আপনি পাব্লিক ভার্সিটিতে তে পড়েন? Great! আপনি প্রাইভেটে পড়েন? Good! আপনি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় এর অধীনে কোন কলেজে পড়েন? amazing! ভাই, বুকে আসেন। চলেন এক কাপ চা খাই।
.
অনেকেই মনে করে, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ি, আমারে দ্বারা কিছু হবেনা। আমি কি উচ্চশিক্ষায় বিদেশে যেতে পারব? আমাদের থেকে অন্যরা তো অনেক এগিয়ে। আপনি যদি তাদের একজন হন তাহলে এই পোস্টটি আপনাকেই খুঁজছে!
.
লাইফে যা হওয়ার তা হয়ে গিয়েছে, এখন আর যাতে খারাপ কিছু না হয় সেজন্য কাজ করতে হবে। পাব্লিকে পড়ার স্বপ্ন ছিলো পূরণ হয়নি, মধ্যবিত্ত বলে প্রাইভেটেও পড়তে পারেন নি, জীবনে ভার্সিটি নামক স্বাদ নিতে পারেন নি, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে কিছু হবে না, ছোটোবেলার স্বপ্ন গুলো অধরা থেকে যাচ্ছে, সাথে আরো কয়েক’শ হতাশা!
আপনি যদি সত্যিই চান লাইফের বাকী অংশটায় স্বপ্নের ছোঁয়া লাগাবেন, তাহলে হাতে যা আছে তা নিয়েই মাঠে নামতে হবে! সাধারণত এক গ্লাস পানি তেমন বিশেষ কিছু না হলেও বিশাল মরুভূমির মাঝে এক গ্লাস পানি অনেক কিছু! সুতরাং এই এক গ্লাস পানি নিয়েই আপনাকে মরুভূমি পার করতে হবে। আসুন খেলায় নামি!
.
প্রথমেই আগের অপ্রাপ্তির চিন্তা ভাবনা বাদ দিতে হবে। এখন আপনাকে মাথায় আনতে হবে আগামীর কথা! সবসময় পজেটিভ চিন্তা রাখবেন। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে আপনি বরং আরো একধাপ এগিয়ে থাকতে পারবেন। বিশ্বাস হয়না? চলুন একটা পরিসংখ্যান করা যাক।
.
⇨ কেয়ার না করাঃ যারা public এ পড়ে, তারা ভাবে অনেক দিন তো কষ্ট করলাম। এবার একটু relax করি। এই relax করতে করতে কখন যে থার্ড ইয়ারে এরা চলে আসে বুঝতেই পারেনা। এরা আড্ডা মাস্তি ক্যাম্পাসে চিল আপ, ট্যুর দিতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে। আমার দেখা অনেকেই উদাসীন থাকে লেখাপড়ার ব্যাপারে। অন্যদিকে যারা জাতীয়তে পড়ে তারা একটু কেয়ারফুল হয় কেননা জাতীয়তে রেজাল্ট ভাল করা একটু টাফ। এখানে কোথা থেকে প্রশ্ন আসবে জানা যায় খুব কম। পাব্লিক এর মতন কিছু প্রশ্ন পড়লেই হয়না বরং আরো বেশি পড়া লাগে। কিছু পোলাপান আলাদা সব সময় থাকে, যারা আসলেই এসব নিয়ে ভাবে। আপনাকে তাদের মধ্যে একজন অন্যতম হতে হবে।
⇨ অনেক সময় পাওয়াঃ যারা জাতীয়তে পড়ে এদের হাতে বেশ ভালো সময় থাকে। অনন্ত পাব্লিকে যারা পড়ে তাদের থেকে বেশি থাকে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় এ ক্লাস খুব কম হয়, অন্যদিকে পাব্লিকে বেশ ভালই ক্লাস হয়। সাথে থাকে assignment, presentation ইত্যাদি ইত্যাদি। অনেক সময় ক্লাস ৯ টা থেকেও থাকে প্রায় ১ টা অবধি। ক্লাস থেকে এসে সন্ধ্যা অবধি ঘুম। সন্ধ্যা তে উঠে হয় টিউশন নাহলে আড্ডা। এরা হাতে সময় কম পায়। কিন্তু কলেজের পোলাপান হাতে বেশি সময় পায়। ক্লাস কম হয়, এতো presentation থাকেনা। নিজের পড়াশোনা জন্যেও বেশ সময় পাবেন। মনে রাখবেন, cgpa ভালো না হলে চান্স পাওয়া একটু টাফ। সুতরাং কলেজ বা ভার্সিটি এই পরিচয় না এনে নিজের ডিপার্টমেন্ট এর পরিচয় মাথায় আনুন৷ পাঁচ তারকা হোটেলে যে চাউল থেকে ভাত হয়, রাস্তার পাশের হোটেলেও সেই চাউল থেকে ভাত হচ্ছে। সুতরাং চাউল এর পরিচয় মুখ্য, স্থানভেদে জিনিসের পার্থক্য হলেও উপাদান একই!
Higher study এর জন্য সুচিন্তিতভাবে আগানো দরকার বলে আমি মনে করি।
তার কিছু নিচে উল্লেখ করলাম –
১.ভালো cgpa
২.ইংরেজি তে দক্ষতা বাড়ানো ও ielts/ toffel এর জন্য প্রস্তুতি নেওয়া।( সাধারণত ielts score মাস্টার্স এর জন্য ৬.৫, কোন মডিউলে ৬ এর কম নয়)
৩.এনালিটিকেল দক্ষতা প্রমাণের জন্য GRE/GMAT এক্সাম শেষ করা একটা ভালো স্কোর সহ ৩১০+.
৪.যত বেশি সম্ভব ছোটো খাটো জব,প্রোজেক্ট এ কাজ করার অভিজ্ঞতা নেওয়া।
৫.সম্ভব হলে পাবলিকেশন করা।
৬.extra কারিকুলাম কাযক্রমে অংশগ্রহণ করা। বিভিন্ন ট্রেনিং, সেমিনার – সিম্পজিয়াম, লিডারশীপ প্রগ্রাম, সোশাল ওয়াক্।
৭.কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহারিক জ্ঞান বাড়ানো,কারণ তা আপনার উচ্চশিক্ষার জন্য লাগবেই।
৮. পড়াশুনা করা অবস্থাতেই বিভিন্ন দেশের উচ্চ শিক্ষার সুবিধা অসুবিধা সম্পকে খোজ রাখা।
৯.কমিউনিকেশন দক্ষতা বাড়ানো কারণ আপনাকে উচ্চ শিক্ষার বিভিন্ন প্রয়োজনে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন প্রফেসর,ডিন ও কোঅডিনেটর এর সাথে যোগাযোগ করতে হবে।
১০.সবপরি সময়, শ্রম ও ধৈযর্ ধরে লেগে থাকা কোন অবস্থাতেই নিরাশ না হওয়া।
© CRHS