম জবও লাগবে। আমি আপনার ইউনিভার্সিটি কিংবা অন্য যে কোন ইউনিভার্সিটিতে বিদেশে পড়তে যেতে চাই। আমার কি আই-ই-এলটিএস লাগবে?

তো, এই পুরো মেইলটি সে লিখেছে সাবজেক্ট বক্সে! ইউনিভার্সিটি’তে পড়ুয়া একটা ছেলে বিদেশি একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষককে মেইল করেছে। সেখানে মূল মেইল বক্সে কিছুই লেখা নেই! একদম ফাঁকা! আর সাবজেক্ট বক্সে এইসব লিখে রেখেছে!

এই মেইলটি এসছে গত পরশু। তখনই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম এই নিয়ে কিছু লিখব। লেখার একদম সময় পাচ্ছিলাম না। আজ খানিক সময় পেয়েছি। তাই ভাবলাম লিখে ফেলা যাক।

আমার এখানে সামার ভ্যাকেশন চলছে। প্রায় আড়াই মাসের ছুটি শেষ হতে চলেছে। সেপ্টেম্বরের দুই তারিখ থেকে আবার ক্লাস, সেমিনার, কনফারেন্স, থিসিস সুপারভিশন শুরু। তো, এই আড়াই মাস ছুটিতে আমি কি কি করেছি?

সাধারণত প্রতি সামারই কোন না কোন দেশে ঘুরতে যাই আমি। গত দুই সামারে যাওয়া হচ্ছে না। এই সামারেও কোথাও যাইনি। তাই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম- কিছু একটা শিখবো। গত ১৮ বছর ধরেই প্রতি সামারে আমি নতুন কিছু না কিছু শিখছি। চাকরি করে সামার মানে গ্রীষ্মের ছুটি ছাড়া আর অন্য কোন সময়ে খুব একটা সুযোগ পাওয়া যায় না।

আমার মনে আছে এক সামারে মনে হলো গীটারটা ভালো করে শিখে ফেলা যাক। শিখেও ফেললাম। আরেক সামারে মনে হলো একটা নতুন ভাষা শিখে ফেললে কেমন হয়? শিখেও ফেললাম এস্তনিয়ান ভাষা। শুধু শিখিইনি। পরীক্ষা দিয়ে একশোতে সর্বোচ্চ ৯১ নাম্বার পেয়ে পাশও করেছি। এভাবে অন্যান্য সামারে আরও কিছু ভাষাও আমি শিখেছি। হারমনিকা বাজানো শিখেছি। আরেক সামারে তো সালসা ড্যান্সের পুরো কোর্স শেষ করে ফেলেছি।

এই সামারেও নতুন একটা বিষয় শিখছি। যেহেতু এখনও শেখা শেষ হয়নি। তাই এই নিয়ে আজ বলছি না। এই শেখার বাইরেও আমার মনে হয়েছে- আমার হাতে সময় আছে। আমি আমার ইংরেজি বই লেখাটা শেষ করেছি। এরপরও মনে হলো হাতে সময় আছে। একটা আস্ত বাংলা বইও লেখা শেষ করেছি। শুধু শেষ’ই করিনি। প্রকাশকের কাছে পাঠিয়েও দিয়েছি। আশা করছি দ্রুতই প্রকাশ হবে। এই যে আপনারা আমাকে ফেসবুকে লিখতে দেখতেন কিংবা আপনাদের কমেন্টের উত্তর দিতে দেখেন। আমি আমার ফেসবুকে সময় দেই তখনই; যখন আমার হাতে ফ্রি সময় থাকে। অর্থাৎ আমি আমার ফ্রি সময় টুকুও কাজে লাগানোর চেষ্টা করি। নইলে সকালে ঘুম থেকে উঠে রাতে ঘুমানোর আগ পর্যন্ত আমি কাজ’ই করি।

এখন আপনারা হয়ত ভাবতে পারেন, আমি আমার কথা কেন লিখছি। আমি তো আর এমন কেউ নই। অতি অবশ্যই আমি এমন কোন গুরুত্বপূর্ণ মানুষ নই। কোন সফল মানুষও নই। তবে এই উদাহরণটা দেয়ার একটা কারন আছে। লেখার শেষে আমি এটি ব্যাখ্যা করব। নিজেকে জাহির করা আমার উদ্দেশ্য নয়।আমার মনে আছে আজ থেকে ২৫ বছর আগে আমি যখন সিলেটের শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছিলাম- আমার নিজের একটা ডেস্কটপ কম্পিউটার ছিল। যেহেতু আমার বাসা ঢাকায়। ছুটি-ছাটার সময় সিলেট থেকে সিপিইউটা সাথে করে নিয়ে আসতাম ঢাকায়। আমাদের ঢাকার বাসাতে আলাদা একটা মনিটর ছিল। ছুটির সময় আমি কম্পিউটারের নানান সব বিষয় নিজে নিজে শেখার চেষ্টা করলাম।আজ থেকে ২০-২২ বছর আগেই তো আমি জানতাম কিভাবে ই-মেইল লিখতে হয়। তাহলে এই যুগে এসে, যেখানে সবার হাতে হাতে স্মার্ট ফোন। ইন্টারনেট সবার হাতের নাগালে। সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয়বর্ষের একজন ছাত্র, যে নিজেকে ক্লাসে সেকেন্ড দাবী করছে! সে কিনা একটা ই-মেইল লিখছে সাবজেক্ট বক্সে!শুধু তা-ই না। একটা ইংরেজি মেইল লিখেছে; এর মাঝে হাজারটা ভুল! আমি এখানে তিনটা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াই। একটায় ফুল টাইম। বাদ বাকী দু’টোয় পয়েন্ট ২৫ বেসিসে পড়াই। আমার কাছে প্রতিদিন পৃথিবীর নানান দেশ থেকে ছাত্র-ছাত্রীরা মাস্টার্স-পিএইচডি করার জন্য মেইল করে। এটা খুব স্বাভাবিক বিষয়।এখন প্রশ্ন হচ্ছে- আমি কী সব মেইল পুরোটা পড়ি? হ্যাঁ, আমি সব মেইলই খুলে দেখি। কিন্তু প্রথম দুই-তিন লাইন পড়ে যদি আমার ভালো না লাগে; তাহলে আমি আর পড়ি না।আমি এই জানুয়ারিতে দেশে গিয়েছিলাম। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে বিভিন্ন কলজের সমাজ বিজ্ঞানের শিক্ষকদের গবেষণা পদ্ধতি বিষয়ক একটা ট্রেনিং কোর্সে পড়িয়েছি। দেখলাম প্রায় সকল শিক্ষক বিদেশে পড়তে আসতে চায়।আরেক বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়েছি গেস্ট লেকচারার হিসেবে। ওখানকার ছাত্ররাও প্রায় সবাই বিদেশে পড়তে আসতে চায়।আমার ধারণা বাংলাদেশের ছাত্র-শিক্ষকদের একটা বিশাল অংশ এখন বিদেশে পড়তে আসতে চায়। কারন তারা হয়ত বিদেশেই সেটেল হতে চায়। এটা যার যার ব্যাপার। আমার এতে কোন আপত্তি নেই।তো, বিদেশে পড়তে আসতে হলো নিজেকে সেভাবে প্রস্তুত করতে হবে। সেটা আপনি যেই দেশেই পড়তে যান। আমি বরং খুব ছোট করে দুই একটা টিপস দেই।প্রথম কাজ হচ্ছে- ইংরেজিতে অতি অবশ্যই ভালো হতে হবে। আপনাকে যদি ইংরেজিতেই পড়াশুনা করতে হয়; তাহলে ইংরেজি না জানলে কিভাবে পড়বেন? আপনাকে ইংরেজদের মত ইংরেজি বলতে হবে না। স্রেফ ইংরেজিতে পড়ার মত যোগ্যতা থাকতে হবে। এর মানে হচ্ছে- বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া অবস্থাতেই ইংরেজির চর্চা করতে হবে। শিখতে হবে। যাতে করে পাশ করার সঙ্গে সঙ্গে আই-ই-এলটিএস পরীক্ষা দিয়ে অন্তত ছয় কিংবা সাড়ে ছয় পাওয়া যায়। সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয় গুলো সাধারণত এমনই চায়। তবে নামি-দাবী বিশ্ববিদ্যালয় গুলো এর চাইতে বেশিও চাইতে পারে। এই যেমন ইংল্যান্ডের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করার সময় আমাদের লেগেছিল মিনিমাম সাড়ে সাত পয়েন্ট।যা হোক, মূল বিষয় হচ্ছে ইংরেজি জানতে হবে।

দ্বিতীয় বিষয়ঃ কিভাবে ই-মেইল করতে হয় সেটি অতি অবশ্যই শিখতে হবে। শুধু সেটাই না। কিভাবে প্রথম তিন-চার লাইনেই একজন অধ্যাপক কিংবা যে কাউকে ইম্প্রেস করা যায়; সেটিও শিখতে হবে।

তৃতীয় বিষয়ঃ যখনই সময় পাওয়া যাবে। পৃথিবীর বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েব সাইট নিজেকেই ঘেঁটে ঘেঁটে দেখতে হবে। এতে করে বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর রিকয়ারমেন্ট গুলো জানা যাবে। নিজেকে সেভাবে প্রস্তুতও করা যাবে।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে- ইংরেজি কিভাবে শিখবেন? কিংবা ই-মেইল করা কিভাবে শিখবো?

এই জন্যই আসলে আমি আমার নিজের কাজের বিবরণ দিয়েছি। আমাদের দেশের ছেলে-মেয়েরা দিনভর ফেসবুক করে। ইউটিউব দেখে। এরপর সর্বক্ষণ পরচর্চা করে বেড়ায়। এইসব না করে- যখনই সময় পাওয়া যাবে ইউটিউব দেখে কিংবা বই পড়ে ইংরেজি শিখে ফেলার চেষ্টা করতে হবে। একই ভাবে কিভাবে ই-মেইল লেখা যায়। কিভাবে মোটিভেশন লেটার লেখা যায়; এইসবও শেখা সম্ভব।

আমাদের সময়ে ইন্টারনেট সব জায়গায় ছিল না। আমি আজ থেকে ২২ বছর আগের কথা বলছি। আমরা সাইবার ক্যাফেতে গিয়ে ইন্টারনেট চালাতাম। এরপরও ইচ্ছা থাকায় শিখতে পেরেছে। আর এখন তো এইসব শেখার জন্য কোথাও যাবার দরকার নেই। একটা পয়সাও খরচ করার দরকার নেই। প্রত্যন্ত গ্রামের বাসায় বসেও স্রেফ নিজের মোবাইল টিপে ইউটিউব দেখেই শিখে নেয়া সম্ভব। বই পড়তে মন না চাইলেও সমস্যা নেই।

আমি ওই ছেলেটাকে কোন উত্তর দেইনি। প্রশ্নই আসে না উত্তর দেয়ার। আমার মনে হয়েছে বরং আস্ত একটা লেখা লিখি সবার জন্য। মূল বিষয় হচ্ছে সময় টুকু কাজে লাগাতে হবে। আমরা বাংলাদেশিরা জীবনের একটা বিশাল অংশ শুয়ে-বসে কিংবা কোন কিছু না করেই কাটিয়ে দেই। আপনার যদি কোন কাজ না থাকে। তাহলেও আপনি ঘরে বসে কিছু একটা শিখে ফেলতে পারেন। জীবনের কোন না কোন সময় এটি কাজে দিবে। জেনে রাখুন- আপনার ভাগ্য আপনাকেই তৈরি করতে হবে। কেউ এসে তৈরি করে দেবে না। এই ছেলেটা যদি চমৎকার করে একটা মেইল লিখত। কে জানে; আমি হয়ত তাকে উত্তর দিতাম।

©️

আমিনুল ইসলাম স্যার

Research
1 min read

আন্ডারগ্র্যাজুয়েট লেভেল থেকে গবেষণা যেভাবে শুরু করবেন

December 12, 2022

আন্ডারগ্র্যাজুয়েট লেভেল থেকে গবেষণা যেভাবে শুরু করবেন

গবেষণার চর্চা শুধু যে গবেষকদের জন্য দরকার, তা নয়। এখনকার প্রেক্ষাপটে উচ্চশিক্ষা, বৃত্তি, ফেলোশিপ, কিংবা চাকরির ক্ষেত্রেও গবেষণার অভিজ্ঞতা ভীষণ প্রয়োজন। আমাদের দেশে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে কিংবা মেডিকেল কলেজে গবেষণার ওপর তেমন জোর দেওয়া হয় না, স্নাতক বা স্নাতকোত্তর পর্যায়েও অনেক ক্ষেত্রে সুযোগ কম। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়জীবনের শুরু থেকেই গবেষণার চর্চা শুরু করা উচিত।

গবেষণাসংক্রান্ত কোর্স করুন: গবেষণার ধরন, গবেষণাসংক্রান্ত দক্ষতা এবং এর বিভিন্ন ধাপ নিয়ে সরাসরি বা অনলাইন প্ল্যাটফর্মে বিভিন্ন কোর্স পরিচালনা করে বাংলাদেশের বিভিন্ন সংস্থা। এ ছাড়া বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা, প্ল্যাটফর্ম এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনলাইন কোর্সেও গবেষণাসংক্রান্ত কোর্স অফার করা হয়। এসব কোর্সের তত্ত্বীয় ও ব্যবহারিক ধাপে গবেষণাসংক্রান্ত জ্ঞান অর্জনের সুযোগ আছে।

যেহেতু বিষয়ভেদে প্রচলিত গবেষণা পদ্ধতিতে কিছু পার্থক্য থাকে, সেহেতু আপনি যে বিষয়ে পড়ছেন, এর সঙ্গে সম্পর্কিত সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানে আবেদন করতে পারেন। ভবিষ্যতে আপনি যদি গণস্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করতে চান, তাহলে আইসিডিডিআরবি, ব্র্যাক জেমস পি গ্র্যান্ট স্কুল অব পাবলিক হেলথ, পি আই রিসার্চ সেন্টার কিংবা বাইনারি ডেটা ল্যাবে গবেষণা শেখার শর্টকোর্সে ভর্তি হতে পারেন। এ ছাড়া স্ট্যাটিসটিক্যাল সফটওয়্যার এসপিএসএস, এসটিএটিএর ওপর কোর্স করতে পারেন, যা যেকোনো বিষয়ের গবেষণার জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ কারিগরি দক্ষতা হিসেবে বিবেচিত হয়। ইন্টারনেটে এডএক্স, কোর্সেরাসহ বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে নানা ধরনের কোর্স বেশ স্বল্পমূল্যে বা বিনা মূল্যে করার সুযোগ আছে। কাজ বা পড়াশোনার ফাঁকে ফাঁকে কোর্স করে, গবেষণার নানা ধাপ ও প্রক্রিয়া শেখা সম্ভব।
যেসব ওয়েবসাইটে গবেষণাবিষয়ক কোর্স সম্পর্কে জানতে পারেন:

• https://training.icddrb.org/siteinfo/circularDetail?1=1&view=171

• https://bracjpgsph.org

• https://www.pircc.org/training/

• https://binarydatalab.org/category/training/

• https://www.coursera.org/courses?query=research

হাতে-কলমে গবেষণা: গবেষণা শেখার জন্য হাতে-কলমে ব্যবহারিক পদ্ধতি সবচেয়ে বেশি কার্যকর। বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে অনেক অধ্যাপক ও শিক্ষক গবেষণায় যুক্ত থাকেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় তাই শিক্ষকের পরামর্শ নিন। তাঁদের সঙ্গে তথ্য সংগ্রহ, তথ্য বিশ্লেষণ ও গবেষণার কাজে যুক্ত হতে পারেন। আরেকটি কার্যকর উপায় হলো দেশীয় বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানে খণ্ডকালীন কর্মী বা শিক্ষানবিশ হিসেবে কাজ। আপনার বিশ্ববিদ্যালয় বা কর্মক্ষেত্রের বাইরেও বিভিন্ন গবেষণা কাজে স্বেচ্ছাসেবক বা সহকারী হিসেবে কাজ শুরু করতে পারেন।

আপনি বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিআইআইএসএস), বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজ, ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টসহ (বিআইজিডি) বিভিন্ন দেশীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানে গবেষণা সহকারী হিসেবে কাজের সুযোগ খুঁজতে পারেন। দলগতভাবে হাতে-কলমে তথ্য সংগ্রহ থেকে শুরু করে তথ্য বিশ্লেষণ ও গবেষণাপত্র লেখার কাজও শিখতে পারবেন। এ ধরনের অভিজ্ঞতা থেকে অনেক সময় আন্তর্জাতিক গবেষণাপত্রে লেখার সুযোগ পাওয়া যায়। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়েও কিন্তু গবেষণার ওপর উন্মুক্ত কোর্স আছে। যেমন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটে রিসার্চ মেথডোলজির ওপরে অ্যাডভান্স কোর্স করানো হয়।

পড়তে হবে প্রচুর গবেষণা নিবন্ধ: আপনি গবেষণায় নবিশ কিংবা পেশাদার যে পর্যায়েই থাকুন না কেন, অন্যান্য গবেষকের কাজ আপনাকে জানতে হবে, বিভিন্ন জার্নাল সব সময় পড়তে হবে। শুরুতে গবেষণাপত্র পড়তে দুর্বোধ্য বা নীরস মনে হলেও, নিয়মিত গবেষণাপত্র পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। ধীরে ধীরে গবেষণার নানা কাজ ও ধাপ বুঝতে পারবেন আপনি।

এছাড়া যে বিষয়ে আপনি গবেষণায় আগ্রহী, সে বিষয়ে বিভিন্ন নিবন্ধ, সাক্ষাৎকার বা বই পড়ার চেষ্টা করুন। এ ধরনের আগ্রহ থাকলে নতুন গবেষণার আইডিয়া তৈরি করতে পারবেন। গবেষণার প্রক্রিয়া শিখতে ও গবেষণা পর্যালোচনা করার জন্য গবেষণাপত্র পড়ার বিকল্প নেই। ইন্টারনেটে বিভিন্ন ওপেন সোর্স ওয়েবসাইট আছে, যেখান থেকে গবেষণাপত্র পড়ে দেখতে পারেন।

এ রকম কয়েকটি ওয়েবসাইটের লিংক:

www.jstor.org

• onlinelibrary.wiley.com

• scholar.google.com/

• www.sciencedirect.com/science/search

• www.ncbi.nlm.nih.gov/pubmed/

• www.thelancet.com

• bmcpublichealth.biomedcentral.com

© তানিমা ইসলাম
পিএইচডি, অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়।

Higher Study
1 min read

উচ্চশিক্ষার জন্য অস্ট্রেলিয়ায় যেতে যা জানা প্রয়োজন

December 12, 2022

উচ্চশিক্ষার জন্য অস্ট্রেলিয়ায় যেতে যা জানা প্রয়োজন

অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের নানা বিষয়ে পড়ার সুযোগ আছে, রয়েছে নানা ধরনের বৃত্তি। উচ্চশিক্ষার জন্য বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের কাছে অন্যতম পছন্দের গন্তব্য অস্ট্রেলিয়া। দেশটিতে বর্তমানে বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী পড়ালেখা করছেন। অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের নানা বিষয়ে পড়ার সুযোগ আছে, রয়েছে নানা ধরনের বৃত্তি। তাই অস্ট্রেলিয়ায় পড়তে যাওয়া সুযোগ বা চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে জানতে অনেকেই বেশ আগ্রহী। এই নিবন্ধে আমরা তুলে ধরার চেষ্টা করছি প্রয়োজনীয় কিছু তথ্য।

অস্ট্রেলিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে স্নাতকের সুযোগঃ


অস্ট্রেলিয়ার সব বিশ্ববিদ্যালয়েই স্নাতকের সুযোগ আছে। তাই উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েই অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকের জন্য আবেদন করা যায়।তবে সব বিষয়ে পড়ার সুযোগ সব বিশ্ববিদ্যালয়ে নেই। বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে ভর্তির সব তথ্য পাওয়া যাবে। উচ্চমাধ্যমিকে ৬৫% নম্বর এবং ৬.৫ আইইএলটিএস স্কোর থাকলে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক ডিগ্রির জন্য আবেদন করতে পারবেন।

বৃত্তির সুযোগঃ


অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যাচেলর, মাস্টার্স ও পিএইচডি পর্যায়ে বৃত্তির সুযোগ রয়েছে। স্নাতক ও মাস্টার্সের ক্ষেত্রে টিউশন ফির ওপর ৭৫% পর্যন্ত বৃত্তি পাওয়া যায়। ভর্তি ও বৃত্তি পাওয়ার ক্ষেত্রে আইইএলটিএস স্কোর ও প্রাতিষ্ঠানিক ফল বিশেষ গুরুত্ব পায়। স্নাতকোত্তর পড়ার জন্য প্রতিবছর অস্ট্রেলিয়া অ্যাওয়ার্ডস দেয় সে দেশের সরকার। এ বৃত্তির আওতায় শিক্ষার্থী আসা-যাওয়ার বিমানভাড়া, পড়াশোনার যাবতীয় খরচ, থাকা-খাওয়ার খরচসহ গবেষণা এবং বইপত্রের জন্য অর্থ পান। স্নাতকোত্তর পর্যায়ে অনেক বিশ্ববিদ্যালয় আংশিক তহবিল দেয়। বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী ফেলোশিপসহ বিভিন্ন সরকারি বৃত্তির মাধ্যমেও পড়ার সুযোগ আছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় উচ্চতর শিক্ষায় ফেলোশিপ দেওয়ার জন্য আবেদন আহ্বান করে। বিস্তারিত: http://pmfellowship.pmo.gov.bd

সরকারি বৃত্তির যোগ্যতাঃ


অস্ট্রেলিয়া অ্যাওয়ার্ডসের জন্য কাজের অভিজ্ঞতা, নেতৃত্বগুণ ও বাংলাদেশের উন্নয়নে প্রার্থীর সম্ভাব্য ভূমিকাকে গুরুত্ব দেওয়া হয়। প্রতিবছর অনলাইনে এই বৃত্তির আবেদন গ্রহণ করা হয়। আবেদনপ্রক্রিয়া সম্পর্কে জানা যাবে australiaawardsbangladesh.org ওয়েবসাইট থেকে। আইইএলটিএস স্কোরসহ সিভি, নিজের পড়াশোনা ও গবেষণার পরিকল্পনা ও সুপারিশপত্র জমা দিতে হবে আবেদনের সময়।

অন্যান্য বৃত্তিঃ


পিএইচডি ডিগ্রির জন্য অস্ট্রেলিয়া সরকারের রিসার্চ ট্রেনিং প্রোগ্রাম (আরটিপি) নামে একটা ফুল ফান্ডেড বৃত্তি আছে। আরটিপির বৃত্তি পেতে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের অ্যাকাডেমিক সিজিপিএ, গবেষণার অভিজ্ঞতা ও জার্নাল পেপার, আইইএলটিএস স্কোর, কাজের অভিজ্ঞতা গুরুত্ব পায়। এছাড়া আবেদন করার সময় স্টেটমেন্ট অব পারপাস, নিজের সম্পর্কে লেখা ও আবেদনসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর যত ভালোভাবে লেখা যাবে, ততই বাড়বে বৃত্তি ও ভর্তির সুযোগ। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর নিজস্ব তহবিল পেতেও এসব বিষয় খুব গুরুত্বপূর্ণ। পিএইচডি পর্যায়ে শিক্ষার্থী ও গবেষকদের জন্য বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে আলাদাভাবে ফুল ফান্ডসহ ভর্তির সুযোগ আছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে ইমেইল করে এসব বৃত্তির খোঁজ নেওয়া যাবে।

আইইএলটিএস স্কোরঃ


অস্ট্রেলিয়ায় উচ্চশিক্ষার জন্য আইইএলটিএস স্কোর বেশ গুরুত্বপূর্ণ। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে আইইএলটিএস স্কোর অন্তত ৬.৫ প্রয়োজন। আইইএলটিএসের চারটি ভাগে এককভাবে ৬.৫ থেকে ৭ থাকলে বৃত্তি ও ভর্তির সুযোগ-সুবিধা বেশি পাওয়া যায়। আইইএলটিএস স্কোর যত বেশি হবে, ভর্তি ও বৃত্তির ক্ষেত্রে ততই অন্যদের চেয়ে এগিয়ে থাকবেন। কয়েক মাস প্রস্তুতি নিয়ে দেশে বসেই একটি ভালো স্কোর অর্জনের চেষ্টা করুন। অস্ট্রেলিয়ার সবাই ইংরেজিতে কথা বলে, যে কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি ও চাকরির ক্ষেত্রে আইইএলটিএস স্কোরকে গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হয়।

অস্ট্রেলিয়ায় জীবনযাত্রার মান ও ব্যয়ঃ


অস্ট্রেলিয়ার চিকিৎসাসেবা ও সামাজিক নিরাপত্তা অনেক ভালো। বৈষম্যহীন পরিবেশ ও মেধাভিত্তিক কাজের সুযোগ পাওয়া যায়। অস্ট্রেলিয়া উন্নত জীবন ও পড়াশোনার নিশ্চয়তা দেয়। সর্বশেষ টাইমস হায়ার এডুকেশন ও কিউএস র‍্যাঙ্কিং অনুযায়ী অস্ট্রেলিয়ার বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় গ্লোবাল র‍্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষ এক শর মধ্যে আছে। তবে জীবনযাত্রার মান অন্যান্য পশ্চিমা দেশের মতোই ব্যয়বহুল। বিশেষ করে বাসাভাড়া আর নিত্যপ্রয়োজনীয় ব্যয় একটু বেশিই। নিজ খরচে পড়তে এলে প্রচুর টাকার প্রয়োজন হবে। উল্টো দিকে, বৃত্তিসহ পড়তে এলে আপনার তেমন কষ্ট হবে না। এখানে সব নাগরিক সুবিধা হাতের কাছেই পাবেন। জীবনযাপন সহজ, সুন্দর ও সাবলীল। বৃত্তি ছাড়া পড়ার খরচ বৃত্তি ছাড়াও অস্ট্রেলিয়ায় ব্যাচেলর, মাস্টার্স ও পিএইচডি করার সুযোগ আছে। ব্যাচেলর পর্যায়ে বছরে ১৫ হাজার ডলার থেকে ৩০ হাজার ডলারের মতো খরচ পড়বে। মাস্টার্স পর্যায়ে বছরে ২০ হাজার ডলার থেকে ৩৭ হাজার ডলার। এ ছাড়া পিএইচডি পর্যায়ে খরচ ২৫ হাজার থেকে ৪৫ হাজার ডলারে মতো

পড়াশোনার মান ও পরিবেশঃ


ইউরোপের বিভিন্ন দেশের মতো অস্ট্রেলিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর পাঠক্রমও গবেষণাকেন্দ্রিক। শুধু পিএইচডি নয়, মাস্টার্সেও শিক্ষার্থীদের গবেষণাসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন কাজ করতে হয়। অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে বিষয়ের সঙ্গে শিল্পপ্রতিষ্ঠানের সরাসরি সম্পৃক্ততা থাকে। এ কারণে ব্যবহারিক ও তাত্ত্বিক—দুই বিষয়েই শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা করতে হয়।বিশ্ববিদ্যালয়ে মুখস্থ বা বইনির্ভর পড়ার চেয়ে আলোচনা ও গবেষণাকে গুরুত্ব দেয় বেশি। অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণার সুযোগ অনেক বেশি। শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতা ও গবেষণার দিকে আগ্রহী করে তোলার দিকে গুরুত্ব দেওয়া হয় বেশি। বিভিন্ন সমস্যা সমাধান, অ্যাসাইনমেন্ট, গ্রুপ ওয়ার্ক, প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের গবেষণা ও সামাজিক দক্ষতা অর্জনে শিক্ষকেরা সহায়তা করেন।

পড়ালেখার পাশাপাশি কাজ করার সুযোগঃ


অস্ট্রেলিয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার পাশাপাশি কাজের সুযোগ আছে। শিক্ষার্থীরা নানা প্রতিষ্ঠানে কাজের সুযোগ পান। বাংলাদেশি ড্রাইভিং লাইসেন্স দিয়ে শিক্ষার্থী অবস্থায় অস্ট্রেলিয়ায় গাড়ি চালানো যায়। ঘণ্টায় গড়ে ২২-২৮ ডলার আয় করা সম্ভব। এ ছাড়া সুপারশপ, পেট্রলপাম্প, রেস্তোরাঁসহ নানা প্রতিষ্ঠানে খণ্ডকালীন কাজের সুযোগ আছে। তবে শিক্ষার্থী হিসেবে ভিসার শর্ত ও নিয়মকানুন মানতে হবে। এ ধরনের বিষয়ে আইন ভাঙলে অস্ট্রেলিয়ায় জরিমানা ও ভিসা বাতিলের মতো শাস্তির মুখে পড়তে হয়।

 পড়ালেখা শেষ করে চাকরির সুযোগঃ

অস্ট্রেলিয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার পাশাপাশি কাজের সুযোগ আছে। শিক্ষার্থীরা নানা প্রতিষ্ঠানে কাজের সুযোগ পান। বাংলাদেশি ড্রাইভিং লাইসেন্স দিয়ে শিক্ষার্থী অবস্থায় অস্ট্রেলিয়ায় গাড়ি চালানো যায়। ঘণ্টায় গড়ে ২২-২৮ ডলার আয় করা সম্ভব। এ ছাড়া সুপারশপ, পেট্রলপাম্প, রেস্তোরাঁসহ নানা প্রতিষ্ঠানে খণ্ডকালীন কাজের সুযোগ আছে। তবে শিক্ষার্থী হিসেবে ভিসার শর্ত ও নিয়মকানুন মানতে হবে। এ ধরনের বিষয়ে আইন ভাঙলে অস্ট্রেলিয়ায় জরিমানা ও ভিসা বাতিলের মতো শাস্তির মুখে পড়তে হয়।

 পড়ালেখা শেষ করে চাকরির সুযোগঃ


অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন ক্ষেত্রে চাকরির সুযোগ, কোন বিষয়ে পড়ছেন বা কী গবেষণা করছেন, তার ওপর নির্ভর করে। ভালো ফল ও গবেষণায় যুক্ত থাকলে চাকরির সুযোগ-সম্ভাবনা বাড়ে। বিভিন্ন শহরে বিভিন্ন রকমের কাজের সুযোগ। পিএইচডি শেষ করার পর, বিশেষত আন্তর্জাতিকভাবে গবেষণার ক্ষেত্রে যারা অবদান রাখছেন, তাদের জন্য গ্লোবাল ট্যালেন্ট স্কিম নামের একটা সুযোগ আছে। এর মাধ্যমে অনেক গবেষক ও শিক্ষার্থী পড়াশোনা শেষ করে অস্ট্রেলিয়ায় থাকার পাশাপাশি কাজের সুযোগ পান। বেতনকাঠামোও অনেক ভালো।

IELTS
1 min read

ঘরে বসে IELTS প্রস্তুতি নেওয়ার উপায়

September 24, 2023

ঘরে বসে IELTS প্রস্তুতি নেওয়ার উপায়

ঘরে বসে IELTS প্রস্তুতি নেওয়ার উপায় জেনে নিন দেশের বাইরে পড়ালেখা, কাজ বা বসবাসের জন্য কেউ যেতে চাইলে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র হিসেবে IELTS এর স্কোর চাওয়া হয়ে থাকে। IELTS এ কাঙ্ক্ষিত স্কোর তুলতে প্রয়োজন যথাযথ প্রস্তুতি; নতুবা পরীক্ষার ফল বিপর্যয় হবার সম্ভবনা থেকে যায়।  

বর্তমানে IELTS এর প্রস্তুতির জন্য যাবতীয় উপকরণ অনলাইনে উপলব্ধ হবার সুবাদে, ঘরে বসেই বিনামূল্যে নিজে নিজেই একটি ভালো প্রস্তুতি নেয়া সম্ভব।

Test Structure এবং Format এর সাথে পরিচিত হওয়া

IELTS Test এর Structure এবং Format অন্যান্য পরীক্ষার মতো না, বরং এই পরীক্ষা এবং প্রশ্নের ধরণ পুরোপুরি ভিন্ন। পরীক্ষার প্রকৃতি এবং প্রশ্নের ধরণ ভালোভাবে না বুঝে, আয়ত্ত্ব না করেই অনুশীলন শুরু করলে খুব সহজেই উৎসাহ হারিয়ে ফেলার সম্ভবনা দেখা দিতে পারে।

একারণে অনুশীলন শুরু করার আগে ভালোভাবে IELTS এর Format এবং Structure নিয়ে একটা স্পষ্ট ধারণা তৈরি করা জরুরী। এক্ষেত্রে Cambridge IELTS Student’s Books সবচেয়ে ভালো এবং সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারে। এই বইগুলোতে IELTS পরীক্ষার আলোকে পরিপূর্ণ অনুশীলন পরীক্ষার প্রশ্ন দেয়া থাকে। এই অনুশীলন পরীক্ষাগুলোর চর্চা শুরু করার আগে শুধুমাত্র প্রশ্নগুলোর ওপর দিয়ে চোখ বুলিয়ে নিলেই একটা ধারণা পাওয়া যায়।

এভাবে ৪টি ভাগের প্রশ্নপত্রে মনোযোগ সহকারে চোখ বুলালেই একটা সম্পূর্ণ ধারণা পাওয়া যাবে।


অধিকাংশ শিক্ষার্থী এই পরিপূর্ণ ধারণাটি না নিয়েই অনুশীলন চর্চা করে আশাহত হয়ে পরে, কেনোনা এই বিশেষায়িত পরীক্ষায় ভালো করার জন্য কিছু কৌশল অবলম্বন না করা হলে সময়ের মধ্যে শেষ করা কষ্টকর ব্যাপার হয়ে যাবার আশংকা থাকে।

ঘরে বসে IELTS প্রস্তুতি নেওয়ার উপায়

যেমনঃ Reading Section এ সব বাক্যের অর্থ বোঝার প্রয়োজন নেই, প্রয়োজন শুধুমাত্র সেই বাক্য থেকে নির্দিষ্ট কিছু তথ্য খুঁজে বের করার। ফলে প্রশ্ন দেখার আগে পুরো আর্টিকেলটি পড়া অনেকের ক্ষেত্রেই সময়মতো পরীক্ষা শেষ করতে না পারার অন্যতম কারণ।       

বিভিন্ন Accent এর সঙ্গে অভ্যস্ত হওয়া

British Council অনুযায়ী, IELTS Listening Test এ একজন পরীক্ষার্থী British, American, Canadian কিংবা Australian এর মতো কিছু ‘typical English accents’ এ অডিও শুনে থাকবে। যা অনেকের ক্ষেত্রেই নতুন বা সমস্যার কারণ হয়ে উঠতে পারে। ফলে এসব ভিন্ন ভিন্ন Accent এর সঙ্গে পরিচিত হওয়া IELTS Listening এ ভালো করার জন্য জরুরী।

অনুশীলনের জন্য Cambridge IELTS Student’s Books এর অডিও রেকর্ডিং গুলো পরীক্ষা অনুশীলন শুরু করার আগে, কিছুদিন শুধু শুনতে থাকলে বুঝতে কঠিন মনে হওয়া বা বুঝতে না পারার সমস্যা অনেকাংশেই লাঘব হয়ে যাবে।

এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের অনলাইন পডকাস্ট ব্যবহার করা হলে Listening এর পাশাপাশি সার্বিকভাবে ইংরেজি ভাষার ব্যবহারিক দিকগুলো আরো বোধগম্য হয়ে সহজতর হয়ে উঠতে শুরু করবে।

Practice Effictively

প্রতিনিয়ত চর্চার মাধ্যমে IELTS এর ভালো প্রস্তুতি গড়ে তোলা সম্ভব। সারাক্ষণ শুধুমাত্র Excercise Book নিয়ে বসে থাকতে হবে, এমনটা নিয়মমাফিক চর্চা না। বরং নানা ভাবে English এর সঙ্গে Exposure বৃদ্ধি করার মাধ্যমে নিজেকে ইংরেজি ভাষার সঙ্গে অভ্যস্ত করে তুলতে হবে।   

  • Practice Reading Skills

প্রতিনিয়ত বই পড়ার চর্চা যাদের আছে, তারা নিয়ম করে প্রতিদিন ইংরেজি ভাষায় পড়তে থাকুন।  আর যাদের এই অভ্যাস নেই তারা সহজ কিছু ইংরেজি বই,গল্প পড়ার চর্চা শুরু করতে পারেন।

এভাবে নিজেকে ইংরেজি পড়ার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট করে তুলতে পারলে পরীক্ষার আর্টিকেলগুলো থেকে সহজেই প্রয়োজনীয় তথ্য খুঁজে বের করতে পারবেন।

বই পড়ার পাশাপাশি Reading Skills শাণিত করার আরেকটি অন্যতম কৌশল BBC, The Economist এর মতো ভালোমানের কিছু সংবাদ মাধ্যমের সংবাদ পড়ার অভ্যাস তৈরি করা।

বিশেষত এধরনের ভালোমানের কিছু সংবাদ মাধ্যমের নিউজ আর্টিকেল পড়ার মাধ্যমে Reading এর পাশাপাশি Writing Task-1 এবং Task-2 তে ভালো করা সম্ভব হয়।

Writing Task-1 এ গ্রাফ থেকে বর্ণনা কিংবা Task-2 তে ক্রিটিকাল ইস্যু নিয়ে সমালোচনামূলক প্রবন্ধ লেখা এবং বিভিন্ন ধরনের বিষয় নিয়ে প্রকাশিত in-depth সংবাদ প্রতিবেদন, লেখার ক্ষেত্রে দক্ষতা বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে থাকে।    

  • Practice Listening Skills

ইংরেজি ভাষার সংবাদ মাধ্যমের সংবাদ দেখা/ শোনা Listening এর দক্ষতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে সবচেয়ে কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারে। এছাড়াও Ted Talk বা Tedx এর মতো ভালো কিছু প্ল্যাটফর্ম যেখানে বিশেষজ্ঞরা সাম্প্রতিক সহ বিভিন্ন ধরনের ইস্যু নিয়ে তথ্যভিত্তিক উপস্থাপনা প্রদান করে থাকেন।

সাধারণত এধরনের আলোচনা, উপস্থাপনা, কথোপকথনের ট্রান্সক্রিপ্ট থাকে, যা নতুন শব্দ শিখতে এবং সেসব শব্দ বাস্তবে কিভাবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে তা শেখা যায়। ট্রান্সক্রিপ্ট দেখে পড়ার / বলার চর্চা করার ফলে Listening এর পাশাপাশি একই সঙ্গে Reading এবং Speaking এর দক্ষতা বৃদ্ধি হয়।   

  • Speak it Loud

IELTS Speaking test অন্যান্য তিনটি মডিউলের পরীক্ষার কিছু দিন আগে বা পরে হয়ে থাকে। ১৫ মিনিটের এই পরীক্ষাটি ৩টি ভাগে বিভক্ত

  • Introduction
  • Individual long turn
  • Two-way conversation between examiner and examinee.

এই পরীক্ষাটিতে পরীক্ষক একজন পরীক্ষার্থীকে ৪টি বিষয়ের উপর ভিত্তি করে মার্কিং করে থাকেন

  • Fluency & coherence – কথার গতি এবং সাবলীলতা
  • Lexical section – শব্দভান্ডারের বিস্তৃতি এবং ব্যবহার
  • Grammatical range and accuracy – বৈচিত্র সমেত ব্যাকরণের নির্ভুল ব্যবহার
  • The pronunciation section – নির্ভুল, বোধগম্য এবং স্পষ্ট উচ্চারণ

Speaking অনুশীলনের ক্ষেত্রে কিছু বিষয় মাথায় রেখে চর্চা করা উচিৎ,

  1. সুন্দর ও সাবলীলভাবে বাক্য শুরু এবং শেষ করা।
  2. একই শব্দ বা বাক্যের ব্যবহার সম্পুর্ণভাবে পরিহার করা।
  3. বন্ধুদের সাথে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ইংরেজিতে কথা বলার চর্চা করা, তাদের মতামত জানা এবং নিজেকে মূল্যায়ন করা।
  4. নির্ভুলভাবে সরল বাক্য গঠন করে কথা বলা।
  5. নির্ভূলভাবে সঠিক উচ্চারণ করা। 

Speaking skill এ উচ্চারণ ভালো করার জন্য ইংরেজি সিনেমা, শো, রেডিও শো, সংবাদ দেখা কার্যকর একটি উপায়।

Writing Skills

বই পড়ার অভ্যাস যাদের আছে, তাদের লেখার ক্ষেত্রে নতুন শব্দ ব্যবহার এবং ধারণাকে সুন্দর করে উপস্থাপন করা; যাদের এই অভ্যাস নেই তাদের থেকে তুলনামূলকভাবে সহজ।

নতুন ধারণা প্রয়োগের জন্য এই পরীক্ষায় কোন নম্বর নেই বরং সেই ধারণকে কীভাবে উপস্থাপন করা হচ্ছে সেই বিষয়ে নম্বর থাকে। এজন্য নির্ভূলভাবে এবং সুন্দর-সাবলীল বাক্যের সাহায্যে লেখা গুরুত্বপূর্ণ।

IELTS Writing test এ সংক্ষিপ্ত প্রবন্ধ লিখার ক্ষেত্রে রচনার কাঠামোর প্রতি সচেতন হতে হয়। নিচে উল্লেখিত রচনা কাঠামোটি অনুসরণ করা যেতে পারে,

  • Introduction
  • First Paragraph – Main idea, reason, example.
  • Second Paragraph- Main idea, reason, example.
  • Conclusion.

অন্তত ২০-৩০ টি প্রবন্ধ লেখার অনুশীলন করার পর এই কাঠামোটি ভালোভাবে আয়ত্ত্ব হয়ে যাবার পর এই সংক্রান্ত জটিলতা বা সংশয় থাকার সম্ভাবনা থাকবে না।

IELTS পরীক্ষায় ভালো স্কোর অর্জন করা কঠিন। তবে যথাযথ পরিকল্পনা অনুসরণ করে অনুশীলনের মাধ্যমে, নির্দেশনা অনুসরণ করে সব প্রশ্নের উত্তর দেয়া হলে কাঙ্ক্ষিত ভালো স্কোর অর্জন করা অসম্ভব কিছু না।

উপরের ধাপগুলো অনুসরণ করে অনুশীলন চর্চা এবং মডেল টেস্টগুলোর অনুশীলন সম্পন্ন করার মাধ্যমে ৩ মাস বা তারও কম সময়ে কাঙ্ক্ষিত স্কোর তোলা সম্ভব।

নিচে ৮ টি ওয়েবসাইটের নাম দেয়া হল, যেখানে IELTS অনুশীলনের ক্ষেত্রে সহায়ক,

  • IELTS LIZ
  • IELTS SIMON
  • IELTS EXAM
  • IELTS FOR FREE
  • IELTS MENTOR
  • IELTS FIGHTER
  • IELTS PODCAST
  • IELTS BUDDY

এসব ওয়েবসাইটের বাইরেও অনেক ধরনের IELTS এর অনুশীলন সহায়ক ব্লগ, সাইট রয়েছে। শুধুমাত্র সার্চ করেই এসব সাইট অনায়াসে খুঁজে পাওয়া সম্ভব।

Meet Our Team click here

Our Another IELTS Related post: “ঘরে বসে IELTS এর প্রস্তুতি”

Uncategorized
1 min read

রিসার্চ ইথিক্স নিয়ে কিছু কথা – 

December 12, 2022

রিসার্চ ইথিক্স নিয়ে কিছু কথা – 

আমার মনে হয় বিদেশে পড়তে যাওয়া অথবা উচ্চশিক্ষায় রিসার্চ শুরু করার আগে কিছু ব্যাপার আমাদের বুঝা উচিৎ। যেমন, আমার রিসার্চের ফলাফল কখন মিডিয়াতে আসা উচিৎ, কখন এসব নিয়ে কথা বলা উচিৎ, কখন এসব শেয়ার করা উচিৎ- এসব শিক্ষা আর মানসিকতা নিজের মধ্যে রাখা উচিৎ। সচরাচর একটা কাজ করে সেটা জার্নালে পাবলিশ করে সেটা নিয়ে কিছু লিখা সবাইকে বুঝানোর জন্য শেয়ার করা জেতেই পারে। নিজের আনন্দটা অন্যদের সাথে শেয়ার করা বিজ্ঞানের প্রচার এবং প্রকাশের জন্য দরকার। এটা করলে যারা জানে না তারা যেমন জানবে, তেমনি অনেকেই কাজ করার মোটিভেশন পাবে। কিন্তু, সবকিছুর মধ্যে একটা সীমারেখা থাকে সেটা আমাদের রিসার্চ শুরুর আগেই বুঝতে হবে। 

রিসার্চ করার প্রথম একটা ব্যাপার হলো বিবেক/নীতি ঠিক রাখা। মানুষের কাজে আসে এমন কিছু করার চেষ্টা করা। নিজের কৃতিত্ব দফার দফার দেখানোর জন্য যে বিজ্ঞান নয় সেটা আমরা অনেকেই শিখি না, শিখলেও মানি না। ভালো কিছু হলে বিজ্ঞানীরাই বা বিজ্ঞান যারা বুঝে তারাই প্রথম এসব নিয়ে কথা বার্তা বলবে, বিজ্ঞান বুঝে না যারা তারা নিশ্চয়ই নয়। তাই এসব মিথ্যা জিনিষপত্র অথবা যা এখনো সম্পূর্ণ হয় নাই সেটা নিয়ে মাতামাতি করা নিজেকে মূর্খের মত প্রকাশ করা ছাড়া আসলেই কিছু না। যারা বিজ্ঞান বুঝে তারা এসব নিয়ে হাসাহাসি করবে অথবা এড়িয়ে যাবে।

দেশের পত্রপত্রিকাতে শুধু দেখি বিদেশে এই বাংলাদেশী রিসার্চ করে কিছু আবিষ্কার করে পৃথিবী বাঁচিয়ে ফেলেছে, ঐ বিজ্ঞানী দেশ বিদেশের গর্ব আর রক্ষাকর্তা হয়ে উঠেছে। কিন্তু দুঃখের বিষয় বিদেশের যেখানে কাজটা করা হয়েছে সেখানের মিডিয়াতে এইসবের আনাগুনা তো দূরের কথা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিউজেও এসব বড় বড় আবিষ্কারের কথা লিখা হয় না। এসব জিনিষ মিডিয়াতে কারা লিখে, কেন লিখে, কেন মানুষকে উল্টাপাল্টা বুঝানোর চেষ্টা করা হয়, কারা এসব ভুলভাল না বুঝে শেয়ার করে সেটা একটা অদ্ভুত ব্যাপার লাগে। অনেক সময় এসব শেয়ার করে মানুষজন ”intellectual property” law ভঙ্গ করে। নিজের কাজ patent করার আগেই এসব প্রচার করলে patent-rights নষ্ট হয়। 

যাইহোক, এসব করা থেকে একজন বিজ্ঞানমনস্ক মানুষের উচিৎ নিজেকে বিরত রাখা। দিনশেষে, উল্টাপাল্টা বলে কয়দিন ফেমাস হওয়া যায়, কিন্তু বিজ্ঞানে বেশীদিন আগানো যায় না, মানুষের সেবাও করা যায় না।

লিখেছেনঃ Saiful Roney 

PhD candidate, Faculty of Medicine, 

The University of Queensland

© 2025 | All rights reserved