
About Me
Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipisicing elit. Eum in eos saepe ipsa cupiditate accusantium voluptatibus quidem nam, reprehenderit, et necessitatibus adipisci.
- Web Design Full stack
- 24/7 Support
- Unlimited Revisions
What I Am Doing
Web Design Full stack
Lorem ipsum, dolor sit amet consectetur adipisicing elit. Inventore dolorum atque dicta distinctio mollitia fuga.
Web Design
Lorem ipsum, dolor sit amet consectetur adipisicing elit. Inventore dolorum atque dicta distinctio mollitia fuga.
Our Trusted Clients
Education Quality
Personal Portfolio April Fools
University of DVI (1997 - 2001))The education should be very interactual. Ut tincidunt est ac dolor aliquam sodales. Phasellus sed mauris hendrerit, laoreet sem in, lobortis mauris hendrerit ante.
Examples Of Personal Portfolio
University of DVI (1997 - 2001))Contrary to popular belief. Ut tincidunt est ac dolor aliquam sodales. Phasellus sed mauris hendrerit, laoreet sem in, lobortis mauris hendrerit ante.
Tips For Personal Portfolio
University of DVI (1997 - 2001))Generate Lorem Ipsum which looks. Ut tincidunt est ac dolor aliquam sodales. Phasellus sed mauris hendrerit, laoreet sem in, lobortis mauris hendrerit ante.
Education Quality
Diploma in Web Development
BSE In CSE (2004 - 2008)Contrary to popular belief. Ut tincidunt est ac dolor aliquam sodales. Phasellus sed mauris hendrerit, laoreet sem in, lobortis mauris hendrerit ante.
The Personal Portfolio Mystery
Job at Rainbow-Themes (2008 - 2016)Generate Lorem Ipsum which looks. Ut tincidunt est ac dolor aliquam sodales. Phasellus sed mauris hendrerit, laoreet sem in, lobortis mauris hendrerit ante.
Tips For Personal Portfolio
University of DVI (1997 - 2001))Maecenas finibus nec sem ut imperdiet. Ut tincidunt est ac dolor aliquam sodales. Phasellus sed mauris hendrerit, laoreet sem in, lobortis mauris hendrerit ante.
Design Skill
PHOTOSHOT.
FIGMA
ADOBE XD.
ADOBE ILLUSTRATOR
DESIGN
Development Skill
PHOTOSHOT.
FIGMA
ADOBE XD.
ADOBE ILLUSTRATOR
DESIGN
আমি আমার এই ভিডিওটিতে দেখিয়েছি দালাল ছাড়া আপনারা কিভাবে নিজে নিজে ঘরে বসে Pending Backend verification সমস্যার সমাধান করতে পারবেন। আপনারা যদি এভাবে আমার দেখানো ভিডিওর মত কাজ করেন আপনারা নিজেরাই আপনাদের Pending Backend Verification সমস্যার সমাধান করতে পারবেন, কোন প্রকার দালাল এবং টাকা পয়সা খরচ করার প্রয়োজন পড়বে না।
Details Issue:
Assalamu Alaikum, My name is …………, I am a new passport applicant. My passport application number: ………….. I completed Biometrics on …./…./2023 by submitting all required documents at (passport office name) Passport Office. Date of collection of my passport- …/…/2023, but today …/…/2023 after …. days the application status is stuck in pending backend verification. I am supposed to get my passport in 21 days but police verification is still not done then it is taking long time to get my passport. I am a student, passport is very important for my IELTS test next month. I have no informational error in the application. Please look into my issue seriously.
পাসপোর্ট পুলিশ ভেরিফিকেশন নিয়ম
আমি আমার এই ভিডিওটিতে দেখিয়েছি দালাল ছাড়া আপনারা কিভাবে নিজে নিজে ঘরে বসে Pending SB Police verification সমস্যার সমাধান করতে পারবেন। আপনারা যদি এভাবে আমার দেখানো ভিডিওর মত কাজ করেন আপনারা নিজেরাই আপনাদের Pending SB Police Verification সমস্যার সমাধান করতে পারবেন, কোন প্রকার দালাল এবং টাকা পয়সা খরচ করার প্রয়োজন পড়বে না।
Assalamu Alaikum sir,
I am a new passport applicant, my passport status is showing “Pending SB Police Clearance”. I have provided Biometrics to Passport Office along with all required documents to (passport office name) Passport Office on (Date). Possible date of collection of my passport is (Date) but my police verification is not done yet. Sir it is very important to get my passport as soon as because I have IELTS test next month. Therefore, an urgent request, Kindly draw attention to complete my police verification as soon as possible. Then I hope to get my passport soon.
Thank you sir!
একুশে বইমেলা-2023
- Name Nadim Mahmud
- Date 14-02-2023
আমার এই ছবিটি অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০২৩ এ উঠানো। এই ছবিটি উঠিয়েছে ছোট ভাই সুজান হাসান।
অমর একুশে গ্রন্থমেলা, ব্যাপকভাবে পরিচিত একুশে বইমেলা, স্বাধীন বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী মেলাগুলোর অন্যতম। প্রতি বছর পুরো ফেব্রুয়ারি মাস জুড়ে এই মেলা বাংলা একাডেমির বর্ধমান হাউজ প্রাঙ্গণে ও বর্ধমান হাউজ ঘিরে অনুষ্ঠিত হয়। ২০১৪ খ্রিষ্টাব্দ থেকে অমর একুশে গ্রন্থমেলা বাংলা একাডেমির মুখোমুখি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সম্প্রসারণ করা হয়েছে। তবে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গনেও মেলার একটি অংশ আয়োজন করা হয়।
১৯৫২ খ্রিস্টাব্দের ফেব্রুয়ারি মাসের ২১ তারিখ বাংলা ভাষার জন্য আত্মোৎসর্গের যে বীরত্বপূর্ণ ঘটনা ঘটে, সেই স্মৃতিকে অম্লান রাখতেই এই মাসে আয়োজিত এই বইমেলার নামকরণ করা হয় ‘অমর একুশে গ্রন্থমেলা’।



Brac
কোর্স সম্পর্কিত তথ্য
দক্ষতা স্তর: শিক্ষানবিস
কোর্সে অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা: ১৩৩৬৭৩
ভাষা: বাংলা
লেকচার সংখ্যা: ৪
ভিডিও: ১৩:২৫ মিনিট
বিবরণ
কোভিড-১৯ -সচেতনতা ও প্রতিকার কোর্সটিতে আপনাকে স্বাগতম। ব্র্যাক ও সরকারের একসেস টু ইনফরমেশন প্রোগ্রাম যৌথভাবে কোর্সটি চালু করেছে। করোনা ভাইরাস ও প্রতিরোধে আমাদের করণীয় কোর্সটি আগ্রহী সাধারন জনগণ, ভলেন্টিয়ার, ডাক্তার ও গণমাধ্যম শিক্ষার্থীদের জন্য তৈরি করা হয়েছে। কোর্সটির মাধ্যমে যেকেউ কোভেড-১৯ ভাইরাস ও প্রতিরোধে করণীয় বিষয়ে জরুরি প্রাথমিক জ্ঞান অর্জনে সক্ষম হবেন।
প্রশিক্ষণটিতে একজন প্রশিক্ষণার্থী তার সুবিধামত সময়ে কম্পিউটার বা মোবাইল দিয়ে ইন্টারনেটে সংযুক্ত হয়ে ৩০ মিনিটেরও কম সময় ব্যয় করেই কোর্সটি সম্পন্ন করতে পারবেন। প্রশিক্ষণে ৩ টি পাঠ্যতালিকা আছে। প্রতিটি পাঠ্যতালিকা শিক্ষার্থীর জন্য উন্মুক্ত ও প্রত্যেক পাঠ্যতালিকায় একটি অডিও-ভিজুয়াল লেকচার আছে। সেই সাথে প্রত্যেক মডিউলে শেষে বিভিন্ন কুইজ আছে, যেখানে শতকরা ৮০ ভাগ নম্বর পেলে আপনারা পরবর্তি মডিউলে যেতে পারবেন এবং কোর্সটি সম্পন্ন করতে পারবেন।
কোর্সটি সফলভাবে সম্পন্ন করার পর আপনি ব্র্যাক ও একসেস টু ইনফরমেশন প্রোগ্রাম (এটুআই)- এর প্রধান কর্তৃক স্বাক্ষরিত একটি সনদ অর্জন করতে পারবেন। সনদটি অনলাইনে ডাউনলোডও করার সুযোগ আছে। কোর্স সংক্রান্ত যেকোনো প্রশ্ন, মন্তব্য, পরামর্শ জানাতে পারবেন ওয়েবসাইটের ‘আলোচনা’ অংশে।
| Verify My Course |

Yale University
About this Course
An overview of the ideas, methods, and institutions that permit human society to manage risks and foster enterprise. Emphasis on financially-savvy leadership skills. Description of practices today and analysis of prospects for the future. Introduction to risk management and behavioral finance principles to understand the real-world functioning of securities, insurance, and banking industries. The ultimate goal of this course is using such industries effectively and towards a better society.
| Verify My Course |
Instructor

Robert Shiller
Sterling Professor of Economics at Yale University
Offered by

Yale University
For more than 300 years, Yale University has inspired the minds that inspire the world. Based in New Haven, Connecticut, Yale brings people and ideas together for positive impact around the globe. A research university that focuses on students and encourages learning as an essential way of life, Yale is a place for connection, creativity, and innovation among cultures and across disciplines.

Harvard Medical
As COVID-19 continues to spread throughout the world, it is apparent that adverse mental health effects are also impacting our communities. J. Kevin Tucker, MD, assistant professor of medicine at Harvard Medical School, spoke with Christopher Palmer, MD, a practicing academic psychiatrist, about the mental health effects of the ongoing pandemic and how health care providers can help their patients navigate this challenging time.
There is No One-Size-Fits-All Solution
Psychiatrists and psychiatric experts are anticipating that a mental health crisis will result from the coronavirus pandemic. In addition to the innumerable lives lost, communities have experienced increased unemployment, which in itself often leads to increased rates of domestic violence, alcoholism, drug abuse and suicide.
While everyone is experiencing this pandemic differently, we are collectively facing an extraordinary level of stress. There is not a one-size-fits-all solution for those suffering from mental health effects as we navigate to ‘the new normal.’
| View Details |
Follow Me: Facebook
রিসার্চ ইথিক্স নিয়ে কিছু কথা –
রিসার্চ ইথিক্স নিয়ে কিছু কথা –
আমার মনে হয় বিদেশে পড়তে যাওয়া অথবা উচ্চশিক্ষায় রিসার্চ শুরু করার আগে কিছু ব্যাপার আমাদের বুঝা উচিৎ। যেমন, আমার রিসার্চের ফলাফল কখন মিডিয়াতে আসা উচিৎ, কখন এসব নিয়ে কথা বলা উচিৎ, কখন এসব শেয়ার করা উচিৎ- এসব শিক্ষা আর মানসিকতা নিজের মধ্যে রাখা উচিৎ। সচরাচর একটা কাজ করে সেটা জার্নালে পাবলিশ করে সেটা নিয়ে কিছু লিখা সবাইকে বুঝানোর জন্য শেয়ার করা জেতেই পারে। নিজের আনন্দটা অন্যদের সাথে শেয়ার করা বিজ্ঞানের প্রচার এবং প্রকাশের জন্য দরকার। এটা করলে যারা জানে না তারা যেমন জানবে, তেমনি অনেকেই কাজ করার মোটিভেশন পাবে। কিন্তু, সবকিছুর মধ্যে একটা সীমারেখা থাকে সেটা আমাদের রিসার্চ শুরুর আগেই বুঝতে হবে।
রিসার্চ করার প্রথম একটা ব্যাপার হলো বিবেক/নীতি ঠিক রাখা। মানুষের কাজে আসে এমন কিছু করার চেষ্টা করা। নিজের কৃতিত্ব দফার দফার দেখানোর জন্য যে বিজ্ঞান নয় সেটা আমরা অনেকেই শিখি না, শিখলেও মানি না। ভালো কিছু হলে বিজ্ঞানীরাই বা বিজ্ঞান যারা বুঝে তারাই প্রথম এসব নিয়ে কথা বার্তা বলবে, বিজ্ঞান বুঝে না যারা তারা নিশ্চয়ই নয়। তাই এসব মিথ্যা জিনিষপত্র অথবা যা এখনো সম্পূর্ণ হয় নাই সেটা নিয়ে মাতামাতি করা নিজেকে মূর্খের মত প্রকাশ করা ছাড়া আসলেই কিছু না। যারা বিজ্ঞান বুঝে তারা এসব নিয়ে হাসাহাসি করবে অথবা এড়িয়ে যাবে।
দেশের পত্রপত্রিকাতে শুধু দেখি বিদেশে এই বাংলাদেশী রিসার্চ করে কিছু আবিষ্কার করে পৃথিবী বাঁচিয়ে ফেলেছে, ঐ বিজ্ঞানী দেশ বিদেশের গর্ব আর রক্ষাকর্তা হয়ে উঠেছে। কিন্তু দুঃখের বিষয় বিদেশের যেখানে কাজটা করা হয়েছে সেখানের মিডিয়াতে এইসবের আনাগুনা তো দূরের কথা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিউজেও এসব বড় বড় আবিষ্কারের কথা লিখা হয় না। এসব জিনিষ মিডিয়াতে কারা লিখে, কেন লিখে, কেন মানুষকে উল্টাপাল্টা বুঝানোর চেষ্টা করা হয়, কারা এসব ভুলভাল না বুঝে শেয়ার করে সেটা একটা অদ্ভুত ব্যাপার লাগে। অনেক সময় এসব শেয়ার করে মানুষজন ”intellectual property” law ভঙ্গ করে। নিজের কাজ patent করার আগেই এসব প্রচার করলে patent-rights নষ্ট হয়।
যাইহোক, এসব করা থেকে একজন বিজ্ঞানমনস্ক মানুষের উচিৎ নিজেকে বিরত রাখা। দিনশেষে, উল্টাপাল্টা বলে কয়দিন ফেমাস হওয়া যায়, কিন্তু বিজ্ঞানে বেশীদিন আগানো যায় না, মানুষের সেবাও করা যায় না।
লিখেছেনঃ Saiful Roney
PhD candidate, Faculty of Medicine,
The University of Queensland
ঘরে বসে IELTS প্রস্তুতি নেওয়ার উপায়
ঘরে বসে IELTS প্রস্তুতি নেওয়ার উপায়
ঘরে বসে IELTS প্রস্তুতি নেওয়ার উপায় জেনে নিন দেশের বাইরে পড়ালেখা, কাজ বা বসবাসের জন্য কেউ যেতে চাইলে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র হিসেবে IELTS এর স্কোর চাওয়া হয়ে থাকে। IELTS এ কাঙ্ক্ষিত স্কোর তুলতে প্রয়োজন যথাযথ প্রস্তুতি; নতুবা পরীক্ষার ফল বিপর্যয় হবার সম্ভবনা থেকে যায়।
বর্তমানে IELTS এর প্রস্তুতির জন্য যাবতীয় উপকরণ অনলাইনে উপলব্ধ হবার সুবাদে, ঘরে বসেই বিনামূল্যে নিজে নিজেই একটি ভালো প্রস্তুতি নেয়া সম্ভব।
Test Structure এবং Format এর সাথে পরিচিত হওয়া
IELTS Test এর Structure এবং Format অন্যান্য পরীক্ষার মতো না, বরং এই পরীক্ষা এবং প্রশ্নের ধরণ পুরোপুরি ভিন্ন। পরীক্ষার প্রকৃতি এবং প্রশ্নের ধরণ ভালোভাবে না বুঝে, আয়ত্ত্ব না করেই অনুশীলন শুরু করলে খুব সহজেই উৎসাহ হারিয়ে ফেলার সম্ভবনা দেখা দিতে পারে।
একারণে অনুশীলন শুরু করার আগে ভালোভাবে IELTS এর Format এবং Structure নিয়ে একটা স্পষ্ট ধারণা তৈরি করা জরুরী। এক্ষেত্রে Cambridge IELTS Student’s Books সবচেয়ে ভালো এবং সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারে। এই বইগুলোতে IELTS পরীক্ষার আলোকে পরিপূর্ণ অনুশীলন পরীক্ষার প্রশ্ন দেয়া থাকে। এই অনুশীলন পরীক্ষাগুলোর চর্চা শুরু করার আগে শুধুমাত্র প্রশ্নগুলোর ওপর দিয়ে চোখ বুলিয়ে নিলেই একটা ধারণা পাওয়া যায়।
এভাবে ৪টি ভাগের প্রশ্নপত্রে মনোযোগ সহকারে চোখ বুলালেই একটা সম্পূর্ণ ধারণা পাওয়া যাবে।
অধিকাংশ শিক্ষার্থী এই পরিপূর্ণ ধারণাটি না নিয়েই অনুশীলন চর্চা করে আশাহত হয়ে পরে, কেনোনা এই বিশেষায়িত পরীক্ষায় ভালো করার জন্য কিছু কৌশল অবলম্বন না করা হলে সময়ের মধ্যে শেষ করা কষ্টকর ব্যাপার হয়ে যাবার আশংকা থাকে।

যেমনঃ Reading Section এ সব বাক্যের অর্থ বোঝার প্রয়োজন নেই, প্রয়োজন শুধুমাত্র সেই বাক্য থেকে নির্দিষ্ট কিছু তথ্য খুঁজে বের করার। ফলে প্রশ্ন দেখার আগে পুরো আর্টিকেলটি পড়া অনেকের ক্ষেত্রেই সময়মতো পরীক্ষা শেষ করতে না পারার অন্যতম কারণ।
বিভিন্ন Accent এর সঙ্গে অভ্যস্ত হওয়া
British Council অনুযায়ী, IELTS Listening Test এ একজন পরীক্ষার্থী British, American, Canadian কিংবা Australian এর মতো কিছু ‘typical English accents’ এ অডিও শুনে থাকবে। যা অনেকের ক্ষেত্রেই নতুন বা সমস্যার কারণ হয়ে উঠতে পারে। ফলে এসব ভিন্ন ভিন্ন Accent এর সঙ্গে পরিচিত হওয়া IELTS Listening এ ভালো করার জন্য জরুরী।
অনুশীলনের জন্য Cambridge IELTS Student’s Books এর অডিও রেকর্ডিং গুলো পরীক্ষা অনুশীলন শুরু করার আগে, কিছুদিন শুধু শুনতে থাকলে বুঝতে কঠিন মনে হওয়া বা বুঝতে না পারার সমস্যা অনেকাংশেই লাঘব হয়ে যাবে।
এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের অনলাইন পডকাস্ট ব্যবহার করা হলে Listening এর পাশাপাশি সার্বিকভাবে ইংরেজি ভাষার ব্যবহারিক দিকগুলো আরো বোধগম্য হয়ে সহজতর হয়ে উঠতে শুরু করবে।
Practice Effictively
প্রতিনিয়ত চর্চার মাধ্যমে IELTS এর ভালো প্রস্তুতি গড়ে তোলা সম্ভব। সারাক্ষণ শুধুমাত্র Excercise Book নিয়ে বসে থাকতে হবে, এমনটা নিয়মমাফিক চর্চা না। বরং নানা ভাবে English এর সঙ্গে Exposure বৃদ্ধি করার মাধ্যমে নিজেকে ইংরেজি ভাষার সঙ্গে অভ্যস্ত করে তুলতে হবে।
- Practice Reading Skills
প্রতিনিয়ত বই পড়ার চর্চা যাদের আছে, তারা নিয়ম করে প্রতিদিন ইংরেজি ভাষায় পড়তে থাকুন। আর যাদের এই অভ্যাস নেই তারা সহজ কিছু ইংরেজি বই,গল্প পড়ার চর্চা শুরু করতে পারেন।
এভাবে নিজেকে ইংরেজি পড়ার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট করে তুলতে পারলে পরীক্ষার আর্টিকেলগুলো থেকে সহজেই প্রয়োজনীয় তথ্য খুঁজে বের করতে পারবেন।
বই পড়ার পাশাপাশি Reading Skills শাণিত করার আরেকটি অন্যতম কৌশল BBC, The Economist এর মতো ভালোমানের কিছু সংবাদ মাধ্যমের সংবাদ পড়ার অভ্যাস তৈরি করা।
বিশেষত এধরনের ভালোমানের কিছু সংবাদ মাধ্যমের নিউজ আর্টিকেল পড়ার মাধ্যমে Reading এর পাশাপাশি Writing Task-1 এবং Task-2 তে ভালো করা সম্ভব হয়।
Writing Task-1 এ গ্রাফ থেকে বর্ণনা কিংবা Task-2 তে ক্রিটিকাল ইস্যু নিয়ে সমালোচনামূলক প্রবন্ধ লেখা এবং বিভিন্ন ধরনের বিষয় নিয়ে প্রকাশিত in-depth সংবাদ প্রতিবেদন, লেখার ক্ষেত্রে দক্ষতা বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে থাকে।
- Practice Listening Skills
ইংরেজি ভাষার সংবাদ মাধ্যমের সংবাদ দেখা/ শোনা Listening এর দক্ষতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে সবচেয়ে কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারে। এছাড়াও Ted Talk বা Tedx এর মতো ভালো কিছু প্ল্যাটফর্ম যেখানে বিশেষজ্ঞরা সাম্প্রতিক সহ বিভিন্ন ধরনের ইস্যু নিয়ে তথ্যভিত্তিক উপস্থাপনা প্রদান করে থাকেন।
সাধারণত এধরনের আলোচনা, উপস্থাপনা, কথোপকথনের ট্রান্সক্রিপ্ট থাকে, যা নতুন শব্দ শিখতে এবং সেসব শব্দ বাস্তবে কিভাবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে তা শেখা যায়। ট্রান্সক্রিপ্ট দেখে পড়ার / বলার চর্চা করার ফলে Listening এর পাশাপাশি একই সঙ্গে Reading এবং Speaking এর দক্ষতা বৃদ্ধি হয়।
- Speak it Loud
IELTS Speaking test অন্যান্য তিনটি মডিউলের পরীক্ষার কিছু দিন আগে বা পরে হয়ে থাকে। ১৫ মিনিটের এই পরীক্ষাটি ৩টি ভাগে বিভক্ত
- Introduction
- Individual long turn
- Two-way conversation between examiner and examinee.
এই পরীক্ষাটিতে পরীক্ষক একজন পরীক্ষার্থীকে ৪টি বিষয়ের উপর ভিত্তি করে মার্কিং করে থাকেন
- Fluency & coherence – কথার গতি এবং সাবলীলতা
- Lexical section – শব্দভান্ডারের বিস্তৃতি এবং ব্যবহার
- Grammatical range and accuracy – বৈচিত্র সমেত ব্যাকরণের নির্ভুল ব্যবহার
- The pronunciation section – নির্ভুল, বোধগম্য এবং স্পষ্ট উচ্চারণ
Speaking অনুশীলনের ক্ষেত্রে কিছু বিষয় মাথায় রেখে চর্চা করা উচিৎ,
- সুন্দর ও সাবলীলভাবে বাক্য শুরু এবং শেষ করা।
- একই শব্দ বা বাক্যের ব্যবহার সম্পুর্ণভাবে পরিহার করা।
- বন্ধুদের সাথে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ইংরেজিতে কথা বলার চর্চা করা, তাদের মতামত জানা এবং নিজেকে মূল্যায়ন করা।
- নির্ভুলভাবে সরল বাক্য গঠন করে কথা বলা।
- নির্ভূলভাবে সঠিক উচ্চারণ করা।
Speaking skill এ উচ্চারণ ভালো করার জন্য ইংরেজি সিনেমা, শো, রেডিও শো, সংবাদ দেখা কার্যকর একটি উপায়।
Writing Skills
বই পড়ার অভ্যাস যাদের আছে, তাদের লেখার ক্ষেত্রে নতুন শব্দ ব্যবহার এবং ধারণাকে সুন্দর করে উপস্থাপন করা; যাদের এই অভ্যাস নেই তাদের থেকে তুলনামূলকভাবে সহজ।
নতুন ধারণা প্রয়োগের জন্য এই পরীক্ষায় কোন নম্বর নেই বরং সেই ধারণকে কীভাবে উপস্থাপন করা হচ্ছে সেই বিষয়ে নম্বর থাকে। এজন্য নির্ভূলভাবে এবং সুন্দর-সাবলীল বাক্যের সাহায্যে লেখা গুরুত্বপূর্ণ।
IELTS Writing test এ সংক্ষিপ্ত প্রবন্ধ লিখার ক্ষেত্রে রচনার কাঠামোর প্রতি সচেতন হতে হয়। নিচে উল্লেখিত রচনা কাঠামোটি অনুসরণ করা যেতে পারে,
- Introduction
- First Paragraph – Main idea, reason, example.
- Second Paragraph- Main idea, reason, example.
- Conclusion.
অন্তত ২০-৩০ টি প্রবন্ধ লেখার অনুশীলন করার পর এই কাঠামোটি ভালোভাবে আয়ত্ত্ব হয়ে যাবার পর এই সংক্রান্ত জটিলতা বা সংশয় থাকার সম্ভাবনা থাকবে না।
IELTS পরীক্ষায় ভালো স্কোর অর্জন করা কঠিন। তবে যথাযথ পরিকল্পনা অনুসরণ করে অনুশীলনের মাধ্যমে, নির্দেশনা অনুসরণ করে সব প্রশ্নের উত্তর দেয়া হলে কাঙ্ক্ষিত ভালো স্কোর অর্জন করা অসম্ভব কিছু না।
উপরের ধাপগুলো অনুসরণ করে অনুশীলন চর্চা এবং মডেল টেস্টগুলোর অনুশীলন সম্পন্ন করার মাধ্যমে ৩ মাস বা তারও কম সময়ে কাঙ্ক্ষিত স্কোর তোলা সম্ভব।
নিচে ৮ টি ওয়েবসাইটের নাম দেয়া হল, যেখানে IELTS অনুশীলনের ক্ষেত্রে সহায়ক,
- IELTS LIZ
- IELTS SIMON
- IELTS EXAM
- IELTS FOR FREE
- IELTS MENTOR
- IELTS FIGHTER
- IELTS PODCAST
- IELTS BUDDY
এসব ওয়েবসাইটের বাইরেও অনেক ধরনের IELTS এর অনুশীলন সহায়ক ব্লগ, সাইট রয়েছে। শুধুমাত্র সার্চ করেই এসব সাইট অনায়াসে খুঁজে পাওয়া সম্ভব।
Meet Our Team click here
Our Another IELTS Related post: “ঘরে বসে IELTS এর প্রস্তুতি”
উচ্চশিক্ষার জন্য অস্ট্রেলিয়ায় যেতে যা জানা প্রয়োজন
অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের নানা বিষয়ে পড়ার সুযোগ আছে, রয়েছে নানা ধরনের বৃত্তি। উচ্চশিক্ষার জন্য বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের কাছে অন্যতম পছন্দের গন্তব্য অস্ট্রেলিয়া। দেশটিতে বর্তমানে বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী পড়ালেখা করছেন। অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের নানা বিষয়ে পড়ার সুযোগ আছে, রয়েছে নানা ধরনের বৃত্তি। তাই অস্ট্রেলিয়ায় পড়তে যাওয়া সুযোগ বা চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে জানতে অনেকেই বেশ আগ্রহী। এই নিবন্ধে আমরা তুলে ধরার চেষ্টা করছি প্রয়োজনীয় কিছু তথ্য।
অস্ট্রেলিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে স্নাতকের সুযোগঃ
অস্ট্রেলিয়ার সব বিশ্ববিদ্যালয়েই স্নাতকের সুযোগ আছে। তাই উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েই অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকের জন্য আবেদন করা যায়।তবে সব বিষয়ে পড়ার সুযোগ সব বিশ্ববিদ্যালয়ে নেই। বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে ভর্তির সব তথ্য পাওয়া যাবে। উচ্চমাধ্যমিকে ৬৫% নম্বর এবং ৬.৫ আইইএলটিএস স্কোর থাকলে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক ডিগ্রির জন্য আবেদন করতে পারবেন।
বৃত্তির সুযোগঃ
অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যাচেলর, মাস্টার্স ও পিএইচডি পর্যায়ে বৃত্তির সুযোগ রয়েছে। স্নাতক ও মাস্টার্সের ক্ষেত্রে টিউশন ফির ওপর ৭৫% পর্যন্ত বৃত্তি পাওয়া যায়। ভর্তি ও বৃত্তি পাওয়ার ক্ষেত্রে আইইএলটিএস স্কোর ও প্রাতিষ্ঠানিক ফল বিশেষ গুরুত্ব পায়। স্নাতকোত্তর পড়ার জন্য প্রতিবছর অস্ট্রেলিয়া অ্যাওয়ার্ডস দেয় সে দেশের সরকার। এ বৃত্তির আওতায় শিক্ষার্থী আসা-যাওয়ার বিমানভাড়া, পড়াশোনার যাবতীয় খরচ, থাকা-খাওয়ার খরচসহ গবেষণা এবং বইপত্রের জন্য অর্থ পান। স্নাতকোত্তর পর্যায়ে অনেক বিশ্ববিদ্যালয় আংশিক তহবিল দেয়। বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী ফেলোশিপসহ বিভিন্ন সরকারি বৃত্তির মাধ্যমেও পড়ার সুযোগ আছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় উচ্চতর শিক্ষায় ফেলোশিপ দেওয়ার জন্য আবেদন আহ্বান করে। বিস্তারিত: http://pmfellowship.pmo.gov.bd
সরকারি বৃত্তির যোগ্যতাঃ
অস্ট্রেলিয়া অ্যাওয়ার্ডসের জন্য কাজের অভিজ্ঞতা, নেতৃত্বগুণ ও বাংলাদেশের উন্নয়নে প্রার্থীর সম্ভাব্য ভূমিকাকে গুরুত্ব দেওয়া হয়। প্রতিবছর অনলাইনে এই বৃত্তির আবেদন গ্রহণ করা হয়। আবেদনপ্রক্রিয়া সম্পর্কে জানা যাবে australiaawardsbangladesh.org ওয়েবসাইট থেকে। আইইএলটিএস স্কোরসহ সিভি, নিজের পড়াশোনা ও গবেষণার পরিকল্পনা ও সুপারিশপত্র জমা দিতে হবে আবেদনের সময়।
অন্যান্য বৃত্তিঃ
পিএইচডি ডিগ্রির জন্য অস্ট্রেলিয়া সরকারের রিসার্চ ট্রেনিং প্রোগ্রাম (আরটিপি) নামে একটা ফুল ফান্ডেড বৃত্তি আছে। আরটিপির বৃত্তি পেতে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের অ্যাকাডেমিক সিজিপিএ, গবেষণার অভিজ্ঞতা ও জার্নাল পেপার, আইইএলটিএস স্কোর, কাজের অভিজ্ঞতা গুরুত্ব পায়। এছাড়া আবেদন করার সময় স্টেটমেন্ট অব পারপাস, নিজের সম্পর্কে লেখা ও আবেদনসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর যত ভালোভাবে লেখা যাবে, ততই বাড়বে বৃত্তি ও ভর্তির সুযোগ। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর নিজস্ব তহবিল পেতেও এসব বিষয় খুব গুরুত্বপূর্ণ। পিএইচডি পর্যায়ে শিক্ষার্থী ও গবেষকদের জন্য বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে আলাদাভাবে ফুল ফান্ডসহ ভর্তির সুযোগ আছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে ইমেইল করে এসব বৃত্তির খোঁজ নেওয়া যাবে।
আইইএলটিএস স্কোরঃ
অস্ট্রেলিয়ায় উচ্চশিক্ষার জন্য আইইএলটিএস স্কোর বেশ গুরুত্বপূর্ণ। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে আইইএলটিএস স্কোর অন্তত ৬.৫ প্রয়োজন। আইইএলটিএসের চারটি ভাগে এককভাবে ৬.৫ থেকে ৭ থাকলে বৃত্তি ও ভর্তির সুযোগ-সুবিধা বেশি পাওয়া যায়। আইইএলটিএস স্কোর যত বেশি হবে, ভর্তি ও বৃত্তির ক্ষেত্রে ততই অন্যদের চেয়ে এগিয়ে থাকবেন। কয়েক মাস প্রস্তুতি নিয়ে দেশে বসেই একটি ভালো স্কোর অর্জনের চেষ্টা করুন। অস্ট্রেলিয়ার সবাই ইংরেজিতে কথা বলে, যে কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি ও চাকরির ক্ষেত্রে আইইএলটিএস স্কোরকে গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হয়।
অস্ট্রেলিয়ায় জীবনযাত্রার মান ও ব্যয়ঃ
অস্ট্রেলিয়ার চিকিৎসাসেবা ও সামাজিক নিরাপত্তা অনেক ভালো। বৈষম্যহীন পরিবেশ ও মেধাভিত্তিক কাজের সুযোগ পাওয়া যায়। অস্ট্রেলিয়া উন্নত জীবন ও পড়াশোনার নিশ্চয়তা দেয়। সর্বশেষ টাইমস হায়ার এডুকেশন ও কিউএস র্যাঙ্কিং অনুযায়ী অস্ট্রেলিয়ার বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় গ্লোবাল র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষ এক শর মধ্যে আছে। তবে জীবনযাত্রার মান অন্যান্য পশ্চিমা দেশের মতোই ব্যয়বহুল। বিশেষ করে বাসাভাড়া আর নিত্যপ্রয়োজনীয় ব্যয় একটু বেশিই। নিজ খরচে পড়তে এলে প্রচুর টাকার প্রয়োজন হবে। উল্টো দিকে, বৃত্তিসহ পড়তে এলে আপনার তেমন কষ্ট হবে না। এখানে সব নাগরিক সুবিধা হাতের কাছেই পাবেন। জীবনযাপন সহজ, সুন্দর ও সাবলীল। বৃত্তি ছাড়া পড়ার খরচ বৃত্তি ছাড়াও অস্ট্রেলিয়ায় ব্যাচেলর, মাস্টার্স ও পিএইচডি করার সুযোগ আছে। ব্যাচেলর পর্যায়ে বছরে ১৫ হাজার ডলার থেকে ৩০ হাজার ডলারের মতো খরচ পড়বে। মাস্টার্স পর্যায়ে বছরে ২০ হাজার ডলার থেকে ৩৭ হাজার ডলার। এ ছাড়া পিএইচডি পর্যায়ে খরচ ২৫ হাজার থেকে ৪৫ হাজার ডলারে মতো
পড়াশোনার মান ও পরিবেশঃ
ইউরোপের বিভিন্ন দেশের মতো অস্ট্রেলিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর পাঠক্রমও গবেষণাকেন্দ্রিক। শুধু পিএইচডি নয়, মাস্টার্সেও শিক্ষার্থীদের গবেষণাসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন কাজ করতে হয়। অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে বিষয়ের সঙ্গে শিল্পপ্রতিষ্ঠানের সরাসরি সম্পৃক্ততা থাকে। এ কারণে ব্যবহারিক ও তাত্ত্বিক—দুই বিষয়েই শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা করতে হয়।বিশ্ববিদ্যালয়ে মুখস্থ বা বইনির্ভর পড়ার চেয়ে আলোচনা ও গবেষণাকে গুরুত্ব দেয় বেশি। অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণার সুযোগ অনেক বেশি। শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতা ও গবেষণার দিকে আগ্রহী করে তোলার দিকে গুরুত্ব দেওয়া হয় বেশি। বিভিন্ন সমস্যা সমাধান, অ্যাসাইনমেন্ট, গ্রুপ ওয়ার্ক, প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের গবেষণা ও সামাজিক দক্ষতা অর্জনে শিক্ষকেরা সহায়তা করেন।
পড়ালেখার পাশাপাশি কাজ করার সুযোগঃ
অস্ট্রেলিয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার পাশাপাশি কাজের সুযোগ আছে। শিক্ষার্থীরা নানা প্রতিষ্ঠানে কাজের সুযোগ পান। বাংলাদেশি ড্রাইভিং লাইসেন্স দিয়ে শিক্ষার্থী অবস্থায় অস্ট্রেলিয়ায় গাড়ি চালানো যায়। ঘণ্টায় গড়ে ২২-২৮ ডলার আয় করা সম্ভব। এ ছাড়া সুপারশপ, পেট্রলপাম্প, রেস্তোরাঁসহ নানা প্রতিষ্ঠানে খণ্ডকালীন কাজের সুযোগ আছে। তবে শিক্ষার্থী হিসেবে ভিসার শর্ত ও নিয়মকানুন মানতে হবে। এ ধরনের বিষয়ে আইন ভাঙলে অস্ট্রেলিয়ায় জরিমানা ও ভিসা বাতিলের মতো শাস্তির মুখে পড়তে হয়।
পড়ালেখা শেষ করে চাকরির সুযোগঃ
অস্ট্রেলিয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার পাশাপাশি কাজের সুযোগ আছে। শিক্ষার্থীরা নানা প্রতিষ্ঠানে কাজের সুযোগ পান। বাংলাদেশি ড্রাইভিং লাইসেন্স দিয়ে শিক্ষার্থী অবস্থায় অস্ট্রেলিয়ায় গাড়ি চালানো যায়। ঘণ্টায় গড়ে ২২-২৮ ডলার আয় করা সম্ভব। এ ছাড়া সুপারশপ, পেট্রলপাম্প, রেস্তোরাঁসহ নানা প্রতিষ্ঠানে খণ্ডকালীন কাজের সুযোগ আছে। তবে শিক্ষার্থী হিসেবে ভিসার শর্ত ও নিয়মকানুন মানতে হবে। এ ধরনের বিষয়ে আইন ভাঙলে অস্ট্রেলিয়ায় জরিমানা ও ভিসা বাতিলের মতো শাস্তির মুখে পড়তে হয়।
পড়ালেখা শেষ করে চাকরির সুযোগঃ
অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন ক্ষেত্রে চাকরির সুযোগ, কোন বিষয়ে পড়ছেন বা কী গবেষণা করছেন, তার ওপর নির্ভর করে। ভালো ফল ও গবেষণায় যুক্ত থাকলে চাকরির সুযোগ-সম্ভাবনা বাড়ে। বিভিন্ন শহরে বিভিন্ন রকমের কাজের সুযোগ। পিএইচডি শেষ করার পর, বিশেষত আন্তর্জাতিকভাবে গবেষণার ক্ষেত্রে যারা অবদান রাখছেন, তাদের জন্য গ্লোবাল ট্যালেন্ট স্কিম নামের একটা সুযোগ আছে। এর মাধ্যমে অনেক গবেষক ও শিক্ষার্থী পড়াশোনা শেষ করে অস্ট্রেলিয়ায় থাকার পাশাপাশি কাজের সুযোগ পান। বেতনকাঠামোও অনেক ভালো।
আন্ডারগ্র্যাজুয়েট লেভেল থেকে গবেষণা যেভাবে শুরু করবেন
গবেষণার চর্চা শুধু যে গবেষকদের জন্য দরকার, তা নয়। এখনকার প্রেক্ষাপটে উচ্চশিক্ষা, বৃত্তি, ফেলোশিপ, কিংবা চাকরির ক্ষেত্রেও গবেষণার অভিজ্ঞতা ভীষণ প্রয়োজন। আমাদের দেশে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে কিংবা মেডিকেল কলেজে গবেষণার ওপর তেমন জোর দেওয়া হয় না, স্নাতক বা স্নাতকোত্তর পর্যায়েও অনেক ক্ষেত্রে সুযোগ কম। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়জীবনের শুরু থেকেই গবেষণার চর্চা শুরু করা উচিত।
গবেষণাসংক্রান্ত কোর্স করুন: গবেষণার ধরন, গবেষণাসংক্রান্ত দক্ষতা এবং এর বিভিন্ন ধাপ নিয়ে সরাসরি বা অনলাইন প্ল্যাটফর্মে বিভিন্ন কোর্স পরিচালনা করে বাংলাদেশের বিভিন্ন সংস্থা। এ ছাড়া বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা, প্ল্যাটফর্ম এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনলাইন কোর্সেও গবেষণাসংক্রান্ত কোর্স অফার করা হয়। এসব কোর্সের তত্ত্বীয় ও ব্যবহারিক ধাপে গবেষণাসংক্রান্ত জ্ঞান অর্জনের সুযোগ আছে।
যেহেতু বিষয়ভেদে প্রচলিত গবেষণা পদ্ধতিতে কিছু পার্থক্য থাকে, সেহেতু আপনি যে বিষয়ে পড়ছেন, এর সঙ্গে সম্পর্কিত সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানে আবেদন করতে পারেন। ভবিষ্যতে আপনি যদি গণস্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করতে চান, তাহলে আইসিডিডিআরবি, ব্র্যাক জেমস পি গ্র্যান্ট স্কুল অব পাবলিক হেলথ, পি আই রিসার্চ সেন্টার কিংবা বাইনারি ডেটা ল্যাবে গবেষণা শেখার শর্টকোর্সে ভর্তি হতে পারেন। এ ছাড়া স্ট্যাটিসটিক্যাল সফটওয়্যার এসপিএসএস, এসটিএটিএর ওপর কোর্স করতে পারেন, যা যেকোনো বিষয়ের গবেষণার জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ কারিগরি দক্ষতা হিসেবে বিবেচিত হয়। ইন্টারনেটে এডএক্স, কোর্সেরাসহ বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে নানা ধরনের কোর্স বেশ স্বল্পমূল্যে বা বিনা মূল্যে করার সুযোগ আছে। কাজ বা পড়াশোনার ফাঁকে ফাঁকে কোর্স করে, গবেষণার নানা ধাপ ও প্রক্রিয়া শেখা সম্ভব।
যেসব ওয়েবসাইটে গবেষণাবিষয়ক কোর্স সম্পর্কে জানতে পারেন:
• https://training.icddrb.org/siteinfo/circularDetail?1=1&view=171
• https://bracjpgsph.org
• https://www.pircc.org/training/
• https://binarydatalab.org/category/training/
• https://www.coursera.org/courses?query=research
হাতে-কলমে গবেষণা: গবেষণা শেখার জন্য হাতে-কলমে ব্যবহারিক পদ্ধতি সবচেয়ে বেশি কার্যকর। বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে অনেক অধ্যাপক ও শিক্ষক গবেষণায় যুক্ত থাকেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় তাই শিক্ষকের পরামর্শ নিন। তাঁদের সঙ্গে তথ্য সংগ্রহ, তথ্য বিশ্লেষণ ও গবেষণার কাজে যুক্ত হতে পারেন। আরেকটি কার্যকর উপায় হলো দেশীয় বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানে খণ্ডকালীন কর্মী বা শিক্ষানবিশ হিসেবে কাজ। আপনার বিশ্ববিদ্যালয় বা কর্মক্ষেত্রের বাইরেও বিভিন্ন গবেষণা কাজে স্বেচ্ছাসেবক বা সহকারী হিসেবে কাজ শুরু করতে পারেন।
আপনি বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিআইআইএসএস), বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজ, ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টসহ (বিআইজিডি) বিভিন্ন দেশীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানে গবেষণা সহকারী হিসেবে কাজের সুযোগ খুঁজতে পারেন। দলগতভাবে হাতে-কলমে তথ্য সংগ্রহ থেকে শুরু করে তথ্য বিশ্লেষণ ও গবেষণাপত্র লেখার কাজও শিখতে পারবেন। এ ধরনের অভিজ্ঞতা থেকে অনেক সময় আন্তর্জাতিক গবেষণাপত্রে লেখার সুযোগ পাওয়া যায়। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়েও কিন্তু গবেষণার ওপর উন্মুক্ত কোর্স আছে। যেমন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটে রিসার্চ মেথডোলজির ওপরে অ্যাডভান্স কোর্স করানো হয়।
পড়তে হবে প্রচুর গবেষণা নিবন্ধ: আপনি গবেষণায় নবিশ কিংবা পেশাদার যে পর্যায়েই থাকুন না কেন, অন্যান্য গবেষকের কাজ আপনাকে জানতে হবে, বিভিন্ন জার্নাল সব সময় পড়তে হবে। শুরুতে গবেষণাপত্র পড়তে দুর্বোধ্য বা নীরস মনে হলেও, নিয়মিত গবেষণাপত্র পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। ধীরে ধীরে গবেষণার নানা কাজ ও ধাপ বুঝতে পারবেন আপনি।
এছাড়া যে বিষয়ে আপনি গবেষণায় আগ্রহী, সে বিষয়ে বিভিন্ন নিবন্ধ, সাক্ষাৎকার বা বই পড়ার চেষ্টা করুন। এ ধরনের আগ্রহ থাকলে নতুন গবেষণার আইডিয়া তৈরি করতে পারবেন। গবেষণার প্রক্রিয়া শিখতে ও গবেষণা পর্যালোচনা করার জন্য গবেষণাপত্র পড়ার বিকল্প নেই। ইন্টারনেটে বিভিন্ন ওপেন সোর্স ওয়েবসাইট আছে, যেখান থেকে গবেষণাপত্র পড়ে দেখতে পারেন।
এ রকম কয়েকটি ওয়েবসাইটের লিংক:
www.jstor.org
• onlinelibrary.wiley.com
• scholar.google.com/
• www.sciencedirect.com/science/search
• www.ncbi.nlm.nih.gov/pubmed/
• www.thelancet.com
• bmcpublichealth.biomedcentral.com
© তানিমা ইসলাম
পিএইচডি, অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়।
আমি ওই ছেলেটাকে কোন উত্তর দেইনি। প্রশ্নই আসে না উত্তর দেয়ার
কুষ্টিয়ার ইসলামিক ইউনিভার্সিটির এক ছাত্র আমাকে একটা ই-মেইল করেছে। পুরো বিষয়টা বুঝিয়ে বলার আগে বরং মেইলে সে কি লিখেছে; সেটা বলা যাক। মেইলটি সে ইংরেজিতে লিখেছে। এর বাংলা করলে যা দাঁড়ায়-
স্যার,
আমি কুষ্টিয়ার ইসলামিক ইউনিভার্সিটির সমাজকর্ম বিভাগের তৃতীয়বর্ষের ছাত্র। আমার খুব ইচ্ছা আমি বিদেশে পড়তে যাবো। আমার রেজাল্ট অনেক ভালো। আমার স্থান ক্লাসে সেকেন্ড। তবে আমার পারিবারিক অবস্থা অতটা ভালো না। আমার স্কলারশিপ এবং পার্টটাইম জবও লাগবে। আমি আপনার ইউনিভার্সিটি কিংবা অন্য যে কোন ইউনিভার্সিটিতে বিদেশে পড়তে যেতে চাই। আমার কি আই-ই-এলটিএস লাগবে?
তো, এই পুরো মেইলটি সে লিখেছে সাবজেক্ট বক্সে! ইউনিভার্সিটি’তে পড়ুয়া একটা ছেলে বিদেশি একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষককে মেইল করেছে। সেখানে মূল মেইল বক্সে কিছুই লেখা নেই! একদম ফাঁকা! আর সাবজেক্ট বক্সে এইসব লিখে রেখেছে!
এই মেইলটি এসছে গত পরশু। তখনই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম এই নিয়ে কিছু লিখব। লেখার একদম সময় পাচ্ছিলাম না। আজ খানিক সময় পেয়েছি। তাই ভাবলাম লিখে ফেলা যাক।
আমার এখানে সামার ভ্যাকেশন চলছে। প্রায় আড়াই মাসের ছুটি শেষ হতে চলেছে। সেপ্টেম্বরের দুই তারিখ থেকে আবার ক্লাস, সেমিনার, কনফারেন্স, থিসিস সুপারভিশন শুরু। তো, এই আড়াই মাস ছুটিতে আমি কি কি করেছি?
সাধারণত প্রতি সামারই কোন না কোন দেশে ঘুরতে যাই আমি। গত দুই সামারে যাওয়া হচ্ছে না। এই সামারেও কোথাও যাইনি। তাই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম- কিছু একটা শিখবো। গত ১৮ বছর ধরেই প্রতি সামারে আমি নতুন কিছু না কিছু শিখছি। চাকরি করে সামার মানে গ্রীষ্মের ছুটি ছাড়া আর অন্য কোন সময়ে খুব একটা সুযোগ পাওয়া যায় না।
আমার মনে আছে এক সামারে মনে হলো গীটারটা ভালো করে শিখে ফেলা যাক। শিখেও ফেললাম। আরেক সামারে মনে হলো একটা নতুন ভাষা শিখে ফেললে কেমন হয়? শিখেও ফেললাম এস্তনিয়ান ভাষা। শুধু শিখিইনি। পরীক্ষা দিয়ে একশোতে সর্বোচ্চ ৯১ নাম্বার পেয়ে পাশও করেছি। এভাবে অন্যান্য সামারে আরও কিছু ভাষাও আমি শিখেছি। হারমনিকা বাজানো শিখেছি। আরেক সামারে তো সালসা ড্যান্সের পুরো কোর্স শেষ করে ফেলেছি।
এই সামারেও নতুন একটা বিষয় শিখছি। যেহেতু এখনও শেখা শেষ হয়নি। তাই এই নিয়ে আজ বলছি না। এই শেখার বাইরেও আমার মনে হয়েছে- আমার হাতে সময় আছে। আমি আমার ইংরেজি বই লেখাটা শেষ করেছি। এরপরও মনে হলো হাতে সময় আছে। একটা আস্ত বাংলা বইও লেখা শেষ করেছি। শুধু শেষ’ই করিনি। প্রকাশকের কাছে পাঠিয়েও দিয়েছি। আশা করছি দ্রুতই প্রকাশ হবে। এই যে আপনারা আমাকে ফেসবুকে লিখতে দেখতেন কিংবা আপনাদের কমেন্টের উত্তর দিতে দেখেন। আমি আমার ফেসবুকে সময় দেই তখনই; যখন আমার হাতে ফ্রি সময় থাকে। অর্থাৎ আমি আমার ফ্রি সময় টুকুও কাজে লাগানোর চেষ্টা করি। নইলে সকালে ঘুম থেকে উঠে রাতে ঘুমানোর আগ পর্যন্ত আমি কাজ’ই করি।
এখন আপনারা হয়ত ভাবতে পারেন, আমি আমার কথা কেন লিখছি। আমি তো আর এমন কেউ নই। অতি অবশ্যই আমি এমন কোন গুরুত্বপূর্ণ মানুষ নই। কোন সফল মানুষও নই। তবে এই উদাহরণটা দেয়ার একটা কারন আছে। লেখার শেষে আমি এটি ব্যাখ্যা করব। নিজেকে জাহির করা আমার উদ্দেশ্য নয়।আমার মনে আছে আজ থেকে ২৫ বছর আগে আমি যখন সিলেটের শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছিলাম- আমার নিজের একটা ডেস্কটপ কম্পিউটার ছিল। যেহেতু আমার বাসা ঢাকায়। ছুটি-ছাটার সময় সিলেট থেকে সিপিইউটা সাথে করে নিয়ে আসতাম ঢাকায়। আমাদের ঢাকার বাসাতে আলাদা একটা মনিটর ছিল। ছুটির সময় আমি কম্পিউটারের নানান সব বিষয় নিজে নিজে শেখার চেষ্টা করলাম।আজ থেকে ২০-২২ বছর আগেই তো আমি জানতাম কিভাবে ই-মেইল লিখতে হয়। তাহলে এই যুগে এসে, যেখানে সবার হাতে হাতে স্মার্ট ফোন। ইন্টারনেট সবার হাতের নাগালে। সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয়বর্ষের একজন ছাত্র, যে নিজেকে ক্লাসে সেকেন্ড দাবী করছে! সে কিনা একটা ই-মেইল লিখছে সাবজেক্ট বক্সে!শুধু তা-ই না। একটা ইংরেজি মেইল লিখেছে; এর মাঝে হাজারটা ভুল! আমি এখানে তিনটা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াই। একটায় ফুল টাইম। বাদ বাকী দু’টোয় পয়েন্ট ২৫ বেসিসে পড়াই। আমার কাছে প্রতিদিন পৃথিবীর নানান দেশ থেকে ছাত্র-ছাত্রীরা মাস্টার্স-পিএইচডি করার জন্য মেইল করে। এটা খুব স্বাভাবিক বিষয়।এখন প্রশ্ন হচ্ছে- আমি কী সব মেইল পুরোটা পড়ি? হ্যাঁ, আমি সব মেইলই খুলে দেখি। কিন্তু প্রথম দুই-তিন লাইন পড়ে যদি আমার ভালো না লাগে; তাহলে আমি আর পড়ি না।আমি এই জানুয়ারিতে দেশে গিয়েছিলাম। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে বিভিন্ন কলজের সমাজ বিজ্ঞানের শিক্ষকদের গবেষণা পদ্ধতি বিষয়ক একটা ট্রেনিং কোর্সে পড়িয়েছি। দেখলাম প্রায় সকল শিক্ষক বিদেশে পড়তে আসতে চায়।আরেক বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়েছি গেস্ট লেকচারার হিসেবে। ওখানকার ছাত্ররাও প্রায় সবাই বিদেশে পড়তে আসতে চায়।আমার ধারণা বাংলাদেশের ছাত্র-শিক্ষকদের একটা বিশাল অংশ এখন বিদেশে পড়তে আসতে চায়। কারন তারা হয়ত বিদেশেই সেটেল হতে চায়। এটা যার যার ব্যাপার। আমার এতে কোন আপত্তি নেই।তো, বিদেশে পড়তে আসতে হলো নিজেকে সেভাবে প্রস্তুত করতে হবে। সেটা আপনি যেই দেশেই পড়তে যান। আমি বরং খুব ছোট করে দুই একটা টিপস দেই।প্রথম কাজ হচ্ছে- ইংরেজিতে অতি অবশ্যই ভালো হতে হবে। আপনাকে যদি ইংরেজিতেই পড়াশুনা করতে হয়; তাহলে ইংরেজি না জানলে কিভাবে পড়বেন? আপনাকে ইংরেজদের মত ইংরেজি বলতে হবে না। স্রেফ ইংরেজিতে পড়ার মত যোগ্যতা থাকতে হবে। এর মানে হচ্ছে- বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া অবস্থাতেই ইংরেজির চর্চা করতে হবে। শিখতে হবে। যাতে করে পাশ করার সঙ্গে সঙ্গে আই-ই-এলটিএস পরীক্ষা দিয়ে অন্তত ছয় কিংবা সাড়ে ছয় পাওয়া যায়। সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয় গুলো সাধারণত এমনই চায়। তবে নামি-দাবী বিশ্ববিদ্যালয় গুলো এর চাইতে বেশিও চাইতে পারে। এই যেমন ইংল্যান্ডের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করার সময় আমাদের লেগেছিল মিনিমাম সাড়ে সাত পয়েন্ট।যা হোক, মূল বিষয় হচ্ছে ইংরেজি জানতে হবে।
দ্বিতীয় বিষয়ঃ কিভাবে ই-মেইল করতে হয় সেটি অতি অবশ্যই শিখতে হবে। শুধু সেটাই না। কিভাবে প্রথম তিন-চার লাইনেই একজন অধ্যাপক কিংবা যে কাউকে ইম্প্রেস করা যায়; সেটিও শিখতে হবে।
তৃতীয় বিষয়ঃ যখনই সময় পাওয়া যাবে। পৃথিবীর বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েব সাইট নিজেকেই ঘেঁটে ঘেঁটে দেখতে হবে। এতে করে বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর রিকয়ারমেন্ট গুলো জানা যাবে। নিজেকে সেভাবে প্রস্তুতও করা যাবে।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে- ইংরেজি কিভাবে শিখবেন? কিংবা ই-মেইল করা কিভাবে শিখবো?
এই জন্যই আসলে আমি আমার নিজের কাজের বিবরণ দিয়েছি। আমাদের দেশের ছেলে-মেয়েরা দিনভর ফেসবুক করে। ইউটিউব দেখে। এরপর সর্বক্ষণ পরচর্চা করে বেড়ায়। এইসব না করে- যখনই সময় পাওয়া যাবে ইউটিউব দেখে কিংবা বই পড়ে ইংরেজি শিখে ফেলার চেষ্টা করতে হবে। একই ভাবে কিভাবে ই-মেইল লেখা যায়। কিভাবে মোটিভেশন লেটার লেখা যায়; এইসবও শেখা সম্ভব।
আমাদের সময়ে ইন্টারনেট সব জায়গায় ছিল না। আমি আজ থেকে ২২ বছর আগের কথা বলছি। আমরা সাইবার ক্যাফেতে গিয়ে ইন্টারনেট চালাতাম। এরপরও ইচ্ছা থাকায় শিখতে পেরেছে। আর এখন তো এইসব শেখার জন্য কোথাও যাবার দরকার নেই। একটা পয়সাও খরচ করার দরকার নেই। প্রত্যন্ত গ্রামের বাসায় বসেও স্রেফ নিজের মোবাইল টিপে ইউটিউব দেখেই শিখে নেয়া সম্ভব। বই পড়তে মন না চাইলেও সমস্যা নেই।
আমি ওই ছেলেটাকে কোন উত্তর দেইনি। প্রশ্নই আসে না উত্তর দেয়ার। আমার মনে হয়েছে বরং আস্ত একটা লেখা লিখি সবার জন্য। মূল বিষয় হচ্ছে সময় টুকু কাজে লাগাতে হবে। আমরা বাংলাদেশিরা জীবনের একটা বিশাল অংশ শুয়ে-বসে কিংবা কোন কিছু না করেই কাটিয়ে দেই। আপনার যদি কোন কাজ না থাকে। তাহলেও আপনি ঘরে বসে কিছু একটা শিখে ফেলতে পারেন। জীবনের কোন না কোন সময় এটি কাজে দিবে। জেনে রাখুন- আপনার ভাগ্য আপনাকেই তৈরি করতে হবে। কেউ এসে তৈরি করে দেবে না। এই ছেলেটা যদি চমৎকার করে একটা মেইল লিখত। কে জানে; আমি হয়ত তাকে উত্তর দিতাম।

আমিনুল ইসলাম স্যার
ফিনল্যান্ড (Finland)

ফিনল্যান্ড (Finland)
ফিনল্যান্ড উত্তর ইউরোপীয় একটি ধনী রাষ্ট্র। এর প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে সুইডেন, নরওয়ে, রাশিয়া। দেশটি অসম্ভব সুন্দর এবং শীত প্রধান দেশ। পৃথিবীর সুখী দেশ গুলোর তালিকায় ফিনল্যান্ড সবসময়ই প্রথম সারিতে থাকে।
শিক্ষা ব্যাবস্থা : ফিনল্যান্ডের শিক্ষা ব্যাবস্থা খুবই উন্নত। পৃথিবীর প্রথম সারির দেশ গুলোর একটি। আপনি এই দেশের ভার্সিটি গুলো থেকে ব্যাচেলর, মাস্টার্স বা পিএইচডি করতে পারেন। ফিনল্যান্ডের ভার্সিটি গুলো সাধারণ তিন বছরের ব্যাচেলর কোর্স অফার করে এবং মাস্টার্সের জন্য দুই বছর। আপনি ইন্জিনিয়ারিং, বিজনেস, আর্টস সহ আরো নানা ধরনের বিষয়ে উপর উচ্চতর শিক্ষা নিতে পারবেন।
আবেদনের সময়: নভেম্বরের শেষ থেকে জানুয়ারির মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন। তবে কিছু কোর্সের জন্য আবেদনের সময় ভিন্ন। আবেদন করার জন্য নিচের লিঙ্ক টি ব্যাবহার করতে হবে। বিস্তারিত সেখানেই পাবেন।
লিঙ্ক: https://studyinfo.fi/wp2/en/
* ব্যাচেলরে ভর্তির জন্য এডমিশন টেস্ট দিতে হবে।
* IELTS ছাড়াও হয়তো কিছু ভার্সিটি এডমিশন লেটার অফার করতে পারে এবং ভিসাও পেয়ে যাবেন হয়তো। IELTS এ ৬.৫ থাকলে সব ভার্সিটিতে আবেদনের যোগ্য আপনি।
* মাস্টার্সের জন্য ব্যাচেলরে ৬৫-৭০% স্কোর থাকা ভাল।
টিউশন ফি : ২০১৭ সাল পর্যন্ত ফিনল্যান্ডের ভার্সিটি গুলোতে পড়ালেখা সম্পূর্ণ ফ্রি ছিলো কিন্তু এরপর থেকে টিউশন ফি নেয়া শুরু করেছে। ভার্সিটি ভেদে টিউশন ফি কম বা বেশি হতে পারে। তবে সাধারণত টিউশন ফি ৮০০০ – ১৬০০০ € মধ্যে হয়ে থাকে।
স্কলারশিপ : ফিনল্যান্ডের প্রায় প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয় নানান ধরনের স্কলারশিপ দিয়ে থাকে। বিশেষ করে টিউশন ফির উপর। আপনার একাডেমি রেজাল্টর উপর ভিত্তি করে ভার্সিটি আপনাকে ৫০-১০০% পর্যন্ত টিউশন ফি মাপ করতে পারে এমন কি প্রতি মাসে কিছু টাকাও দিতে পারে।
পার্ট-টাইম জব: ফিনল্যান্ড শীত প্রধান দেশ। তাই সবসময়ই যে কাজ পাবেন এমনটা নয়। পার্ট-টাইম জব করে টিউশন ফি দিতে পারবেন না। প্রতি সপ্তাহে ২৫ ঘন্টা কাজ করতে পারবেন। আর ছুটিতে ফুল টাউম কাজ করতে পারবেন। প্রতি ঘন্টায় কাজের জন্য ৯-১৩ € করে পারবে। এখন নিজেই হিসেব করেন কেমন কি ইনকাম করতে পারবেন।
পারমানেন্ট রেসিডেন্স : পারমানেন্ট রেসিডেন্স হবার জন্য আপনাকে নিজের বিষয় ভিত্তিক জব করতেই হবে এমন কোন বাধ্যবাধকতা নেই। আপনি চাইলে যে কোন রিগাল জব দিয়েই এপ্লাই করতে পারবেন তবে সেলারী অব্যশই প্রতি মাসে 1260 ইউরো অথবা বেশি হতে হবে।। আর এই কন্ডিশন পড়ালেখা শেষ করে ওয়ার্ক পারমিট এ যাওয়া + 4 বছর পর পারমানেন্ট হওয়ার উভয় ক্ষেত্রে একই।
ভিসা : ফিনল্যান্ড এমবাসি বাংলাদেশে নেই। যার জন্য আপনাকে ভারতে যেতে হবে। আবেদন ফি ৩৬০ €। যদি আপনি টিউশন ফি দিতে না হয় তবে আপনার ব্যাংক একাউন্টে ৬৭২০.০০ € দেখাতে হবে আর যি টিউশন ফি দিতে হয় তবে এর সাথে টিউশন ফি এমাউন্টও দেখাতে হবে। টাকাটা কোথা থেকে এসেছে সেটারও ডকুমেন্টস লাগবে।

Nevine Acotanza
Chief Operating OfficerI am available for freelance work. Connect with me via and call in to my account.
Phone: +01234567890 Email: admin@example.com