চীনা Certificate এর দেশে দাম কেমন?

এই প্রশ্নের উত্তর দেবার যোগ্যতা এখনও আমার হয়নি আর আমি শোনা কথা বলি না। তবে নিজের দেশ হতে পাওয়া সার্টিফিকেটের বাইরের দুনিয়াতে কি মূল্য তা জানতে নিচের লেখাটি পড় দেখতে পারেনঃ

মুহম্মদ এম জে সিদ্দিকী, ব্রিসবেন (অস্ট্রেলিয়া) থেকে বলেছেনঃ

অস্ট্রেলিয়া কোয়ালিফিকেশন ফ্রেমওয়ার্কের অধীনের এক নীতিমালায় অস্ট্রেলিয়া সরকার বাংলাদেশের সবগুলো বিশ্ববিদ্যালয়কে তিনটি ভাগে ভাগ করেছে।

সেকশন ১: মূলত ১৯৭১ সালের পূর্বে প্রতিষ্ঠিত সকল বিশ্ববিদ্যালয় এই সেকশনের অধীনে আছে। প্রথম ক্যাটাগরিতে রাখার কারণ হিসেবে দুটি বিষয়কে বিবেচনায় আনা হয়েছে। (ক) কোয়ালিফায়েড শিক্ষক, যাঁরা ভালো মানের শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রম নিশ্চিত করেন। (খ) প্রতিযোগিতামূলক ভর্তি পরীক্ষা। যার মাধ্যমে দেশ সেরা ছাত্রছাত্রীদের এই সব বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করানো হয়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ কুয়েট, চুয়েট, ডুয়েট, রুয়েট, কৃষি, বুয়েট, জাহাঙ্গীরনগর, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় এই সেকশনে স্থান পেয়েছে।

সেকশন ২: জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনের সকল কলেজ এই সেকশনে পড়েছে। এখানে বিশেষভাবে গুরুত্ব দিয়ে বলা হয়েছে যে, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও এর অধীনস্থ সকল কলেজের শিক্ষামান স্ট্যান্ডার্ড মানের অনেক নিচে। কলেজের পাশাপাশি এই সেকশনে আরও রাখা হয়েছে দেশের প্রায় সবগুলো প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় ও গত কয়েক বছরের মধ্যে প্রতিষ্ঠিত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে (ফেনী, বরিশাল, কুমিল্লা, যশোর, পাবনা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বাকি সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়)। বিশ্ববিদ্যালয় শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) ও খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়কে (খুবি)!

সেকশন ৩: ওপরের দুই সেকশনের বাইরে যত প্রতিষ্ঠান আছে প্রায় সবগুলো এই সেকশনের অধীনে আছে।

এই রকম সেকশনে ভাগ করে যা করা হয়েছে তা বিস্তারিত বোঝাতে নিচে দুটি উদাহরণ দিচ্ছি |

সেকশন ১-এর অধীনের যেকোনো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একজন ছাত্র বা ছাত্রী যদি চার বছরের ব্যাচেলর পাস করার পর দুই বছরের মাস্টার্স করে, তবে তার এই দুটি ডিগ্রিকেই অস্ট্রেলিয়ার ব্যাচেলর ও মাস্টার্সের সমপর্যায়ের বলে ধরা হবে। অর্থাৎ এই ছাত্র বা ছাত্রীর পক্ষে বাংলাদেশে মাস্টার্স করে অস্ট্রেলিয়ার যেকোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডির জন্য সরাসরি অ্যাপ্লাই করতে পারবে।


সেকশন ২-এর লিস্টেড বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে যদি কেউ চার বছরের (অনার্স) ব্যাচেলর করে তবে তার ডিগ্রি অস্ট্রেলিয়ার মূল ব্যাচেলর ডিগ্রির অ্যাসোসিয়েট বলে ধরা হবে। দুই বছরের মাস্টার্স ডিগ্রিকেও অস্ট্রেলিয়ার মূল মাস্টার্স ডিগ্রির অ্যাসোসিয়েট ডিগ্রি ভাবা হবে। এই ছাত্র বা ছাত্রী যদি চার বছরের (অনার্স) ব্যাচেলরের পরে আবার দুই বছরের মাস্টার্স করে তবে তার যোগ্যতাকে অস্ট্রেলিয়ার ব্যাচেলরের সমপর্যায়ের ভাবা হয় (তাও থিসিস ও ডিগ্রির মূল্যায়ন সাপেক্ষে)। তার মানে সেকশন ২-এর কোনো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চার বছরের অনার্স ও দুই বছরের মাস্টার্সের পর অস্ট্রেলিয়াতে কেউ সরাসরি পিএইচডি করতে পারবে না। এমনকি মাস্টার্সে অ্যাপ্লাই করলেও সেটা অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরে বলা যাবে যে, সেই ছাত্র বা ছাত্রী আসলে মাস্টার্সে ভর্তি হতে পারবে কি না!

রেফারেন্সঃ goo.gl/mHQFav

এই দেখুন বেলজিয়াম থেকে পাঠানো একটি মাস্টার্স প্রোগ্রাম এর ইমেইল যেখানে বাংলাদেশের পাবলিক থেকে পাশ করা আমার জুনিয়রের অনার্স কে ডিপ্লোমা বলছে …….

আগে নিজের ক্যাপাসিটি জানা যাক। পরে অন্যের কামানো চুলের দিকে প্রশ্ন তুলি…. নাকি !!! চাইনিজ সার্টিফিকেট নিয়ে অন্যান্য সকল দেশে এপ্লাই করলে সমান সমান মূল্য পাওয়া যায়……. না হয় অশিক্ষিতরাই মূল্য দিল না…. লাগবে না….. ওদের মূল্যায়ন কে গোনে….. 😕

©শাহানুল ইসলাম

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *